ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র কি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করতে পারে?

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail যুক্তরাষ্ট্র কি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করতে পারে?

২০০৭ সাল। জাতিসংঘে বাংলাদেশস্থ আবাসিক প্রতিনিধি রেনাটা লক একটি চিঠি দেন। সেই চিঠিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই চিঠিটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং এই চিঠির প্রেক্ষিতেই সেনাবাহিনীর তৎকালীন সময়ে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং নির্বাচন বিরোধী একটি শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে, যার প্রেক্ষাপটে এক-এগারো এসেছিল। 

পরবর্তীতে দেখা যায়, রেনাটা লক'র যে চিঠিটি প্রকাশিত হয়েছিল এবং যে চিঠি নিয়ে এক-এগারো’র সরকার আসার পথ তৈরি হয়েছিল, সেই চিঠিটি আসলে জাল করা এবং বিকৃত করা চিঠি। বান কি মুন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অব্যাহত রাখার পক্ষে এবং সংঘাত, সহিংসতা পরিহার করার জন্য একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে সেনাবাহিনীর বিষয়টিকে জালিয়াতি করে উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং যার ফলে এক-এগারো আনা হয়েছিল। বাংলাদেশে এখন যখন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা- তখন বাংলাদেশ একটি গুজবের ফ্যাক্টরিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ সমস্ত গুজব কেউ কেউ ইদানিং বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। এরকম একটি গুজব হচ্ছে যে, শেষ পর্যন্ত যদি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হয়- তাহলে যুক্তরাষ্ট্র শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করতে পারে। আর এই রকম গুজবটি নতুন ভিসা নীতির পর ডালপালা মেলতে শুরু করেছে।

কিন্তু এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলেছে, কথা বলে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। 

উল্লেখ্য যে, ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য শান্তি মিশন গঠন করেছিল। শান্তি মিশন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এখন সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী শান্তি মিশনের বিভিন্ন দেশে ৮১ হাজার ৮শ’ ২৪ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের সদস্য সংখ্যা ৭ হাজার ২শ’ ৩৭ জন। বিশ্বে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণকারী দেশ। আর ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ যে শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করছে, শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি সদস্যরা সবচেয়ে চৌকষ এবং ভালো কর্মী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে। এই জন্য বাংলাদেশ একাধিক পুরস্কারও পেয়েছে। 

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শান্তিরক্ষা মিশনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু জাতিসংঘের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শান্তিরক্ষা মিশনে কোনো দেশকে নিষিদ্ধ করতে পারে না। এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো নজির নেই। এমনকি যে নাইজেরিয়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- এখন বাংলাদেশের মতো ভিসানীতি আরোপ করেছে, সেই নাইজেরিয়ার সেনা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারাও শান্তিরক্ষা মিশনে আছে। 

শান্তিরক্ষা মিশনে কোন কোন দেশের সদস্যরা অংশগ্রহণ করতে পারে?

শান্তিরক্ষা মিশনের চার্টারে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত যে কোন দেশ এটিতে অংশগ্রহণ করতে পারে। আর এই শান্তিরক্ষা মিশনের কোন দেশে সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সাধারণ পরিষদে অথবা নিরাপত্তা পরিষদে। অনেক সময় সাধারণ পরিষদে যদি শান্তিরক্ষা মিশনের কোনো দেশে শান্তিরক্ষা মিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সেটা নিরাপত্তা পরিষদে চূড়ান্তভাবে আলোচনা হয় এবং নিরাপত্তা পরিষদে যদি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়, তাহলে শান্তিরক্ষা মিশন সেখানে যায়। আবার কোন দেশ থেকে শান্তিরক্ষা মিশনের বাহিনী নেওয়া হবে, সেটিও নির্ধারিত হয় নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে। 

নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি দেশ স্থায়ী সদস্য। তাদের ভেটো পাওয়ার রয়েছে। তাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও রাশিয়া এবং চীন অন্যতম। আর এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে কোনো দেশের অংশগ্রহণ নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে কখনো আলোচনা হয়নি বা এ নিয়ে কখনোই কোন দেশের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি। বরং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জাতিসংঘের প্রচলিত নীতির সঙ্গে সংঘর্ষিক। কারণ জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত একটি দেশকে শান্তিরক্ষা মিশনে অন্তর্ভুক্তি থেকে বারিত করে না, করতে পারে না। এটি জাতিসংঘের সার্বজনীন নীতির পরিপন্থী। তাই যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে শুধু বাংলাদেশ নয়, কোনো দেশেরই শান্তিরক্ষা মিশনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে না। এই এখতিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের নাই। এরকম যদি কোনো প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আনেও সেটি নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হতে হবে এবং নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে যদি গৃহীত হয়, তাহলেই সে রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

কিন্তু বৈশ্বিক বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনলে রাশিয়া এবং চীন যে চুপচাপ বসে থাকবে না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি স্রেফ গুজব এবং আতঙ্ক ছড়ানোর অপকৌশল। এ রকম অনেক গুজবই এখন ছড়ানো হচ্ছে, যেন সরকারকে কোণঠাসা করা হয়। জনমনে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং আতঙ্ক তৈরি করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এর কোনো আইনগত বা নিয়মতান্ত্রিক ভিত্তি নেই। 


যুক্তরাষ্ট্র   শান্তিরক্ষা মিশন   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেন অপহৃত সেই দেলোয়ার

প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হব, এমনটা কখনোই ভাবিনি। তাই শুধু এটুকুই বলব, আমি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি। জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুরে একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯)। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ছিলেন।

জানা গেছে, রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলি করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

মুনতাসির রহমান নামে একজন ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস একজন ট্রান্সউইমেন। হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। এর পিছনে দায়ী পরিবার, সমাজ, দেশে বিরাজমান ট্রান্সফোবিয়া, ঘৃণা, হয়রানি, আক্রমণ। এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

এদিকে, মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্রান্সজেন্ডার নারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৫ প্রার্থীর জয়

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে  চেয়ারম্যান হিসেবে সাতজনসহ বিভিন্ন পদে মোট ২৬ জন  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

সোমবার প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের তথ্য জানান।

ইসির কর্মকর্তারা জানান প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান; বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান; কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান; কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান; রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান; কাউখালীতে (রাঙ্গামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান; চুয়াডাঙ্গার ডামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।

প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে সোমবার ভোটের মাঠ থেকে সরে যান ১৯৮ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি একরামুলকে বহিষ্কারের দাবি জেলা আওয়ামী লীগের

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা।

মঙ্গলবার (, ২০২৪ এপ্রিল) জয়পুরহাট জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সেলিম রেজা বলেন, তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।


 অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন 

সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন