ইনসাইড বাংলাদেশ

সুষ্ঠু নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করছে সরকার

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail সুষ্ঠু নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করছে সরকার

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করুক বা না করুক- সরকার নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিকর। বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আওয়ামী লীগ আগবাড়িয়ে যেমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না, তেমনি বিএনপি ছাড়া নির্বাচনে যেন কোনো রকমের অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে- নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়- সেটি নিশ্চিত করার জন্য সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই দলকে এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এই বার্তাটি সুস্পষ্টভাবে দিয়েছেন যে, আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ,সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং এই নির্বাচনে কারচুপি, ভোট জালিয়াতি বা অন্য কোনো হস্তক্ষেপকে বরদাশত করা হবে না। 

প্রধানমন্ত্রীর এই দৃঢ় অবস্থানের পর আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে এক ধরনের নিরপেক্ষতার আবহ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার প্রমাণও পাওয়া গেছে। ওই নির্বাচনে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষপাতের কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।  

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার একটি ১০ দফা রূপ পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এই ১০ দফা রূপ পরিকল্পনার ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন। এই রূপরেখাগুলোর মধ্যে রয়েছে:- 

১. নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং স্বাতন্ত্র: নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। তাদেরকে কোনো চাপ দেওয়া হবে না অথবা তারা কোনো চাপের কাছে নতিও স্বীকার করবে না। সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন আইন সংশোধীত হয়ে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। এই আইন চূড়ান্ত হলে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা অনেক বেশি বেড়ে যাবে। যদি কোনো কেন্দ্রের ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিতে পারবে, ভোট বাতিলও করে দিতে পারবে। নির্বাচন কমিশন প্রশাসনের পক্ষপাত বা অন্য কোনো অভিযোগ পেলে- তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। সরকার নির্বাচন কমিশনের এই স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করছে এবং সরকারের নীতি নির্ধারকরা চান যে, নির্বাচন কমিশন স্বাতন্ত্র অবস্থান নিয়ে নিরপেক্ষ থেকে আগামী নির্বাচন পরিচালনা করুক। 

২. নির্বাচনকালীন সরকার: নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টিও সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকালীন সরকারের একটি ধারণা গণমাধ্যমের কাছে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেছেন যে, সংসদে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো আছে- তাদের মধ্যে থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে একটি ছোট মন্ত্রিসভার সরকার গঠন করতে চাইছে- যে মন্ত্রিসভায় সংসদে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব থাকবে। যে মন্ত্রিসভা রুটিন কাজের মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ করবে। কোনো নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।  

৩. প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক নির্বাচন: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন কোনো অবস্থাতেই ২০১৪’র নির্বাচনের মতো না হয়, সেজন্য সরকার একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ নির্বাচন করতে চায়। এই কারণেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশগ্রহণ না করে, তাহলে আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ কোনো নির্বাচন করবে না। বরং প্রত্যেকটি দল আলাদা আলাদাভাবে যেন নির্বাচন করে- সেই পথ উন্মুক্ত করে দেবে। ফলে নির্বাচনে একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতার আবহ তৈরি হবে। 

৪. বিনা ভোটকে নিরুৎসাহিত করা: ২০১৪ সালের নির্বাচনে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের অনেক নেতারাই বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য তৎপর ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরকে বসিয়ে দেওয়ার একটি ভয়াবহ প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। আগামী সংসদ নির্বাচনে যেন এ ধরনের কোনো কিছু না হয়- সে ব্যাপারে সরকার এখন থেকেই সতর্ক রয়েছে। 

৫. প্রশাসনের নিরপেক্ষতা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকায় দেখতে চায় সরকার। আর এ কারণেই প্রশাসনের একটি বড় ধরনের রদবদল হবে। এমন কাঠামো বিন্যাস করা হবে, যেন নিরপেক্ষ এবং যোগ্য ব্যক্তিরা নির্বাচনকালীন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকেন। 

৬. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষ অবস্থানে রাখা হবে এবং প্রশাসন কোনো অবস্থাতেই এ ব্যাপারে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না।

৭. নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশি কূটনীতিকদেরকে আমন্ত্রণ জানাবে সরকার এবং বিদেশি কূটনীতিকরা যেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারেন- সে ব্যাপারে উৎসাহিত করা হবে। বিভিন্ন দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য। 

৮. বিভিন্ন এমপি এবং মন্ত্রীদের সীমাবদ্ধতা: নির্বাচনকালীন সময়ে মন্ত্রী-এমপিদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। তারা যেন নির্বাচনের উপর কোনো রকম প্রভাব বিস্তার না করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। 

৯. ভালো প্রার্থীদের উৎসাহিত করা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগও তার প্রার্থীদের পরিবর্তন করবে। সৎ, যোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থীদের সামনে নিয়ে আসা হবে। অন্তত ১শ’ থেকে দেড়শ’ আসনে আওয়ামী লীগ তার প্রার্থী পরিবর্তন করবে। জনপ্রিয় ব্যক্তিদেরকে প্রার্থী করা হলে জনগণের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়বে। 

১০. ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে আসা: আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একটি পরিকল্পনা হলো, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ করা- যেন ভোটকেন্দ্রে জনগণ আসে, সে রকম একটি পরিবেশ, পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় আওয়ামী লীগ। আর সে জন্য নেতাকর্মীদেরকেও  নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। 


সুষ্ঠু   নির্বাচন   রূপরেখা   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সংস্থাটির ১৫ জন কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান, আকিব রায়হান, শাওন হাসান অনিক, তালুকদার ইনতেজার ও চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ প্রশাসন ক্যাডারে এবং আশরাফুল হোসেন, সুজনুর ইসলাম সুজন ও মো. ইমাম হোসেন পুলিশ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবারের বিদায়ী অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহসভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইকে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আকমল হোসেন, স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ ও অসহায় মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগবাটি ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়াগাঁতী পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাকিম হোসেন সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্তে ভাইদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকমল হোসেন (৪২), তার স্ত্রী মোছা: খাদিজা বেগম (৩৫) ও  আবুল হোসেনের ছেলে মফিজ (৩৮) দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে মোঃ হাকিম হোসেনকে এলো-পাথারী মারপিট করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী হাকিম হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার বড় ভাই বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী আকমল দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে এসে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় আমি বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারে। আমি সরে দাড়ালে কোপটি আমার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোড়দাবী করছি।'

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকমল হোসেন বলেন, ‘ভাইদের টাকায় আমাদের মা ওমরা হজ পালন করে। সেই টাকা ও জমি সংক্রান্তের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়েছে। এখানে মারপিট ও হত্যার হুমকির বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’ 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হত্যার হুমকি   থানায় অভিযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৪ মে থেকে শনিবারও খোলা থাকবে স্কুল

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ৪ মে থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। 

সূত্র জানায়, বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। তাই রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলিও বন্ধ থাকবে।

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। 


স্কুল   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপমাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তা শীর্ষে অধ্যক্ষ মামুন


Thumbnail

বিগত ৫ বছর রায়পুর উপজেলাবাসীকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলমুক্ত উন্নয়ন ও সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় শতাধিক রাস্তা, অসংখ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং উপজেলাবাসীকে হয়রানিমুক্ত নিরলস সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে সৎ, নির্লোভ, শিক্ষিত ও ধর্মীয় অনুরাগী হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায় উপজেলাবাসী। 

গত ২দিন সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাধারণ জনগণের সাথে আলাপকালে এ দাবি সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করে তারা। 

উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের জেলে সম্প্রদায়ের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোট নিয়ে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ ৫ বছরে উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা পাঁকা করে দিয়েছেন। পানির সমস্যা দূরীকরণে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন। এছাড়াও নতুন মাটির রাস্তা বাঁধাইকরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান করেছেন। এছাড়াও চরবংশী ইউনিয়নের জেলেদের সাথে কোন ধরণের অন্যায়, জমি জবরদখল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেননি। এমন সৎ ও নির্লোভ মানুষকেই তারা আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। 

উপজেলার ৮নং দক্ষিন চরবংশী, ১নং উত্তর চরআবাবিল, ৯নং দক্ষিন চরআবাবিল ও ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের জনগণ, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক ও খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের সাথে আলাপকালে তারা জানান, অধ্যক্ষ মামুন নির্বাচিত হওয়ার পর অন্যায় করেননি এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। তিনি মানুষের উপকার ও এলাকার উনয়নে কাজ করেছেন। উপজেলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সর্বস্তরের জনগণ পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তাকেই চায়। 

বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রবীন ও ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানান, ১৯৯২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৯৯১ সাল থেকে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষ মামুন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সুণামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। 

সর্বশেষ ২০২৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বাধিক সমর্থন নিয়ে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। দায়িত্বকালীন সময়ে অধ্যক্ষ মামুনের নেতৃত্বে সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান-মেয়র নির্বাচিত হন। দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিগত কোন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি এবং দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে কর্মকান্ড করেননি। দলের নেতাকর্মীরা তার সৎকম, নির্লোভ ও সন্ত্রাসমুক্ত কর্মকান্ডকে প্রচন্দ করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে বদ্ধপরিকর। 

সরেজমিনে এলাকাবাসীর থেকে আরও জানা যায়, বিগত করোনার সময়ে অধ্যক্ষ মামুন উপজেলার মানুষের নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের দারপ্রান্তে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। কারো কোন বিপদের সংবাদ পেলে তাদের কাছে ছুঁটে চলে আসেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ নেই। এসমন ভদ্র নম্র মানুষই রায়পুর উপজেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পারবে। এজন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায়। 

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে দটি মনোনয়ন জমা হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

লক্ষীপুর   রায়পুর উপজেলা   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

'ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব'

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন ও জটিল হলেও অসম্ভব নয়, অনুমতি মিললে ঈদুল আজহার আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা। ভারত ব্রাজিল থেকে প্রচুর ইথানল কেনে। কোভিডের পর ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে অস্থির হয়ে পড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তেলের বিকল্প হিসেবে ইথানল ব্যবহার সস্তা হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বে বিভিন্ন সংকটের মাঝে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। ব্রাজিলের জীবন্ত গরু ও মাংস খাতে বাংলাদেশে বিশাল সম্ভাবনা আছে। প্রধানমন্ত্রী জুনে ব্রাজিল সফরের কথা রয়েছে। যদি তিনি ব্রাজিল যান, তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি, তা হয়তো স্বাক্ষর হতে পারে।

পাওলো ফার্নান্দো আরো বলেন, ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্রাজিল বাংলাদেশি আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে, বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।


ব্রাজিল   রাষ্ট্রদূত   ডিক্যাব   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন