ইনসাইড বাংলাদেশ

সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক।

চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। শুক্রবার (২ জুন) প্রতিমন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডা. আফছারুল আমীন আজীবন দেশের মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন দেশপ্রেমিক ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদকে হারালো।’

উল্লেখ্য, ডা. আফছারুল আমীন আজ (২ জুন) আনুমানিক বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ক্যান্সার ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।


ডা. আফছারুল আমীন   মৃত্যু   সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী   শোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তরমুজ কেনা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

হবিগঞ্জে তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে শহরের শায়েস্তানগ এলাকায় রাজু নামে এক তরমুজ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পার্শ্ববর্তী বহুলা গ্রামের সৈয়দ আলী তরমুজ কেনেন। রাজু হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া সৈয়দ আলী এলাকায় ‘মাদক ব্যবসায়ী’ হিসেবে পরিচিত।

এ সময় তরমুজের দাম নিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে দুই গ্রামের লোকজন জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে প্রধান সড়কে এক ঘণ্টার জন্য যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে হবিগঞ্জ সদর সার্কেকের সহকারী পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


হবিগঞ্জ   তরমুজ   সংঘর্ষে   আহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনে ঈদযাত্রার শেষদিনের টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশ: ০৯:৩৭ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

শেষদিনের মতো ট্রেনে ঈদযাত্রায় অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ যারা অগ্রিম টিকিট নিচ্ছেন তারা আগামী ৯ এপ্রিল ভ্রমণ করতে পারবেন। শনিবার সকাল ৮ টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। পর্বাঞ্চলে চলাচল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে।

এর মধ্য দিয়ে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হবে। আগামী ৩ এপ্রিল থেকে মিলবে ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট, যা চলবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।

ঈদের অগ্রিম ও ফেরত যাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। যাত্রীরা ঈদের অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার করে টিকিট কিনতে পারবেন। একজন যাত্রী সর্বাধিক চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। এই টিকিট রিফান্ড করা যাবে না।

এছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনের সব আসন বিক্রি শেষে বরাদ্দকৃত সাধারণ শ্রেণির মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।


ট্রেন টিকিট   বাস টিকিট   অগ্রিম টিকিট   ঈদযাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইউনেস্কো পুরস্কার দেয়নি ড. ইউনূসকে

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পদকপ্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। গত ২১ মার্চ ইউনূস সেন্টারের এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, আজারবাইজানের বাকু সম্মেলনে ইউনেস্কো থেকে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পেয়েছেন ড. ইউনূস। এরপর গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানান, ইউনেস্কো থেকে ইউনূসকে কোনো পদক দেওয়া হয়নি। ওই সম্মেলনে নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার নামে একটি সংস্থার আমন্ত্রণে ইউনূসকে সম্মাননা স্মারক দেন ইসরায়েলি ভাস্কর হেদভা সার।

ঘটনার সত্যতা জানতে ভাস্কর হেদভা সার ও ইউনেস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। গত বুধবার ( ২৭ মার্চ) রাতে হেদভা সার বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান একেবারে সঠিক। দ্য ট্রি অব পিস পুরস্কার ইউনেস্কো নয়, নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।’

একই রকম তথ্য জানিয়েছে ইউনেস্কো। সংস্থাটির প্রেস অফিসার ক্লেয়ার ওহাগান জানান, শৈল্পিক কাজের অংশ হিসেবে শিল্পী হেদভা সারের নির্মিত একটি ভাস্কর্য দ্য ট্রি অব পিস। হেদভা সার ইউনেস্কোর শুভেচ্ছা দূত। তবে এ শিল্পকর্মটি ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার নয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইউনূস সেন্টারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুহাম্মদ ইউনূসকে আজারবাইজানের বাকুতে ২০২৪ সালের ১৪-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত একাদশ বিশ্ব বাকু ফোরামে বিশেষ বক্তা হিসেবে ভাষণ প্রদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

এতে আরও বলা হয়, বাকু ফোরামের আয়োজক নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের মহাসচিব রভশান মুরাদভ প্রফেসর ইউনূসকে পাঠানো ইমেইলে জানিয়েছিলেন, এ সম্মেলনে বক্তব্য রাখা ছাড়াও সমাপনী দিনে প্রফেসর ইউনূসকে ইউনেস্কো প্রদত্ত একটি পুরস্কার প্রদান করা হবে।


ড. ইউনূস   ইউনেস্কো   পুরস্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাস অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ০৮:৩৭ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

মাগুরার শালিখা উপজেলায় বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন পাঁচজন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার হাজামবাড়ি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নিরুপমা দে, পুষ্প রাণী ও মধু শিকদার।

আহতদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

শালিখা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার ঘোষ জানান, হতাহতরা সবাই মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী নিতাই গৌর গোপাল আশ্রম থেকে নামযজ্ঞ শুনে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে শতখালীর হাজামবাড়ী মোড়ে যশোর থেকে মাগুরাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বাহনটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই নারীসহ তিনজন নিহত হন।


মাগুরা   সড়ক দুরঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ

প্রকাশ: ০৮:০৪ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

৩০ মার্চ রাতে পাকিস্তান বিমানবাহিনী চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ওপর বোমা বর্ষণ করে। স্বাধীন বাংলা বেতারের কর্মীরা নিরাপদ স্থানে চলে যান। সেখানে থাকা মুক্তিযোদ্ধারাও পিছু হটে যান। বোমাবর্ষণের আগে সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আবারও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি ও সাহায্য দিতে বিশ্বের গণতান্ত্রিক সরকার ও জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আবেদন জানানো হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম শহরেও মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর কামান দিয়ে বোমা বর্ষণ করে। রাতে নগরীর আশপাশে ছত্রীসেনা নামায় তারা। ভোর পর্যন্ত ইপিআর সদস্যদের সমন্বয়ে গড়া মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানিদের আক্রমণ প্রতিরোধ করে।

২৭ মার্চ বিদেশি সাংবাদিকদের ঢাকা থেকে বের করে দিলেও কৌশলে থেকে গিয়েছিলেন ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদক সাইমন ড্রিং। তিনি ঢাকায় পাকিস্তানের সেনাদের হত্যাযজ্ঞের প্রমাণ দেখতে পান। ব্যাংককে গিয়েই তিনি তা নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদন লেখেন। ৩০ মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন থেকেই বিশ্ববাসী প্রথম বিশদভাবে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতা সম্পর্কে জানতে পারে। প্রতিবেদনটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল 'বিদ্রোহ দমনে পাকিস্তানে ট্যাংক আক্রমণ: ৭,০০০ নিহত, ঘরবাড়ি ভস্মীভূত'।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা এখন ধ্বংস ও আতঙ্কের নগরী। ২৩ ঘণ্টা ধরে অবিরাম শেল বর্ষণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঠান্ডা মাথায় সাত হাজারের বেশি লোককে হত্যা করেছে। সেনা অভিযানে ঢাকাসহ সব মিলিয়ে ১৫ হাজার লোক নিহত হয়েছেন। সাইমন ড্রিং লেখেন, সেনাবাহিনীই প্রধান জনপদগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। সেনাবাহিনী এখতে গুলি চালাচ্ছে এবং নির্বিচার দালানকোঠা দাংস করা হচ্ছে। বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যা ও ধংংসযজ্ঞ নিয়ে এই দিল দ্য নিউইয়র্ক টাইকও পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, তাঁতীবাজার ও শাঁখারীবাজার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সেনাবাহিনী দেশজুড়ে বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা করছে এ কুষ্টিয়ায় যুদ্ধ চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল কুষ্টিয়ায় অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন বাঙালি সেনা কর্মকর্তা মেজর আবু ওসমান চৌধুরী। কুষ্টিয়ায় অবস্থান নেওয়া পাকিস্তানি সেনাদলকে আক্রমণের জন্য ২৭ মার্চ ইপিআরের ফিলিপনগর কোম্পানি কুষ্টিয়া শহরের সুনির্দিষ্ট স্থানে সমবেত হয়েছিল। দলটির নেতা ছিলেন বাঙালি সুবেদার মুজাফফর আহমেদ (পরে অনারারি লেফটেন্যান্ট)।

২৮ মার্চ দুপুর ১২টার মধ্যে সীমান্তে নিয়োজিত ইপিআরের সব কোম্পানি সমবেত হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। একটি কোম্পানি সেনা ঝিনাইদহে যশোর-ঝিনাইদহ রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। আরেক কোম্পানি সেনা বিকেলে ক্যাপ্টেন এ আর আজম চৌধুরীর (বীর বিক্রম, পরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা-পোড়াদহ কাঁচা রাস্তা দিয়ে পোড়াদহে যায়। পরিকল্পনা ছিল, আক্রমণ হবে একই সময়ে তিন দিক থেকে। আক্রমণের সময় ছিল ২৯ মার্চ ভোর চারটা। সব আয়োজন শেষ হওয়ার পরও পরিকল্পনা পাল্টে আক্রমণের নতুন সময় স্থির করা হয় ৩০ মার্চ ভোর চারটা।

৩০ মার্চ ভোর চারটায় মুক্তিবাহিনী তিন দিক থেকে কুষ্টিয়া আক্রমণ করে। পাকিস্তানি সেনারা হকচকিত হয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক তুমুল যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা পুলিশ লাইনস ও ওয়্যারলেস কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে পড়ে। পাকিস্তানি সেনারা অস্ত্রশস্ত্র ফেলে জিলা স্কুলের দিকে তাদের সদর দপ্তরে পালিয়ে যায়। কিছু পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। জিলা স্কুল এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ছাড়া গোটা শহর মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিপর্যয় উত্তরবঙ্গের সৈয়দপুর সেনানিবাসে অবস্থানরত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি ব্যাটালিয়ন তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এই দিন বড় রকমের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। ব্যাটালিয়নের তরুণ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট রফিক সরকার তখন ছিলেন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটে। রফিক সরকার এক দিন আগে জানতে পেরেছিলেন, ৩০ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সামরিক কনভয় রংপুর থেকে বগুড়ার উদ্দেশে যাত্রা করবে। তিনি এক প্লাটুন সেনা নিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বেলা তিনটার দিকে কনভয়টিকে অ্যামবুশ করেন। দুই পক্ষে প্রচন্ড তবি বিনিময় হয়। রফিক সরকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী হন। পাকিস্তানিরা তাঁকে রংপুর সেনানিবাসে নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচারের পর ১ এপ্রিল তাঁকে হত্যা করে। সৈয়দপুর সেনানিবাসে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মিরাজুল ইসলামকে রংপুর সেনানিবাসে ডেকে নেওয়া হয়। ৩০ মার্চ রংপুর সেনানিবাসে পৌছানোমার ১০ জন বাঙালি সৈনিকসহ তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এত বিপর্যয়ের পরেও এই দিন দিবাগত রাতে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সেনারা ক্যাপ্টেন আনোয়ার হোসেনের (বীর প্রতীক, স্বাধীনতার পর মেজর জেনারেল) নেতৃত্বে সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে বেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।

যশোরে প্রথম ইস্ট বেঙ্গলের বিদ্রোহ

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি ব্যাটালিয়ন প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অর্ধেক বাঙালি সেনা মহড়া শেষে ২৯ মার্চ গভীর রাতে যশোর সেনানিবাসে ফিরেছিল। বাকি অর্ধেক ছিল ছুটিতে। ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ছিলেন বাঙালি লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল জলিল। কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম, পরে মেজর, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী) এবং লেফটেন্যান্ট আনোয়ার হোসেন (বীর উত্তম) ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন পাকিস্তানি। প্রত্যন্ত সীমান্ত অঞ্চলে মহড়ায় থাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের খবর তাঁরা পাননি। সেনানিবাসে ফেরার পর ৩০ মার্চ তাঁদের প্রায় নিরস্ত্র করা হয়। তাঁরা লক্ষ করেন, নিরন্ত্র অবস্থায় তাঁদের ঘিরে রেখেছে পশ্চিম পাকিস্তানের সশস্ত্র সেনারা। তাঁদের বুঝতে বাকি থাকে না, কী ঘটতে চলেছে। রেজাউল জলিল কোনো সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে বাঙালি সেনারা হাফিজ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বিদ্রোহ করেন। তাঁরা অস্ত্রাগার ভেঙে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে গুলিবর্ষণ করতে করতে যশোর সেনানিবাস ছেড়ে আসেন। এই সময় পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে লেফটেন্যান্ট আনোয়ারসহ বহু বাঙালি সেনা শহীদ ও আহত হন। আর প্রায় ২০০ জন বাঙালি সেনা বেরিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।


সূত্র: ১. বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, দ্য টেলিগ্রাফ, নিউইয়র্ক টাইমস, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ


৩০ মার্চ ১৯৭১   মুক্তিযোদ্ধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন