ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের ওডিশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক শোক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

তিনি জানান, ‘ভারতের উড়িষ্যায় একটি মালবাহী ও একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে শতশত মানুষ হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

ওডিশায় দুর্ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৫০ জনের বেশি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চলমান শতকে এটি ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। ওডিশা রাজ্যের বালাসোরে স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যে সাতটার দিকে মোট তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়।

ভারতের রেলবিভাগ জানায়, প্রথমে করমন্ডল এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়ার নিকটবর্তী শালিমার থেকে তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই যাচ্ছিল। সেটির কয়েকটি বগি লাইনচ্যূত হয় এবং পাশের লাইনে থাকা আরেকটি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী ট্রেন সেগুলোকে আঘাত করে। দ্বিতীয় ট্রেনটি বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়া যাচ্ছিল।

এরপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের সাথেও যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর ধাক্কা লাগে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অনশন ভাঙলেন রানা দাশগুপ্ত

প্রকাশ: ০৫:৪২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

অনশন ভেঙেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তকে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার।

দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে অনশন শুরু করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। সাড়ে ৩৪ ঘণ্টা পর অনশন ভঙ্গ করলেন তারা।

অনশনের দ্বিতীয় দিনে আজ অসুস্থ হয়ে পড়েন রানা দাশগুপ্ত। তাকেসহ ঐক্য পরিষদের আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে স্যালাইন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের এ অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি রোববার সকাল ছয়টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল।

অনশন   রানা দাশগুপ্ত   হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোনো দল বা ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন ভিসা নীতি নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৩২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোনো দল বা ব্যক্তিকে পক্ষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আসন্ন নির্বাচনের অন্তরায় যারা হবেন- নির্বাচনে যারা বাধাগ্রস্ত করবেন এবং নির্বাচন পণ্ড করার চেষ্টা করবেন তাদের জন্য এই ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে। আমরা মনে করি এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে ইনডোর প্লেগ্রাউন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফ্রিকার কোনো এক দেশকে বলেছে, তোমরা যদি ডেভেলপমেন্ট দেখতে চাও, দেশকে এগিয়ে নিতে চাও তাহলে বাংলাদেশকে ফলো কর, শেখ হাসিনাকে ফলো কর।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন খুবই আসন্ন, এজন্য সব দল তাদের বিভিন্ন দাবি-দাবা নিয়ে আমাদের কাছে আসছে। আমার মনে হয় কিছুদিন পরে জনগণ আনন্দিত হয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনটি সুসংঘটিত করবে।

ভিসা নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভিসানীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ব্যাপার। তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। কাকে ভিসা দিবে, না দিবে, সেটা তাদের নিজস্ব এখতিয়ার। সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভোরের পাতার সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসান সিআইপি প্রমুখসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মার্কিন ভিসা নীতি   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাঁচ ঘটনার প্রেক্ষিতেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গতকাল সন্ধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কতিপয় ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান। মার্কিন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার কার উপর আরোপ হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে কিছু ব্যক্তির নাম জানা গেছে। তবে সেই সমস্ত ব্যক্তিরা আসলেই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন কিনা তা নিয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে যে পাঁচটি প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। পাঁচটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্ব পরিমাপের প্রেক্ষিতেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে।

যে পাঁচটি ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিবেচনায় নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে:

১। হিরো আলমের ঘটনা: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে শেষ পর্যায়ে এসে হিরো আলমের উপর হামলা করা হয়। একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধা প্রদানের ঘটনা হিসেবে এটিকে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই ঘটনার ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব উদ্যোগে তদন্ত করেছে এবং বিভিন্ন তথ্য উপাত্য সংগ্রহ করেছে। আর এই তথ্যপাত্র সংগ্রহের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে জানা গেছে।

২। সুপ্রিম কোর্টের ঘটনা: সুপ্রিম কোর্টে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচার বিশ্লেষণ করেছে এবং এখানে পক্ষ বিপক্ষ অবস্থান এবং নানা রকম উস্কানিমূলক বক্তব্যকে তারা পর্যালোচনা করে দেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের অন্যতম পূর্বশর্ত এবং অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর এই কারণেই সুপ্রিম কোর্টে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে কয়েকজনের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

৩। ড. ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া: ড. ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচারিক হয়রানি বলে মনে করছে। আর এখানে যে সমস্ত ব্যক্তিরা বাড়াবাড়ি করছেন ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন এবং বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তাদেরকেও ভিসানীতির আওতায় আনা হয়েছে বলে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ড. ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা বিভিন্ন ভাবে যুক্ত এদের কয়েকজন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন বলে জানা গেছে।

৪। বিরোধী দলের নেতাদের উপর হামলা: সাম্প্রতিক সময় বিরোধী দলের সমাবেশসহ বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ক্ষমতাশীল দলের যে সমস্ত হামলার ঘটনা ঘটেছে সেগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব উদ্যোগে পর্যালোচনা করেছে, বিচার বিশ্লেষণ করেছে এবং এই ঘটনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যাদের দায় রয়েছে এবং ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের যাদের ভূমিকা রয়েছে তাদেরকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

৫। বিরোধী দলের মামলা এবং হামলা: বিরোধী দলের নেতাদের উপর বিভিন্ন ধরনের মামলা এবং হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অন্তত দশটি অভিযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে করা হয়েছে। এই সমস্ত অভিযোগের মধ্যে কয়েকটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। কিছু কিছু মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য করা হয়েছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে। এই ধরনের ঘটনাবলির ফলে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে বলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করছে যে এই পাঁচটি ঘটনার প্রেক্ষিতেই দশ থেকে বিশ জনের উপর প্রথম পর্যায়ের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কালাইয়ে মাদক ও জুয়া মামলায় গ্রেফতার ৪

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জয়পুরহাটে কালাই উপজেলায় পৃথক মামলায় দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় আদালতে মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার আতাহার ও মান্দাই থেকে পৃথকভাবে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের আতাহার (খা পাড়া) গ্রামের দিলবরের ছেলে নাঈম হাসান নাহিদ (২০) ও একই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মান্দাই গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে ময়েন উদ্দীন মণ্ডল (৪০) বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জেলার জিন্দারপুর ইউপির আতাহার গ্রামের একটি বাড়ীর সামনে মাদক বিক্রয় করার জন্য হেয়ারিং রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে ছিল নাঈম হাসান নাহিদ। খবর পেয়ে সেখান থেকে ১১০ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ তাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য ২২ হাজার টাকা মাত্র। এদিকে, জেলার উদয়পুর ইউপির মান্দাই বটগাছের নিচে মাদকদ্রব্য বিক্রয় করার জন্য অবস্থান করছেন ময়েন উদ্দীন মণ্ডল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পাইয়া সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেসময় তার নিকটে ৩০ (ত্রিশ) পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৬ হাজার টাকা মাত্র। ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও জুয়া মামলায় আরও ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নাহিদ ও ময়েজ নামে দু' ব্যক্তি মাদক ব্যবসা করে আসছেন। গোপন সংবাদের ভিক্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও জুয়া মামলায় আরও দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের পৃথক মামলা দিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 


কালাই   মাদক   জুয়া   মামলা   গ্রেফতার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৪:৪১ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাট, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়মিত কলেজে উপস্থিত না থাকাসহ ডজনখানেক অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীমের বিরুদ্ধে। অনিয়ম—দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে গত বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সাজার্ারি (ডিএইচএমএস) পেশাজীবী পরিষদের ২৫ সদস্যের স্বাক্ষরিত ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। কলেজের অনুমোদনের পর ২০১৫—১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৮৪৭জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ও মাসিক বেতন বাবদ জমা নেওয়া টাকা থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এছাড়া কলেজ ভবন নির্মাণের নামে প্রত্যেক শিক্ষক কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ও প্রত্যেক কর্মচারীর কাছ থেকে ২ লাখ করে টাকা আদায় করা টাকা ও শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের নামে সংগ্রহ করা প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেন আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত। কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাটের বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, স্বজনপ্রীতির অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াতের বিরুদ্ধে। কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক—কর্মচারী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড অনুমোদিত নিয়োগ পেলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজ ফান্ড থেকে দেওয়া বেতন—ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করে থাকেন। তাঁর স্বজন ও পছন্দের শিক্ষক কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন—ভাতা পেলেও অনেক শিক্ষক—কর্মচারীর ৪৪ থেকে ৫৭ মাস পর্যন্ত বেতন—ভাতা বকেয়া রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বেতন—বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও ওইসব শিক্ষক—কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হয়রানি, চাকরিচ্যুতি করা ও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

অভিযোগকারী ও কলেজ সংলগ্ন নওগাঁ পৌরসভার পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা রায়হান আলী বলেন, স্বজনপ্রীতি আর অনিয়ম কাকে বলে তার চূড়ান্ত উদাহরণ হলো নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তাঁর বাবা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাসিন্দা হলেও এবং কলেজের নামে একখন্ড জমি দান না করলেও তাঁকে কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর শালিকা হাফিজা আক্তার ও ভায়রা রুহুল আমিনকে প্রভাষক হিসেবে চাকরি দিয়েছেন। এছাড়া তাঁর চাচা শ^শুরের ছেলে কামরুল ইসলাম কলেজের কলেজের প্রশাসনিক শাখার একটি পদে চাকরি করেন। বলা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। অহিদুজ্জামান নামে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রভাষক অভিযোগ করেন, কলেজের প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি ওই কলেজে প্রভাষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কলেজ অনুমোদনের পর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ৬৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে তাঁর। বার বার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেও তা পাননি। উপরোন্তু চলতি মাসের জুন মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাঁকে জানান, তাঁকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে। তাঁর কলেজে আসার প্রয়োজন নেই। অহিদুজ্জামান বলেন, আমাকে যে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁর কোনো কাগজ এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। অথচ আমাকে কলেজে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ৭ লাখ টাকার ওপরে বকেয়া বেতন—ভাতা পাওনা রয়েছে সেটাও দেওয়া হচ্ছে না। এ স্ত্রী—সন্তান নিয়ে আমি মানবেতর জীবন—যাপন করছি। অহিদুজ্জামানের মতো আরও চার শিক্ষক ও তিন কর্মচারীকে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত শামীম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী অনুমতি ছাড়াই দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকায় কলেজ কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তাঁদের বহিষ্কার করেছেন। বহিষ্কৃত শিক্ষক—কর্মচারীরা এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস,এম জাকির হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


নওগাঁ   দুর্নীতি   অনিয়ম   অভিযোগ   কলেজ   অধ্যক্ষ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন