ইনসাইড বাংলাদেশ

সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে ডাকাতিকালে চিহ্নিত ডাকাত আটক

প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মো. সেন্টু মিয়া (৩২) নামের এক চিহ্নিত পরিবহন ডাকাত ও চাঁদাবাজকে আটক করেছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। আটককৃত মো. সেন্টু মিয়া সোনারগাঁয়ের সোনাখালি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।  

শনিবার (৩ জুন) রাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরের নয়াবাড়ী এলাকা থেকে উত্তরবঙ্গে চলাচলকারী একটি পরিবহন বাস থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ক্যাশ লুটকালে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার নিকট থেকে লুটকরা ৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি (টিআই) মো. ইব্রাহিম জানান, সেন্টু দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চাঁদাবাজি করে আসছিল। উত্তরবঙ্গের যানবাহনগুলো থেকে ক্যাশবাক্স লুট করা তার প্রধান টার্গেট ছিল। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির ২৪ ঘণ্টা পরও জলাবদ্ধতায় রাজধানী

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মাত্র ছয় ঘণ্টার অতিপ্রবল বৃষ্টি। তাতেই অচল হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা। জলাবদ্ধতা ও যানজটের সঙ্গে রাজধানীবাসীর রাস্তায় যুদ্ধ চলে ভোর পর্যন্ত। ভোরের আলোতে আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে বৃষ্টিতে ঢাকা কতটা এলোমেলো হয়ে গেছে। বিভিন্ন মার্কেটে থইথই করছে পানি। রাজপথ থেকে অলিগলি; সর্বত্রই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। কোথাও হাঁটু থেকে কোমড়পানি জমে।

২০১৭ সালে তৎকালীন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, ‘আমি প্রমিজ করছি, সামনের বছর থেকে আর জলাবদ্ধতা দেখবেন না।’

তার এই ঘোষণার পর ছয় বছর পেরিয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এসেছেন নতুন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ঢাকা ওয়াসা থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনের মূল দায়িত্ব এখন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে। খাল খনন ও নর্দমা নির্মাণে দুই সিটি করপোরেশন শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পায়নি।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট, ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), আজিমপুর, মোহাম্মদপুর, গুলিস্তান, মিরপুর, মালিবাগ, শান্তিনগর, সায়েদাবাদ, শনির আখড়া, পুরান ঢাকা, বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, গ্রিন রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতের জলাবদ্ধতা তখনও রয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কয়েকটি এলাকায় সিটি করপোরেশনের কুইক রেসপন্স টিমকে কাজ করতে দেখা গেলেও জনবল ছিল খুবই কম।

কিন্তু সাফল্যের গান ঠিকই গাইছেন ঢাকার মেয়ররা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস গত ১২ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার ওয়ারীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘চলতি বছর বর্ষায় অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যে পানি নিষ্কাশন হবে।’ বংশালে আরেক অনুষ্ঠানে মেয়র তাপস বলেছিলেন, ‘সময়োপযোগী পদক্ষেপের’ কারণে দক্ষিণ সিটির আওতাধীন এলাকার জলাবদ্ধতা ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে সেই বংশালের মানুষ। বংশালে গত বৃহস্পতিবার রাতের বৃষ্টির পানি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায়ও পুরোটা সরেনি। সড়কের একাংশ ছিল পানির নিচে।

নিউমার্কেটে হাঁটুপানি, কেনাবেচা বন্ধ

ছুটির দিন হিসেবে শুক্রবারে রাজধানীর নিউমার্কেটে বিক্রিবাট্টা একটু বেশিই হয়। কারণ, সারা সপ্তাহে যাদের সময় হয় না, তারা শুক্রবার এই মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা সারেন। তবে গতকাল বিকেল ৩টায় নিউমার্কেট এলাকার চিত্র একেবারেই ভিন্ন। পুরো মার্কেট ও আশপাশ জলমগ্ন। অনেক দোকানিকে কাপড়সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বাইরে বের করে শুকানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। অনেকে আবার সেচ দিয়ে দোকান থেকে পানি বের করেন। পানি জমে থাকার কারণে ক্রেতারা নিউমার্কেটের ভেতর ঢুকতে পারছিলেন না।

জলাবদ্ধ ঢাবি ও বুয়েট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কুয়েত মৈত্রী হলে পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় গতকাল বিকেলও নামেনি পানি। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ছিল না বিদ্যুৎ। এর ফলে গোসল ও খাওয়ার পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে হলটিতে।

একই চিত্র দেখা যায় বুয়েটে। রাতের বৃষ্টি ক্যাম্পসের ক্যাফেটোরিয়াসহ বিভিন্ন হল পানিতে ভাসতে থাকে। তিতুমীর হলের নিচতলার প্রতিটি কক্ষ পানিতে ডুবে যায়। শেরেবাংলা হলেও একই চিত্র।

অলিতে গলিতে জলাবদ্ধতা

মার্কেট ছাড়াও রাজধানীর অলিগলি গতকাল বিকেলেও ছিল জলমগ্ন। আজিমপুরে দেখা গেছে গলি, দোকানপাট এবং বাসাবাড়ির নিচতলায়ও বাসিন্দারা পানি সরানোর চেষ্টা করছেন। মেয়র হানিফ উড়াল সড়ক থেকে নামার জায়গা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের অংশের সড়ক দুপুর ১২টা পর্যন্ত পানির নিচে ছিল। এছাড়া ধানমন্ডি ফার্মগেট সহ বিভিন্ন জায়গায় দুপুর ১টায়ও হাঁটুর ওপর পানি জমে ছিল।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জিয়ার ‘গুম-খুন’ ও খালেদার ‘অগ্নি সন্ত্রাসের’ বিচার দাবি

প্রকাশ: ১০:৩৩ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জিয়াউর রহমানের আমলে বিচারবহির্ভূত গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছে এসব ঘটনায় ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার।  

‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় রংপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী জিয়ার গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার অগ্নি সন্ত্রাসের ভুলষ্ঠিত মানবাধিকার শীর্ষক আলোচনা সভা’ হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান, এমপি।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, একুশের পদপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

এছাড়াও ভুক্তভোগীর ছেলে, মেয়ে, মা, বাবা এবং ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।  

প্রসঙ্গত, আলোচনা সভার পূর্বে ‘গণদাবি-৭৭’ এবং ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ নামক দুইটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করে। বক্তারা অন্যায় ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, কিছু দেশ আমাদের মানবতা ও মানবাধিকারের কথা বলে কিন্তু ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল মানবতা? তিনি জিয়াউর রহমানকে খুনি আখ্যায়িত করেন এবং তার সময় গুম, খুন বিনা বিচারে হত্যা শুরু হয় বলে বলেন। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ২১ বার হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমান বাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান। এছাড়া অবৈধ গুম ও খুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এ সরকারকে আহ্বান জানান। গুম, খুন ও অগ্নি সন্ত্রাসকারী দল যাতে আগামীতে আর কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৫৫ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগে ভয় পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশের জনগণও তাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা স্যাংশনের (নিষেধাজ্ঞা) কথা বলছে যে, নির্বাচন বানচাল করলে তারা সেটাকে স্যাংশন দেবে। আমারও কথা হলো এই বানচাল করার চেষ্টা যেন দেশের বাইরে থেকেও না হয়। দেশের বাইরে থেকেও যদি বানচালের চেষ্টা হয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষও স্যাংশন দিয়ে দেবে। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। আমেরিকাও দেখতে থাকুক। কাজেই বাইরে থেকেও যেন নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা না করা হয়। কারণ ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’ এই স্লোগানটি আমারই দেয়া।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি কিন্তু কারো শক্তিতে বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি। আমি ক্ষমতায় এসেছি জনগণের শক্তিতে। জনগণের ভোটে। আমি কাজ করছি জনগণের কল্যাণে। এখানেই আমাদের স্বার্থকতা। কাজেই কে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিলো, আর কে স্যাংশন দিল না, আর তাছাড়া স্যাংশন দিলেও কি আছে ? আমার ছেলে তো এখানেই (যুক্তরাষ্ট্রে) আছে। এখানেই লেখাপড়া, এখানে ব্যাবসা বাণিজ্য করেছে। এখানে বিয়েও করেছে, সন্তানরাও আছে। বাড়িঘর সবই আছে। যদি বাতিল করে তো করবে। তাতে কিছু এসে যায় না। বাংলাদেশ তো আমাদের আছেই। এতে ভয় পাওয়ানোর বা ঘাবড়ানোর কিছু নাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা (যুক্তরাষ্ট্র) এটা বলছে, তাদের নির্বাচন নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন আছে। এখনো তাদের সেই নির্বাচনই কিন্তু কেউ মেনে নেয়নি। এরা তাদের বিরোধীপক্ষের সঙ্গে কি আচরণ করছে? আমরা তো দেখতে পাচ্ছি, এরা নিজেদের বিরোধীপক্ষের সঙ্গে কি করছে ? আমরা কি সেই পর্যন্ত কিছু করেছি? করিনি। আমরা তো আমাদের বিরোধীপক্ষের সঙ্গে সেটা করিনি।

তিনি বলেন, যে খালেদা জিয়া আমাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। এমনকি গ্রেনেড হামলার পরে একটা আলোচনা করতে দেয়নি। একটা নিন্দা প্রস্তাবও আসতে দেয়নি। খুনিদের রাতারাতি দেশ থেকে পার করে দিয়েছিল। তারপরও সেই খালেদা জিয়া কিন্তু দুর্নীতির কারণে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্বেও সরকার প্রধানের নির্বাহী ক্ষমতাবলে আমি সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকতে দিচ্ছি। নিজের মতো চিকিৎসা করাতে পারছে। অথচ, ১৯৮১ সালে আমি যখন বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম, তখন খালেদার স্বামী জিয়াউর রহমান কিন্তু আমাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ঢুকতেও দেয়নি। তারপরে ৭৫ এর হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বহু পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই আমি এখানে এসেছি। কাজেই জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে।

সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি প্রতিরোধ প্রসঙ্গ এলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালের আগে বা পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে কিভাবে দুর্নীতি হয়েছে? সেটা কেন সবাই ভূলে যায়। এখন তো সেইভাবে কোনো দূর্নীতি হচ্ছে না। আর যার বিরুদ্ধেই দূর্নীতির প্রমাণ আসছে তাকে আগেই সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া যদি সেরকম দুর্নীতিই হয়, তাহলে দেশ এতো উন্নত হচ্ছে কিভাবে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিভাবে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০২১ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাই। এটাকে আমরা বাস্তবায়ন করবো ২০২৬ সালে। এখানে কোনো ম্যাজিক বলতে কিছু নেই। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, আন্তরিকতা, কর্মনিষ্ঠা, জনগণের প্রতি ভালো, দায়িত্ববোধ এবং দেশপ্রেম হচ্ছে একমাত্র শক্তি। আমি মনে করি সেই শক্তি দিয়েই আমরা এটা করতে পেরেছি।


নির্বাচন   নিষেধাজ্ঞা   প্রধানমন্ত্রী   যুক্তরাষ্ট্র   ভিসানীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে পুরো ঋণ পরিশোধ করল শ্রীলঙ্কা

প্রকাশ: ০৯:১৬ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের পুরোটাই পরিশোধ করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা শেষ কিস্তির ৫০ মিলিয়ন ডলার ও ঋণের সুদ বাবদ ৪.৫ মিলিয়ন ডলার বৃহস্পতিবার রাতে পরিশোধ করেছে। আমরা শুক্রবার সকালে বিষয়টি জেনেছি।

শ্রীলঙ্কা এই ঋণ পরিশোধের ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২১.৪৫ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত দেয় শ্রীলঙ্কা। তার আগে ১৭ আগস্ট প্রথম কিস্তিতে ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল দেশটি।

মুদ্রা বিনিময় চুক্তির সময় শ্রীলঙ্কাকে তিন মাসের মধ্যে লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট + ২ শতাংশ সুদ হারসহ ঋণ পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু নানান সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে তা পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি।

বাংলাদেশ ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কাকে তিন কিস্তিতে এই ঋণ দিয়েছিল। ওই বছরের ১৯ আগস্ট প্রথম কিস্তিতে ৫০ মিলিয়ন ডলার, এর ১১ দিন পর দ্বিতীয় কিস্তিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং সেপ্টেম্বরে আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল। এটি ছিল কোনো দেশকে দেওয়া বাংলাদেশের প্রথম ঋণ।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যারা স্যাংশন দিয়েছে তাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:৫৫ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

যারা স্যাংশন দিয়েছে তাদের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে ভালো হয়েছে। আজকের স্যাংশন ঘোষণায় অপজিশনসহ বলা হয়েছে। আমি বলবো এটা একটা ভালো দিক। কারণ বিএনপি জামায়াত ২০১৩ সালের নির্বাচনে সন্ত্রাস করেছিল। পুলিশ মেরেছিল, ৫০০ ভোটকেন্দ্র পুড়িয়েছিল। ৩ হাজার ৮২৫টি যানবাহন পুড়িয়েছিল। আগুন দিয়ে ২৯টা রেল ও লঞ্চ পুড়িয়েছিল। নির্বাচন ঠেকানোর নামে তারা এসব করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যারা স্যাংশন দেবে তারাও দেখবে বিএনপি পুলিশকে মেরেছিল। তারা যদি আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে থাকে তাহলে কিছু বলার নেই। আমি কারোর শক্তিতে বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি। ক্ষমতায় এসেছি জনগণের শক্তিতে, ক্ষমতায় এসে জনগণের কল্যাণে কাজ করছি। এটাই হলো আমাদের স্বার্থকতা কাজেই স্যাংশন কে দিলো কে না দিলো, তাতে কিছু যায় আসে না। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকারের বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন; আর সেই সচেতনতা সৃষ্টি করেছি আমরা। আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বহু নেতাকর্মীর রক্তের মধ্য দিয়ে আমরা কিন্তু এই নির্বাচনী প্রক্রিয়াটাকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ে এসেছি।’

তিনি বলেন, দেশে আত্মীয়-স্বজন থাকলে যে কী করবে! আমার ছেলেও এখানে আছে। সেতো এখানে পড়াশোনা করছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, বিয়ে করেছে তার মেয়ে আছে, সম্পত্তি আছে, বাড়ি-ঘর আছে। যদি বাতিল করে, করবে। তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের বাংলাদেশতো আছেই। ভয় পাওয়ার বা ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কিন্তু যারা এটা বলছে তাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আছে। সেই নির্বাচনও কেউ মেনে নেয়নি। তাদের অপজিশনের সঙ্গে করা হচ্ছে, আমরা তাও করছি না।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন