নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁও থেকে মো. সেন্টু
মিয়া (৩২) নামের এক
চিহ্নিত পরিবহন ডাকাত ও চাঁদাবাজকে আটক
করেছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। আটককৃত
মো. সেন্টু মিয়া সোনারগাঁয়ের সোনাখালি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার
(৩ জুন) রাতে উপজেলার
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরের নয়াবাড়ী এলাকা থেকে উত্তরবঙ্গে চলাচলকারী
একটি পরিবহন বাস থেকে ভয়ভীতি
দেখিয়ে জোরপূর্বক ক্যাশ লুটকালে তাকে আটক করা
হয়। এসময় তার নিকট
থেকে লুটকরা ৫ হাজার ৫০০
টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি (টিআই) মো.
ইব্রাহিম জানান, সেন্টু দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কে চাঁদাবাজি করে আসছিল। উত্তরবঙ্গের
যানবাহনগুলো থেকে ক্যাশবাক্স লুট
করা তার প্রধান টার্গেট
ছিল। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের
বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা
রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ
কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন কমিশন
মন্তব্য করুন
ঢাকা সফর মার্কিন দূত রেনা বিটার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ভিসা নিষেধাজ্ঞা
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনা শেখ হাসিনার ট্রাম্পকার্ড
মন্তব্য করুন
ভিসা নিষেধাজ্ঞা ব্যবসায়িক আমলা পুলিশ নির্বাচন ভিসা নীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন করার কথা ভাবছে। কিন্তু এর আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের কতিপয় ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ শুরু করেছে। তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি চায়? নির্বাচনের যখন তফসিলই ঘোষণা করা হয়নি তার আগেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কেন? এই প্রশ্নটি কূটনীতিক অঙ্গনে এখন বড় করে আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাহলে কি বাংলাদেশে অন্য কোনো পরিস্থিতি তৈরি করার জন্যই এরকম ভিসা নীতি প্রয়োগ করছে? এ ব্যাপারে অবশ্য কূটনৈতিকদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, বিরোধী দলের নেতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসন ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যখন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেখার পর তাৎক্ষণিকভাবে তিনি যে প্রতিক্রিয়া দেন তা ছিল সাহসী এবং দীপ্ত। তিনি এই ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা দেননি। বরং নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তাই দিয়েছেন। ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে তিনি অভয় দিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিকের ওপর যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ভালোমতোই প্রভাব ফেলেছে। তবে রাজনীতিবিদরা ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আতঙ্কিত নয়। ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে আলোড়িত রাজনৈতিক দল অবশ্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরই এই ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা। তবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের মধ্যে খুব কমই ভিসা নীতিতে প্রভাবিত হবেন এবং ভিসা নীতি নিয়ে তাদের কোনো রকম গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যা হবে—এটি তারা মনে করছেন না। বরং এরকম ভিসা নিষেধাজ্ঞা পেলে রাজনীতির মাঠে তাদের জনপ্রিয়তা প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়বে এবং ক্ষমতাসীন দলে তারা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।