বয়সে নবীন রাষ্ট্রনীতি ঠিক বুঝি না, তার উপরে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে অহেতুক অর্বাচীনদের মত আলোকপাত করার চেষ্টা করছি শুধুমাত্র একটা দর্শন মেনে ছাত্ররাজনীতির মানুষ হিসাবে এই পর্যন্ত যতটুকু আয়ত্ত করেছি সেখান থেকেই চীনে গণতন্ত্র নাই, সৌদিতে গণতন্ত্র নাই, কোরিয়ায় গণতন্ত্র নাই তাদের উপরে লুটতরাজ মোড়লদের কোন ছবক কিন্তু নাই। রাজতন্ত্র একনায়কতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষার জন্য যারা গণতন্ত্র নামক শাসন ব্যবস্থার ছবক দিচ্ছে তাদের শাসন ব্যবস্থা সারাপৃথিবীর প্রত্যেক দেশে কার্যকর করতে না পারে তাহলে সেটা সোভিয়ত ইউনিয়নের সমাজতন্ত্রের মত দিকভ্রান্ত হবে, সেটা তারা বুঝতে পেরে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক অপকৌশল নিয়ে মাত্তবারি করছে।
সামাজিকয়নের এই যুগে মানুষ পৃথিবী নামক গ্রহ ছেড়ে মঙ্গল কিংবা চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামীর প্রজন্ম। উন্নত দেশের তকমা পাওয়া নাগিরকরা সেভাবেই জীবনযাপন করছে। সেখানে মোড়লগিরি থাকবে না একক কারো হাতে। মোড়লগিরির ঠিকানা পরিবর্তন হবে সংকটে জলযুদ্ধের মালিকানা নিয়ে।
তৃণমূল থেকে সমস্ত জাতির কূল যারা নিয়ন্ত্রণ করে সেই জাতিসংঘের অবস্থাও হয়ছে আমাদের প্রেসক্রিপশনে তৈরি নেতাদের মত কিংবা হালের ভিউ লাইক কমেন্ট শেয়ার খোড় সুপারস্টারদের মত।
সততা সত্যর বালাই নাই, সৎ সাহস নিয়ে কোন সময় অন্ত্রব্যবসার প্রতিবাদ টুকু করতে পারলো না, মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকার কোথাও শান্তি ফেরাতে পারলো না, তাদের কাজ হচ্ছে মানুষের জন্য, বড় বড় পদক বিসুময় চুক্তি করে যাদেরকে এজেন্ট তৈরি করছে তারাও নির্দিষ্ট কোন দেশে অশান্তি ছাড়া শান্তি এনে দিতে পেরেছে এমন নজির কিংবা দৃষ্টান্ত পৃথিবীর বুকে নাই।
তাদের নিয়ন্ত্রিত তাবেদারি গোষ্টি বিভিন্ন সংস্থা এবং পরিক্ষিত এজেন্টরা কিছু পারুক না পারুক উচ্চসুদে বিনিয়োগ করে বহু রাষ্টকে সর্বশান্ত করে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করেছে। এই মিশন যখন ব্যর্থ হয়েছে তখন সেখানে মৌলবাদীদের দ্বারা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে সবকিছু নিজেদের অনূকূলে নিয়ে সম্রাজ্যবাদের ব্রিটিশদের মত আয়তনে কিংবা সম্পদে ছোট ছোট দেশগুলাকে তাদের কবজায় রেখে সম্পদ লুট করাই তাদের মূল এজেন্ডা। সেটা বাস্তবায়নে তারা উন্নত, উন্নয়নশীল, অন্নুনত ধারণা নির্ধারন করে।
বহুকাল ধরে যাদের সূর্য মধ্যগগনে ছিলো তাদের সূর্য ও পশ্চিমে হেলে পড়েছে। আপনাদের সূর্যও যে ডুববে না পৃথিবী নামক গ্রহে এই নিশ্চয়তা কোন পলিসি মেকাররা সেই নিশ্চয়তা আগেও দিতে পারে নাই, ভবিষ্যতেও পারবে না। সময়ের বির্বতনে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয় মোঘল ব্রিটিশ জমিদার, নীলচাষীদের হপ্তা নেওয়া শোষক শাসকদের নিপীড়িণ থেকে আজকে গণতন্ত্রের খামখেয়ালিপনা, উপমহাদেশের আবেগী মানুষদের উত্তরসূরি হিসাবে আমরা পড়েছি দেখছি, শুনছি বহু কিচ্ছা কাহিনি রেহাই পেয়েছি কি অত্যাচারী কেউ প্রকৃতির নিয়মে সবই এখন ঢেউ।
ব দ্বীপের যে অংশটি আপনারা শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছেন সেটা আজ একটি স্বাধীন স্বার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসাবে পরিপূর্ণ বয়সে বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে মাথা উচুঁ করে বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকা উড়াচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা শত্রু ছিলো এখনও তারা সজাগ দৃষ্টিতে শত্রুতা করছে। আমাদের সমাজের পাড়ার মোড়ের মাস্তান কিংবা গলির টোকাইয়ের মত বংশীয় অত্যাচারকারী হিসাবে আপনারাও মোড়ল সেজে সম্পদ লুট করবেন। আর প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নের জন্য মাধ্যম আয়ের দেশ গুলো ব্যবহার করবেন এটাও রুখে দাড়িয়ে প্রতিবাদের সময় এসেছে।
কেউ মুখ ফসকে ভাসুরের নাম মুখে নিতে না পারলেও শেখের বেটির কলিজা আছে। তাই কোন রাখঢাক না রেখেই সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করে অন্ধকারে সিন্ধুতীরে হেঁটে চলা ঐ মেয়েটি।
জয় হোক সত্যর, জয় হোক শেখ হাসিনার।