ইনসাইড বাংলাদেশ

গণতন্ত্র যখন কারাগারে নির্বাসিত


Thumbnail

সেদিন আকাশে ভোরের আলো ভেঙ্গে উঠেনি সূর্য। রক্তাক্ত আলোকজ্জ্বল সূর্যটা পূর্ব দিগন্তে ভেসে ওঠতে লজ্জা পেয়েছিল। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য কালো অধ্যায়ের রচয়িতা এক-এগারোর তৎকালীন সরকার গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে কারাবন্ধী করেছিল। সেদিন লজ্জা পেয়েছিল গ্রহ, তারা, আকাশ, বাতাস, তরুলতা, বৃক্ষরা- নিরবে, নিভৃতে কেঁদেছিল ভোরের প্রহর। আজ ১৬ জুলাই - গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস। ২০০৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০০৮’র ১১ জুন দেশের ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে তৎকালীন এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

সেদিন ভোরে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দুই সহস্রাধিক সদস্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদন ঘেরাও করে। এ অবস্থায় শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ আদায় করেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং তাকে বন্দি অবস্থায় ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে।

তবে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২ ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জামিন আইনবহির্ভূতভাবে নামঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়ার পর পরই শেখ হাসিনাকে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের আগে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়। ওইসব মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়। ওই বিশেষ কারাগারের পাশেই সংসদ ভবন চত্বরে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে তাঁর বিচার প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়ার প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বর্ষীয়ান রাজনীতিক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে যান। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার মুক্তি এবং নির্বাচনের দাবিতে সংগঠিত হতে থাকে। সরকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সংগঠিত, প্রতিবাদ ও ধীরে ধীরে আন্দোলন গড়ে তোলে। দলের সভাপতির অনুপস্থিতি ও প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমান নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখেন এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান।

এই কারাবন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজেও বার বার দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তার আইনজীবী ও চিকিৎসকরা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের মাধ্যমে তিনি দলকে এ ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে নেতাদের কাছে বার্তা পাঠান। অনেক ক্ষেত্রে বন্দী সভাপতি শেখ হাসিনার পরামর্শ নিয়েই দল পরিচালনা ও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ সময় কারা অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেখ হাসিনা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারাগারের মধ্যেই তার চোখ, কানসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা চলতে থাকে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি অবস্থার মধ্যে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি ওঠে। এক পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে ২০০৮ সালের ১১ জুন ৮ সপ্তাহের জামিনে মুক্তি দেয়া হয় কারাবন্দি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সাহসিকা বঙ্গবন্ধু কন্যা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের অগ্নিঝরা বক্তৃতার মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের হীন-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। গ্রেপ্তারের আগ মুহূর্তে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে একটি চিঠির মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা জেগে ওঠে। শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জমা দেয়। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু কন্যার আপোষসহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।

বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হারানো স্বপ্ন ও সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে। এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিতার ন্যায় আপোষহীন মনোভাব নিয়েই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যাত্রা শুরু হয়। জনগণের মুক্তির আন্দোলনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক জেল-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন।

অসংখ্যবার মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। তবে জনগণের অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে অকুতোভয় নির্ভীক সেনানীর মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে পথ চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সব বাধা-বিপত্তি জয় করে আজ শুধু বাংলাদেশেই নয়; বিশ্ব দরবারেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল জনগণের প্রাণপ্রিয় এ নেত্রী।

শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের। আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দিনটি ‘শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। এ বছরও দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনসমূহ পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

কারাবন্দি দিবসে যার যার অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশবাসীকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল বাঙালির হৃদয়ে দেশপ্রেমের বহ্নিশিখা প্রজ্বলিত করে সংকট জয়ের ঐক্যবদ্ধ সুরক্ষাব্যুহ সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৩০০ আসনের বিপরীতে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ৩০০টি আসনে সর্বমোট ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে ৭৪৭টি। এ ছাড়া ৩২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১ হাজার ৯৬৬টি।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য জানান।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মোট মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে ৩০৩টি। পাঁচটি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে। অপরদিকে জাতীয় সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ২৮৬টি আসনে ৩০৪টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। ১৮টি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে।

অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) ২১৮টি, তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি ১৪২টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (মশাল) ৯১টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি) ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফোরাম-বিএনএফ (টেলিভিশন) ৫৫টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৪৯টি, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন-বিটিএফ (ফুলের মালা) ৪৭টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ৩৯টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট (মোমবাতি) ৩৭টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) ৩৪টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) ৩৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।

এ ছাড়াও গণফ্রন্ট (মাছ) ২৫টি, জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল) ২০টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) ১৮টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) ১৩টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ১৩টি, গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) ১২টি গণফোরাম উদীয়মান (সূর্য) ৯টি, সাম্যবাদী দল (চাকা) ছয়টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ম্যাপ (কুঁড়েঘর) ছয়টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাত [পাঞ্জা]) পাঁচটি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) দুটি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (খেজুর গাছ) একটি, খিলাফত মজলিস (রিকশা) একটি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল একটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।

এদিকে বিএনপিসহ (ধানের শীষ) নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন (হাতপাখা), সিপিবি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল), খিলাফত মজলিস (দেয়াল ঘড়ি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (সিংহ), ইনসানীয়ত বিপ্লব বাংলাদেশ (আপেল), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (মোটরগাড়ি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুর গাড়ি) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্মি পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী) নির্বাচনের অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন   স্বতন্ত্র প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বতন্ত্র বিপ্লব হবে এবার নির্বাচনে

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এবারের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গতকাল। সর্বশেষ হিসেবে দেখা যায় যে, ২৭৪১ জন এবার নির্বাচনে তিনশ আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৯৮ জন। আর অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম এবং বিএসপির প্রার্থী সব মিলিয়ে ৩১০ জন। জাতীয় পার্টি জমা দিয়েছে ২৭০ জনের মতো। আর বাকি সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের-ই প্রায় ৪৫০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এবার নির্বাচনে একটি স্বতন্ত্র বিপ্লব হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভোট বিশ্লেষকরা। কারণ প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে আওয়ামী লীগের বিকল্প প্রার্থী আছে এবং তারা নির্বাচনে শক্ত লড়াই করবেন সেটি নিশ্চিত। 

বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এত সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী কখনও নির্বাচন করেনি। এর ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র বিপ্লব হতে যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তিনশ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ যে ২৯৮ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তার সবগুলোতেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। যারা এলাকায় পরিচিত, জনপ্রিয় এবং দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, প্রচারণা অব্যাহত রেখেছিলেন। যে ৪৫০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য আছেন ৬৩ জন। ফলে এই সংসদ সদস্যরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এলাকায় আলাদা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন। তাদের একটি আলাদা অবস্থান হবে। অন্যদিকে যারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ছিলেন তারাও এবারের নির্বাচনের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। 

বিভিন্ন হিসাব করে দেখা গেছে যে, একশটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধরনের হুমকি হতে পারে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপর্যয় ঘটতে পারে। আরও অন্তত ৩০ টি আসন চিহ্নিত করা গেছে যে সমস্ত আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে মত বিরোধের কারণে তৃতীয় পক্ষ লাভবান হতে পারে। আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াইয়ের ফলে ভোট কাটা যাবে আওয়ামী লীগের। তখন অন্য কোন দলের প্রার্থী বা অন্য কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হতে পারে। ফলে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে আওয়ামী লীগের ইতোমধ্যেই ১৩০ টি আসন ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর এ কারণেই এবারের নির্বাচন শেষ পর্যন্ত উৎসবমুখর আনন্দমুখর পরিবেশে এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই এবার নির্বাচনে ভোট আনার ক্ষেত্রে প্রধান বাহনে পরিণত হবে। তারাই যেন অধিক সংখ্যক ভোটার ভোট কেন্দ্রে আসে সেজন্য চেষ্টা করবে। তবে শঙ্কা অন্য জায়গায়, তা হল আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের এই লড়াইয়ে যদি কোন এক পক্ষ নির্বাচনে কারচুপি করতে চায় বা প্রভাবিত করতে চয়, প্রশাসন মদদ দেয়, সেক্ষেত্রে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ উভয়পক্ষই প্রভাবশালী এবং উভয় পক্ষই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শনিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গ্যাসের পাইপলাইন প্রতিস্থাপন কাজের জন্য শনিবার (২ ডিসেম্বর) কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মোট ৬ ঘণ্টা টঙ্গী, ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের পশ্চিম পার্শ্ব আব্দুল্লাহপুর থেকে বোর্ড-বাজার পর্যন্ত সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া আশেপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে।

গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।  

গ্যাস   তিতাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একাদশে সংসদ নির্বাচনে নাহিদকে ছাড় দিয়েছিলেন শমসের, এবার নাহিদের পালা

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সিলেট-৬ আসন থেকে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তৃণমূল বিএনপি নেতা শমসের মবিন চৌধুরীও এখানে প্রার্থী হয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারার প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী মহাজোটের প্রার্থী নাহিদকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। ফলে এবার নুরুল ইসলাম ছাড় দেবেন কি না, এ প্রশ্ন এখন অনেক ভোটারের মুখে মুখে ঘুরছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেও নাহিদ মন্ত্রী হতে পারেননি। এ ছাড়া গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকেও বাদ পড়েছেন সাবেক এই শিক্ষামন্ত্রী। এরপর স্থানীয়ভাবে দলে তাঁর দাপট অনেকটাই কমে গেছে। স্থানীয়ভাবেও অনেক নেতা-কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে এককাট্টা রয়েছেন। এ কারণেই এবার নাহিদের আসনে ১১ নেতা দলীয় মনোনয়ন চান। তবে দল শেষ পর্যন্ত নাহিদের ওপরই আস্থা রেখেছে।

বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের ভোটের রাজনীতি নিয়ে পাঁচজন ভোটারের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছে। ওই নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে বিকল্পধারার প্রার্থী ছিলেন সমশের মবিন চৌধুরী। তবে সেবার তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলামকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এখন ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী এ আসনে নির্বাচন করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দেওয়ার পর গতবার তার ‘ছাড়ের’ বিষয়টি নতুনভাবে আলোচিত হচ্ছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতীয় নির্বাচনে কোন দলের কতজন প্রার্থী

প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ হয়েছে গতকাল। এদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যেখানে মোট ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রয়েছেন। 

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন ২৯৮, জাপার ২৮৬, তৃণমূল বিএনপি ১৫১, জাসদ ৯১, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩৪, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫, জাকের পার্টি ২১৮, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১৪২, কংগ্রেস ১১৬ ও ৩শ আসনে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জন।

মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগামী ১৭ পর্যন্ত সময় থাকবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। এরপর প্রার্থীরা নিজেদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন