ইনসাইড বাংলাদেশ

ছোট আপার জন্মদিন আজ

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail শেখ রেহানার ৬৯তম জন্মদিন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ৬৯তম জন্মদিন আজ  বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর)। তিনি ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে ‘ছোট আপা’ হিসেবেই তিনি পরিচিত। শেখ রেহানা যিনি ‘ছোটো আপা’ নামে পরিচিত,  পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে তিনি একটি সাধারণ জীবনধারা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। তিনি  প্রফেসর ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিককে বিয়ে করেন এবং তাদের তিন সন্তান রয়েছে, তাদের মধ্যে এক ছেলে ও দুই মেয়ে।

তাদের ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত এবং আওয়ামী লীগের গবেষণা শাখা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর ট্রাস্টি, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার পার্টির এমপি এবং কনিষ্ঠ মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তি লন্ডন-ভিত্তিক কন্ট্রোল রিস্কস-এর গ্লোবাল রিস্কস অ্যানালিসিস এডিটর হিসেবে কাজ করছেন।

বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালের ৩০ মে থেকে ১৯৫৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন। পুনরায় তিনি কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন ১৯৫৮ সালের ১২ অক্টোবর। অর্থাৎ শেখ রেহানার জন্ম থেকে বেশ কয়েক বছর বঙ্গবন্ধুর মুক্ত জীবনে বিচরণের সুযোগ ঘটেছিল। বড় মেয়ের মতোই ছোট মেয়ের প্রতি ছিল তার স্নেহ ও মমত্ববোধ। তার প্রকাশ রয়েছে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’য়। যেমন:একটি অংশ—‘ছোট মেয়েটার (শেখ রেহানা) শুধু একটা আবদার। সে আমার কাছে থাকবে। আর কেমন করে কোথায় থাকি তা দেখবে। সে বলে, থেকে যেতে রাজি আছি।’ (সূত্র: ১৫ জুন ১৯৬৬, বুধবার, কারাগারের রোজনামচা) 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে  দুই কন্যা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারকে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য নির্মমভাবে হত্যা করে। সে সময় শেখ রেহানা তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনিও পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জিম্মায় ধানমন্ডিতে গৃহবন্দি ছিলেন।

১৯৭৫ সালের শোকাবহ কালোদিবসে সূর্য ওঠার আগে খুব ভোরে সেনাবাহিনীর বিপদগামী সদস্যরা ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় সে সময় প্রাণে বেঁচে যান। বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে সে সময় জার্মানীতে ছিলেন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনার স্বামী এম ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল ছিল জার্মানির কার্লসরুইয়ে। সেখান থেকে পরে ভারতে চলে যান দুই বোন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ব্রিটিশ সরকার তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেন। সেই সময় থেকেই জাতির পিতার ছোট কন্যা শেখ রেহানা লন্ডনে অবস্থান করছেন। লন্ডন প্রবাসী হলেও শেখ রেহানা বছরের একটি বড় সময় দেশেই কাটান।

শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও সক্রিয় রাজনীতির সামনের সারিতে আসেননি শেখ রেহানা। তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম এবং আওয়ামী লীগের প্রতিটি সংকটে বড় বোন শেখ হাসিনার পাশে থেকে সহযোগিতা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবিতে বিদেশে জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন শেখ রেহানা।

২০০৭-০৮ সালে ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থা চলাকালে শেখ হাসিনা কারাবন্দি হয়েছিলেন। সে সময়ও শেখ রেহানা তাঁর বোনের মুক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পর্দার আড়ালে থেকে দলের ঐক্য বজায় রাখতে লন্ডন থেকেই তিনি ব্যাপক তৎপরতা চালান। ওই দুঃসময়ে দলের নেতাকর্মীদের সাহস জোগান তিনি।

শেখ রেহানা ১৯৭৯ সালে তার ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য প্রথম বিশ্বব্যাপী আহ্বান জানান। তিনি ১৯৭৯ সালে সুইডেনের স্টকহোমে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু এবং ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে নিহত জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে প্রথম বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আহ্বান উত্থাপন করেন।

তিনি স্টকহোমে ১৯৭৯ সালের ১০ মে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রধান, জাতিসংঘ প্রধান এবং আন্তর্জাতিক এনজিও’র উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে একটি ‘সর্ব-ইউরোপীয় বাকশাল’ সম্মেলনে বক্তৃতার মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়ের দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সে সময় শেখ হাসিনা দিল্লিতে ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন সামরিক সমর্থিত বাংলাদেশ সরকারের ওপর বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টির জন্য আওয়াজ তুলতে ইউরোপে থাকা তার ছোট বোনকে সেখানে পাঠিয়েছিলেন। সেই আবেগঘন বক্তৃতার মধ্য দিয়ে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের ওপর বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টির জন্য তার কণ্ঠস্বর উত্থাপিত হওয়ায়, সেই ঘটনা ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে।


শেখ মুজিবুর রহমান   বঙ্গমাতা   শেখ ফজিলাতুন নেছা   শেখ রেহানা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন কমিশন কেন বিতর্কিত হচ্ছে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এবারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা। নির্বাচন কমিশনও বারবার বলছিল যে, তারা স্বাধীন নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করবে। কোনো ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবে না। এমনকি নির্বাচন কমিশন এটিও বলেছিল যে, তারা ২০১৮ এর মতো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে তাদের কঠোর অবস্থান প্রশংসিত হয়েছে। আর এ কারণেই বিএনপির আপত্তি সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্র এবং সংস্থা আস্থা রাখতে চাচ্ছিল। তারা মনে করেছিল যে, নির্বাচন কমিশনকে সময় দিতে হবে। তাদের যে ক্ষমতা আছে তা প্রয়োগ তারা করতে পারেন কিনা তা দেখতে হবে। 

আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হিসেবেই তারা রায় দিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন কমিশনের যে কর্মকাণ্ডগুলো তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো নির্বাচন কমিশন শেষ পর্যন্ত কতটুকু নির্মোহ এবং নিরপেক্ষ থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। কারণ নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা দরকার, সেই ভূমিকা তারা এখন পর্যন্ত রাখতে পারছেন না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। যেমন নির্বাচন যে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে সেই মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় ৯০ ভাগ প্রার্থী আচরণবিধি মানেননি। অথচ নির্বাচন কমিশন মাত্র কয়েক হাতে গোনা কয়েকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। এই সমস্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই এবং এবার এমন একটি নির্বাচন ঘটছে যে নির্বাচনে আর যাই হোক আওয়ামী লীগের পরাজয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। কাজেই নির্বাচন কমিশনের সামনে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল যেকোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার। কিন্তু সেই সুযোগ কমিশন কাজে লাগাতে পারছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। 

নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এখন কোন প্রার্থীর প্রচার না করার কথা নয়। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা নানা রকম প্রচারণা করছে, শোডাউন করছে। অনেক স্থানেই দেখা যাচ্ছে রঙিন পোস্টারে ছেয়ে গেছে। এই সমস্ত ঘটনাগুলো সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনে আচরণবিধির লঙ্ঘন। অথচ এই জায়গায় নির্বাচন কমিশন কেন সিদ্ধান্ত গ্রহণে কুণ্ঠিত, কেন কমিশন বলিষ্ঠ হতে পারছে না, সেই প্রশ্নটি বিভিন্ন মহলে উঠেছে। 

বিএনপি সহ কয়েকটি বিরোধী দল শুরু থেকেই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। তারা বলছিল যে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতপূর্ণ এবং ক্ষমতাসীন দলের আজ্ঞাবহ। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সব সময় বলছিল যে তারা কারও আজ্ঞাবহ নয়। বরং স্বাধীনভাবে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চায়। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেওয়া পর্যন্ত সময়ে নির্বাচন কমিশন সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর এর ফলে পশ্চিমা দেশগুলো এখন আগামী নির্বাচনে কমিশন কতটুকু বলিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে। আর নির্বাচন কমিশন যদি একবার বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়, নির্বাচন কমিশন নিয়ে যদি একবার আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের আস্থা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা সঙ্কটে পড়বে। কারণ নির্বাচন কমিশনের একটি শক্ত দৃশ্যমান এবং শক্তিশালী অবস্থান আন্তর্জাতিক মহল দেখতে চায়। সেরকম একটি অবস্থান যদি কমিশন তৈরি করতে না পারে তাহলে কমিশনই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


নির্বাচন কমিশন   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৩০০ আসনের বিপরীতে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ৩০০টি আসনে সর্বমোট ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে ৭৪৭টি। এ ছাড়া ৩২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১ হাজার ৯৬৬টি।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য জানান।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মোট মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে ৩০৩টি। পাঁচটি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে। অপরদিকে জাতীয় সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ২৮৬টি আসনে ৩০৪টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। ১৮টি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে।

অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) ২১৮টি, তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি ১৪২টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (মশাল) ৯১টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি) ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফোরাম-বিএনএফ (টেলিভিশন) ৫৫টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৪৯টি, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন-বিটিএফ (ফুলের মালা) ৪৭টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ৩৯টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট (মোমবাতি) ৩৭টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) ৩৪টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) ৩৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।

এ ছাড়াও গণফ্রন্ট (মাছ) ২৫টি, জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল) ২০টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) ১৮টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) ১৩টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ১৩টি, গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) ১২টি গণফোরাম উদীয়মান (সূর্য) ৯টি, সাম্যবাদী দল (চাকা) ছয়টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ম্যাপ (কুঁড়েঘর) ছয়টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাত [পাঞ্জা]) পাঁচটি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) দুটি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (খেজুর গাছ) একটি, খিলাফত মজলিস (রিকশা) একটি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল একটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।

এদিকে বিএনপিসহ (ধানের শীষ) নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন (হাতপাখা), সিপিবি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল), খিলাফত মজলিস (দেয়াল ঘড়ি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (সিংহ), ইনসানীয়ত বিপ্লব বাংলাদেশ (আপেল), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (মোটরগাড়ি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুর গাড়ি) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্মি পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী) নির্বাচনের অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন   স্বতন্ত্র প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বতন্ত্র বিপ্লব হবে এবার নির্বাচনে

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এবারের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গতকাল। সর্বশেষ হিসেবে দেখা যায় যে, ২৭৪১ জন এবার নির্বাচনে তিনশ আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৯৮ জন। আর অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম এবং বিএসপির প্রার্থী সব মিলিয়ে ৩১০ জন। জাতীয় পার্টি জমা দিয়েছে ২৭০ জনের মতো। আর বাকি সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের-ই প্রায় ৪৫০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এবার নির্বাচনে একটি স্বতন্ত্র বিপ্লব হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভোট বিশ্লেষকরা। কারণ প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে আওয়ামী লীগের বিকল্প প্রার্থী আছে এবং তারা নির্বাচনে শক্ত লড়াই করবেন সেটি নিশ্চিত। 

বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এত সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী কখনও নির্বাচন করেনি। এর ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র বিপ্লব হতে যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তিনশ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ যে ২৯৮ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তার সবগুলোতেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। যারা এলাকায় পরিচিত, জনপ্রিয় এবং দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, প্রচারণা অব্যাহত রেখেছিলেন। যে ৪৫০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য আছেন ৬৩ জন। ফলে এই সংসদ সদস্যরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এলাকায় আলাদা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন। তাদের একটি আলাদা অবস্থান হবে। অন্যদিকে যারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ছিলেন তারাও এবারের নির্বাচনের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। 

বিভিন্ন হিসাব করে দেখা গেছে যে, একশটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধরনের হুমকি হতে পারে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপর্যয় ঘটতে পারে। আরও অন্তত ৩০ টি আসন চিহ্নিত করা গেছে যে সমস্ত আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে মত বিরোধের কারণে তৃতীয় পক্ষ লাভবান হতে পারে। আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াইয়ের ফলে ভোট কাটা যাবে আওয়ামী লীগের। তখন অন্য কোন দলের প্রার্থী বা অন্য কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হতে পারে। ফলে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে আওয়ামী লীগের ইতোমধ্যেই ১৩০ টি আসন ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর এ কারণেই এবারের নির্বাচন শেষ পর্যন্ত উৎসবমুখর আনন্দমুখর পরিবেশে এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই এবার নির্বাচনে ভোট আনার ক্ষেত্রে প্রধান বাহনে পরিণত হবে। তারাই যেন অধিক সংখ্যক ভোটার ভোট কেন্দ্রে আসে সেজন্য চেষ্টা করবে। তবে শঙ্কা অন্য জায়গায়, তা হল আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের এই লড়াইয়ে যদি কোন এক পক্ষ নির্বাচনে কারচুপি করতে চায় বা প্রভাবিত করতে চয়, প্রশাসন মদদ দেয়, সেক্ষেত্রে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ উভয়পক্ষই প্রভাবশালী এবং উভয় পক্ষই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শনিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গ্যাসের পাইপলাইন প্রতিস্থাপন কাজের জন্য শনিবার (২ ডিসেম্বর) কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মোট ৬ ঘণ্টা টঙ্গী, ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের পশ্চিম পার্শ্ব আব্দুল্লাহপুর থেকে বোর্ড-বাজার পর্যন্ত সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া আশেপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে।

গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।  

গ্যাস   তিতাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একাদশে সংসদ নির্বাচনে নাহিদকে ছাড় দিয়েছিলেন শমসের, এবার নাহিদের পালা

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সিলেট-৬ আসন থেকে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তৃণমূল বিএনপি নেতা শমসের মবিন চৌধুরীও এখানে প্রার্থী হয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারার প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী মহাজোটের প্রার্থী নাহিদকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। ফলে এবার নুরুল ইসলাম ছাড় দেবেন কি না, এ প্রশ্ন এখন অনেক ভোটারের মুখে মুখে ঘুরছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেও নাহিদ মন্ত্রী হতে পারেননি। এ ছাড়া গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকেও বাদ পড়েছেন সাবেক এই শিক্ষামন্ত্রী। এরপর স্থানীয়ভাবে দলে তাঁর দাপট অনেকটাই কমে গেছে। স্থানীয়ভাবেও অনেক নেতা-কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে এককাট্টা রয়েছেন। এ কারণেই এবার নাহিদের আসনে ১১ নেতা দলীয় মনোনয়ন চান। তবে দল শেষ পর্যন্ত নাহিদের ওপরই আস্থা রেখেছে।

বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের ভোটের রাজনীতি নিয়ে পাঁচজন ভোটারের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছে। ওই নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে বিকল্পধারার প্রার্থী ছিলেন সমশের মবিন চৌধুরী। তবে সেবার তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলামকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এখন ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী এ আসনে নির্বাচন করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দেওয়ার পর গতবার তার ‘ছাড়ের’ বিষয়টি নতুনভাবে আলোচিত হচ্ছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন