ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪ জন নিহত, আহত ৫

প্রকাশ: ০৮:১০ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মিরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের তিন জনসহ চার জন নিহত হয়েছেন। প্রবল বৃষ্টিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তখন বজ্রপাত হলে পানিতে পরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পাঁচ জন গুরুতর আহত হন।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মিরপুর মডেল থানার সিরাজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা হাজী রোড ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশে রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠালে চার জন মারা যান।

নিহতরা হলেন- মো. মিজান (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫), মেয়ে লিমা (০৭) এবং তাদের উদ্ধার করতে যাওয়া মোহাম্মদ অনিক (২০)। মিজানের আরেক ছেলে আহত হোসাইনকে (০৭ মাস) প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এরপর শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ এলাকার রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের এক ডিউটি অফিসার বলেন, আজ রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে খবর আসে ঢাকা কমার্স কলেজ এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চার জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে জানান, সরকারি শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে আমাদের ফোন করে জানানো হয় এ চার জন মারা গেছেন।

গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। এ বৃষ্টিপাত কোনো কোনো এলাকায় রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত হয়। ফলে হাজী রোড এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। রাস্তায় জমে থাকা পানিতে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ে। আর এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে চার জন নিহত হন।

 

 


মিরপুর   বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   নিহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহজাহানের ‘ডিগবাজি’, ঝালকাঠি-১ আসনে যত হিসাব-নিকাশ

প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির নেতা শাহজাহান ওমরের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার ঘোষণায় ঝালকাঠি-১ আসনে শুরু হয়েছে ভোটের হিসাব-নিকাশ। 

গতকাল বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি-১ আসনে (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শাহজাহান ওমর।

তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। তবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তাঁকে বহিষ্কার করেছে দলটি। শাহজাহানসহ এই আসনে এখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন দুইজন। এর আগে ২৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণার সময় এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয় বজলুল হক হারুনকে।

তিনি এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি)। এই দুজন ছাড়াও আওয়ামী লীগের আরও একজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি হলেন কেন্দ্রের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির। 

আওয়ামী লীগের ঝালকাঠি জেলা, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা শাখার নেতারা বলছেন, শাহজাহান ওমর প্রার্থী হওয়ায় এখন হিসাব-নিকাশ বদলে গেছে।

বিশেষ করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এত দিন দলীয় ও ‘বিদ্রোহী’ বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে মাঠে থাকতে প্রস্তুতি নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত শাহজাহান ওমর এককভাবে দলীয় প্রার্থী হলে নেতাকর্মীদের সামলানো কঠিন হয়ে যাবে। বিপরীতে কয়েক নেতা বলেছেন, দলীয় প্রধানের (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত যার পক্ষে যাবে, তারা তার হয়ে ভোটের মাঠে থাকবেন।  

শাহজাহান ওমর   আওয়ামী লীগ   বিএনপি   রাজনীতির খবর   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ‘নীরবতা’র ভয়ঙ্কর কূটনীতি

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীরব কূটনীতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। একথা বলেছিলেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানরা। এখন বাংলাদেশের ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক ধরনের নীরবতা অবলম্বন করছেন। কূটনৈতিক পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে সাইলেন্ট ডিপ্লোমেসি। আর এই নীরব কূটনীতি যে কোনো দেশের জন্য আতঙ্কের কারণ হতে পারে বলে মনে করেন কূটনীতিক বিশ্লেষকরা। 

গত দুই বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অত্যন্ত সরব অবস্থানে ছিলেন। তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে মাথা ঘামাচ্ছিলেন কোন রকম রাখঢাক ছাড়াই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে এবং এই নির্বাচন হতে হবে অংশগ্রহণমূলক। স্পষ্টতই সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করছিল যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কূটনীতিক গত দুই বছরে বাংলাদেশ সফর করেছেন। সরকার এবং বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসও এই সময় ছিলেন সরব। 

গত বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি বাংলাদেশের নির্বাচন, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অত্যন্ত সরব এবং ব্যস্ত সময় কাটান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এবারে যে নির্বাচন হচ্ছে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফর্মুলা অনুযায়ী নয়, এটা সহজেই বলা যায়। কারণ এই নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলো অংশগ্রহণ করছে না। কাজেই মার্কিন সংজ্ঞা অনুযায়ী এটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, একটি নির্বাচনে যদি ৪০ শতাংশ বা তার বেশি ভোটার উপস্থিতি থাকে তাহলে সেই নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক বলে বিবেচিত হবে। সেজন্যই এবারের নির্বাচন আওয়ামী লীগ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। সবগুলো আসনেই ৪৫০ জনের কাছাকাছি স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবার দাঁড়িয়েছেন। ফলে এবার নির্বাচনে কোথাও কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন না। ভোট যুদ্ধ হবে সব আসনেই। তারপরও এই ফর্মুলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুশি কি না তা এখন পর্যন্ত অস্পষ্ট। 

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে এক ধরনের নীরবতা অবলম্বন করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যখন নিয়মিত ব্রিফিং হচ্ছে সেই ব্রিফিংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করেছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ছুটিতে গিয়েছিলেন। ছুটি থেকে তিনি দেশে ফেরার পর শুধুমাত্র বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে তিনি নতুন মার্কিন শ্রমনীতি নিয়ে কথা বলেছেন বলে ধারণা করা হয়। অন্য সময়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেও এখন তিনিও নীরবতা পালন করছেন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি নতুন শ্রমনীতি ঘোষণা করেছেন এবং এই শ্রমনীতি ঘোষণার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক কল্পনা আক্তারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছেন। এরপর ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক বার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার কমার্স এই নতুন শ্রমনীতির টার্গেট বাংলাদেশ হতে পারে এবং বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন৷ যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে যে, বাংলাদেশ শ্রমনীতির টার্গেট হবে না। 

কিন্তু বিভিন্ন সূচকগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের প্রস্তুতি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে গভীরভাবে নজর রাখছে এবং এই সমস্ত নজর রাখার ফলে বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা সুস্পষ্ট এবং দৃশ্যমান অবস্থান নির্বাচনের পরপরই স্পষ্ট হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্তুষ্টমূলক না হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে অনেক কিছুই করতে পারে এমন শঙ্কার কথাও প্রকাশ করা হচ্ছে বিভিন্ন সময়। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতার অর্থ বুঝতে হলে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচন পর্যন্ত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশের নির্বাচন   শ্রমনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোটের আগে সব থানার ওসি বদলি

প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থানার ওসিদের বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পর্যায়ক্রমে তাদের বদলির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সব থানার ওসিদের পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ওসিদের বর্তমান কর্মস্থলে ০৬ মাসের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বা অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন।

চিঠির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককেও পাঠানো হয়েছে।

থানার ওসি   বদলি   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিউজউইকে প্রধানমন্ত্রীর নিবন্ধ

প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিখ্যাত আমেরিকান সাপ্তাহিক নিউজ ম্যাগাজিন নিউজউইকে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের সিইও প্যাট্রিক ভারকুইজেনের সঙ্গে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। যখন বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায় খুঁজে বের করার জন্য বিশ্ব নেতারা দুবাইতে কোপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে সমবেত হয়েছেন। পাঠকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে নিচে দেওয়া হলো:

লেটস পুট ব্যাক পিপল অ্যাট দ্য হার্ট অফ ক্লাইমেট অ্যাকশন

জলবায়ু পরিবর্তন হল একটি বৈশ্বিক বিপর্যয় যা গরীবদের ওপর ধনীরা চাপিয়ে দেয় এবং ক্রমবর্ধমান হারে এটি তাদের নিজেদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। দুবাইতে কোপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রিত বিশ্ব নেতাদের বুঝতে হবে যে তাদের টপ-ডাউন (উপর থেকে নিচে) পদ্ধতি কখনই কাজ করতে পারে না। বরং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার লড়াইয়ের জন্য আমাদের ক্ষতিগ্রস্তদেরকে দায়িত্ব দিতে হবে এবং এই লড়াইয়ে তাদের অর্থায়ন করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নেতাদের মতদ্বৈততায় জলবায়ু বিপর্যয় থেমে থাকবে না। এর ফলে ইতোমধ্যেই জনপদের ওপর টাইফুন এবং বন্যা হচ্ছে এবং খরার কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়ছে। জলবায়ু তহবিলের একটি ক্ষুদ্র অংশই জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবের সঙ্গে লড়াই করা লোকেদের কাছে পৌঁছায়-তাদের নিজেদের এবং জীবিকা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সংস্থান ছাড়া তারা আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। জলবায়ু অনাচার ও বৈষম্য আরও বাড়ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্তদের প্রথম সারিতে থাকা মানুষকে রক্ষায় সাহায্য না করলে বৈশ্বিক পর্যায়ে জলবায়ু কার্যক্রমের কোনো মানে হয় না। আমাদের স্থানীয়ভাবে পরিচালিত জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক উদ্যোগের জন্য সব প্রয়োজনীয় তহবিল দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে হস্তান্তর করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এ জন্য নতুন চিন্তাভাবনা এবং একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনার প্রয়োজন।

কোপ২৮ এ, বিশ্বকে অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত তহবিলটি অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হতে হবে যাতে আমরা অবকাঠামো পুননির্মাণ এবং জলবায়ু প্রভাবগুলোর সঙ্গে আরও কার্যকরভাবে খাপ খাইয়ে নিতে স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে দ্রুত এবং জরুরি ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি। এটি জলবায়ু ন্যায়বিচারের প্রতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

মুভিং ফরম গ্লোবাল টু লোকাল

গ্লাসগোতে কোপ২৬-এর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অভিযোজন অর্থের প্রবাহ দ্বিগুণ করে ৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে অর্থ প্রদানকারীদের অবশ্যই ২০২২ এবং ২০২৫ এর মধ্যে বার্ষিক অভিযোজন প্রবাহ গড়ে কমপক্ষে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। তবুও অভিযোজন অর্থায়ন প্রবাহ বিকাশে দেশগুলো ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ কমে ২১.৩ বিলিয়ন হয়েছে। এই অর্থ খুবই সামান্য। তবুও এই অর্থের ৬ শতাংশেরও কম, এবং সম্ভবত ২ শতাংশের কম স্থানীয় সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে জলবায়ু-স্থিতিস্থাপকতা প্রকল্পগুলোতে পৌঁছায়। সঠিকভাবে ট্র্যাকিং এবং অর্থ প্রবাহের প্রতিবেদন না করার কারণে অনুমান পরিবর্তিত হয়-এবং এটির উন্নতি করা দরকার। এর কারণ জলবায়ু নীতি-কার্যক্রম এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ওপর থেকে নিচে প্রবাহিত হয়।

কোনো শহর, রাস্তা, মাঠ এবং বাড়ি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ তা যারা জানে তারাই সেখানে বসবাস করে। জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমাদের অবশ্যই তাদের একত্রিত হতে এবং তাদের নিজস্ব প্রকল্প তৈরি ও বাস্তবায়ন করতে উৎসাহিত করতে হবে এবং ক্ষমতায়িত করতে হবে।

এটি বলা সহজ, করা কঠিন। জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পগুলো পরিচালনা করার জন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রায়শই সময় এবং দক্ষতার অভাব হয়। প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরি করার জন্য তাদের সাহায্য এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজন এবং তহবিল সুবিধা নেওয়ার জন্য তাদের মৌলিক জিনিসগুলোর প্রয়োজন যেমন- আইনিভাবে গঠিত সংস্থা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।

বাংলাদেশ সবসময়ই স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন জলবায়ু অভিযোজনে একটি শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে এবং সম্প্রতি সরকার স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে জলবায়ু সহায়তা পৌঁছানোর বিভিন্ন উপায় অন্বেষণ করছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অভিযোজনের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা সহজ করে তোলে, অভিযোজনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সম্প্রদায় এবং স্থানীয় সরকারগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একটি জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল রয়েছে, সবুজ ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলো প্রসারিত করে এবং বাস্তুতন্ত্র পরিষেবাগুলোর জন্য অর্থপ্রদানকারী সম্প্রদায়গুলোকে অন্বেষণ করে।

ঢাকায় গ্লোবাল হাব অন লোকালি লিড অ্যাডাপ্টেশনের মাধ্যমে সরকার সমাধান জোরদারে এবং বিশ্বের অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর সঙ্গে সর্বোত্তম অনুশীলন বিনিময় করতে সহায়তা করছে। এই প্রচেষ্টা ইতোমধ্যেই মাঠ পর্যায়ে নাটকীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

চ্যালেঞ্জ থেকে সম্ভাবনা

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মংলায়, মেয়র এবং বাসিন্দারা তাদের জলবায়ু চ্যালেঞ্জের মধ্যে অর্থনৈতিক সুযোগ চিহ্নিত করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করছে। অন্যান্য বড় শহরগুলোর মতো, মংলা জলবায়ু অভিবাসীদের একটি বড় আগমন দেখেছে যদিও এটি ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই করছে।

গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলস্বরূপ-শহরের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহকে দূষিত হচ্ছে। মংলা জনবসতির মানচিত্র তৈরি করছে, জলবায়ুর প্রধান দুর্বলতা চিহ্নিত করছে এবং স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন উদ্যোগের উন্নয়ন করছে। ব্র্যাক, একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং এটি যুক্তরাজ্য এবং কানাডার সরকারের সহায়তায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের মাধ্যমে কাজ করছে। এটি আশা করা যায় যে মংলার জনগণের অভিযোজন পরিকল্পনাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া অন্যান্য শহর ও শহরগুলোর জন্য একটি ব্লুপ্রিন্ট হয়ে উঠতে পারে।

এটি আমাদের দেখায় যে স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনই এগিয়ে যাওয়ার পথ। কিন্তু আমাদের এই পদ্ধতিগুলো ব্যাপকভাবে জোরদার করতে হবে। এজন্য দাতাদের জন্য অযাচিত ঝুঁকি তৈরি না করে আমাদের স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোকে অর্থায়ন করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বব্যাংক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মতো আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থাগুলোসহ বৃহৎ অর্থদাতাদের পোর্টফোলিওতে জনগণের অভিযোজন পরিকল্পনাগুলোকে ত্বরান্বিত করার জন্য একটি ট্রান্সমিশন বেল্ট হিসাবে কাজ করার জন্য শক্তিশালী মধ্যস্থতাকারী সংস্থাগুলো এখানে মূল্যবান হতে পারে।

কোপ২৮ তখনই সফল হবে যখন এটি জলবায়ু সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটির জন্য প্রকৃত সুবিধা অর্জন করবে। এই বছরের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র সম্প্রদায়ের কাছে অর্থ প্রবাহ এবং স্থানীয় ভাবে নেতৃত্ব, উপযুক্ত এবং কার্যকর অভিযোজন নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যদি এটি অর্জন করতে পারি, তাহলে সেটি হবে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুতর অবিচার প্রতিকারের একটি বড় পদক্ষেপ।

শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন কমিশন কেন বিতর্কিত হচ্ছে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এবারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা। নির্বাচন কমিশনও বারবার বলছিল যে, তারা স্বাধীন নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করবে। কোনো ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবে না। এমনকি নির্বাচন কমিশন এটিও বলেছিল যে, তারা ২০১৮ এর মতো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে তাদের কঠোর অবস্থান প্রশংসিত হয়েছে। আর এ কারণেই বিএনপির আপত্তি সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্র এবং সংস্থা আস্থা রাখতে চাচ্ছিল। তারা মনে করেছিল যে, নির্বাচন কমিশনকে সময় দিতে হবে। তাদের যে ক্ষমতা আছে তা প্রয়োগ তারা করতে পারেন কিনা তা দেখতে হবে। 

আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হিসেবেই তারা রায় দিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন কমিশনের যে কর্মকাণ্ডগুলো তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো নির্বাচন কমিশন শেষ পর্যন্ত কতটুকু নির্মোহ এবং নিরপেক্ষ থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। কারণ নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা দরকার, সেই ভূমিকা তারা এখন পর্যন্ত রাখতে পারছেন না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। যেমন নির্বাচন যে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে সেই মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় ৯০ ভাগ প্রার্থী আচরণবিধি মানেননি। অথচ নির্বাচন কমিশন মাত্র কয়েক হাতে গোনা কয়েকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। এই সমস্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই এবং এবার এমন একটি নির্বাচন ঘটছে যে নির্বাচনে আর যাই হোক আওয়ামী লীগের পরাজয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। কাজেই নির্বাচন কমিশনের সামনে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল যেকোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার। কিন্তু সেই সুযোগ কমিশন কাজে লাগাতে পারছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। 

নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এখন কোন প্রার্থীর প্রচার না করার কথা নয়। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা নানা রকম প্রচারণা করছে, শোডাউন করছে। অনেক স্থানেই দেখা যাচ্ছে রঙিন পোস্টারে ছেয়ে গেছে। এই সমস্ত ঘটনাগুলো সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনে আচরণবিধির লঙ্ঘন। অথচ এই জায়গায় নির্বাচন কমিশন কেন সিদ্ধান্ত গ্রহণে কুণ্ঠিত, কেন কমিশন বলিষ্ঠ হতে পারছে না, সেই প্রশ্নটি বিভিন্ন মহলে উঠেছে। 

বিএনপি সহ কয়েকটি বিরোধী দল শুরু থেকেই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। তারা বলছিল যে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতপূর্ণ এবং ক্ষমতাসীন দলের আজ্ঞাবহ। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সব সময় বলছিল যে তারা কারও আজ্ঞাবহ নয়। বরং স্বাধীনভাবে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চায়। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেওয়া পর্যন্ত সময়ে নির্বাচন কমিশন সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর এর ফলে পশ্চিমা দেশগুলো এখন আগামী নির্বাচনে কমিশন কতটুকু বলিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে। আর নির্বাচন কমিশন যদি একবার বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়, নির্বাচন কমিশন নিয়ে যদি একবার আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের আস্থা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা সঙ্কটে পড়বে। কারণ নির্বাচন কমিশনের একটি শক্ত দৃশ্যমান এবং শক্তিশালী অবস্থান আন্তর্জাতিক মহল দেখতে চায়। সেরকম একটি অবস্থান যদি কমিশন তৈরি করতে না পারে তাহলে কমিশনই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


নির্বাচন কমিশন   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন