সন্ধ্যার পর
থেকেই বৃষ্টিতে নাকাল রাজধানী ঢাকা। আর এতে রাজধানী বিভিন্ন সড়কে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
ফলে বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচলে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। যার পরিণতি ভয়াবহ যানজট। আর এতে
ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মক্ষেত্র থেকে ঘরে ফেরা মানুষজন। লম্বা সময় ধরে একই স্থানে আটকে
আছে অসংখ্য যানবাহন।
বৃহস্পতিবার
(২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকায়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা
পর্যন্ত ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এই বৃষ্টিতে
রাজধানীর নিউমার্কেট, হাতিরঝিল, ধানমন্ডি-২৭, পান্থপথ, বসন্ধুরা আবাসিক এলাকা, এয়ারপোর্ট
রোড, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। কোথাও সড়কে হাঁটুপানি জমে
গেছে।
রাত ১০টার দিকেই
তলিয়ে যায় গ্রিন রোড এলাকা। এই সড়কে বহু গাড়ি আটকে থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া ধানমন্ডি-৫
নম্বর সড়ক, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, হাতিরপুল এলাকার সড়কেও পানি জমতে দেখা গেছে।
এদিকে টানা
বৃষ্টিপাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থই থই পানি। অনেক রাস্তা তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার
কারণে অনেক রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরমুখী অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক স্থানে
আটকে থাকার কথা জানিয়েছেন। অনেকেই ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তাঁদের ভোগান্তির কথা। এমনকি
বৃষ্টির কারণে কর্মস্থল থেকে অনেকে সময়মতো বের হতে পারেননি।
আবু রায়হান
নামে একজন চাকুরিজীবী জানান, তিনি নিউমার্কেট থেকে মোটরসাইকেলযোগে মিরপুরে যাবেন। কিন্তু
বৃষ্টির কারণে এক ঘণ্টারও বেশি সময় তিনি মার্কেটের নিচে দাঁড়িয়ে আছেন। রাস্তায় হাঁটু
পর্যন্ত পানি জমে গেছে। এই বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর
জানিয়েছে, রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১১৩ মিলিমিটার
বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবারও ঢাকাসহ সারা দেশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা
৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের
বেশির ভাগ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে
দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবারও বৃষ্টিপাতের
এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে পর দিন রোববার বৃষ্টি কিছুটা কমে আসতে পারে। ফলে
এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মন্তব্য করুন
থানার ওসি বদলি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বতন্ত্র প্রার্থী
মন্তব্য করুন
স্বতন্ত্র প্রার্থী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
জলবায়ু পরিবর্তন হল একটি বৈশ্বিক বিপর্যয় যা গরীবদের ওপর ধনীরা চাপিয়ে দেয় এবং ক্রমবর্ধমান হারে এটি তাদের নিজেদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। দুবাইতে কোপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রিত বিশ্ব নেতাদের বুঝতে হবে যে তাদের টপ-ডাউন (উপর থেকে নিচে) পদ্ধতি কখনই কাজ করতে পারে না। বরং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার লড়াইয়ের জন্য আমাদের ক্ষতিগ্রস্তদেরকে দায়িত্ব দিতে হবে এবং এই লড়াইয়ে তাদের অর্থায়ন করতে হবে।
এবারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা। নির্বাচন কমিশনও বারবার বলছিল যে, তারা স্বাধীন নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করবে। কোনো ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবে না। এমনকি নির্বাচন কমিশন এটিও বলেছিল যে, তারা ২০১৮ এর মতো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে তাদের কঠোর অবস্থান প্রশংসিত হয়েছে। আর এ কারণেই বিএনপির আপত্তি সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্র এবং সংস্থা আস্থা রাখতে চাচ্ছিল। তারা মনে করেছিল যে, নির্বাচন কমিশনকে সময় দিতে হবে। তাদের যে ক্ষমতা আছে তা প্রয়োগ তারা করতে পারেন কিনা তা দেখতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ৩০০টি আসনে সর্বমোট ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে ৭৪৭টি। এ ছাড়া ৩২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১ হাজার ৯৬৬টি।
এবারের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গতকাল। সর্বশেষ হিসেবে দেখা যায় যে, ২৭৪১ জন এবার নির্বাচনে তিনশ আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৯৮ জন। আর অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম এবং বিএসপির প্রার্থী সব মিলিয়ে ৩১০ জন। জাতীয় পার্টি জমা দিয়েছে ২৭০ জনের মতো। আর বাকি সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের-ই প্রায় ৪৫০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এবার নির্বাচনে একটি স্বতন্ত্র বিপ্লব হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভোট বিশ্লেষকরা। কারণ প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে আওয়ামী লীগের বিকল্প প্রার্থী আছে এবং তারা নির্বাচনে শক্ত লড়াই করবেন সেটি নিশ্চিত।