ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোটের মাঠে ২৭০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চায় ইসি

প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে ২৭০০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (২০ নভেম্বর) ইসির উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

চিঠিতে জানানো হয়, চাহিদা অনুযায়ী দেশের ৩০০ নির্বাচনী আসনে দুই হাজার ৭০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের প্রয়োজন হবে। যা গত সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ৫ গুণ বেশি। আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩৭ দিনে এত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য ৯০ কোটির বেশি অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ইসি সংশ্লিষ্টরা।

ইসি সূত্র জানায়, আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করতে চায় ইসি। এজন্য সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইসির চিঠিতে তিনটি ইউনিয়নের জন্য একজন (দুর্গম ও দূরবর্তী ২টি ইউনিয়নে একজন), বড় পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চারজন, প্রতি পৌরসভায় তিনজন করে এবং সিটি করপোরেশনের প্রতি ৪-৫টি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইসির সূত্র আরো জানায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

দেশে ইউনিয়নের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭১টি। এ ছাড়া, ৩২৮টি পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন ১২টি। গত নির্বাচনে প্রতি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ইসির চাহিদা অনুযায়ী, সেখানে এবার প্রত্যেক উপজেলায় পাঁচজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে জনপ্রশাসন সূত্র জানায়, কেউ কেউ ছুটি দিয়ে বিদেশে কর্মরত এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে প্রেষণে নিযুক্ত আছেন। এসব বাদ দিয়ে দায়িত্ব পালনের মতো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২ হাজারের বেশি নয়। অবশ্য সরকার চাইলে উপসচিব বা তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত করতে পারে।

মন্ত্রণালয় সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে ১ হাজার ৬৫৮ জন উপসচিব, ৯৩৩ যুগ্মসচিব, ৩৭১ জন অতিরিক্ত সচিব এবং ২৭ জন গ্রেড-১ ও ৮২ জন সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তা আছেন।

এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পেছনে দৈনিক ভাতা, যানবাহনের জ্বালানিসহ প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ইসি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনী এলাকায় ৩৭ দিন দায়িত্ব পালন করবেন। সে হিসাবে ২ হাজার ৭০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করলে নির্বাচন কমিশনের ৯০ কোটি টাকার বেশি খরচ করতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শাহীন আরা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচন কমিশনের চিঠি এখনো তিনি দেখেননি। চিঠি দেখে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মতো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার সক্ষমতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আছে।


নির্বাচন কমিশন   ভোট   ম্যাজিস্ট্রেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভূমিকম্প আতঙ্কে পদদলিত হয়ে শতাধিক গার্মেন্টস শ্রমিক আহত

প্রকাশ: ০২:০৬ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আজ সকালে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আতঙ্কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শতাধিক গার্মেন্টস শ্রমিক পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় আমির শার্ট গামের্ন্টসে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরোগী, প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ সময় উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় অবস্থিত আমির শার্ট নামক একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি শুরু করে। তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ও ওপর থেকে লাফ দিয়ে কমপক্ষে শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

এ সময় গার্মেন্টসের গেইট বন্ধ থাকার কারণে কেউ বেরিয়ে আসতে পারেনি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তারমধ্যে তিন জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম কিবরিয়া টিপু গণমাধ্যমকে জানান, ভূমিকম্পে আতঙ্কে ছুটাছুটি করতে গিয়ে আহত হওয়া ৮০ জন গার্মেন্টস শ্রমিককে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহেদা, আয়শা ও অজ্ঞাতনামা একনারীসহ তিনজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমির শার্ট গার্মেন্টেসের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) কাজী মো. ইউসুফ ও এসভিপি শাহজাহান সাজু জানান, আমির শার্ট গার্মেন্টেসের তিনটি ভবন রয়েছে। তারমধ্যে একটিতে প্রশাসনিক ও অপর দুইটিতে প্রোডক্টশনের কাজ চলে। প্রোডক্টশনের দুটি ভবনের চারটি ফ্লোরে ১৭শ শ্রমিক কাজ করেন।

তারা বলেন, ভবনে উঠানামার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু ভূমিকম্পের আতঙ্কে ছুটাছুটি করতে গিয়ে আহত হয়েছে। তবে গেইট বন্ধ থাকার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন।

ফায়ার সার্ভিসের চৌদ্দগ্রাম ষ্টেশন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে জানান, আমির শার্ট গার্মেন্টেসে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। কতজন আহত হয়েছে তার সঠিক হিসাব এখনো করা হয়নি তবে নিহতের কোনো ঘটনা নাই বলে তিনি জানান।


ভূমিকম্প   কুমিল্লা   আহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বরিশালে দুই আসনে মেনন, আলোচনায় সাদিক

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বরিশাল জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ৫৫ প্রার্থীর মধ্যে নানা কারণে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সদ্য সাবেক সিটি মেয়র ও সদর আসনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ।

জেলার দুটি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন রাশেদ খান মেনন। শেষ পর্যন্ত তিনি কোনটি ছেড়ে কোনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, নাকি দুটি আসনেই লড়বেন তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে রাজনীতিসচেতন মানুষের মাঝে।

অপরদিকে মনোনয়ন জমা দিয়েই আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন বিদ্রোহী সাদিক আবদুল্লাহসহ তাঁর অনুসারীরা।


রাশেদ খান মেনন   সাদিক আবদুল্লাহ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হাওরবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চান শফি আহমেদ

প্রকাশ: ০১:২৩ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

নেত্রকোনা-৪ (মদন মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী)। হাওরাঞ্চলের অন্যতম এ আসনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন মনোনয়নবঞ্চিত শফি আহমেদ।  তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে মদন ও খালিয়াজুরী দুটো উপজেলাই হাওরবেষ্টিত। আসনটিতে শফি আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাঁর কাছে হাওরবাসীর প্রত্যাশা অনেক।

তিনি নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের নেতা শফী আহমেদ। ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি সাজ্জাদুল হাসান।

 শফি আহমেদ বলেন, আসনটি সবসময় অবহেলিত। মদন ও খালিয়াজুরীতে কোনো উন্নয়ন হয়নি। মোহনগঞ্জে অপরিকল্পিত কিছু উন্নয়ন হলেও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সরকারের অর্থ নষ্ট হচ্ছে। আসনটিতে বৈষম্য না  রেখে সমানতালে উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষক মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটনাতে চান তিনি।

জানা যায়, ২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন শফি। কিন্তু সেবার নির্বাচন না হওয়ায় তার আর ভোট করা হয়নি।


স্বতন্ত্র প্রার্থী   শফি আহমেদ   হাওর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা অপরাধ নয়’

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা অপরাধ নয়। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনো দলকে ভাগ করা আওয়ামী লীগের নীতি নয়। দলের ভুল নীতির জন্য, নেতৃত্বে হতাশ হয়ে, বিএনপি নেতারা নির্বাচনে আসছেন। বিএনপির এক দফা গভীর গর্তে পড়ে গেছে। ভুলের চোরাবালি আটকে গেছ বিএনপির আন্দোলন। 

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী,আনোয়ার হোসেন, নির্মল চ্যাটাজী প্রমুখ।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাদ এরশাদের ভাগ্যে কি আছে?

প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রংপুর-৩ (সদর) আসন থেকে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। এ আসনে এমপি ছিলেন জাপার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ। 

দেবর জি এম কাদের-ভাবি রওশন এরশাদের  মতের মিল না হওয়ায়  জাপা থেকে মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন সাদ এরশাদ।

 জানা যায়, ১৯৯১ সালের পর থেকে ওই আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ শেষ হওয়ার আগে সাদ এরশাদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের আমার আসন ছিনতাই করেছেন। এ আসন ছাড়া অন্য কোনো আসনে নির্বাচন করব না।  আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছি। শেষ পর্যন্ত তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীও হননি। লোকজনকে বলাবলি করতে শোনা গেছে, হায়রে রাজনীতি। স্বার্থের জন্য আপন ভাতিজাকেও কোনো ছাড় দেওয়া হলো না।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন