গত রোববার (১৯ নভেম্বর) সরকারের তিনজন মন্ত্রী
পদত্যাগ করেছেন। সংবিধান অনুযায়ী তাদের পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার সাথে সাথে তা আপনা আপনি
কার্যকর হবে। এখানে পদত্যাগ পত্র কার্যকর করা বা প্রত্রিয়াজাত করার কোন সুযোগ নেই।
পদত্যাগের পর কোন মন্ত্রী যদি দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেন তাহলে তা হবে আইনের
লঙ্ঘন এবং অসাংবিধানিক।
একজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন সংবিধানের ৫৮
অনুচ্ছেদ অনুযায়ী। সংবিধানের ৫৮(১) এ বলা হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী বা অন্যকোন
মন্ত্রীর পদ শূণ্য হইবে যদি (ক) তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য
প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগ পত্র প্রদান করেন।’
অর্থাৎ একজন মন্ত্রীর পদত্যাগের পর তাৎক্ষনিক
ভাবে তার পদ শূণ্য হবে। গত রোববার সরকারের দুইজন মন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রী
পদত্যাগ পত্র পেশ করেন। এরা হলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস
ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড:
শামসুল আলম।
কিন্তু পদ্যত্যাগ পত্র জমা দেয়ার পরও অন্তত একজন
মন্ত্রী গতকাল সোমবার অফিস করেন। এব্যাপারে মন্ত্রী পরিষদ সচিব গতকাল সাংবাদিকদের
বলেছেন ‘মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং উপদেষ্টাদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান
রয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারি হলে তাদের পদত্যাগ পত্র কার্যকর হবে। পদত্যাগপত্র কার্যকরের
আগে তাদের অফিস করতে বাধা নেই। ‘মন্ত্রী পরিষদ সচিব আরো বলেছেন ‘ধরা বাধা কোন আইন
নেই যে এত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।’
মন্ত্রী পরিষদের বক্তব্য সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানের ৫৮(১) (ক) অনুযায়ী একজন মন্ত্রী পদত্যাগ পত্র পেশ করার সাথে সাথে তা কার্যকর হবার কথা বলা হয়েছে। এখানে কালক্ষেপন বা বিলম্বের সুযোগ নেই। সংবিধানের এই ব্যাখ্যা জাতীয় সংসদে একাধিকবার আলোচিত হয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে একাধিক আলোচলায় বলা হয়েছে, পদত্যাগ পত্র পেশের সাথে সাথে তা কার্যকর হবে। মন্ত্রী পরিষদ সচিব এরকম নতুন তথ্য কোথা থেকে পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অবশ্য তার বক্তব্য উপদেষ্টাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। উপদেষ্টা যেহেতু শপথ গ্রহণ করেন না, তাই তাদের জন্য পদত্যাগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি প্রযোজ্য হতে পারে, মন্ত্রীদের জন্য নয়।
পদত্যাগ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার
মন্তব্য করুন
ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগ বিএনপি রাজনীতির খবর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন শ্রমনীতি
মন্তব্য করুন
থানার ওসি বদলি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীরব কূটনীতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। একথা বলেছিলেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানরা। এখন বাংলাদেশের ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক ধরনের নীরবতা অবলম্বন করছেন। কূটনৈতিক পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে সাইলেন্ট ডিপ্লোমেসি। আর এই নীরব কূটনীতি যে কোনো দেশের জন্য আতঙ্কের কারণ হতে পারে বলে মনে করেন কূটনীতিক বিশ্লেষকরা।
জলবায়ু পরিবর্তন হল একটি বৈশ্বিক বিপর্যয় যা গরীবদের ওপর ধনীরা চাপিয়ে দেয় এবং ক্রমবর্ধমান হারে এটি তাদের নিজেদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। দুবাইতে কোপ২৮ জলবায়ু সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রিত বিশ্ব নেতাদের বুঝতে হবে যে তাদের টপ-ডাউন (উপর থেকে নিচে) পদ্ধতি কখনই কাজ করতে পারে না। বরং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার লড়াইয়ের জন্য আমাদের ক্ষতিগ্রস্তদেরকে দায়িত্ব দিতে হবে এবং এই লড়াইয়ে তাদের অর্থায়ন করতে হবে।