নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে একটি মহল। এই লক্ষ্যে সচিবালয়সহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে অপপ্রচারণা চালাচ্ছে তারা।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি সিনহার ছুটি নেওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্ক ব্যবহার করে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। রটানো হচ্ছে কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে আর পদোন্নতি দেওয়া হবে না। এমন অপপ্রচারকারীদের মধ্যে জামাত ও বিএনপিপন্থী কিছু সরকারি কর্মচারীরা যুক্ত বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তাঁদের মতে, প্রশাসনের সর্বত্র ভীতি ছাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এমনকি বেসরকারি ব্যাংকসহ বিভিন্ন পর্যায়েও সাম্প্রদায়িক উসকানির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সংখ্যালঘু জন্যই তার ওপর আক্রমন।
জানা গেছে, সাম্প্রদায়িক উসকানির প্রচেষ্টা অতি সুপকল্পিতভাবে চালানো হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কোনো মতাদর্শী লোকজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া এমনটি করা সম্ভব নয় বলে মত গোয়েন্দাদের।
গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক উসকানির অপচেষ্টার বিষয়টি সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি কঠোর ভাবে দমন করা হবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাংলা ইনসাডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।