নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৫ পিএম, ১৯ জুন, ২০২১
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের শাহাজিরহাট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদো জন্য আটক করে পুলিশ।
আটক জিয়াউর রহমান সম্রাট (৩৫) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস (ডিপিডি) ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক। তিনি কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তমপুর লামছি গ্রামের ইউছুফ ভূঁইয়ার ছেলে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টমাস বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, সম্রাটকে লিখিত অভিযোগের আলোকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়া ছাড়া এ বিষয়ে এখন আর কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছেনা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এরআগে, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান সম্রাটের বিরুদ্ধে কবিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, কবিরহাট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম (৪৮)।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ জুন রাত ১২টা ৮মিনিটের দিকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান সম্রাট তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (সম্রাট এসএফ) থেকে ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দীর্ঘদিনের অর্জিত সম্মান ক্ষুণ্ন করে। বিবাদী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়ে রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেন। তার এমন আচরণে দলের ও প্রিয় নেতার সম্মান নষ্ট করায় বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা।
মন্তব্য করুন
কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের ঢাকাগামী একটি বাসে যশোরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে যশোর-নড়াইল মহাসড়কের ধলগা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, শ্যামলী পরিবহনের ঢাকা-কলকাতা রুটের একটি বাস কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরছিল। এসময় যশোর-নড়াইল মহাসড়কের ধলগা এলাকায় দুর্বৃত্তরা ইট মেরে গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলে। এ সময় গাড়ির ভাঙা কাঁচের আঘাতে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
আহত ব্যক্তির নাম ডি এন চ্যাটার্জি। তিনি অ্যাসোসিয়েট বিল্ডার্স করপোরেশন লিমিটেড (এবিসি) কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ঢাকেশ্বরী মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটির সেক্রেটারি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, বিআরটিসি শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের গাড়িটি দুপুর দেড়টায় কলকাতা থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। রাত সাড়ে আটটার দিকে যশোর সদর থেকে ১০-১২ কিলোমিটার সামনে তুলারামপুর বাজারে এলে বাস লক্ষ্য করে একটি বড় পাথর ছুড়ে মারা হয়। আমি তখন ঘুমের মধ্যে ছিলাম। এ অবস্থায় বাসে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। চালক ৩-৪ কিলোমিটার সামনে গিয়ে বাসটি থামান। এরপর স্থানীয় ফার্মেসিতে গিয়ে আমি চিকিৎসা নিই। আমার মাথার ডানদিকে কিছু অংশ ফেটে যায়। আমার ধারণা, ডাকাতি কিংবা সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এই হামলা হতে পারে। আন্তঃদেশীয় একটি পরিবহনে এ রকম হামলার ঘটনা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত। গাড়িতে কোনো পুলিশ ছিল না, প্রাথমিক চিকিৎসারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
তিনি আরও জানান, বাসটির সুপারভাইজার তাকে জানিয়েছেন- এ রোডে মাঝেমধ্যেই এ রকম ঘটনা ঘটিয়ে ডাকাতি হয়। ঘটনাটি যশোর ও নড়াইলের পুলিশ সুপার এবং খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষকেও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, গাড়িতে বাইরে থেকে ইট ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এটি নাশকতা কি না এখনো নিশ্চিত নই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শ্যামলী পরিবহন যাত্রীবাহী বাস যশোর হামলা
মন্তব্য করুন
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি
জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার স্থপতি
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি দাঁড়িয়ে গভীর শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
শেষে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে
ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন
ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলা
গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ
করে। এদিন পঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার প্রণীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
পরে বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিতি পায়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা
শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হওয়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের
স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে
নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত
হয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। অধিবেশনে বাংলাদেশের
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত
রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী,
ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্র
এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। মেহেরপুর
হয়ে ওঠে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী। মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা
শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান বিমানবাহিনী মেহেরপুর দখল করে। ফলে সরকারের প্রতিনিধিরা
ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন এবং সেখান থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। অবশেষে সশস্ত্র
রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।
আওয়ামী লীগ, সহযোগী এবং সমমনা সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো যথাযথ
মর্যাদায় এবার পালন করবে দিনটি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়
এবং সারা দেশে সংগঠনের কার্যালয়গুলোয় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
মুজিবনগরের কর্মসূচির মধ্যে আছে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিসৌধে
শ্রদ্ধা নিবেদন, গার্ড অব অনার প্রদান এবং শেখ হাসিনা মঞ্চে মুজিবনগর দিবসের জনসভা।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি
যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী. শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবস
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:২৭ এএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য দিন। একাত্তরের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের
শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। এই মুজিবনগর
দিবস আমাদের বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে সমস্ত বাঙালী
১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথগ্রহণের পর পরই আমরা ভারতের উদ্দেশ্যে
রওনা করি। কিন্তু তখনও মুজিবনগর সরকারের বিস্তৃত এত বেশি হয়নি। মোটামুটি মে মাসের দিকে
আমরা মুজিবনগর সরকারের খোঁজ পাই। তখন আমি স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ শুরু করলাম। আনুষ্ঠানিক
ভাবে জুন মাস থেকে। সেদিন যদি মুুজিবনগর শপথ গ্রহণ না করত তাহলে হয়ত আমাদের মুক্তিযুদ্ধ
প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেত না। দেশে-বিদেশে অনেকে মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করলেও তারা কারও
সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। কিন্তু মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর সারা বিশ্বে খুব দ্রুত
বাঙালীদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে একটা জোরালো জনসমর্থন গড়ে উঠে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত
থেকে অনেকে এই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং স্বাধীনতাকামী বাঙালীকে সমর্থন দিয়েছিল।
পাকিস্তানের ভেতর আটকে পড়া অনেকে বাঙালী সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা আস্তে আস্তে মুজিবনগর
সরকারের যোগ দেয়। যারা পাকিস্তানের আর্মড ফোর্সে ছিলেন তারা পালিয়ে আসে এবং মুক্তিযুদ্ধে
যোগ দেয়।
তবে যারা এসেছিল তারা যে আবার সবাই আসলে মুক্তিযুদ্ধ করতেই এসেছিল
এমন নয়। এর মধ্যে অনেকে পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে এসেছিলেন। যেটা আমরা পরে বুঝতে পেরেছিলাম।
তবে এটা বুঝা সহজ ছিল না। যারা পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিল তাদের মধ্যে দুটি ভাগ
ছিল। একটি ভাগে ছিল যারা বিশ্বাস করত যে, তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণ করতে হবে।
তারা অংশগ্রহণ করলে মুক্তিযুদ্ধ আরও গতি পাবে। আবার অন্য আরেকটি ভাগ ছিল যারা পাকিস্তানপন্থি
ছিল এবং বাংলাদেশ যদি যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত হয়ে যায় তাহলে যেন তারা রক্ষা পায় সেরকম ছিল
তাদের মনোভাব। সত্যিকার অর্থে কারা যুক্তিযোদ্ধা ছিল সেটা তো আমরা দেশ স্বাধীন হবার
পর বুঝতে পেরেছি।
মুজিবনগর সরকার গঠনের পর পরই গেরিলা যুদ্ধ পদ্ধতি গতি পেয়েছিল।
সম্মুখ যুদ্ধও হয়েছে তবে গেরিলা যুদ্ধের অবদান ছিল অনেকে বেশি। শুধু যারা যুদ্ধ করেছে
তারা নয়, যারা তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে আশ্রয় দিয়েছিল তাদের অবদান ছোট করে দেখার সুযোগ
নেই। এ কথা অনস্বীকার্য যে, মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ দ্রুত সংগঠিত হয়েছিল
এবং এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। যা স্বাধীনতাকামী বাঙালীকে উজ্জীবিত করেছিল।
মন্তব্য করুন
গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি
রিপোর্টে স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অবনতি হচ্ছে। ২০০০ সালের পর থেকে এ সূচকে
২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬, এখন ১৬৪ দেশের
মধ্যে বাংলাদেশের
অবস্থান ১৪১তম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘স্বাধীনতাবঞ্চিত’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে
‘অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে।
ইউনাইটেড স্টেট এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল
ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন
বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদন (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট)-এর
ফলাফল জানাতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকাস্থ মার্কিন
দূতাবাস। সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া এবং থিংকট্যাংকের
প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আটলান্টিক
কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন। তিনি প্রতিবেদনটির
মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসনবিষয়ক
নির্দেশকগুলো পরিমাপ ও ক্রম নির্ধারণ করে এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক
সমৃদ্ধি পরিমাপ করে।
মূল উপস্থাপনায় লেমোনি বলেন, উপাত্ত
বলছে যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়।
অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে,
সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে। যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক
ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত
জানায়। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি
বিনিয়োগ পায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংকট্যাংকটির
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ সমৃদ্ধিতে ভারত-পাকিস্তানকে
ছাড়িয়ে গেলেও পিছিয়েছে স্বাধীনতার সূচকে। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, যেসব
দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি
বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানায়। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায়
উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়।
সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক সুপারিশ
করে যে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ। আবার
সুশাসন বৃহত্তর সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়। ২০২৩ সালের জন্য করা এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার
দেশগুলোর মধ্যে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে
৯৯তম।
তালিকায় ভারতের অবস্থান ১৪৬তম এবং পাকিস্তানের
অবস্থান ১৫০তম। কিন্তু স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম যেখানে ভারত
১০৪তম এবং পাকিস্তান ১১৩তম অবস্থানে রয়েছে। সমৃদ্ধি সূচকের তালিকা করার জন্য স্বাস্থ্য,
বৈষম্য, পরিবেশগত অবস্থা, সংখ্যালঘু অধিকার এবং শিক্ষাসহ মাথাপিছু জিডিপির মতো বিভিন্ন
কারণ বিবেচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে স্বাধীনতা সূচকের তালিকা করার জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক
এবং আইনি অবস্থার পরিমাপ করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মৌলিক স্বাধীনতা
জোরদার করলে সেটি দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গতিশীল করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
জানুয়ারিতে হওয়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি কর্তৃত্ববাদী দলীয় ব্যবস্থার
দিকে শক্তিশালী পরিবর্তন এসেছে। বিরোধী দলকে বয়কট করে সেটি পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে
আওয়ামী লীগ তার ১৫ বছরের শাসনকাল টিকিয়ে রেখেছে।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা নারী সরকারপ্রধান হতে যাচ্ছেন। এটি স্থিতিশীলতার
ইঙ্গিত দিলেও, কর্তৃত্ববাদী দলীয় ব্যবস্থাগুলো প্রায়ই বিভিন্ন ঝুঁকির মুখোমুখি হয় যা
সুশাসন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ ঝুঁকিগুলো কমানোর জন্য রাজনীতি, সরকারব্যবস্থা এবং
অর্থনীতিতে সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত
পিটার হাস বলেন, প্রতিটি দেশ দুর্নীতির মতো বিষয়ে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার
সুরক্ষিত রাখতে লড়াই করছে। কিন্তু মূল বিষয় সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়া নয়, সক্রিয়ভাবে
স্বীকার এবং মোকাবিলা করা।
তিনি আরও বলেন, আটলান্টিক কাউন্সিল
যে ১৬৪ দেশকে তালিকাভুক্ত করেছে সেখানে (স্বাধীনতা সূচকে) ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরাধীন’
হিসেবে তালিকাভুক্ত দেশগুলো ‘সমৃদ্ধিশালী’ দেশ হিসেবে (সমৃদ্ধি সূচকে) তালিকাভুক্ত
হয়নি। এটি থেকে বোঝা যায়, সমৃদ্ধিশালী হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে জনগণের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক
ও আইনি স্বাধীনতা বৃদ্ধি করতে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে।
মন্তব্য করুন
আজ ১৭ এপ্রিল। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের
সুদীর্ঘ ইতিহাসে এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার
তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। প্রিয় স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান
হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধের
বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে এ সরকার গঠন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে ঘোষিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। সেদিন থেকে ওই স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে।
একাত্তরের ১০ এপ্রিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়।
পরের দিন ১১ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ দেশবাসীর উদ্দেশে বেতার
ভাষণ দেন। তার এই ভাষণ আকাশবাণী থেকে একাধিকবার প্রচারিত হয়। এ ভাষণে তিনি দেশব্যাপী
পরিচালিত প্রতিরোধ যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। এছাড়াও ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিসভার
শপথ গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হয়। তাজউদ্দিনের ভাষণের মধ্য দিয়েই দেশ-বিদেশের মানুষ
জানতে পারেন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনার লক্ষ্যে একটি আইনানুগ সরকার গঠিত
হয়েছে। এরই পথপরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল সকালে মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
মুজিবনগর সরকারকে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া কয়েকটি
বিভাগ মন্ত্রিপরিষদের কর্তৃত্বাধীনে থাকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধরত অঞ্চলকে ১১টি
সেক্টরে বিভক্ত করে প্রতিটিতে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিয়োগা করা হয়। তবে ১০ নম্বর
বা নৌ সেক্টরে কোনো সেক্টর কমান্ডার ছিল না। কমান্ডোরা যখন যে এলাকায় অভিযান করতেন
সে সেক্টরের কমান্ডারের অধীনে থাকত।
মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী গ্রাম বৈদ্যনাথতলায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান
পরিচালনা করেন আবদুল মান্নান এমএনএ এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ
আলী এমএনএ। নবগঠিত সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে এখানে গার্ড অব অনার
প্রদান করা হয়।
এদিকে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য
বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী
দিয়েছেন। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
বেতার ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত এই দিনটিকে বরাবরের ন্যায়
স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সকলের সাথে একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসমূহ
যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সাথে স্মরণ ও পালন করবে।
কর্মসূচির মধ্য রয়েছে আগামী ১৭ এপ্রিল ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন,
কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।
সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এদিকে মুজিবনগরের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে ভোর ৬টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা
উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে গার্ড অব অনার।
সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা মঞ্চ মুজিবনগর দিবসের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর
সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর
সদস্য ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক
মাহবুব উল-আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. কামাল হোসেন এমপি, এডভোকেট আফজাল
হোসেন, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল
হক এমপি। জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন
নাছিম এমপি। সঞ্চালনা করবেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম. মোজাম্মেল হক। এছাড়া বিশেষ
বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি,
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভীন
জামান কল্পনা এমপি, এডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, সাধারণ সম্পাদক
এম, এ খালেক এবং মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক।
দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
এক বিবৃতিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযোগ্য
মর্যাদায় পালনের জন্য সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মী এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহসহ
সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুজিবনগর আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য দিন। একাত্তরের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। এই মুজিবনগর দিবস আমাদের বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে সমস্ত বাঙালী
গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্টে স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অবনতি হচ্ছে। ২০০০ সালের পর থেকে এ সূচকে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬, এখন ১৬৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘স্বাধীনতাবঞ্চিত’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে।
আজ ১৭ এপ্রিল। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসে এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। প্রিয় স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে এ সরকার গঠন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে ঘোষিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। সেদিন থেকে ওই স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে।