নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২১
একের পর এক চ্যালেঞ্জ আসছে সামনে। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয় মেয়াদে এসে একের পর এক জটিল এবং কঠিন স্পর্শকাতর ইস্যুগুলোকে মোকাবেলা করছে। করোনা সংকট সামাল দেওয়ার পর এখন এমন কিছু ইস্যু আসছে যে ইস্যুগুলোকে থেকে যেকোনো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আর এটি তো সকলেই জানেন যে, শেখ হাসিনা একাই সব সংকট সামলাচ্ছেন। আর তাই এখন যে ইস্যুগুলো আসছে সেই ইস্যুগুলো কিভাবে সমাধান হবে এবং এই মনস্তাত্ত্বিক চাপ সরকার কিভাবে মোকাবেলা করবে তার সবকিছু নির্ভর করছে শেখ হাসিনার উপর। বিভিন্ন ইস্যুতে সাধারণ মানুষের একটিই প্রশ্ন শেখ হাসিনা কি করবেন? যে ইস্যুগুলো এখন সরকারকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে-
১. বেগম খালেদা জিয়া ইস্যু: বেগম খালেদা জিয়ার ইস্যুটি সুস্পষ্টভাবেই স্পর্শকাতর। বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া হবে, কি হবে না এ নিয়ে বিভক্ত পুরো দেশ। অনেকেই মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মানবিক আচরণ করা উচিত। আবার অনেকেই মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার দাবি একটি পলিটিকাল স্ট্যান্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা সেটি অন্য বিবেচ্য বিষয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ইস্যুটি ক্রমশ একটি স্পর্শকাতর রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হচ্ছে। এটি নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি করবেন? তিনি ইতিমধ্যে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন তার হাতের মধ্যে যা কিছু আছে, যতটুকু ক্ষমতা আছে ততটুকু ক্ষমতা তিনি প্রয়োগ করেছেন। এখন তার কিছু করার নেই। তারপরও বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে তার অবস্থান পরিবর্তন করবেন?
২. শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আস্তে আস্তে পুঞ্জিভূত হচ্ছে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা এ ব্যাপারে একেবারে নির্লিপ্ত। ভাব খানা দেখে মনে হচ্ছে যে, এটি যেন সরকারের কোন বিষয়ই নয়। কিন্তু এ ব্যাপারে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ দরকার বলে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে। হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্ষণে ক্ষণে আন্দোলন করছে। আগামীকাল পর্যন্ত তারা আল্টিমেটাম দিয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি আন্দোলনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে যেমন কোন বিষয়েই শেখ হাসিনা হস্তক্ষেপ না করলে সমাধান হয় না, এ ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অনেকেই। শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কি করবেন?
৩. খুন-হত্যা: হঠাৎ করে দেশে খুন-হত্যা বেড়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার পর কুমিল্লায় দিনে দুপুরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তার সহযোগীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সরকারের জন্য একটি অশনি সংকেত। কোন মহল পরিকল্পিতভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি করছে নাকি এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এ ব্যাপারে নির্মোহ তদন্ত হওয়া দরকার। আর এই ধরনের সন্ত্রাস, সহিংসতা বন্ধের জন্য সকলে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকে। গত ১৩ বছরে শেখ হাসিনা একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশের অবয়ব তৈরি করেছেন। এখন কি সেই জায়গাটায় বিঘ্ন ঘটবে? শেখ হাসিনা কি করবেন?
৪. আওয়ামী লীগের অস্থিরতা: গত কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগ এক ধরনের অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একের পর এক বিদ্রোহী প্রার্থীরা দাঁড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা একে অপরের সঙ্গে খুনোখুনি করছেন। সহিংসতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। আওয়ামী লীগের এই অস্থিরতা বন্ধ করার জন্য একমাত্র ভরসার স্থল আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। এরপর তিনি কি করবেন? শেখ হাসিনার নির্দেশে কি সহিংসতা বন্ধ হবে? আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা কি শান্ত হবে?
৫. সরকারের সমন্বয়হীনতা: সরকারের ভিতরে সমন্বয়হীনতা যেন ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। একদিকে অর্ধেক বাস ভাড়ার দাবিতে ছাত্ররা যখন আন্দোলন করছেন, তখন সেতুমন্ত্রীর নীরবতা। অন্যদিকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তিনি দাবিকে সমর্থন করেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন যে, তিনি যখন শিক্ষার্থী ছিলেন তখন তিনিও অর্ধেক ভাড়ায় চলতেন। কাজেই এই বিষয়ে সরকারের অবস্থান কি তা নিয়ে নানারকম সমন্বয়হীনতা রয়েছে। যে মন্ত্রীর যে দায়িত্ব নয়, সে বিষয়ে তিনি কথা বলছেন, অযাচিত বিতর্ক তৈরি করছেন। সরকার এই সমন্বয়হীনতা থেকে সরকারকে বের করে আনার জন্য শেখ হাসিনা কি করবেন?
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ ইউনুছ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়ন থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণেরর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়কাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সামসুল উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মামুন হালাদার (২৮) কে বাকেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রবি পুর গ্রামে মামুনের নিকটতম এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
এঘটনায় নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর বাবা প্রথমে বানারীপাড়া থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। পরে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়া থানা পুলিশ বাকেরগঞ্জ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং মামুন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাইনুল ইসলাম জানান, মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে বরিশাল আদালতে প্রেরণ এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
কারাদণ্ড ছাড়াও আসামীর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায় বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরিয়া গ্রামের ৯ বছর বয়সের শিশু কন্যা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল হাসান (২৫) এর নিকট আরবি পড়তো। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬ টায় আরবি পড়তে শিক্ষক আবুল হাসানের বাড়িতে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র ছাত্রী না আসায় একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকারে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এঘটনায় উক্ত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা থাকায় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
বিজ্ঞ আদালত এ পর্যন্ত মোট ৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে বিশেষ কৌশলী এ্যাডভোকেট আজিজুল হক এবং আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামলাটি পরিচালনা করেন।
মন্তব্য করুন
কখনও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কখনও পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে গত চার বছরে ১৪টি বিয়ে করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. আবু সাঈদ। ৩০ বছর বয়সী সাঈদ বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।