ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা কি করবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail

একের পর এক চ্যালেঞ্জ আসছে সামনে। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয় মেয়াদে এসে একের পর এক জটিল এবং কঠিন স্পর্শকাতর ইস্যুগুলোকে মোকাবেলা করছে। করোনা সংকট সামাল দেওয়ার পর এখন এমন কিছু ইস্যু আসছে যে ইস্যুগুলোকে থেকে যেকোনো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আর এটি তো সকলেই জানেন যে, শেখ হাসিনা একাই সব সংকট সামলাচ্ছেন। আর তাই এখন যে ইস্যুগুলো আসছে সেই ইস্যুগুলো কিভাবে সমাধান হবে এবং এই মনস্তাত্ত্বিক চাপ সরকার কিভাবে মোকাবেলা করবে তার সবকিছু নির্ভর করছে শেখ হাসিনার উপর। বিভিন্ন ইস্যুতে সাধারণ মানুষের একটিই প্রশ্ন শেখ হাসিনা কি করবেন? যে ইস্যুগুলো এখন সরকারকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে-

১. বেগম খালেদা জিয়া ইস্যু: বেগম খালেদা জিয়ার ইস্যুটি সুস্পষ্টভাবেই স্পর্শকাতর। বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া হবে, কি হবে না এ নিয়ে বিভক্ত পুরো দেশ। অনেকেই মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মানবিক আচরণ করা উচিত। আবার অনেকেই মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার দাবি একটি পলিটিকাল স্ট্যান্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা সেটি অন্য বিবেচ্য বিষয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ইস্যুটি ক্রমশ একটি স্পর্শকাতর রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হচ্ছে। এটি নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি করবেন? তিনি ইতিমধ্যে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন তার হাতের মধ্যে যা কিছু আছে, যতটুকু ক্ষমতা আছে ততটুকু ক্ষমতা তিনি প্রয়োগ করেছেন। এখন তার কিছু করার নেই। তারপরও বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে তার অবস্থান পরিবর্তন করবেন?  

২. শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আস্তে আস্তে পুঞ্জিভূত হচ্ছে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা এ ব্যাপারে একেবারে নির্লিপ্ত। ভাব খানা দেখে মনে হচ্ছে যে, এটি যেন সরকারের কোন বিষয়ই নয়। কিন্তু এ ব্যাপারে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ দরকার বলে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে। হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্ষণে ক্ষণে আন্দোলন করছে। আগামীকাল পর্যন্ত তারা আল্টিমেটাম দিয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি আন্দোলনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে যেমন কোন বিষয়েই শেখ হাসিনা হস্তক্ষেপ না করলে সমাধান হয় না, এ ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অনেকেই। শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কি করবেন? 

৩. খুন-হত্যা: হঠাৎ করে দেশে খুন-হত্যা বেড়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার পর কুমিল্লায় দিনে দুপুরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তার সহযোগীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সরকারের জন্য একটি অশনি সংকেত। কোন মহল পরিকল্পিতভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি করছে নাকি এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এ ব্যাপারে নির্মোহ তদন্ত হওয়া দরকার। আর এই ধরনের সন্ত্রাস, সহিংসতা বন্ধের জন্য সকলে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকে। গত ১৩ বছরে শেখ হাসিনা একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশের অবয়ব তৈরি করেছেন। এখন কি সেই জায়গাটায় বিঘ্ন ঘটবে? শেখ হাসিনা কি করবেন?

৪. আওয়ামী লীগের অস্থিরতা: গত কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগ এক ধরনের অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একের পর এক বিদ্রোহী প্রার্থীরা দাঁড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা একে অপরের সঙ্গে খুনোখুনি করছেন। সহিংসতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। আওয়ামী লীগের এই অস্থিরতা বন্ধ করার জন্য একমাত্র ভরসার স্থল আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। এরপর তিনি কি করবেন? শেখ হাসিনার নির্দেশে কি সহিংসতা বন্ধ হবে? আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা কি শান্ত হবে? 

৫. সরকারের সমন্বয়হীনতা: সরকারের ভিতরে সমন্বয়হীনতা যেন ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। একদিকে অর্ধেক বাস ভাড়ার দাবিতে ছাত্ররা যখন আন্দোলন করছেন, তখন সেতুমন্ত্রীর নীরবতা। অন্যদিকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তিনি দাবিকে সমর্থন করেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন যে, তিনি যখন শিক্ষার্থী ছিলেন তখন তিনিও অর্ধেক ভাড়ায় চলতেন। কাজেই এই বিষয়ে সরকারের অবস্থান কি তা নিয়ে নানারকম সমন্বয়হীনতা রয়েছে। যে মন্ত্রীর যে দায়িত্ব নয়, সে বিষয়ে তিনি কথা বলছেন, অযাচিত বিতর্ক তৈরি করছেন। সরকার এই সমন্বয়হীনতা থেকে সরকারকে বের করে আনার জন্য শেখ হাসিনা কি করবেন?



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যান ইউনুছ

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা হতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

মন্ত্রণালয়ে উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮–এর ধারা-৭ অনুযায়ী মোহাম্মদ ইউনুছকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে এ অফিস আদেশ জারি করা হলো।

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ চট্টগ্রামের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছ বর্তমান চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষের স্থলাভিষিক্ত হবেন। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষের মেয়াদ আজ শেষ হয়েছে। তিনি দুই দফায় পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছিলেন। নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষকে প্রথম দফায় ২০১৯ সালে দুই বছরের জন্য এবং ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর আগে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামকে ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল দুই বছরের জন্য চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। এরপর আরও পাঁচ দফায় তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোট ছয় দফায় সব মিলিয়ে ১০ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। শেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আবদুচ ছালাম।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ   মোহাম্মদ ইউনুছ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কখনও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কখনও পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে গত চার বছরে ১৪টি বিয়ে করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. আবু সাঈদ। ৩০ বছর বয়সী সাঈদ বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।

জানা গেছে, বারার স্টুডিও’র দোকান থেকে ফটোশপে দক্ষ সাঈদের প্রতারণার প্রধান অস্ত্র টিকটক, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যে নারী প্রতিষ্ঠিত, অর্থ সম্পদ আছে সেই নারীদের টার্গেট করে সাঈদ টিকটক ও ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলত। সম্পর্কের পর বিয়ে করে। পরে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান সাঈদ। 

ছোট বেলা থেকেই ধূর্ত আবু সাঈদ ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের একটি ক্লিনিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক হয়ে গত ৪ বছর এলাকা ছাড়া। তবে ফেসবুক ও টিকটকে কখনও পাইলটের পোশাকে, কখনও পুলিশের পোশাকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। পরিবারের সঙ্গে গত চার বছরে দেখা করতে আসেননি সাঈদ। তবে বিভিন্ন সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে আবু সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে অনেক নারী তার সন্ধানে আসে। গত ঈদুল ফিতরের দিন সাঈদের সন্ধানে টাঙ্গাইল থেকে এসেছিলেন স্ত্রী দাবি করা খাদিজা আক্তার সাবিনা নামে এক নারী।

২০১০ সালে জামালপুরের মাউশি এলাকার বৃষ্টি বেগমকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। ২০১২ সালে রাজশাহী শহরের সংগীত শিল্পী রিয়াকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০১২ সালে পাবনার চাটমোহর এলাকার কবিতাকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০১৩ সালে ঢাকার সাথীকে বিয়ে করেনস তিনি। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদিজা আক্তার সাদিয়াকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার শাপলা খাতুনকে বিয়ে করেন সাঈদ।

২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরার মিতাকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। ২০২২ সালে টাঙ্গাইল মধুপুরের আইরিন আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালে ঢাকার সাভারের তিশা আক্তারকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোয়ামনিকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার রানীকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৪ সালে ১৩তম স্ত্রী বরিশালের প্রিয়াংকাকে বিয়ে করেন তিনি। ১৪তম স্ত্রী ঠাকুরগাঁওয়ের আনারকলিকে বিয়ে করে তার সঙ্গে গাজীপুরে সংসার করছেন আবু সাঈদ।

পঞ্চম স্ত্রী খাদিজা আক্তার সাবিনা জানান, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কমার্শিয়াল পাইলট পরিচয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে টিকটকে আবু সাঈদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় । তখন তিনি জানিয়েছিলেন তার বাবা-মা কেউ নেই, এতিমখানায় বড় হয়েছেন। এরপর পেমের পর ১৫ লাখ টাকা দেন-মোহরে আমাদের বিয়ে হয়। টাঙ্গাইল সদরে আমার একটি বিউটি পার্লার ও একটি এনজিও পরিচালনা করি। বিয়ের পর আবু সাঈদ আমার দুই বোন ও এক ভাতিজিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাঈদ ৩০ লাখ টাকা চান, আমরা তাকে সেই টাকা দেই। কয়েকদিন পর আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনজনকেই নিয়োগপত্র দেন এবং বলেন তিন মাস পর চাকরিতে যোগদান করতে হবে।

তিনি বলেন, একপর্যায়ে সাঈদের আসল ঠিকানা এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। তবে সাঈদ বুঝতে পেরেছিল আমি সব জেনে গিয়েছি। এমনকি চাকরির জন্য যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল সেগুলোও ভুয়া ছিল। এ কারণে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান সাঈদ। তারপর থেকে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও পাইনি। এ সব ঘটনায় টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে সাঈদের নামে মামলা করেছি। সাঈদের সন্ধান করতে গিয়ে তার আরও চার স্ত্রীর খোঁজ পাই আমি। তাদের সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। সবার কাছ থেকেই বিয়ের পর বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সাঈদ পালিয়ে গেছে।

সাঈদের চতুর্থ স্ত্রী দাবি করা এক নারী বলেন, আমি কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে চাকরি করি। তিন বছর আগে আমাদের টিকটকে পরিচয় হয়। এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয়ে সে আমার সঙ্গে কথা বলতো। এরপর প্রেম ও বিয়ে হয় আমাদের। বিয়ের পর চাকরি করে জমানো প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। তখন থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ। আজ পর্যন্তও তার সন্ধান পাইনি।

একই কথা জানিয়েছেন সাঈদের আরও পাঁচ স্ত্রী।

সাঈদের প্রতিবেশী মাসুদ রানা বলেন, সাঈদ ফটোশপে নিজের ছবি এডিট করে পাইলট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পোশাক পরে ছবি তুলে তা ফেসবুক ও টিকটকে পোস্ট করত। এতে সুন্দরী মেয়েরা অল্প সময়ে তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়।

সাঈদের বাবা সোহেল রানা বলেন, সাঈদের জন্য কোথাও মুখ দেখাতে পারিনা। লজ্জা হয়, মাঝে মাঝে মরে যেতেও মন চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েরা তার সন্ধানে আসে এবং ছেলের বউ হিসাবে পরিচয় দেয়। কিন্তু সাঈদের সঙ্গে গত চার বছরে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। পাশের গ্রামে সাঈদকে বিয়ে দিয়েছিলাম। সেই ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। ওই মেয়েটা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় করেছে। কিন্তু সাঈদ না আসায় বউমা এখন বাবার বাড়িতে চলে গেছে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশে মাসজুড়ে চলা টানা তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যগত উচ্চঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশের শিশুরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। 

ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ রয়েছে শিশুরা। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে শিশুদের জন্য। বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিটস্ট্রোক ও পানি শূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চতাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান এই তাপপ্রবাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনের আরও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়। অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় আমাদের আগে শিশু ও সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশব্যাপী বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও ক্রমে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এমনিতে এপ্রিল বছরের উষ্ণতম মাস; তবে অন্যান্য যেকোনো বছরের চেয়ে অনেক বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবারের মাসটি। অসহনীয় গরমে এক পশলা বৃষ্টির জন্য হাঁসফাঁস করছে জনজীবন।

তাপপ্রবাহ   ইউনিসেফ   শিশু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কিশোরীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail কিশোরীকে ধর্ষণ ও অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত মামুন হালদার

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়ন থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণেরর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়কাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সামসুল উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মামুন হালাদার (২৮) কে বাকেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

 

এবিষয়ে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

 

জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রবি পুর গ্রামে মামুনের নিকটতম এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।

 

এঘটনায় নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর বাবা প্রথমে বানারীপাড়া থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। পরে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়া থানা পুলিশ বাকেরগঞ্জ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং মামুন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।


এবিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাইনুল ইসলাম জানান, মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে বরিশাল আদালতে প্রেরণ এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।


ধর্ষণ   অপহরণ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁয় নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। 

 

কারাদণ্ড ছাড়াও আসামীর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। 

 

আদালত সূত্রে জানা যায় বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরিয়া গ্রামের ৯ বছর বয়সের শিশু কন্যা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল হাসান (২৫) এর নিকট আরবি পড়তো। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬ টায় আরবি পড়তে শিক্ষক আবুল হাসানের বাড়িতে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র ছাত্রী না আসায় একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকারে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

 

এঘটনায় উক্ত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা থাকায় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। 

 

বিজ্ঞ আদালত এ পর্যন্ত মোট ৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এই রায় প্রদান করেন। 

 

রাষ্ট্র পক্ষে বিশেষ কৌশলী এ্যাডভোকেট আজিজুল হক এবং আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামলাটি পরিচালনা করেন।


ধর্ষণ   শিক্ষকের কারাদন্ড   আদালত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন