ইনসাইড ইকোনমি

এলডিসি বাস্তবায়নের পরও বাণিজ্য সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ০৪ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail এলডিসি বাস্তবায়নের পরও বাণিজ্য সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

যেকোনো দেশের জন্য স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সময় বাণিজ্যিক সুবিধা হারানোকে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে ধরা হয়। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চূড়ান্তভাবে পৌঁছাবে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে চলছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশল। বিশ্ব বাণিজ্য সুবিধার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রয়েছে চুক্তি। ফলে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলেও বিশ্বে বাংলাদেশের বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

অর্থনীতিবিদ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইবিএ (অস্ত্র বাদে সব) চুক্তি আছে। এই চুক্তির আওতায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত সব সুবিধা অব্যাহত থাকবে। অস্ত্র বাদে সব পণ্যে অব্যাহত থাকবে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বাজার সুবিধা নীতির আলোকে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) ইইউতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক বাজার (জিএসপি) সুবিধা পায়।

২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন ও ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বাংলাদেশ। তখন জিএসপি প্লাস সুবিধা মিলবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে। তাই এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে উদ্বেগের কিছু নেই বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের পথে শুল্ক সুবিধাবঞ্চিত হলে বাংলাদেশকে মাশুল হিসেবে ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বাড়তি খরচ করতে হবে। বাংলাদেশ এসব মাশুল থেকে বাঁচতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এলডিসি গ্রাজ্যুয়েশনের পরও যাতে ইইউ, ভারত, চীন, কানাডা ও জাপানের সঙ্গে ১২ বছর বাণিজ্যিক সুবিধা অব্যাহত থাকে সেজন্য চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১২ বছর না হলেও এসব বাজারে বর্তমান সুবিধা আরও অন্তত ৯ বছর টেনে নেওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন অর্থনীতিবিদরা।

অব্যাহত থাকবে যেসব সুবিধা: ইনহ্যান্স ইন্ট্রিগ্রেটি ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় ২০২৬ সালের পর আরও পাঁচ বছর বাণিজ্য সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। প্রধান উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাণিজ্য সংক্রান্ত নানা সুবিধা পাবে প্রকল্পের আওতায়। ইউএন ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড চুক্তির আওতায়ও বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর আরও পাঁচ বছর বাণিজ্য সুবিধা পাবে।

এছাড়া লিস্ট ডেভেলপ কান্ট্রিস ফান্ড চুক্তির আওতায় জলবায়ু সংক্রান্ত প্রকল্পগুলো অনুমোদনের ক্ষেত্রে আগের মতো সুবিধা, ইউএন টেকনোলজি ব্যাংক ফর এলডিসি চুক্তির আওতায় আইসিটি ও নলেজ শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান সুবিধা মিলবে আরও পাঁচ বছর, ইউএন ট্রাভেল সাপোর্ট চুক্তির আওতায় বর্তমান সুবিধা তিন বছর অব্যাহত থাকবে। চুক্তির আওতায় জাতিসংঘের সংস্থাগুলো থেকে ট্রাভেল সাপোর্ট ফান্ডও পাবে বাংলাদেশ। ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ল’ অর্গানাইজেশন চুক্তির সুবিধা মিলবে পাঁচ বছর। এলডিসিভুক্ত সরকারগুলোর কাছ থেকে প্রফেশনাল সব সুযোগ-সুবিধা মিলবে এই চুক্তির আওতায়। তারপরও এসব চুক্তির পাশাপাশি নিজেদের আরও দক্ষ করে তোলায় মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর ও বৈশ্বিক বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া নিয়ে সরকারের পলিসির সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত শরিফা খান এলডিসি নিয়ে সুবিধা-অসুবিধা প্রসঙ্গে বলেন, আমি শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। সবাই যতটা নেগেটিভ বলুক না কেন ততটা নেগেটিভ হবে না। ২০০৫ সাল থেকে সবাই বলছেন সবকিছু উঠে যাবে, কিন্তু ওঠেনি। বিভিন্ন পকেটে আমরা সুবিধা পাবো। এর ভালো দিক অনেক বেশি।

তিনি বলেন, তবে শিল্প-কারখানার মালিকদের কাজ করতে হবে। তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আলাদা ডাইমেনশনে কাজ করতে হবে। আর কতদিন তারা অন্যের হাত ধরে চলবে। সারাজীবন তো সাপোর্ট থাকবে না। তাই ডিফারেন্ট ডাইমেনশনের জন্য একটা ধাক্কা দরকার, আমার মনে হয় সেই ধাক্কা এখন লাগবে। এখন যদি দাঁড়াতে না পারে তবে কবে দাঁড়াবে।

তিনি আরও বলেন, এলডিসি থেকে বের হলেও সুবিধা থাকবে ইবিএ চুক্তির মাধ্যমে। ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধা আছে। ২০৩১ সালে যখন আমরা আপার মিডল ইনকাম কান্ট্রি হবো তখন জিএসপি প্লাস সুবিধা পাবো, এটা একটা ভালো দিক। এলডিসিভুক্ত দেশে থাকলেও কিন্তু আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো সুবিধা পাই না। সুতরাং এটা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।

গ্লোবাল বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টরও বুঝে গেছে তাদের নিজের ক্যাপাসিটি গ্রো করতে হবে। আমি মনে করি এলডিসি আমাদের আরও বেশি করে ঘুরে দাঁড়ানো ও সক্ষমতা বাড়ানোর সোপান। এলডিসি থেকে উত্তরণে ক্রমান্বয়ে কিছু বাজার হারানো কিছু বাজারে সুবিধা পাবো। ইউরোপের বাজারে ১২ বছরের সুবিধা পেতে লবিং করছি, না হলেও ৯ বছর পাবো। এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের ইমেজ আরও উন্নত হয়েছে। ফলে বিনিয়োগ সুবিধা পাবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাজার সুবিধা হারানো, স্বল্প সুদে ঋণপ্রাপ্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে তিনটি বিষয়ে। এগুলো হলো- বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পরিবহন অবকাঠামো। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে আগের মতো সহজ শর্তে বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য পাবে না বাংলাদেশ। আগের মতো রেয়াতি সুদে ঋণ পাবে না। বাংলাদেশকে ক্রমান্বয়ে একটি মিশ্র অর্থায়নে যেতে হবে, যেখানে উচ্চসুদে বৈদেশিক ঋণ নিতে হবে। বিশ্বব্যাংকের অঙ্গভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) বাংলাদেশকে স্বল্পসুদে ঋণ দেয়। এই সুবিধা ২০২৬ সাল পর্যন্ত মিলবে। তারপরও এলডিসি থেকে বের হওয়ার ফলে চীনের নেতৃত্বাধীন এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) মতো নতুন নতুন উন্নয়ন সহযোগী বাংলাদেশে আসছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের মানদণ্ড অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য তিনটি সূচকে এরই মধ্যে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। সে হিসেবে ২০২৪ সালের মধ্যেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করার সময়সীমা ছিল। বাংলাদেশের অনুরোধে তা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারলে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ বেশি সুবিধা নিতে পারে বলে দাবি অর্থনীতিবিদদের।


জাতিসংঘ   জিএসপি   উন্নয়নশীল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সিটির সঙ্গে একীভূত হতে চায় না বেসিক ব্যাংক

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।

এর আগে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বলেছিলেন, তাঁরা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তাঁরা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’।

বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাঁদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে।

বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকটি থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে। আমানত তুলে নিতে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়েছে। এতে তীব্র তারল্যসংকটে পড়েছে ব্যাংকটি। এর ফলে বেসিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামতো নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) রাখতে পারছে না।

বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা কমে এখন ১২ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ছিল ১২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বা ৬৪ শতাংশ।

বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এ এম মোফাজ্জেল বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে সোনালী, জনতার মতো আমরাও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আমাদের ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছে। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে তারা টাকা তুলে নিতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, এ জন্যই সরকারি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য সরকারের কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ।


সিটি ব্যাংক   বেসিক ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার কোটি ডলারের ওপরে। ঈদের ছুটিসহ এক সপ্তাহে বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে ২১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। ফলে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার ৯৮৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)। এক সপ্তাহ আগে এ রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)।

বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৫৩০ কোটি ৩  লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহ আগে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৩৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমল ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে।

গত ২০ মার্চ বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার। গত ৬ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দুই সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী, কমে ১.১৬ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

স্বর্ণের দাম আবারও বাড়লো

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০  হাজার ১৯০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৮০  হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।


স্বর্ণ   দাম   বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক আলফালাহ কিনে নিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার পাকিস্তানভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ কিনে নিচ্ছে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ ও দেশটির একাধিক গণমাধ্যমের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশে পাকিস্তানি ব্যাংকটির কার্যক্রম, সম্পদ ও দায় ব্যাংক এশিয়া কর্তৃক অধিগ্রহণের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে ব্যাংক আলফালাহর পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে ব্যাংকটি এ বিষয়ে ব্যাংক আলফালাহর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল।

জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম অধিগ্রহণের বিষয়টি সব ধরনের প্রযোজ্য আইন ও বিধি মেনে করবে। অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে এখন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের অনুমোদন চাইবে ব্যাংক আলফালাহ।

বাংলাদেশে ব্যাংক আলফালাহর মোট সম্পদের স্থিতি ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ঢাকায় পাঁচটি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে একটি করে তাদের মোট ৭টি শাখা আছে। 

পাকিস্তানের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক হলো ব্যাংক আলাফালাহ। দেশটির ২০০টির বেশি শহর ও মফস্বলে তাদের ১ হাজার ২৪টির বেশি শাখা রয়েছে। এর বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থিতি আছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে ব্যাংক এশিয়া। প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কোনো বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশে থাকা কার্যক্রম ক্রয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাংক এশিয়া। এর আগে কানাডাভিত্তিক নোভা স্কোটিয়া ও পাকিস্তানের আরেক ব্যাংক মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ করেছিল ব্যাংক এশিয়া।

ব্যাংক আলফালাহ   ব্যাংক এশিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

শেয়ারবাজার: প্রথম দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ২০০ কোটি টাকা

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল, ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।

এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।

এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।


শেয়ারবাজার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন