মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুই শতাধিক বিলাসবহুল ও বিদেশি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড । আমদানি প্রবণতা কমাতে ও দেশীয় পণ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই শুল্ক (আরডি) আরোপ করা হয় বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৩ মে) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছে। এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এমন নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পণ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— আমদানি করা বিস্কুট, চকলেট, বিভিন্ন জাতের ফল, জুস ও বিদেশি তৈরি পোশাক, ফার্নিচারের কাঁচামাল ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন
ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন বিশেষ প্রয়োজন, হজ-উমরা, চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নিজস্ব অর্থায়নে বিদেশ যেতে পারবেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
সোমবার (২৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়, ‘২২ মে ২০২২ সার্কুলার লেটারের মাধ্যমে বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণে কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপকালে ব্যক্তিগত বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিশেষ প্রয়োজনে ব্যক্তিগত বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ অত্যাবশ্যক হয় বিধায় নিজস্ব অর্থায়নে ব্যক্তিগত বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের নতুন সার্কুলারে বলা হয়, ২০২২ সালের পবিত্র হজ পালন এবং জরুরি চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন; ব্যাংকে কর্মরত বিদেশি নাগরিকের নিজ দেশে গমন ও বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশ শাখায় কর্মরত কর্মকর্তারা প্রধান কার্যালয়ে যেতে পারবেন। এছাড়া বিদেশি আয়োজক সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে রোববার (২২ মে) ব্যাংকারদের অনির্দিষ্টকালের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই নির্দেশনায় বলা হয় ব্যাংকের কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণ, প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত বিদেশ ভ্রমণসহ প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণের জন্য বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
মূলত রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ও ডলার সংকট নিরসন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও ডলারের যাতে সংকট সৃষ্টি না হয় তাই বিলাসপণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
প্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণ ব্যাংকাররা
মন্তব্য করুন
চলতি ২০২১-২২ করবর্ষের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং আমদানি-রপ্তানি শুল্ক মিলে মোট রাজস্ব আয় করেছে ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৪১ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যা বিগত করবর্ষের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। গত করবর্ষের প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
এনবিআর সূত্র জানায়, খাতভিত্তিক রাজস্ব আয়ের হিসাব হলো- ১০ মাসে আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক খাত থেকে আয় হয়েছে ৭৩ হাজার ৬০ কোটি ২৬ লাখ টাকা, স্থানীয় পর্যায়ে মূসক থেকে ৮৪ হাজার ৮৯৫ কোটি ২১ লাখ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৬৯ হাজার ৬৮৫কোটি ৭৭ লাখ টাকা। তবে, এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় কিছুটা পিছিয়ে আছে। ১০ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে এনবিআর সদস্য ড. আব্দুল মান্নান শিকদার বাসসকে বলেন,আগের তুলনায় ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি করদাতাদের মানসিকতায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তারা প্রতিনিয়ত কমপ্লায়েন্ট হচ্ছেন। পাশাপাশি, মাঠ পর্যায়ের কর কর্মকর্তারা তাদের মনিটারিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এসব মিলিয়ে রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে ভাল প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মান্নান শিকদার বলেন, আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ব্যবস্থায় কর ফাঁকি বন্ধে এনবিআর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। একইসাথে ব্যবসায়ীরা অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহন করায় মূসক কর প্রদানের ক্ষেত্রে তারা এখন অনেক বেশি কমপ্লায়েন্ট। আবার প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে অধিকসংখ্যক মানুষকে করজালের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
এনবিআরের তথ্যমতে,গত ২০২০-২১ করবর্ষের প্রথম দশ মাসে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৬১ হাজার ১৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা চলতি করবর্ষের একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৬০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে আয়কর আহরণ বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত করবর্ষের দশ মাসে এ খাত থেকে রাজস্ব আয় ছিল ৫৯ হাজার ৬৭০ কোটি ২১ লাখ টাকা, এবার তাঁ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৬৮৫কোটি ৭৭ লাখ টাকা। শুল্ক ও আয়করের মত মূসক রাজস্ব আয়েও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে। গত করবর্ষের দশ মাসে মূসক রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৭৬ হাজার ৭৮১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এবার সেটা বেড়ে হয়েছে ৮৪ হাজার ৮৯৫ কোটি ২১ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, চলতি করবর্ষে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র: বাসস।
মন্তব্য করুন
নারায়ণগঞ্জে গত ২৬ বছরে যা হয়নি, বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)-এর সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর তা মাত্র ৬ মাসে সম্ভব করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন নারায়ণগঞ্জে বাজুস নেতৃবৃন্দ । ব্যবসা পরিচালনায় তার বিশেষ দক্ষতা ও দূরদৃষ্টি আমাদের আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর গোল্ড ব্যবসা নীতি অনুসরণ করে বাজুস সভাপতি আনভীরের নেতৃত্বে অচিরেই বিশ্ব বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায় প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্প বিশ্ব বাজারে মাথা ঊঁচু করে দাঁড়াবে।
সোমবার (২৩ মে) নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)-এর নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাজুসের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান এম এ ওয়াদুদ খান বলেন, আমরা এসেছি আমাদের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে আপনাদের বরণ করতে। আমার বাড়ি বরিশাল, আগে নারায়ণগঞ্জ হয়েই যেতে হতো। সেই আগের নারায়ণগঞ্জের স্মৃতি এবং আপনাদের ঐক্যে আমি অভিভূত হয়েছি। নারায়ণগঞ্জে ভালো জুয়েলারি অলঙ্কার বিক্রি হয়। এখানে যারা খারাপ মাল বিক্রি করে তারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জুয়েলারির মান উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। আমরা এমন এক ব্যবসায় আছি, যা এ দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
আপনারা স্বর্ণ মেমোর মাধ্যমে নিবেন এবং এনআইডি রাখবেন। তারপরেও পুলিশ হয়রানি করতে আসলে আমরা দেখবো। আপনারা সৎ ভাবে ব্যবসায় করেন। বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর আপনাদের পাশে আছে। যে দোকানে বাজুসের লোগো নেই, সেখান থেকে কেউ জুয়েলারি কিনলে প্রতারিত হতে পারেন।
শুধু ৪০ হাজার নয়, সারা বাংলাদেশে আমাদের ৭০ থেকে ৮০ হাজার সদস্য হবে। নারায়ণগঞ্জ শহরের বাইরেও অনেকগুলো দোকান আছে। তাহলে কেন সদস্য হবে না। শুধু নারায়ণগঞ্জ থেকেই দুই হাজার সদস্য হবে। আমাদের এতো সদস্য যদি হয় আমরা বাজুসের নেতৃত্বে সায়েম সোবহান আনভীর আমাদের পাশে আছেন তাহলে ভয় কোথায়? আমরা সবাই সরকারকে ট্যাক্স দেবো এবং ব্যবসা করবো। আসুন আমরা বাজুসের নীতিকে অনুসরণ করি এবং সবাই সমান রেটে বিক্রি করি। আমাদের কোন সমস্যা থাকবে না। বাংলাদেশেই বছর খানেকের মধ্যে স্বর্ণ তৈরি হবে। আমাদের এ ব্যবসায় সুদিন আসবে।
আমাদের স্বর্ণের রিজার্ভ কম। একমাত্র আমরা যারা জুয়েলার্স এখানে ১০ ভরি করে হলেও কত স্বর্ণ রয়েছে। আমরা ভালো একটা রিজার্ভ গড়ে তুলতে পেরেছি, তাই আমরা সুযোগ-সুবিধা দাবি করতে পারি।
বিশেষ অতিথি বাজুস ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে, যারা বাজুসের চেয়ে কম দামে বিক্রি করে। কম দামে খারাপ মানের পণ্য পাওয়া যায়। আমরা মান ধরে রাখতে চাই। সায়েম সোবহান আনভীর ঐক্যের প্রতীক। সে কোন বিভাজন চায় না। আমি বলতে চাই এখানে নির্বাচিত কমিটি হতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন করে যাবো তারা নির্বাচনের সময় দেবেন। আপনারা সবাই মিলে একটা প্যানেল দিন। আপনারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন আর দ্বিমত থাকলে নির্বাচন করুন। আমি বাজুসের সভাপতির সাথে আসার সময় আলোচনা করে নিয়েছি। আমরা নিরপেক্ষ ও সুন্দরভাবে একটি নির্বাচন পরিচালনা করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এইচ এম আসলাম সানি নির্বাচন কমিশনার হবেন এবং প্রবীর সাহা আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান হবেন। আপনারা নাম দিবেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ হবে ভোটের কাজগুলো বর্তমান কমিটির সহযোগিতা নিয়ে একটি সুন্দর কমিটি হবে। বর্তমান কমিটি আগামী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত থেকেই সুন্দর ও নতুন কমিটি উপহার দেবেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, নারায়ণগঞ্জে ৪ হাজারের বেশি স্বর্ণ ব্যবসায়ী আছে বলেছিলেন বাজুস সভাপতি। আমরা এতোদিন ব্যবসা করেও তা বুঝতে পারিনি। তবে যখন আমরা মাঠে নামলাম, দেখলাম ঠিক তার ধারণাই সঠিক। তার এই দূরদৃষ্টি আমাদের উৎসাহিত করে। আগামীতে বাজুসের নিবন্ধন ছাড়া কেউ বৈধভাবে স্বর্ণ ব্যবসা করতে পারবেন না। আমরা সবাই একসঙ্গে মিলে-মিশে জুয়েলারি শিল্পের ইতিহাস বদলে দিতে চাই। আমাদের নতুন নেতৃত্ব দেশের আইকন সায়েম সোবহান আনভীর জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জন্য ‘গোল্ড ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন। তরল সোনা রিফাইন করে বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা করছেন। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো।
অতিথিরা আরও বলেন, আমাদের সভাপতির মূল লক্ষ্য সৎভাবে ব্যবসা করা। যেন কোন গ্রাহক আমাদের থেকে প্রতারিত না হয়। গ্রাহক সন্তোষ্টির মাধ্যমে আমরা আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবো। তার ব্যবসায়িক প্রজ্ঞা, সৃষ্টিশীলতা ও দূরদর্শিতায় আগামীতে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। অদূর ভবিষ্যতে স্বর্ণের বারে লেখা থাকবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। বাংলাদেশই ‘গোল্ড ব্যাংক’ হবে।
অতিথিরা বলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে আছি। আপনারা সাহস করুন ব্যবসায় চালিয়ে যান। আমরা জুয়েলার্সের ব্যবসা করি আমাদের ভাবতে হবে এটা কিভাবে টিকিয়ে রাখবো। আমরা চাচ্ছি ইন্ডাস্ট্রি করতে হবে। আগে আমাদের দোকান ছিল পাশে কারখানা ছিল। এখন তা নেই। এ কারণে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি নষ্ট হচ্ছে। আমরা যদি এখানে ইন্ডাস্ট্রি করি তাহলে বেকারত্ব কমবে পাশাপাশি গ্রাহকও বৃদ্ধি পাবে।
তারা আরও বলেন, আমরা লেবার তৈরি করতে পারিনি, তাই আমাদের কষ্ট বেশি। আমরা যদি লেবার গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমাদের কষ্ট কমবে। ইন্ডাস্ট্রি করতে যদি কোন অসুবিধা হয় আমরা আপনাদের সহায়তা করবো। আপনাদের সঙ্গে এই যে সম্পর্ক, আমরা নারায়ণগঞ্জে এসেছি আমাদের পরিচিতি হলো, বন্ধন হলো। আপনারা সকলে চেষ্টা করবেন কোয়ালিটি মাল বিক্রি করতে এবং কাস্টমারদের সন্তুষ্ট করতে।
শহরের চাষাঢ়ার গ্রান্ড হল রেস্টুরেন্টে বাজুসের নারায়ণগঞ্জের ২২০ জন নতুন সদস্যকে বরণ করে নেয়া হয়েছে। তাদের সবাইকে সদস্যপত্র, বাজুস সার্টিফিকেট, ফুল, আইডি কার্ড তুলে দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বাজুসের সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান এনামুল হক খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চেয়ারম্যান গুলজার আহমেদ, সহ-সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য ও সদস্য সচিব রিপনুল হাসান।
২৬ বছরে হয়নি ৬ মাসে সম্ভব করেছেন বাজুস সভাপতি
মন্তব্য করুন
করোনার কারণে দেশের দারিদ্র্যতার হারক অনেকটাই প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক মহামারিতে দারিদ্র্যতার হার কিছুটা বেড়ে গেলেও সেই সঙ্কট কাটিয়ে অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যতার হার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০১৬’ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা দেশে দারিদ্র্যতার হার সবচেয়ে কম গুলশানে (০.৪ শতাংশ) এবং সবচেয়ে বেশি কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুরে (৭৯.৮ শতাংশ)...
নারায়ণগঞ্জে গত ২৬ বছরে যা হয়নি, বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)-এর সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর তা মাত্র ৬ মাসে সম্ভব করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন নারায়ণগঞ্জে বাজুস নেতৃবৃন্দ । ব্যবসা পরিচালনায় তার বিশেষ দক্ষতা ও দূরদৃষ্টি আমাদের আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর গোল্ড ব্যবসা নীতি অনুসরণ করে বাজুস সভাপতি আনভীরের নেতৃত্বে অচিরেই বিশ্ব বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায় প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্প বিশ্ব বাজারে মাথা ঊঁচু করে দাঁড়াবে।