ইনসাইড ইকোনমি

ফাতিমা কি পারবেন অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৭ জুন, ২০২২


Thumbnail

বাংলাদেশে যখন নানা রকম অর্থনৈতিক সংকটের গুঞ্জন ঠিক সেই সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মতো একজন নারী সচিব দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনকে অর্থ বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বর্তমান অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হয়েছেন। আব্দুর রউফ তালুকদার অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন বিচক্ষণ এবং যোগ্য নেতা ছিলেন বলেই অনেকে মনে করেন। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর অর্থমন্ত্রীর পদে মুহিত যুগের অবসান ঘটে। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আ হ ম মোস্তফা কামাল। আ হ ম মোস্তফা কামাল আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি নানা রকম শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে থাকেন। করোনা পরিস্থিতির সময় তিনি একেবারেই ঘরেবন্দী জীবনযাপন শুরু করেন এবং নানা রকম শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা-সমাবেশ গুলো ছাড়া তেমন দেখা যায়নি।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, অর্থনীতি হলো একটি সরকারের মেরুদণ্ড। গত ১২ বছর ধরে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যেভাবে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সচল ছিলেন সেই ক্ষেত্রে বর্তমান অর্থমন্ত্রী অনেকটাই ম্রিয়মাণ। বরং অর্থ মন্ত্রণালয় অনেকটাই আমলানির্ভর হয়ে পড়েছিল। সেই সময়ে আব্দুর রউফ তালুকদার বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি যে এখন স্থিতিশীল রয়েছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের পরপরই অনেকেই অর্থ বিভাগের সচিবের অবদানের কথা স্মরণ করেন। আর এ কারণেই তিনি পুরস্কৃত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগ দিচ্ছেন।

নতুন অর্থ সচিব হিসেবে এসেছেন ফাতিমা ইয়াসমিন। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ অর্থ সচিব পদে একজন নারীকে বেছে নিলো। ফাতিমা ইয়াসমিন একজন মেধাবী কর্মকর্তা। তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে কাজ করতে গিয়ে যথেষ্ট যোগ্যতা এবং বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আর অর্থ বিভাগের মধ্যে অনেক পার্থক্য। অর্থ বিভাগের কর্মকাণ্ডের উপর বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা অনেকখানি নির্ভর করে। ফাতিমা ইয়াসমিন এমন এক সময় দায়িত্ব নিলেন যখন বাংলাদেশের রেমিটেন্স প্রবাহ কমছে, বড় বড় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে, ঋণের চাপ বাড়ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সরকারের ওপর অর্থনৈতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। অর্থনীতিবিদরা সংকটের কারণে নানা রকম ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন, সরকার নিজেও কৃচ্ছতা সাধনের নীতি গ্রহণ করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি স্বীকার করা হয়েছে যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা পরবর্তী সময়ের কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্থিরতা রয়েছে। এর মধ্যেই সরকার পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সাধারণ ক্ষমার একটি সমালোচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

সবকিছু মিলিয়ে অর্থনীতিতে একটি অস্বস্তি দৃশ্যমান হচ্ছে। ঠিক এরকম সময়ে ফাতিমা ইয়াসমিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন। নতুন বছরের শুরুতেই তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং এই বছরটিকে সকলেই চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি কি আগের অবস্থায় থাকবে নাকি আমরা পিছু হটবো, সেটি এখন দেখার বিষয়। বিশেষ করে শ্রীলংকা, নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তানের ঘটনার পর শঙ্কার কালোমেঘের বাংলাদেশের আকাশেও দানা বাঁধতে শুরু করেছে বলে অনেকে মনে করেন। আর তাই সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন যে, নতুন অর্থ সচিবের হাতে অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রী পুরো বিষয়গুলো সরাসরি যেহেতু দেখভাল করেন এবং ফাতিমা ইয়াসমিন যেহেতু একজন মেধাবী কর্মকর্তা, তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন। প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার বাস্তবতার মেলবন্ধন হয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংক একীভূত হওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে ভাবে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত তথ্যনির্ভর নয় বলে মনে করছে ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটি। আর এটি দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তি করেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মূলত দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে কাজ করছে। 

প্রথমটি হলো: ২০২৬ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে কার্যকর ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য দেশে অধিক সক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে যাতে করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনোরূপ বাধার সৃষ্টি না হয়।

দ্বিতীয়টি হলো: অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান এবং একইসাথে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের কার্যক্রম উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা যাতে করে জনস্বার্থে একীভূত ব্যাংক কোম্পানি অধিকতর সেবা প্রদান করতে পারে।

একীভূতকরণের প্রক্রিয়াধীন ব্যাংকগুলোয় ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের জমাকৃত আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে। একীভূতকরণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরও স্ব স্ব ব্যাংকের হিসাবধারীদের বর্তমান হিসাব পূর্বের ন্যায় চলমান থাকবে।

একীভূতকরণের আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালক, বর্তমান পর্ষদ ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির ভিত্তিতেই একীভূতকরণের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং ৮ এ বর্ণিত নীতিমালা অনুসরণ করেই একীভূতকরণের সকল কার্যক্রম সম্পাদন হবে।

ব্যাংক একীভূতকরণ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তিনদিনের মাথায় আবারও কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম আরও ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।

এর আগে গত তিনদিন পূর্বে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন দাম নির্ধারণের তিন দিন না যেতেই এবার আবারও স্বর্ণের দাম কমালো দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে বাজুস। এদিন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ৯ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫৬৬ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৬ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে ক্রেতাদের। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে এক লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ টাকা।


স্বর্ণ   বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ, চার ব্যাংকে আসছে নতুন মুখ

প্রকাশ: ১১:৪২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাওয়া পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক রিয়াজ খান পদত্যাগ করেছেন। এরই মধ্যে তাকে এমডি হিসেবে নিয়োগের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনআরবি ব্যাংক।

এদিকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ছুটিতে পাঠানো এমডি মো. হাবিবুর রহমান চাকরিতে ফিরতে পারেননি এখনো। তবে নতুন এমডি পেয়েছে মেঘনা ব্যাংক। আর প্রিমিয়ার, এনসিসি ও বেসিক ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ চলমান রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রের বরাত এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যকার পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্তও নিয়েছে। ব্যাংক দুটির নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এরই মধ্যে পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান সরে দাঁড়ালেন তার পদ থেকে। এনআরবি ব্যাংকে যোগদান করতে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন হলে তবেই এনআরবি ব্যাংকে যোগদান করবেন তারেক রিয়াজ খান।

এর আগে গত ফেব্রুয়াতি এনআরবি ব্যাংকের এমডির পদ থেকে পদত্যাগ করেন মামুন মাহমুদ শাহ। তারপর থেকে ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে ব্যাংকটি।

তারেক রিয়াজ খান পদ্মা ব্যাংক থেকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে যাওয়ায় পদত্যাগ করেছি। আর নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানে যাওয়া যায় কিনা, সেটি দেখছি।

এদিকে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকে রূপান্তর হওয়া স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগদান করেন মো. হাবিবুর রহমান। নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে চলতি বছরের গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তিন মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়। প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদের একজন প্রভাবশালী পরিচালকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে ছুটিতে পাঠানো হয় তাকে। আর এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে পারলে এ নিয়ে শুরু করে পরিদর্শন। একই সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনাও করে। কিন্তু এখনো মো. হাবিবুর রহমানকে এমডির পদে ফেরানো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানা যায়নি।


পদ্মা ব্যাংক   এমডি   পদত্যাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ে শীর্ষে এডিবি

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশেকে দেওয়া বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ১৪০ কোটি ডলার ছাড় করেছে এশিয়া অঞ্চলের এই ঋণদাতা সংস্থাটি।

গতকাল রোববার প্রকাশিত দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি করা সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ঋণের অর্থছাড়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে জাপান। বাংলাদেশের অন্যতম বড় দ্বিপক্ষীয় দাতা দেশটি দিয়েছে ১৩৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৯৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।

চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে রাশিয়া ও চীন। এই দুটি দেশ ছাড় করেছে যথাক্রমে ৮০ কোটি ৭০ লাখ ডলার ও ৩৬ কোটি ডলার।

বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতিতেও শীর্ষে আছে এডিবি। সংস্থাটি গত ৯ মাসে ২৬২ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা যথাক্রমে জাপান ২০৩ কোটি ডলার ও বিশ্বব্যাংক ১৪১ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিদেশি ঋণ   এডিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ প্রথমবারের মতো ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। গত জুলাই-মার্চ সময়ে বিদেশি ঋণের বিপরীতে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। একই সময়ে গত অর্থবছরে সুদ বাবদ ৪৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ।

দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি করা সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ বেড়েছে। যা পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৯ কোটি ডলার। গত ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলারের বেশি সুদ ও আসল পরিশোধ করা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার।

বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ এসেছে এমন সময়ে, যখন দেশে কয়েক মাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চলছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডলার-সংকটের এ সময়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে রিজার্ভ ও বাজেটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার স্বল্প মেয়াদের ঋণের কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের কিস্তিও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধও শিগগিরই শুরু হবে।

আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে অন্য মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হলে চাপ আরও বাড়বে। অন্যদিকে ঋণের ছাড় আগের তুলনায় তেমন বাড়েনি।

ইআরডি সূত্র বলছে, জুলাই-মার্চ সময়ে সব মিলিয়ে এসেছে ৫৬৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৩৬ কোটি ডলার।

বিদেশি ঋণ   ইআরডি   অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন