ইনসাইড ইকোনমি

কাগজশিল্প ধ্বংসে মরিয়া আমদানিকারক চক্র

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৬ জুন, ২০২২


Thumbnail কাগজশিল্প ধ্বংসে মরিয়া আমদানিকারক চক্র

কাগজ উৎপাদনে দেশ অনেক আগেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও নানা অজুহাতে আমদানি থেমে নেই। বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে দেশে অবাধে ঢুকছে আমদানিকৃত কাগজ। রপ্তানি পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্ত আমদানি হওয়া কাগজ, বোর্ড, বস্ত্রসহ নানা পণ্য খোলাবাজারে দেদার বিক্রি হওয়ায় টিকতে পারছে না দেশীয় শিল্প। ৭০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়ে ওঠা শিল্প খাতটিতে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে না পেরে লোকসান গুনছেন উদ্যোক্তারা। ১০৬টি কাগজকলের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৭৯টির বেশি।

এমন প্রেক্ষাপটে কাগজ আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির দাবি উঠেছে। বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে আশঙ্কা করা হয়েছে, বন্ডের অপব্যবহার বন্ধ ও কাগজ আমদানিতে শুল্ক না বাড়ানো হলে দেশীয় কাগজশিল্প অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানকে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু ভুঁইফোড় ও স্বার্থান্বেষী আমদানিকারক এবং মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান দেশীয় মিল থেকে কাগজ সংগ্রহ না করে রেয়াতি শুল্কে কাগজ আমদানির পাঁয়তারা করছে। এ অপতৎপরতার একমাত্র উদ্দেশ্য অমিত সম্ভাবনাময় দেশীয় কাগজশিল্প ধ্বংস করা। যেখানে দেশীয় কাগজকলকে উৎপাদিত কাগজ বাজারজাতকরণের জন্য ভ্যাট ও অগ্রিম আয়কর প্রদান করতে হয়, সেখানে রেয়াতি শুল্কে কাগজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলে স্থানীয় ও আমদানিকৃত কাগজের মধ্যে তীব্র বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। তাই রেয়াতি শুল্কে কাগজ আমদানির প্রস্তাব বিবেচনা না করার জন্য আহবান জানিয়েছে পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১০৬টি কাগজকলে ৩১টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ছয় হাজার ১১২ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে। এ অবস্থায় দেশীয় কাগজশিল্পকে প্রায় বিনা শুল্কে আমদানিকৃত বিদেশি কাগজের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠেলে দেওয়াটা এই শিল্পের জন্য হুমকি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমএ) মহাসচিব ও মাগুরা পেপার মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহীউদ্দিন বলেন, ‘সব ধরনের কাগজ তৈরির সক্ষমতা আমাদের আছে। অতএব কোনো ধরনের কাগজ আমদানির প্রয়োজন নেই। বরং বাংলাদেশ থেকে ৪০টির বেশি দেশে কাগজ রপ্তানিও হচ্ছে। যেখানে রপ্তানি করার যোগ্যতা রাখে বাংলাদেশ, সেখানে আমদানি করা যথার্থ নয়। তাই দেশীয় শিল্পের বিকাশে আমদানি শুল্ক দু-তিন গুণ বাড়ানো উচিত।’

ভারতসহ বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে এই শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশে আমদানিকৃত কাগজ থাকলেও খুব উচ্চ শুল্ক দিয়ে তা আমদানি করতে হয়। তাই আমাদের দেশেও একই নীতি গ্রহণ না করলে দেশীয় কাগজশিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।’

কাগজশিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, আশির দশকে দেশীয় এ শিল্পের বিকাশ শুরু হলেও নব্বইয়ের দশকে বড় বড় শিল্প গ্ৰুপ এই খাতে বিনিয়োগে আসায় কাগজশিল্প স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। আমদানিনির্ভর এই খাতটি রপ্তানিতেও পা বাড়ায়। দেশের ১০৬টি কাগজকল স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে ৪০টির বেশি দেশে কাগজ রপ্তানি করছে। কাগজকলগুলোতে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছে ১৫ লাখ মানুষ, পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। এ শিল্পে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৭০ হাজার কোটি টাকা। সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্বও পাচ্ছে এই শিল্প থেকে।

চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন: দেশের কাগজকলগুলো অফসেট, নিউজপ্রিন্ট, লেখা ও ছাপার কাগজ, প্যাকেজিং পেপার, ডুপ্লেক্স বোর্ড, মিডিয়া পেপার, লাইনার, স্টিকার পেপার, সিকিউরিটি পেপার ও বিভিন্ন গ্রেডের টিস্যু পেপার উৎপাদন করে। তবে উৎপাদিত পণ্যের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই লেখা এবং ছাপার কাগজ, যা শিক্ষার অন্যতম উপকরণ। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ চাহিদার চেয়ে প্রায় দেড় থেকে দুই গুণ বেশি পণ্য উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে কাগজকলগুলোর। দেশে বিভিন্ন ধরনের কাগজের চাহিদা প্রায় ৯ লাখ টন। তবে দেশীয় কাগজকলগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১৬ লাখ মেট্রিক টন। কাগজকলগুলোর মধ্যে ২০ থেকে ৩০টি মিল বড়। বাকিগুলো ছোট কারখানা। দেশের পেপার মার্কেটের আকার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে মোট বাজারের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ লেখা ও ছাপার কাগজ পণ্য। আর অবশিষ্ট ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ অন্যান্য পণ্য।

বিপিএমএর তথ্য মতে, দেশের কাগজশিল্প খাতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ ৭০ হাজার কোটি টাকা, যার সঙ্গে ৩০০ উপশিল্প তথা সহায়ক শিল্প যেমন মুদ্রণ, প্রকাশনা, কালি প্রস্তুত, ডেকোরেশন, প্যাকেজিং ও বাঁধাই শিল্প জড়িত। 

বন্ড সুবিধার অপব্যবহার: দেশীয় কাগজশিল্প উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া স্বত্বেও বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে দেশে অবাধে ঢুকছে আমদানিকৃত কাগজ। প্রায় বিনা শুল্কে আনা এসব কাগজ খোলাবাজারে দেদার বিক্রি হওয়ায় দেশীয় কাগজশিল্প মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। আমদানিকৃত কোটেড পেপার, গ্রাফিক পেপার, ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট কার্ড, মিডিয়া পেপার, শেলফ অ্যাডহেসিভ পেপারে রাজধানীর বাজার সয়লাব। যাদের সহায়তায় এসব কাগজ বিক্রি হচ্ছে, তাদের নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে অব্যাহত রাখা হচ্ছে এ বাণিজ্য। কাগজ আমদানির বেশির ভাগ বন্ড আবার ভুয়া। অসাধু কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় কাগজ আমদানিকারকরা এত শক্তিশালী যে কয়েক দিন আগে পুরান ঢাকায় কাগজের মার্কেটে অভিযান চালাতে গেলে তাঁদের হাতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের নাজেহাল হতে হয়।

তাই দেশীয় কাগজশিল্পকে বাঁচাতে হলে আমদানিকৃত কাগজের ওপর শুল্ক বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিপিএমএর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মো. মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে পাঠ্যপুস্তকে ব্যবহারের জন্য দেশের কাগজকলগুলো গুণগত মানসম্পন্ন কাগজ সরবরাহ করে এসেছে। কাগজশিল্প বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্প খাত। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কাগজশিল্প আমদানি বিকল্প, রপ্তানিমুখী ও পরিবেশবান্ধব শিল্প খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তাই রেয়াতি সুবিধায় কাগজ আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে আত্মঘাতী। বরং ডলার সংকটের এই সময়ে যেখানে আমদানি নিরুৎসাহ করা হচ্ছে, সেখানে আমদানির ওপর আরো শুল্ক আরোপ করতে হবে এবং আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, এরই মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্প ও এর সহযোগী অন্যান্য শিল্পে বিনা শুল্কে বন্ড সুবিধার নামে কাঁচামাল হিসেবে কাগজ ও কাগজজাতীয় পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের দেওয়া বন্ড সুবিধা ব্যবহার করে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী কারখানায় ব্যবহারের কথা বলে কাগজ ও কাগজজাতীয় পণ্য আমদানি করে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে সরকার প্রতিবছর বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় কাগজশিল্প অসম প্রতিযোগিতায় পড়ে লোকসানে ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশের অর্থ বিদেশে চলে যাবে। অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য বিনা শুল্কে আমদানিকৃত কাগজজাতীয় পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করে এরই মধ্যে হাজার কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। এর সঙ্গে বিনা শুল্কে পাঠ্যপুস্তকের জন্য ব্যবহৃত কাগজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলে আর্থিক ক্ষতি আরো বাড়বে। দেশের কাগজশিল্প লোকসানে শেষ হয়ে যাবে।’

বাজেট প্রস্তাব: দেশীয় কাগজকলগুলোতে বর্তমানে আমদানি বিকল্প পণ্য সেলস কপি পেপার উৎপাদিত হচ্ছে, যা দীর্ঘদিন ধরে আমদানি করে দেশের চাহিদা মেটানো হতো। দেশের বাজারে থার্মাল পেপারের প্রচুর চাহিদা থাকায় এবং বর্তমান সরকারের উদার শিল্পনীতির সুযোগে এ যাবৎ আমদানিকৃত এই পণ্যের বিকল্প হিসেবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করছে। আমদানিকৃত শেলফ কপি পেপারের চেয়ে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ভালো। এ ছাড়া এই উন্নত মানের কাগজ তৈরি হওয়ায় আমদানিনির্ভরতা কমছে এবং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। বাজেটে কাগজশিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কাঁচামালের রাসায়নিকের আমদানি পর্যায়ে শুল্কহার হ্রাসের প্রস্তাব এবং আমদানিকৃত ফিনিশড পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপেরও দাবি করেছেন বিপিএমএর নেতারা। এ ছাড়া পরিবেশ সহায়ক শিল্পকে উৎসাহ দিতে মাইক্রো ক্যাপসুলের আমদানি পর্যায়ে কাস্টম ডিউটি (সিডি) ২৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রিজার্ভ আরও কমলো

প্রকাশ: ০৭:৪৭ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আরও কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ২১ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে গত ১ সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার।

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। ইতোমধ্যে বাইরের ছোট দায় পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে বিদেশি অর্থের মজুত হালকা ক্ষয় হয়েছে।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

কোন দেশের মুদ্রার দাম কত

প্রকাশ: ০৩:২৫ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়া বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বাংলাদেশের জন্য  সম্পদ। মূলত, তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে টাকায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-














মুদ্রা   টাকা   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একনেকে ৪১ প্রকল্প উঠছে আজ

প্রকাশ: ১০:১৮ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব ১১টি।

এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি। অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।

নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি) (১ম সংশোধিত)।

এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স, আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয় বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।


একনেক   জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ   দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা হিসাব করে)। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

রোববার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মার্চ মাসে প্রথম ২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

এ বছরের জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।

রেমিট্যান্স   প্রবাসী আয়   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতা বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে ১৮ দশমিক ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাবে বিশ্বব্যাংকের অঙ্গভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) আইডিএ।

আইডিএ ঋণের সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সুদহার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। দুটি মিলিয়ে ২ শতাংশ হয়। অউত্তোলিত অর্থায়ন স্থিতির ওপর বছরে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড বা কিস্তি অব্যাহতি ৫ বছর। আর পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরে। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশ চার হাজার কোটি ডলারের বেশি আইডিএ ঋণ নিয়েছে। বর্তমানে দেশের চলমান প্রকল্পগুলোতে আইডিএ তহবিল রয়েছে ১৬০০ কোটি ডলারের বেশি।

ইআরডি’ প্রকাশিত ‘ডেবট লাইয়াবিলিটিস টু মেজর ডেভলপমেন্ট পার্টনার’ থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

বিশ্বব্যাংকের পরই বাংলাদেশের কাছে বেশি ঋণ পাবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ১৩ দশমিক ২৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ঋণ দেওয়ার দিক থেকে তিন নম্বরে জাপান, ৯ দশমিক ২১৩ বিলিয়ন ঋণ দিয়েছে দেশটি।

এছাড়া রাশিয়া ৫, চীন ৪ দশমিক ৭৬, ভারত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ৭৪৩ মিলিয়ন, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ৬৬৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। মোট ১০টি উন্নয়ন সহযোগী ৫৫ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশের কাছ থেকে।

বিশ্বব্যাংক   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন