ইনসাইড ইকোনমি

বাংলাদেশের রফতানি ছুঁয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ২৮ জুন, ২০২২


Thumbnail বাংলাদেশের রফতানি ছুঁয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার

চলতি অর্থবছর শেষ হতে বাকি আর দুদিন। অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসেই (জুলাই-মে) দেশ থেকে পণ্য রফতানি হয়েছে ৪৭ বিলিয়ন (৪ হাজার ৭০০ কোটি) ডলারেরও বেশি মূল্যের।  চলতি মাসের প্রথম ২৫ দিনে শুধু পোশাক রফতানিই হয়েছে ৩২০ কোটি ডলারের। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন (৫ হাজার কোটি) ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের রফতানি।

রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি হিসেবেই দেখছেন নীতিনির্ধারক, ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে এ অগ্রযাত্রা টেকসই করতে সরকার ও ব্যক্তি খাতকে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করে যেতে হবে বলে মত দিয়েছেন তারা। 

খাতসংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের বছরেই দেশের রফতানি প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর বিষয়টি একটি প্রতীকী ঘটনা, যা উদীয়মান রফতানি কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে বিশেষ বার্তা বহন করছে।

রফতানি বাড়াতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি বলেন, পণ্য রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, অর্থবছর শেষে মোট রফতানি আরো বেশি হবে। আগামী দুই বছরে বাংলাদেশের রফতানি ৮০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে। এ অর্জনে সব রফতানিকারক ও শ্রমিক ধন্যবাদ প্রাপ্য। বাংলাদেশ এখন একটি শক্ত অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ব্যবসায়ীদের ভূমিকা অনেক বেশি। বাংলাদেশ আজ পাকিস্তান থেকে সব সূচকে এগিয়ে আছে, এমনকি ভারতের সঙ্গে প্রায় সাতটি সূচকে এগিয়ে। আমাদের সামনে উজ্জ্বল সম্ভাবনা। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

এদিকে আগামী অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্য নির্ধারণে গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রাথমিকভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে, আগামী অর্থবছরে শুধু পোশাক খাতের রফতানি হবে ৫০ বিলিয়ন ডলারের। সভার আলোচনায় উঠে আসে, চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে মোট ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার হয়েছে। ন্যূনতম ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে আগামী অর্থবছর রফতানি ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে। সে হিসেবে আগামী অর্থবছরের জন্য এর কাছাকাছি পরিমাণে লক্ষ্য নির্ধারণ হবে। বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগিরই আগামী অর্থবছরের লক্ষ্য ঘোষণা দেয়া হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান বলেন, জাতীয় উন্নয়নে রফতানি খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে গত এক দশকে রফতানির প্রবৃদ্ধি অনেক আশাব্যঞ্জক। মাঝে কভিডের কারণে দুই বছরের সংকট না হলে এতদিনে রফতানি ৮০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি চলে যেত। সে হিসেবে বাংলাদেশের রফতানি খাত এ পর্যন্ত যথেষ্ট ভালো করেছে। এখন আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হলো বৈচিত্র্য আনার বিষয়টি। এখনো মূলত একটি পণ্যের ওপর রফতানি ৮০ শতাংশ নির্ভর করে। এ চিত্র রূপান্তরে যথেষ্ট পরিকল্পনা ও উদ্যোগ চলমান আছে। কিন্তু সেগুলো আরো বেগবান করা দরকার। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা যাবে। আমাদের হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছর শেষে রফতানি দাঁড়াতে পারে ৫৮ বিলিয়ন (৫ হাজার ৮০০ কোটি) ডলারে। এর মধ্যে পণ্য খাতে হবে ৫০ বিলিয়ন (৫ হাজার কোটি) আর সেবা খাতে ৮ বিলিয়ন (৮০০ কোটি) ডলার।

দেশের রফতানিতে ৮০ শতাংশের বেশি অবদান রাখা তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক খাতের মাধ্যমেই রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়া অনেক বড় অর্জন। পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি রফতানি বাজার সম্প্রসারণ এবং শিল্পকে একটি টেকসই অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে জাতি হিসেবে আমাদের অর্জন এবং গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অবদান এখন আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত।

২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য আরো শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে মোট কর্মক্ষম জনসংখ্যার ২০ শতাংশ ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে সম্পৃক্ত হতে হবে। এটি অসম্ভব নয়, যদি আমরা অর্থনীতির চালিকাশক্তি পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রার পথ সুগম করতে পারি। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের অন্যতম প্রধান খাত পোশাক ও বস্ত্র শিল্প। সামষ্টিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ শিল্পের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া বাঞ্ছনীয়।

অর্থমূল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া শীর্ষ তিন পণ্য—পোশাক, পাট ও পাটজাত এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের মোট রফতানির ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশজুড়েই ছিল পণ্য তিনটি। এ আধিপত্য বজায় রয়েছে চলতি অর্থবছরেও। তবে মোট রফতানিতে বড় অবদান রাখা পণ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে হোম টেক্সটাইল। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাস শেষে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, হোম টেক্সটাইল ৪১ দশমিক ৩ এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিও বেড়েছে ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি কমেছে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পোশাক রফতানির অর্থমূল্য ছিল ৩ হাজার ৮৫২ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ২ হাজার ৮৫৬ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ডলারের। এ হিসাবে রফতানি বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। মোট রফতানির ৮১ দশমিক ৬৫ শতাংশই ছিল তৈরি পোশাক। হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানি চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে হয়েছে ১৪৬ কোটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ১০৩ কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার ডলারের। এ হিসাবে হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানি বেড়েছে ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ।

ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতি ঠিক থাকলে খুব কম সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ ১০০ বিলিয়ন ডলারের রফতানির মাইলফলকও ছুঁতে পারবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা রফতানিতে ৫০ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছি। সংকটের মধ্যেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এটা আশার কথা। তবে এখন আমাদের অনেক সতর্কও থাকতে হবে। উন্নত বিশ্বে এখন মূল্যস্ফীতি চলছে। অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে, যা আমাদের জন্য সংকটের বার্তা দিচ্ছে। তুলাসহ অন্যান্য কাঁচামালের দাম বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় সরকারকে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এরই মধ্যে কারখানায় উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। জ্বালানি সুরক্ষা নিশ্চিতেও বিনীত অনুরোধ করছি।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে হয়েছে ১১১ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৮৪ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য। এ হিসাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এদিকে পোশাক, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি বাড়লেও কমেছে বাংলাদেশের সোনালি আঁশখ্যাত পাট ও পাটজাত পণ্যের। এ পণ্যের রফতানি চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ছিল ১০৫ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ১০৮ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার ডলারের। এ হিসাবে পণ্যটি রফতানিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বা কমেছে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।

স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় এসে ৫০ বিলিয়ন রফতানিকে অনেক বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের এখনকার রফতানিতে শতকরা ৯০ ভাগই হলো শিল্পজাত পণ্য। উন্নয়নশীল দেশের নিরিখে এটি কাঠামোগত বড় পরিবর্তন। আমাদের এখন অন্তত পাঁচটা পণ্যের রফতানি ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এগুলো আমাদের অর্জন। এটা ঠিক আমরা একটা পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এটাকে আমি বলব, এমন একটা পণ্যে আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছি, যার আন্তর্জাতিক বাজার প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের। এ বাজারে তৈরি পোশাকের আরো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ   রফতানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার কোটি ডলারের ওপরে। ঈদের ছুটিসহ এক সপ্তাহে বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে ২১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। ফলে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার ৯৮৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)। এক সপ্তাহ আগে এ রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)।

বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৫৩০ কোটি ৩  লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহ আগে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৩৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমল ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে।

গত ২০ মার্চ বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার। গত ৬ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দুই সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী, কমে ১.১৬ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

স্বর্ণের দাম আবারও বাড়লো

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০  হাজার ১৯০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৮০  হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।


স্বর্ণ   দাম   বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক আলফালাহ কিনে নিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার পাকিস্তানভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ কিনে নিচ্ছে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ ও দেশটির একাধিক গণমাধ্যমের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশে পাকিস্তানি ব্যাংকটির কার্যক্রম, সম্পদ ও দায় ব্যাংক এশিয়া কর্তৃক অধিগ্রহণের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে ব্যাংক আলফালাহর পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে ব্যাংকটি এ বিষয়ে ব্যাংক আলফালাহর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল।

জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম অধিগ্রহণের বিষয়টি সব ধরনের প্রযোজ্য আইন ও বিধি মেনে করবে। অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে এখন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের অনুমোদন চাইবে ব্যাংক আলফালাহ।

বাংলাদেশে ব্যাংক আলফালাহর মোট সম্পদের স্থিতি ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ঢাকায় পাঁচটি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে একটি করে তাদের মোট ৭টি শাখা আছে। 

পাকিস্তানের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক হলো ব্যাংক আলাফালাহ। দেশটির ২০০টির বেশি শহর ও মফস্বলে তাদের ১ হাজার ২৪টির বেশি শাখা রয়েছে। এর বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থিতি আছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে ব্যাংক এশিয়া। প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কোনো বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশে থাকা কার্যক্রম ক্রয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাংক এশিয়া। এর আগে কানাডাভিত্তিক নোভা স্কোটিয়া ও পাকিস্তানের আরেক ব্যাংক মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ করেছিল ব্যাংক এশিয়া।

ব্যাংক আলফালাহ   ব্যাংক এশিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

শেয়ারবাজার: প্রথম দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ২০০ কোটি টাকা

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল, ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।

এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।

এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।


শেয়ারবাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বেসরকারি ব্যাংকের সাথে একীভূত হতে বেসিকের আপত্তি

প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চাচ্ছেন না সরকারি বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাই সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই দাবিতে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়েও স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবে বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি বলে স্বীকারই করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।

বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গভর্নরকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলেন, দেশের ক্ষুদ্র শিল্পে অর্থায়নের লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু হয়, যা ১৯৯২ সালে শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে এটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক হিসাবে সরকারি আর্থিক সেবা দিয়ে আসছে, যা ২০১৫ সালে পুরোপুরি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসাবে রূপান্তরিত হয়। বেসিক ব্যাংক প্রথম দিকে সরকারি খাতের ব্যাংক হিসাবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করেছে এবং সরকারকে বিপুল অঙ্কের মুনাফা দিয়েছে, যা অন্যান্য ব্যাংকের কাছে ছিল উদাহরণ। শেষের দিকে এসে ব্যাংকটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। বেসিক ব্যাংকে অন্য রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের অনুরূপ চাকরি বিধিমালা অনুসরণ করা হয়, যা বেসরকারি মালিকানার ব্যাংকের সঙ্গে পুরোপুরিভাবেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী, বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের গ্রেড নির্ধারণ এবং বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি প্রদান করা হয়।

পাশাপাশি বলবৎ রয়েছে কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের পেনশন সুবিধা। এছাড়া, বেসিক ব্যাংকে নিয়োগ ও পদন্নোতিতে সম্পূর্ণরূপে সরকারি ব্যাংকের অনুরূপ বিধিবিধান অনুসরণ করা হয়। এছাড়া বেসিক ব্যাংকে ১২তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীগণের স্থায়ী চাকরি বিদ্যমান রয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে বেসিক ব্যাংকে সরকারি শ্রম অধিদপ্তর অনুমোদিত ও রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত একীভূতকরণের পদক্ষেপকে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি টেলিভিশন, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের বরাতে জানতে পারি যে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্র মালিকানাধীন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক মার্জারের পরিকল্পনা করা গ্রহণ করা হয়েছে, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে, বেসরকারি মালিকানাধীন সিটি ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক মার্জারের বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছে তা একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অযৌক্তিক।

যেখানে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক অন্য দুটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ হতে চলেছে সেখানে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংককে কেন বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে মার্জারের আলোচনা চলছে? মার্জার প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই বৈষম্য কাম্য নয়। এ ধরনের বৈষম্যনীতি পরিহার করে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মার্জার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংককে অন্য একটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে মার্জারের জন্য আবেদন জানানো হয়।

দেশের অন্যান্য সরকারি ব্যাংকের ন্যয় শতভাগ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উল্লিখিত বিষয়গুলোর সঙ্গে বেসরকারি কোনো ব্যাংকের সামঞ্জস্যতা নেই। ইতোমধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনেকেই সরকারি ব্যাংকের পদোন্নতির অধীনে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে সোনালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদায়নের পর কয়েক মাস আগে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, রূপালী ব্যাংক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে দুজনকে ডিএমডি হিসাবে, একজনকে জনতা ব্যাংকে এবং দুজনকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে জিএম হিসাবে পদায়ন করা হয়।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বেসিক ব্যাংকেরা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি নন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, বেসিক সরকারের কোনো ব্যাংক অর্ডারের দ্বারা স্থাপিত ব্যাংক নয়। সোনালী ব্যাংকের যেমন ব্যাংক অর্ডার আছে, বেসিকের তেমন নেই। একটা আইন দ্বারা কিন্তু সোনালী, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত। বেসিক ব্যাংক কোনো আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত নয়। সরকার যেমন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ড করে, তেমনি বেসিকেরও শেয়ার হোল্ড করে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি আর বেসিকের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সরকার যেটা রেভিনিউ থেকে দেয় সেটাই কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে সরকারের কমার্শিয়াল কাজের জন্য স্টাবলিস্ট করা। বেসিকও তেমন একটা প্রতিষ্ঠান। বেসিক স্পেশালাইজ একটা ব্যাংক ছিল যেটা একটা বিশেষ উদ্দেশ্য গঠন করা হয়েছিল। এটা কিন্তু ব্যাংক হিসাবে সরকারের আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়।

একীভূতকরণের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে: ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, এটা একটা লং টার্ম প্রসেস। এটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া অতিক্রম হতে হবে। বেশকিছু পদক্ষেপের পর চূড়ান্তের বিষয় আছে। এখানে আইনগত বিষয় আছে, অডিটের বিষয় আছে। মার্জারের বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হবে আদালতে।

তিনি আরও বলেন, এসব প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। মার্জারের আলোচনা বা প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় কোনো দুর্বল ব্যাংক যদি সবল হয়, সে যদি চায় তারা মার্জারে যাবে না তবে চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মার্জারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারবে। কোনো কারণে ব্যাংক যদি একীভূত না হয়, তবে সেই ব্যাংকগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে।

পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অডিটর নিয়োগ করেছি। এ প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক দুটির সম্পদ মূল্যায়ন করবে। এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এজন্য ব্যাংক দুটির সম্পদ মূল্যায়ন করতে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান রহমান রহমান হক’কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে।


একীভূত   বেসিক ব্যাংক   সিটি ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন