ইনসাইড ইকোনমি

ফের ডলারের বিপরীতে কমলো টাকার মান

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ২৮ জুন, ২০২২


Thumbnail ফের ডলারের বিপরীতে কমলো টাকার মান

ডলারের বিপরীতে আরও ৫০ পয়সা দর হারিয়েছে টাকা। মঙ্গলবার (২৮ জুন) আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলার বিক্রি হয় ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সায়। এর আগে গতকাল সোমবার প্রতি ডলার বিক্রি হয় ৯২ টাকা ৯৫ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত বছরের ৩০ জুন আন্তঃব্যাংকে প্রতি এক ডলারের জন্য ব্যাংকগুলোকে ৮৪ টাকা খরচ করতে হয়েছিল। আজ (২৮ জুন) তা ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা হয়েছে। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। সবশেষ এক মাসের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে ৫ শতাংশ কমেছে টাকার মান। আর চলতি বছরে ডলারের বিপরীতে অন্তত ১৩ বার মান হারিয়েছে টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, আন্তঃব্যাংক রেট ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সায় বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী (এডি) ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাংকের নির্ধারিত রেটই কার্যক্রম হবে সেসব ব্যাংকে। অর্থাৎ বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্ব-স্ব ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করতে পারবে। আজ (মঙ্গলবার) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা দরে চার কোটি ২০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে।

তবে এদিন খোলাবাজারে ডলারের দাম ১০০ টাকার ওপরে। এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিক্রি করেছে ৯৩ থেকে ৯৫ টাকার মধ্যে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

`পদ্মা ব্যাংকের গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না’

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হয়েছে কয়েক বছর ধরে ধুঁকতে থাকা চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক। তবে এতে পদ্মা ব্যাংকের গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

সোমবার (১৮ মার্চ) মাতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মেজবাউল হক বলেন, একীভূত হয়েছে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। যতো আইনি প্রক্রিয়া আছে সব সম্পন্ন করতে একটু সময় লাগবে। তবে দ্রুত সম্পন্ন করতে চেষ্টা করা হচ্ছে।

সকল প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়ে শিগগিরই একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। পদ্মা ব্যাংক থেকে যারা ঋণ নিয়েছেন তাদেরকে অবশ্যই সেটি পরিশোধ করতে হবে। কোনো গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। 

যারা ব্যাংকের ক্ষতিকর কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরও বলেন, পদ্মা ব্যাংকে অডিটরের পর যেসব তথ্য আসবে সেই অনুযায়ী সব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 

এর আগে মাতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংক একীভূতকরণে সমঝোতা স্মারক সই করেছে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।



বাংলাদেশ ব্যাংক   ব্যাক   পদ্মা-এক্সিম ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সবলে দুর্বল ব্যাংক যেভাবে বিলীন

প্রকাশ: ১২:০৩ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ব্যাংকিং খাত শক্তিশালী করতে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার (মার্জার) উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ব্যাংকগুলো চাইলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নিজেরাই একীভূত হতে পারবে। তা না হলে বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন অবস্থানের পর পদ্মা ব্যাংককে অধিগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। পর্যায়ক্রমে আরও সাত থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংক অন্য কোনো সবল ব্যাংকে বিলীন হবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূত করার ক্ষমতা পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই ক্ষমতা বলেই সাত থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে কয়েকটি ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা করছে আর্থিক খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংকগুলো নিজেরা একীভূত হতে না পারলে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৭৭ ধারা প্রয়োগ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই প্রক্রিয়ায় দুর্বল ব্যাংকের সম্পদ (অ্যাসেট) ও দায় (লায়াবিলিটিস) বাদ দিয়ে যে পরিমাণ শেয়ার থাকবে, ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা সেই অনুপাতে সবল ব্যাংকের মালিকানা পাবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের বর্তমানে ১৫টির মতো দুর্বল ব্যাংক রয়েছে। এগুলোর আর্থিক পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক’ ব্যবহার করে তাদের আর্থিক অবস্থা নিজেরাই নির্ণয় করতে পারবে। এরপর যেসব ক্ষেত্রে তাদের দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলোকে কাটিয়ে উঠতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ব্যাংকগুলো নিজেরা আলোচনা করে একাধিক ব্যাংক একীভূত হতে পারবে। যদি তারা নিজেরা একীভূত না হয়, তাহলে ডিসেম্বরে ব্যাংকের আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করে আগামী মার্চ থেকে ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করা হবে মূলধন ঘাটতি, উচ্চ খেলাপি ঋণ, তারল্য এবং প্রতিষ্ঠানে সুশাসনের কতটা ঘাটতি রয়েছে, তার ভিত্তিতে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক কালবেলাকে বলেন, ‘নিজেরা একীভূত হতে চাইলে আগামী ৬ মাসের মধ্যেই ব্যাংকগুলোকে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। না হয় আগামী মার্চে ব্যাংকের ডিসেম্বরভিত্তিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

যে প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছায় একীভূত হবে ব্যাংক:

যদি দুই বা তার অধিক ব্যাংক নিজেরাই একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাহলে প্রথমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতিক্রমে তাদের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। এই চুক্তির অধীনে তারা একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক দুই ব্যাংকেরও সম্পদ ও দায় নির্ধারণের জন্য একটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (অডিট ফার্ম) নিয়োগ দেবে। এ ক্ষেত্রে নিরীক্ষকের ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও ২০০৭ সালের একীভূত নীতিমালা অনুযায়ী এই ব্যয় বহন করত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। কিন্তু ব্যাংক যাতে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রভাবিত করতে না পারে, সেজন্যই এই দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নেওয়া হয়েছে। নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর সম্পদ থেকে দায় বাদ দেওয়া হবে। এরপর যে পরিমাণ সম্পদ থাকবে, তার ভিত্তিতে শেয়ারহোল্ডারদের আনুপাতিক মালিকানা নির্ধারণ করা হবে এবং সে অনুযায়ী সবল ব্যাংকের শেয়ার দেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে সম্পদ ও দায় নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হলে তারা অডিট প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে। এতে একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হতে পারে। এজন্যই এ দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছে। এই অডিটের অর্থও পরিশোধ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’

এ ছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক বা একাধিক ব্যাংক নিজেরা একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাদের পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমতি নিতে হবে। আর তালিকাভুক্ত না হলে এই অনুমতি প্রয়োজন হবে না।

গড়ে তোলা হবে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি

দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলো মন্দ সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই ব্যাংক একীভূত করার আগে গড়ে তোলা হবে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। যারা দুর্বল ব্যাংকের খারাপ সম্পদগুলো কমমূল্যে ক্রয় করে নেবে। এতে দুর্বল ব্যাংক ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে তার খারাপ সম্পদের দায় বহন করতে হবে না। একই সঙ্গে তুলনামূলক ভালো ব্যাংকেরও খারাপ সম্পদগুলো কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে। এর পরই ব্যাংকের চূড়ান্ত সম্পদ ও দায় নির্ধারণ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, খারাপ অ্যাসেটের পরিমাণ বেশি হলে বিদেশি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ব্যাংকগুলোকে। বিশেষ করে বিদেশি ব্যাংকগুলো এসব ব্যাংকের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চায় না। এ কারণে দেশীয় ব্যাংকগুলোকে দেশে সক্রিয় বিদেশি ব্যাংকগুলোর সহায়তা নিতে হয়। এর মূল্য হিসাবে ওইসব বিদেশি ব্যাংকগুলোকে আড়াই থেকে ৩ শতাংশ কমিশন গুনতে হয়। অথচ পাকিস্তানেও এই কমিশনের পরিমাণ মাত্র ১ থেকে দেড় শতাংশ। অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাছে খারাপ অ্যাসেট বিক্রি করে দিলে বিদেশি বাণিজ্যে কম কমিশন গুনতে হবে ব্যাংকগুলোকে। এতে কমিশন হিসেবে বেরিয়ে যাওয়া ডলার বেঁচে যাবে।

যেই প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূত করবে ব্যাংক:

সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৭৭ক ধারায় (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘অন্য কোন আইন বা কোন চুক্তি বা কোন দলিল বা এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানির বা উহার আমানতকারীগণের স্বার্থে বা জনস্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহার বিষয়ে আশু সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানির কার্যাবলি এবং উহার পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।’

অর্থাৎ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি, উচ্চ খেলাপি ঋণ, তারল্য এবং প্রতিষ্ঠানে সুশাসনের ঘাটতি দূর করতে ব্যাংকগুলোকে সময় বেঁধে দেওয়া হবে, যা বর্তমানে চলমান। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৭৭ ধারা প্রয়োগ করে সরকারের পরামর্শে ক্রমে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণ বন্ধ করে দিতে পারবে। এরপর বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ব্যাংক যদি তাদের শর্ত পূরণ না করে, তাহলে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৭৭ক ধারায় (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই ধারার অধীন গৃহীত ব্যবস্থায় যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানি পুনরুদ্ধার কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয় বা পুনরুদ্ধার কর্ম পরিকল্পনা অনুসরণ না করিয়া উক্ত ব্যাংক-কোম্পানির চেয়ারম্যান, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী বা ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানি বা উহার আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ অব্যাহত রাখে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, আমানতকারীদের স্বার্থে বা জনস্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানির যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে, ধারা ৭৭-এর বিধান সাপেক্ষে, অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানির সহিত বাধ্যতামূলক একত্রীকরণ বা উহার পুনর্গঠন বিষয়ে যে কোন এক বা একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।’

আর ৭৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যাংকের ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ, পুনর্গঠন বা একত্রীকরণের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বিধান বা আপাতত বলবৎ আইন বা কোন চুক্তি অথবা অন্যকোন দলিল যাই থাকুক না কেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যাংকের ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার প্রয়োজন রয়েছে বা তাহলে সেই রূপ আদেশ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের নিকট আবেদন করতে পারবে। সরকার অনুমতি দিলে ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উপধারা (১) এ আদেশ বলবৎ থাকাকালে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, জনস্বার্থে বা আমানতকারীদের স্বার্থে বা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার স্বার্থে বা দেশের সামগ্রিক ব্যাংক-ব্যবস্থার স্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানির পুনর্গঠনের বা অন্য কোনো ব্যাংক প্রতিষ্ঠান, অতঃপর এই ধারার হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক বলিয়া উল্লিখিত, এর সহিত উক্ত ব্যাংক-কোম্পানির একত্রীকরণের জন্য স্কিম প্রণয়ন করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুরূপ স্কিম প্রণয়ন করিতে পারিবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক যদি মনে করে কোনো দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার প্রয়োজন, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের পরামর্শক্রমে সেই কার্যক্রম শুরু করবে। অর্থাৎ এটি একটি বড় সিদ্ধান্ত হওয়ায় সরকারকে অবহিত করেই ব্যাংক একীভূত করতে হবে। তবে ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।’



বাংলাদেশ ব্যাংক   ব্যাংক   শক্তিশালী   দুর্বল ব্যাংক   একীভূত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক্সিম-পদ্মা একীভূতকরণে আজ চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ১৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সংকটে থাকা পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে নিজ উদ্যোগে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংক। এ লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের এই ব্যাংক দুটির মধ্যে আজ সোমবার একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হবে। দুর্বল ব্যাংক একীভূত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর দুটি ব্যাংকের একীভূত হওয়ার এটিই প্রথম সিদ্ধান্ত।

জানা গেছে, আজ সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর হবে। এতে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দুই ব্যাংকের উদ্যোক্তারাও উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ প্রসঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার কালবেলাকে বলেন, এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বেসরকারি পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চুক্তির পর একীভূত কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, পদ্মা ব্যাংকের সম্পদ ও দায় যা আছে সব এখন এক্সিম ব্যাংকে চলে আসবে। পদ্মা ব্যাংক বলে কোনো ব্যাংক থাকবে না। তবে পদ্মা ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো সমস্যা হবে না। আর ওই ব্যাংকের আমানতকারীরা একীভূত হওয়ার পর থেকে এক্সিম ব্যাংকের আমানতকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন। সব মিলিয়ে কারও কোনো ক্ষতি হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ভালো ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে শিগগিরই একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই নীতিমালার আওতায় একীভূত হওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

জানা গেছে, পদ্মা ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে, যা কিনে নেবে একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। ফলে যে কারণে ব্যাংকটির সম্পদের (ঋণ ও বিনিয়োগ) মান খারাপ হয়ে পড়েছে, তা আর থাকবে না। এরপর ভালো সম্পদগুলো নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে এক্সিম ব্যাংক। এর ফলে এক্সিম ব্যাংকের সূচক খারাপ হয়ে পড়ার কোনো শঙ্কা নেই।

২০১৩ সালের ফারমার্স ব্যাংক নামে অনুমোদন পায় বর্তমান পদ্মা ব্যাংক। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে এ ব্যাংকেই বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। এরপর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ফারমার্স ব্যাংকের নাম বদলে রাখা হয় পদ্মা ব্যাংক। ২০১৭ সালে এ ব্যাংকটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত হয় সরকারি একাধিক ব্যাংক ও সংস্থা। ব্যাংকটির ৬০ শতাংশ ঋণই এখন খেলাপি।

এদিকে, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক—এই ঘোষণা দিয়ে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেছে এক্সিম ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১৮৭তম বৈঠকে পদ্মা ব্যাংককে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।



এক্সিম-পদ্মা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিশেষ ধারে পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের তারল্যে উন্নতি

প্রকাশ: ১১:১০ এএম, ১৭ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে ১০টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তারল্য–সহায়তায় ইসলামী ধারার পাঁচটি ব্যাংক বড় ঘাটতি থেকে হঠাৎ বড় ধরনের উদ্বৃত্ত অবস্থায় এসেছে। ব্যাংকগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

তবে এর মধ্যে সংকট থেকে উদ্বৃত্ত অবস্থায় আসা পাঁচ ব্যাংকের বাইরের অন্য ব্যাংকগুলো হচ্ছে আইসিবি ইসলামিক, এক্সিম, শাহ্জালাল ইসলামী, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।

ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোকে নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনমতে, তারল্য উদ্বৃত্ত হলেও শরিয়াহভিত্তিক এসব ব্যাংক আমানতে পিছিয়ে পড়েছে। অর্থাৎ প্রচলিত ব্যাংকগুলোতে যে হারে আমানত বেড়েছে, ইসলামি ব্যাংকগুলোতে সে হারে বাড়েনি। মূলত শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি ব্যাংকে সংঘটিত নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর আমানতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

কয়েকটির দায় পড়ছে সবার ওপর

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংক খাতে সার্বিক আমানত বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে শরিয়াহ্ভিত্তিক ১০টি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের ইসলামি সেবাকেন্দ্রিক আমানত হচ্ছে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ২৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ ছিল ইসলামি ধারার ব্যাংকে।

গত বছরের মার্চে মোট আমানতে ইসলামি ধারার হিস্যা ছিল ২৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। তখন ব্যাংক খাতে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ২৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসলামি ধারার আমানত ছিল ৪ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা।

এদিকে আমানতে পিছিয়ে পড়লেও ঋণ বা বিনিয়োগে থেমে নেই শরিয়াহভিত্তিক কিছু ব্যাংক। গত বছরের মার্চে ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ২৮ দশমিক ১৫ শতাংশ ছিল ইসলামি ধারার, যা গত ডিসেম্বরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।



একটি ইসলামি ধারার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, কয়েকটি ইসলামি ব্যাংকের অনিয়মের দায় পড়েছে এই ধারার সব ইসলামি ব্যাংকের ওপর। এর ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিশ্চুপ থাকায় সবার জন্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। সে জন্য আমানতকারী অনেকেই অন্যান্য ব্যাংকে চলে যাচ্ছেন।

ঘাটতি থেকে হঠাৎ উদ্বৃত্তে

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইসলামী ব্যাংকে প্রায় ৬৫৮ কোটি টাকার তারল্যঘাটতি ছিল। তবে গত ডিসেম্বর শেষে উদ্বৃত্ত তারল্য দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। একই সময়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উদ্বৃত্ত তারল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। অথচ গত সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটিতে তারল্যঘাটতি ছিল প্রায় ৮২৬ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরের শেষে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্বৃত্ত তারল্য দাঁড়ায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। কিন্তু সেপ্টেম্বরে তারল্যঘাটতি ছিল ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর শেষে ইউনিয়ন ব্যাংকের তারল্যঘাটতি ছিল ৪৮৩ কোটি টাকা, তবে ডিসেম্বর শেষে উদ্বৃত্ত তারল্য দাঁড়ায় ২০০ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে তারল্য উদ্বৃত্ত হয় ৪০০ কোটি টাকা, এর আগে সেপ্টেম্বরে ঘাটতি ছিল ৪৬৫ কোটি টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বার্ষিক আর্থিক অবস্থা ভালো দেখাতে ২০২৩ সালের শেষ কার্যদিবসে এই পাঁচ ব্যাংকসহ মোট ৭টি বেসরকারি ব্যাংককে কোনো জামানত ছাড়াই প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ধার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতেই তারল্য উদ্বৃত্ত হয় পাঁচ ইসলামি ব্যাংকে।

এসব ব্যাংক অনেক দিন ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত নগদ জমার হার (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমার হার (এসএলআর) সংরক্ষণ করতে পারছিল না। এসএলআরের জন্য এসব ব্যাংকের কাছে যেসব ট্রেজারি বিল ও বন্ড ছিল, তা বন্ধক রেখে ধার করা টাকা খরচ করে ফেলেছিল। নতুন করে ধার নেওয়ার কোনো উপায় বা উপকরণ তাদের হাতে ছিল না। কেবল আগে নেওয়া ধারের মেয়াদ বাড়াচ্ছিল। শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের আন্তব্যাংক লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে পরিচালিত চলতি হিসাবও ঋণাত্মক হয়ে পড়েছিল। তবে সম্প্রতি কোনো কোনো ব্যাংকের উন্নতি হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে ইসলামি ধারার অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে ৭০৫ কোটি টাকা ও আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে প্রায় দেড় শ কোটি টাকার উদ্বৃত্ত তারল্য ছিল।



বাংলাদেশ ব্যাংক   ব্যাংক   শরিয়াহ ব্যাংক   তারল্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি সরকার : সিপিডি

প্রকাশ: ০২:৪২ পিএম, ১৬ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

২০২৩-২০২৪ চলতি অর্থ বছরে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিগত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের চলমান ধারা পর্যবেক্ষণ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে।

শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি’র কার্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে সিপিডির সুপারিশমালা শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এসব কথা বলেন।

ফাহমিদা বলেন, এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিন্ম ও স্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিন্মগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই প্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা আমরা দেখতে চাই বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিন্ম মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই। বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই।

তিনি বলেন, আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেটই হবে কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন-গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬.৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩.৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাজস্ব ঘটতি আগের মতোই চলমান থাকবে। যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি।

অন্যদিকে, সরকারি ব্যয়ে সংযম লক্ষ্য করছি। ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় ২৫.৫ শতাংশ দেখতে পাচ্ছি। গত বছরে ২৭ শতাংশের মতো ছিল। যেখান থেকে আরও কমেছে। নিজস্ব আর্থিক ব্যবস্থা ও আইএমএফ পরামর্শে ব্যয় কমেছে। ওই সময় বাজেট ঘাটতি বেশ কমেছে, বাজেট ঘাটতি ৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। যেখানে গত অর্থবছরের এই সময়ে ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাজেট ঘাটতি পূরণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তিখাতে ঋণ প্রবাহ কমে গেছে। 

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে ফাহমিদা বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর ও গ্রামে দুটোই জায়গায় বেশি ছিল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ খুব বেশি প্রভাবে ফেলতে পারিনি।


সিপিডি   রাজস্ব ঘাটতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন