ইনসাইড ইকোনমি

কোথায় গেলো বিপিসি’র টাকা?

প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail কোথায় গেলো বিপিসি’র টাকা?

সম্প্রতি বাংলাদেশের ইতিহাসে জ্বালানী তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়ানো নিয়ে চলছে নানা রকম আলোচনা সমালোচনা। অন্যদিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) বলছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর ভর্তুকিতে তেল বিক্রি করে লোকসানে তাদের প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। বিপিসির বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি দেউলিয়া হতে যাচ্ছে বিপিসি? যদি তা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যাংক গ্রাহক বিপিসির হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল?

বলা হচ্ছে ভর্তুকিতে তেল বিক্রি করে ক্রমাগত লোকসান গুনতে গুনতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার কারণে হঠাৎ এমন মূল্য বৃদ্ধি। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী বিগত ৮ বছরে তেল বিক্রিতে কোন ভর্তুকি নয় বরং মুনাফা অর্জন করেছে বিপিসি।  

‘বাংলাদেশ ইকনমিক রিভিউ ২০২২’ এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৪-২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জ্বালানি তেল বিক্রিতে সরকারের মুনাফার পরিমাণ: 
২০১৪-১৫: ৪১২৬.০৮ কোটি টাকা
২০১৫-১৬: ৯০৪০.০৭ কোটি টাকা
২০১৬-১৭: ৮৬৫৩.৪০ কোটি টাকা
২০১৭-১৮: ৫৬৪৪.৩৭ কোটি টাকা
২০১৮-১৯: ৪৭৬৮.৪২ কোটি টাকা
২০১৯-২০: ৫০৬৬.৫৪ কোটি টাকা
২০২০-২১: ৯৫৫৯.৪৫ কোটি টাকা
২০২১-২২ (২৩শে মে,২০২২ পর্যন্ত): ১২৬৩.৭৮ কোটি টাকা 

শুল্কআয় ছাড়াও এই কয়েক বছরে সরকার তেল থেকে মোট মুনাফা আয় করে ৪৮ হাজার ১২২ কোটি ১১ পয়সা। ২০১৩ সালে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের মূল্য ৯৪ ডলার থেকে কমতে কমতে ২০১৬ সালে ৪০ ডলারের নিচে নেমে আসে। কিন্তু বিপিসির পক্ষ থেকে তারপরও দাম কমানো হয়নি। কেবল ২০১৬ সালের এপ্রিলে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৩ টাকা কমানো হয়েছিল। তবুও কম দামে তেল কিনে তা দেশের বাজারে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রির কারণে প্রতি বছরই এমন হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে বিপিসি। তাহলে এখন কেন সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববাজার জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি, অন্যান্য দেশের সাথে জ্বালানী তেলের মূল্য সমন্বয় এসব কথা কথা হচ্ছে? বিশ্ব বাজারে যখন জ্বালানী তেলের মূল্য কম ছিল তখন কেন তেলের দাম কময়ে সমন্বয় করা হল না? সংকটের সময় জনগণের কাছ থেকে আয় করা মুনাফার টাকা খরচ না করে কেন জনগণের উপরই আবার ৫০% মূল্য বৃদ্ধি চাপিয়ে দেয়া হলো?

চলতি বছরের ১২ জুন বিপিসির তৈরি এক প্রতিবেদন বলছে, প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে মোট ২৫ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা জমা ছিল। যার মধ্যে নগদ অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা এবং ১৪ হাজার ১০৬ কোটি টাকা ছিল দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদী আমানত বা এফডিআর হিসেবে। এসব দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদী এফডিআর থেকেও বড় অংকের মুনাফা পায় বিপিসি। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে যে, এই মুনাফার প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা আইনি ক্ষমতাবলে অর্থ মন্ত্রণালয় নিয়ে গেছে। এছাড়াও ব্যাংকে জমা রাখা এফডিআরের বিপরীতে সিকিউরড ওভার ড্রাফট বা এসওডি নিয়েছে বিপিসি, যা দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কি ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে কোথায় কত টাকা খরচ করা হয়েছে কোন প্রশ্নেরই সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।

এফডিআরের বিপরীতে এসওডি নেয়া হলে বেশ চড়া সুদ গুনতে হয়। যা পরবর্তী কোয়ার্টারে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাস শেষ হলেই সুদ সহ বিপুল পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হবে বিপিসিকে। সরকারের দায়িত্বশীল বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায় যে, ব্যাংকে আমানত রাখা এফডিআরের বিপরীতে এসওডি নেয়ার ফলে এমন পরিস্থিতিতে পরেছে বিপিসি। এই চাপ সামাল দিতেই কি তাহলে হঠাৎ এই মূল্য বৃদ্ধি? সাধারণ মানুষের লাভ তাহলে কোথায়? দেশের সাধারণ মানুষরা কি বারবার শুধু ঠকেই যাবে?



বিপিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

টানা বৃষ্টির প্রভাবে চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি

প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই দেশব্যাপী চলছে অব্যাহত বৃষ্টি। টানা এই বৃষ্টির কারণে সবজির বাজারে পড়েছে এর প্রভাব। বাজারে তুলনামূলক সবজি কম থাকায় প্রচুর দাম বাড়াতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। এই অবস্থায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রয়োজনীয় বাজার করে ঘরে ফিরছে সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা এলাকার বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

দাম বাড়ার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম, তাই বেশি দামেই আমাদের কিনে আনতে হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যেখানে দুইদিন আগেও ছিল ৪০ টাকা কেজি। বেগুনও বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকায়। এদিকে শীতের সময়ে সবচেয়ে কমদামে থাকার কথা যেই সবজির, সেই ফুলকপি-বাঁধাকপিও বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে।

এছাড়াও বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ কেজি। দুইদিন আগেও এই কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।

এদিকে আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাকের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে, ফলে ছিল দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি।

এক আঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া লাউশাক ৫০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী হাসান মাহমুদ বলেন, শুক্রবার এলেই শাক-সবজির দাম বেড়ে যায়। এখন প্রায় প্রতিটি শীতের সবজিই বাজারে চলে এসেছে, তারপরও দাম কমছে না। যা দাম চাচ্ছে তাই দিতে হবে, নাহয় সামনে দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই। এরকম অবস্থায় খেয়েপরে বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়েই আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাজারগুলোতে কোনো মনিটরিং কোনোদিন দেখিনি। বাজার কমিটিও থাকে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ধান্দায়। সরকারও যেন সিন্ডিকেটের কাছে বন্দী। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?

এক ভ্যানচালক বলেন, এমনিতেই দিন খারাপের দিনে আয় রোজগার কম, তারপর আবার জিনিসপত্রের দাম বেশি। আমাদের মতো গরিব মানুষের হয়েছে যন্ত্রণা। ভারী কাজ করতে হয় বলে না খেয়েও থাকা যায় না। কিন্তু এই দামের কাছে তো আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।

দাম প্রসঙ্গে শাক বিক্রেতা কালাম ইসলাম বলেন, সকালে কারওয়ান বাজারে গিয়ে খুব বেশি শাক পাইনি। কম করেই এনেছি, এরমধ্যেই আমার লাভটা বের করে নিতে হবে। আমাদেরও তো পরিবার সংসার আছে, দুইটা টাকা যদি লাভ না করতে পারি, তাহলে ব্যবসা করে কী লাভ!

তিনি বলেন, দুইদিনের বৃষ্টিতে অনেকেরই শাক নষ্ট হয়েছে, আজকের দিন এভাবে থাকলে দাম হয়তো আরও বাড়তে পারে। তবে দিন ভালো হয়ে গেলে আবার দুইদিনেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

আরেক সবজি বিক্রেতা বলেন, বৃষ্টিতে আমাদেরও সবজি নষ্ট হয়, তাই সব ব্যবসায়ীরাই কম কম কিনে। আবার পাইকারি বাজারেও যে সবজি খুব বেশি তা না। বৃষ্টির কারণে ঢাকায় সবজি ঢুকেই কম। যে কারণে বাধ্য হয়েই দামটা একটু বাড়িয়ে রাখতে হয়।

বিক্রেতা রাসেল মিয়া বলেন, শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করলেও তুলনামূলক চাহিদা অনেক বেশি। দাম বেশি, তারপরও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে যা দেখে আমরাও অবাক। তারমানে চাহিদা অনুপাতে সবজির পরিমাণ কম। যে কারণে বাধ্য হয়েই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।


বাজার দর   ঢাকা সিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সেরা করদাতা তালিকায় সাকিব-তামিম

প্রকাশ: ০৯:৪৪ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

২০২২-২০২৩ করবর্ষে মোট ১৪১ ব্যক্তি, কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতা হিসেবে ‘ট্যাক্স কার্ড’ দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তালিকায় খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে রয়েছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল খান ও মোহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সেরা করদাতাদের তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসুর সই করা প্রজ্ঞাপনে মোট ৭৬ জন ব্যক্তি, ৫৪ কোম্পানি ও অন্যান্য ক্যাটাগরির ১১টিসহ মোট ১৪১ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, খাজা তাজমহল, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, ফজলুর রহমান ও আব্দুল মুক্তাদির।

গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীল মুক্তিযোদ্ধা- এ মতিন চৌধুরী, মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, ডা. মো. আমজাদ হোসেন, মো. জয়নাল আবেদীন ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু সালেহ মো. নাসিম (অব.)।

প্রতিবন্ধী- আকরাম মাহমুদ, ডা. মো. মামুনুর রশিদ ও মো. শাহজামাল।

মহিলা- আনোয়ারা হোসেন, শাহনাজ রহমান, নিলুফার ফেরদৌস, মিতুলী মাহবুব ও ডা. শায়লা আফ্রিন খন্দকার।

তরুণ (৪০ বছর বয়সের নিচে)- আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, মো. শাহেদ শাহরিয়ার, সারদিন আহমেদ অন্তু, নাসিরুদ্দিন আকতার রশীদ ও রাকেশ কুমার।

ব্যবসায়ী- মো. কাউস মিয়া, গাজী গোলাম মূর্তজা, ওয়ালটন গ্রুপের এস এম আশরাফুল আলম, এস এম শামছুল আলম ও এসএম মাহবুবুল আলম।

বেতনভোগী- মোহাম্মদ ইউসুফ, রুবাইয়াৎ ফারজানা হোসেন, হোসনে আরা হোসেন, লায়লা হোসেন ও এম এ হায়দার হোসেন।

ডাক্তার- ডা. জাহাঙ্গীর কবির, অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক, অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ডা. এন এ এম মোমেনুজ্জামান ও ডা. লুৎফুল লতিফ চৌধুরী।

সাংবাদিক- ফরিদুর রেজা, মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমান, শাইখ সিরাজ ও মোহাম্মদ আবদুল মালেক।

আইনজীবী- ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, আহসানুল করিম, তৌফিকা আফতাব, ব্যারিস্টার নিহাদ কবির ও কাজী মোহাম্মদ তানজীবুল আলম।

প্রকৌশলী- প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও এ এইচ এম জহিরুল হক

স্থপতি- মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, মো. রফিক আজম, খান মোহাম্মদ মুস্তাফা খলীদ

অ্যাকাউন্ট্যান্ট- মো. ফারুক এফসিএ,  মাশুক আহমদ এফসিএ ও স্নেহাশীষ বড়ুয়া।

নতুন করদাতা- রায়ান মাইকেল ওট, মো. আলী নুর, মো. রফিকুল ইসলাম, জারা জেরিন জামান, আনতারা জাইমা ও মোহাম্মদ আমিনুল হক।

খেলোয়াড়- সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ ও তামিম ইকবাল খান।

অভিনেতা-অভিনেত্রী- মাহফুজ আহমেদ, ফরিদা আকতার ববিতা, মো. সিয়াম আহমেদ।

শিল্পী (গায়ক-গায়িকা)- তাহসান রহমান খান, এস ডি রুবেল, মমতাজ বেগম

অন্যান্য- এস এ কে একরামুজ্জামান, মো. মনির হোসেন ও নাফিস সিকদার।

কোম্পানি পর্যায়ে

ব্যাংকিং ক্যাটাগরি- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক- বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ও ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি।

অ-ব্যাংকিং আর্থিক- ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি ও বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ও ফান্ড লিমিটেড।

টেলিকমিউনিকেশন- গ্রামীণফোন লিমিটেড

প্রকৌশল- বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ স্টিল বোলিং মিলস ও বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক- নেসলে বাংলাদেশে পিএলসি, প্রাণ ডেইরি লিমিটেড ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

জ্বালানি- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, শেভরন বাংলাদেশ ব্লক থার্টিন অ্যান্ড ফার্টিন লিমিটেড ও পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড।

পাট শিল্পে- আকিজ জুট মিলস, আইয়ান জুট মিলস লিমিটেড ও পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেড।

স্পিনিং ও টেক্সটাইল- স্কয়ার টেক্সটাইলস পিএলসি, কোটস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাদশা টেক্সটাইলস লিমিটেড, এন. জেড. টেক্সটাইল লিমিটেড, কামাল ইয়ার্ন লিমিটেড, এ সি এস টেক্সটাইল লি. ও ফখরুদ্দীন টেক্সটাইল মিলস লি.।

ওষুধ ও রসায়ন- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড।

প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া- মিডিয়া স্টার লিমিটেড, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড, সময় মিডিয়া লিমিটেড ও টাইমস মিডিয়া লিমিটেড।

রিয়েল এস্টেট- স্বদেশ প্রপার্টিজ, শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড ও এডব্লিউআর ডেভেলপমেন্টস বিডি (লি.)।

তৈরি পোশাক- ইউনিভার্সাল জিন্স লিমিটেড, রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড, ইয়াংওয়ান হাইটেক স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, স্কয়ার ফ্যাশনস, নাইস ডেনিম মিলস লিমিটেড, ফকির ডেনিম মিলস লিমিটেড ও তিতাস স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

চামড়া শিল্প- বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, অ্যালায়েন্স লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ও এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড।

অন্যান্য- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, সাধারণ বীমা করপোরেশন, আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড।

অন্যান্য করদাতা পর্যায়ে ট্যাক্স কার্ড পাচ্ছেন যারা

ফার্ম- মেসার্স এস. এন করপোরেশন, মেসার্স মো. জামিল ইকবাল, ওয়ালটন প্লাজা ও মেসার্স ছালেহ আহাম্মদ।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ- বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

ব্যক্তি সংঘ- সেনা কল্যাণ সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী সমবায় ঋণদান সমিতি লি. ঢাকা।

অন্যান্য- আশা, ব্যুরো বাংলাদেশ, ব্র্যাক ও সামওয়ান-মীর আক্তার জয়েন্ট ভেঞ্চার।

সাকিব আল হাসান   তামিম ইকবাল খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

নভেম্বরে কমেছে মূল্যস্ফীতি

প্রকাশ: ০৯:১২ এএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। তার আগে কিছুটা কমেছে মূল্যস্ফীতির উত্তাপ। এক মাসের ব্যবধানে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে ঠেকেছে। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এছাড়া অক্টোবর মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি যেখানে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল, নভেম্বরে সেটি নেমে এসেছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির এ চিত্র উঠে এসেছে।

বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগের মাসে যা ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশে ঠেকেছে।

চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য এতদিন মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এখন সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদের হার বাড়লে মানুষ সাধারণত ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হন।

গত তিন মাস ধরেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে ছিল। তবে নভেম্বরে তা কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিবিএসের হিসাবে, গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল।

বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, দেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমলেও শহরের তুলনায় গ্রামের মূল্যস্ফীতি এখনো বেশি। নভেম্বরে গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশে, যা আগের মাস অক্টোবরেও ছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। নভেম্বরে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে রয়েছে।

শহর এলাকায় গ্রামের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কম। নভেম্বরে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশে, অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

চলতি বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে। যা ছিল এক যুগ বা ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেপ্টেম্বরে অবশ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিম্নমুখী হয়। সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি নামে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশে।

এরপর অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে প্রায় ১০ শতাংশে (৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ) উঠে যায়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতি বেশ দ্রুতগতিতে কমলেও বাংলাদেশে তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি কমে ১ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে।

 


বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো   মূল্যস্ফীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংকে ডলার রাখলেই ৭ শতাংশ সুদ

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশে চলমান ডলার সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আওতায় রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিটের (আরএফসিডি) ওপর ব্যাংকগুলো ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া এ ধরনের অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের বাইরে টাকা পাঠানো, একাধিক কার্ড ইস্যু করাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, কেউ আরএফসিডি হিসেবে ১০ হাজার ডলার জমা রাখতে পারেন। এখন থেকে ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক হারের সঙ্গে এই আমানতের উপর কমপক্ষে দেড় (১ দশমিক ৫) শতাংশ সুদ দেবে। এই হিসেবে, আমানতের বিপরীতে দুটি সম্পূরক কার্ড ইস্যু করা যেতে পারে। শিশু বা ভাইবোনসহ নির্ভরশীলরা কার্ডটি ব্যবহার করতে পারেন।

এই অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশে শিক্ষার খরচ পাঠানো যাবে। আবার স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান, ভাইবোন এবং নির্ভরশীল বাবা-মায়ের চিকিৎসার খরচও এখান থেকে বহন করা যায়।


কেন্দ্রীয় ব্যাংক   ডলার   সুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, গত বুধবারের হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ কমে ১ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার বা ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়নে নেমে এসেছে। 

আগের সপ্তাহের বুধবার যা ছিল ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। তবে দায়হীন বা প্রকৃত রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে রিজার্ভ কমার তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গত বুধবার মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০২ কোটি ডলার। তবে রিজার্ভ থেকে গঠন করা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ), লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ), বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ এবং পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচির রিজার্ভ বাদ দিলে, অর্থাৎ আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হচ্ছে ১ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার। তবে এর পুরোটাই দায়হীন নয়। এর মধ্যে সাড়ে ৩ বিলিয়ন মানে ৩৫০ কোটি ডলারের ওপর দায় রয়েছে। যার মধ্যে আইএমএফের সদস্যদেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেওয়া ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি ঋণ রয়েছে। আবার ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক দায় পরিশোধের জন্য ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটির কিছু বেশি ডলার আছে। পাশাপাশি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের জন্য প্রায় ৫০ কোটি ডলার রয়েছে রিজার্ভে। ফলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ আছে ১৬ বিলিয়ন, অর্থাৎ ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কম।

এদিকে রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য ডলার-সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে বেশি দামে কেনা ডলার কম দামে কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকটের মধ্যে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম কমাতে বাধ্য করেছে ব্যাংকগুলোকে। ফলে চলতি মাসে ৭৫ পয়সা কমানো হয়েছে ডলারের ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য। যদিও এই দামে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে কমই।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন