ইনসাইড ইকোনমি

আমলারা কি অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে পারবে?

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail আমলারা কি অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে পারবে?

এখন মোটামুটি স্পষ্ট যে, সরকার একটা আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকটের কারণ কি, সেটি নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু দেশে যে অর্থনৈতিক সঙ্কট আছে এটি নিয়ে কোনো লুকোচুরি নেই। বরং সরকারও অর্থনৈতিক সংকটের কথা স্বীকার করছে সংকটের কারণ হিসেবে সরকার এক রকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, সুশীল সমাজ এক রকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, রাজনীতিবিদরা আরেক রকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো যে, অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের পথ কী? এরকম অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের ক্ষেত্রে সরকার এখন পর্যন্ত আমলাদের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সংকট নিরসনে কাজ করছে। এখানে রাজনীতিবিদদের ভূমিকা এখন পর্যন্ত গৌণ। কিন্তু বিশ্বের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে সিভিল ব্যুরোক্রেসি সীমাহীন ভাবে ব্যর্থ হয়েছে, অর্থনৈতিক সঙ্কট সমাধান করতে পেরেছে রাজনীতিবিদরাই।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত রাজনীতিবিদ এবং অর্থনীতিবিদদেরকে সাইডলাইনে বসিয়ে রেখেছে। এমনটি নয় যে আওয়ামী লীগে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য দক্ষ রাজনীতিবিদ নেই। বরং রাজনীতিবিদরাই সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারেন বলেই অনেকের ধারণা। মনে করা হয় যে, অর্থমন্ত্রী হতে গেলে অর্থনীতিবিদ হতে হয়। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি তেমন নয়। ভারতের উদাহরণ দেওয়া যাক। ভারতের প্রণব মুখার্জির সবচেয়ে সফল অর্থমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তিনি অর্থনীতিবিদ ছিলেন না, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রীকে সফলতম অর্থমন্ত্রী অন্যতম সফলতম অর্থমন্ত্রী মনে করা হয়। তিনি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। তিনি অর্থনীতির ছাত্র ছিলেন বটে কিন্তু অর্থনীতিবিদ ছিলেন না। এভাবে বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট গুলোকে রাজনৈতিক বিবেচনায় সমাধান করাই যৌক্তিক। যুক্তরাজ্যের কথাই ধরা যাক। সেখানে ঋষি সুনাক অর্থমন্ত্রী হওয়ার কারণেই তারা অর্থনৈতিক পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পেরেছিলো। যদিও দেশটি এখন ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের দিকে আছে, সেই সঙ্কটও বাংলাদেশের মতো বৈশ্বিক সঙ্কটের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আমাদের সংকট সমাধানে রাজনীতিবিদদের ওপর ভরসা রাখতে পারেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর গত দুই মেয়াদেই একজন আমলা ছিলেন এবং বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত এখন পুরোপুরি আমাদের দখলে। প্রায় সব ব্যাংকের চেয়ারম্যানই কোনো না কোনো সাবেক আমলা এবং আমলারা থাকার পরও এখন বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের রেকর্ড হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন উঠেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে যে আমলাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে তারা কি করছেন? এটা কি তাদের অবসরোত্তর জীবনযাপন নাকি সত্যি সত্যি তারা দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় কাজ করতে চান। অন্যদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয়ে আগে যেমন অর্থমন্ত্রীদের পূর্ণ কর্তৃত্ব ছিলো সেই অবস্থাটাও পাল্টে গেছে। এখন অর্থমন্ত্রীর চেয়ে অর্থ সচিবের গুরুত্বই দৃশ্যমান বেশি হচ্ছে এবং তাদের পরামর্শই বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে সরকারের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে। তাই যদি হয় তাহলে এই সংকট সমাধানে আমলারা কতটুকু সফল হচ্ছে।

বিভিন্ন মহল বলছে যে, আমলারা একের পর এক ভুল তথ্য দিয়েছে, সাময়িক সমাধান করার চেষ্টা করেছে, ফলে সংকট এখন গভীর হয়েছে। অন্যদিকে কেউ কেউ মনে করেন যে, এই সংকটের সময়ে অনেক সুচিন্তিত অর্থনীতিবিদ আছেন, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করেন এমন অনেক অর্থনীতিবিদ আওয়ামী লীগের চারপাশে রয়েছেন, যাদের পরামর্শ সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ড. খলীকুজ্জমান একজন ভালো অর্থনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ছিলেন। ড. আবুল বারাকাত একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ। নাজনীন আহমেদ গবেষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ড. বিনায়ক সেন একজন মেধাবী চিন্তাশীল অর্থনীতি হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত এদের কারো কাছ থেকে কোনো পরামর্শ নিয়েছে বলে জানা যায়নি। এমনকি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এসব ব্যাপারে অর্থনীতিবিদের সঙ্গে কোনো বৈঠক করেছে বা পরামর্শ করেছে বলেও জানা যায়নি। সরকারকে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে বলে মনে করেন কেউ কেউ। অনেকে মনে করেন, অর্থনীতিবিদদের কাছ থেকে নীতি-কৌশলগত পরামর্শ নিতে হবে। আমলারা শুধুমাত্র গাণিতিক হিসাব এবং তথ্য-উপাত্তকে ঠিক করে সংকটের সমাধান করবেন কিন্তু যেটি সম্ভব নয়। তাই আমলাতান্ত্রিক সময় আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক সংকট সমাধান হবে না বলে অনেকের ধারণা।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক বছরে কোটিপতি বেড়েছে ৫ হাজার

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্য, ডলার সংকট এবং রিজার্ভ পতনের পরেও দেশে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত এক বছরে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব পাঁচ হাজার বেড়েছে। আর তিন মাসে বেড়েছে ৩ হাজারের বেশি কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২৩ সালের জুনভিত্তিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৯২ টি। যেখানে জমা ছিল ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে— এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি। এসব ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৭ লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। যা মোট আমানতের ৪৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এর আগে, চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৬টি। যেখানে জমা ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে— এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ১৯২টি। সেই হিসেবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি।

অন্যদিকে এক বছর আগে ২০২২ সালের জুনে কোটি টাকার হিসাব ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৪৫৭টি। যা জুন প্রান্তিকে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টিতে দাঁড়িয়েছে। ফলে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭টি।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তি নয়। কারণ, ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে একজনের একাধিক কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব রয়েছে। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থারও কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব রয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ৫ জন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। এরপর ১৯৮০ সালে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৮টি। এভাবে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে বাড়তে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ভারত থেকে ডিম আসতে লাগবে এক সপ্তাহ, দাম কত পড়বে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, চারটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যে চারটি কোম্পানিকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তারা হলো মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। আমদানির অনুমতির পাশাপাশি খুচরা দোকানে একটি ডিমের সর্বোচ্চ দর ১২ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, দেশের বাজারে প্রতিটি ডিম তারা ১০ টাকার কমে বিক্রি করতে পারবে। আর ভারত থেকে ডিম আসতে সময় লাগতে পারে এক সপ্তাহের মতো।

ডিম আমদানির অনুমতি পাওয়া টাইগার ট্রেডিংয়ের মালিক সাইফুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে ডিম আমদানি করাকে তারা লাভজনক মনে করছেন না।

ভারত থেকে আমদানি করে দেশে বিক্রি করতে ডিমের দাম কত পড়তে পারে জানতে চাইলে টাইগার ট্রেডিংয়ের মালিক সাইফুর রহমান জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, হায়দরাবাদে ও অন্ধ্রপ্রদেশে ডিমের হালিপ্রতি দর ১৮ রুপি থেকে ২২ রুপি (২৪ থেকে ২৯ টাকা)। এর সঙ্গে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি ৩৬ থেকে ৪০ টাকা হালির মধ্যে ক্রেতাদের হাতে ডিম তুলে দিতে পারব।’

সাইফুর রহমান আরও বলেন, ঋণপত্র খোলা দ্রুত সম্ভব হলে এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করা গেলে এক সপ্তাহে ভারত থেকে ডিম আমদানি সম্ভব।


ডিম আমদানি   বাণিজ্য মন্ত্রণালয়   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৭৪ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৯:৪৭ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১০২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। গড়ে প্রতিদিন এই ১৫ দিনে এসেছে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয়।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ ডলার বা প্রায় ১৯ শতাংশ কম রেমিট্যান্স এসেছে। জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগস্টে আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে সরকারি মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৫ কোটি ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৯ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।

এর আগে জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (১.৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় (এক ডলার সমান ১০৮.৫০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ২১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার বেশি। এটি আগের মাস জুনের তুলনায় প্রবাসী আয়ের পরিমাণ কমেছে ২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আগের মাস জুনে রেমিট্যান্সে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


রেমিট্যান্স   ডলার   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমলো ১৪৭ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ১৪৭ কোটি ডলার। এর ফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭১ কোটি ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানায়, আকু বিল পরিশোধের কারণে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ২ হাজার ১৭১ কোটি ডলারে নেমেছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, গত মাসে মে-জুন সময়ের জন্য ১১০ কোটি ডলারের আকু বিল পরিশোধ করা হয়। এরপরের জুলাই-আগস্টে আমদানি কিছুটা বেশি। এ দায়ের জন্য ৫ শতাংশের বেশি হারে সুদ পরিশোধ করতে হয়।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার ৯টি দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ) মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, তা প্রতি দুই মাস পরপর নিষ্পত্তি হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আকু দেশগুলো থেকে যে পণ্য আমদানি হয়, ব্যাংকগুলো তার মূল্য হিসেবে প্রতি সপ্তাহেই ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়। প্রতি দুই মাস শেষে ব্যাংকগুলোর পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ দায় পরিশোধ করে থাকে। তখন রিজার্ভ হঠাৎ কমে যায়।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ   আইএমএফ   কেন্দ্রীয় ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

প্রবাসী আয় কমছে, চলতি মাসের ৭ দিনে আয় ৪ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৬:৪২ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail প্রবাসী আয় কমছে, চলতি মাসের ৭ দিনে আয় ৪ হাজার কোটি টাকা।

গত জুন মাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল। কিন্তু  এর পর থেকেই রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসার গতি কমে যায়। সদ্য বিদায়ী আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। তার আগের মাস জুলাইয়ে এসেছিল ১৯৭ কোটি ডলার এবং তার আগের মাস জুনে এসেছিল ২১৭ কোটি ডলার।

মূলত জুনের পরই কমা শুরু হয় রেমিট্যান্স। বেশি কমে যায় আগস্ট মাসে। আগস্ট মাসের মতোই একই ধারা লক্ষ করা যাচ্ছে চলতি মাস সেপ্টেম্বরেও। চলতি মাসের প্রথম সাত দিনে মোট ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রার এর পরিমাণ (এক ডলার সমান ১০৯.৫০ টাকা ধরে) ৪ হাজার ৩৮ কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম সাত দিনে মোট ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এসময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকে এসেছে ৫৯ লাখ ১০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩২ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার। 

তবে আলোচিত সময়ে ৭ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে-বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের সিটি ব্যাংক এনএ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে সদ্য বিদায়ী জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (১.৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (এক ডলার সমান ১০৮.৫০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ২১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার বেশি। এটি আগের মাস জুনের তুলনায় প্রবাসী আয়ের পরিমাণ কমে ২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আগের মাস জুনে রেমিট্যান্সে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

গত জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২.১৯ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। একক মাস হিসেবে যেটি ছিল প্রায় তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসা প্রবাসী আয়। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড প্রবাসী আয় এসেছিল। খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল।

বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


প্রবাসী আয়   চলতি মাস   র‌্যামিটেন্স  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন