ইনসাইড ইকোনমি

আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক কেনো?

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে একজন করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্য নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। করযোগ্য আয় থাকলে কিংবা সরকারি বিভিন্ন সেবা পেতে রিটার্ন দাখিল না করার বিকল্প নেই।

আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে বিলম্ব সুদ ও জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে করদাতাকে। শুধু জরিমানা নয়, আয়কর না দেওয়ার কারণে অনেক সময় করদাতাকে কঠোর সাজার মুখোমুখি হতে পারে।

এর পাশাপাশি অন্তত যে ৪০ ধরনের সেবায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেসব সেবা হতে বঞ্চিত হতে হবে করদাতাকে। যার মধ্যে রয়েছে-গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে না কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া, বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে অসুবিধা, বিভিন্ন লাইসেন্সের রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন না হওয়া এবং ব্যাংকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঞ্চয়ের ওপর অতিরিক্ত কর দেওয়া ইত্যাদি।

৩০ নভেম্বরের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার কথা বলছেন এনবিআরের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। আয়কর নির্দেশিকা অনুসারে ই-টিআইএন থাকা সত্ত্বেও রিটার্ন দাখিল না করলে যেসব সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো-

১- যেসব ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেসব সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। যেমন- ক্ষেত্রমত, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে না কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে অসুবিধা হবে।

২- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে তার ওপর আয়কর অধ্যাদেশের ১২৪ ধারা অনুযায়ী জরিমানা, ৭৩ ধারা অনুযায়ী সরল সুদ এবং ৭৩এ ধারা অনুযায়ী বিলম্ব সুদ আরোপযোগ্য হবে।

৩- যে ক্ষেত্রে করদাতা রিটার্ন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করে, উপ-কর কমিশনারের মাধ্যমে মঞ্জুরকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করবেন, সেক্ষেত্রে করদাতার ওপর জরিমানা আরোপিত হবে না, তবে বিলম্ব সুদ আরোপিত হবে।

আর চলতি অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকা অনুযায়ী যেসব সেবায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তা হলো-

• কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি টাকা ঋণ নিতে গেলে

• কোনো কোম্পানির পরিচালক বা স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হতে হলে

• আমদানি নিবন্ধন সনদ ও রপ্তানি নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে

• সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে গেলে

• সমবায় সমিতির নিবন্ধন পেতে হলে

• সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ার হতে এবং লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে

• সিটি করপোরেশন, জেলা সদরের পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় ১০ লাখের বেশি টাকার জমি, বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রয় বা হস্তান্তর বা বায়না নামা বা আমমোক্তারনামা নিবন্ধন করতে

• ক্রেডিট কার্ড প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে

• চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি অথবা সার্ভেয়ার হিসেবে বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে

• নিকাহ্ রেজিস্ট্রার হিসেবে লাইসেন্স প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে

• ট্রেড বা পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে

• ড্রাগ লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই লাইসেন্স ও ছাড়পত্র প্রাপ্তি ও নবায়নে

• যেকোনো এলাকায় গ্যাসের বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ প্রাপ্তি এবং বহাল রাখতে

• লঞ্চ, স্টিমার, মাছ ধরার ট্রলার, কার্গো, কোস্টার, কার্গো ও ডাম্ব বার্জ্যসহ যেকোনো প্রকারের ভাড়ায় চালিত নৌযানের সার্ভে সার্টিফিকেট প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে

• পরিবেশ অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ইট উৎপাদনের অনুমতি প্রাপ্তি ও নবায়নে

• সিটি করপোরেশন, জেলা সদর বা পৌরসভায় অবস্থিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিশু বা পোষ্য ভর্তিতে

• সিটি করপোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি বা বহাল রাখতে

• ২০ কোম্পানির এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে

• আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে

• আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খোলায়

• পাঁচ লাখের বেশি টাকার পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়

• দশ লাখের বেশি টাকার ক্রেডিট ব্যালেন্স সম্পন্ন ব্যাংক হিসাব খোলা ও বহাল রাখতে

• পাঁচ লাখের বেশি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে

• পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে

• মোটরযান, স্পেস/স্থান, বাসস্থান অথবা অন্যান্য সম্পদ সরবরাহের মাধ্যমে শেয়ারড ইকোনমিক অ্যাক্টিভিটিজে অংশ নিতে

• উৎপাদন কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক বা তত্ত্বাবধানকারী অবস্থানে কর্মরত ব্যক্তির বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে

• সরকার অথবা সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ, করপোরেশন, ইউনিটের বা প্রচলিত কোনো আইন, আদেশ বা দলিলের মাধ্যমে গঠিত কোনো কর্তৃপক্ষ, করপোরেশন, ইউনিটের কর্মচারীর ১৬ হাজার টাকা বা তদূর্ধ্ব পরিমাণ মূল বেতন প্রাপ্তিতে

• মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেক্ট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে

• অ্যাডভাইজরি বা কনসালটেন্সি সার্ভিস, ক্যাটারিং সার্ভিস, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, জনবল সরবরাহ ও নিরাপত্তা সরবরাহ সেবা বাবদ নিবাসী কর্তৃক কোনো কোম্পানি থেকে অর্থ প্রাপ্তিতে

• মাসিক পেমেন্ট অর্ডার বা এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে মাসিক ১৬ হাজার টাকার বেশি কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে

• বিমা কোম্পানির এজেন্সি সার্টিফিকেট নিবন্ধন বা নবায়নে

• দ্বি-চক্র বা ত্রি-চক্র মোটরযান ব্যতীত অন্যান্য মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নকালে

• এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোতে নিবন্ধিত এনজিওতে বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থায় বিদেশি অনুদান ছাড়ে

• বাংলাদেশে অবস্থিত ভোক্তাদের নিকট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা বিক্রয়ে

• কোম্পানি আইন ও সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশনের অধীন নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্যপদ লাভের আবেদনের ক্ষেত্রে

• পণ্য সরবরাহ, চুক্তি সম্পাদন বা সেবা সরবরাহের উদ্দেশ্যে নিবাসী কর্তৃক টেন্ডার ডকুমেন্টস দাখিলকালে

• পণ্য আমদানি বা রপ্তানির উদ্দেশ্যে বিল অব এন্ট্রি দাখিলকালে

এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চিটাগাং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) বা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনে ভবন নির্মাণের নকশা দাখিলকালে রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকার জমা দিতে হবে। না  হলে ওইসব সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে করদাতাকে।

চলতি অর্থবছরের সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।


আয়কর   রিটার্ন   রিটার্ন দাখিল   এনবিআর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ধস

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিতে ধস হয়েছে। এ সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৩) ত্রৈমাসিক প্রবৃদ্ধির এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রাক্কলন মূল্যায়ন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর আগে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।

এছাড়া দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয় ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২ দশমিক ২০ শতাংশ ছিল।

এদিকে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। এটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১০ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ছিল।

এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং এরপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রাক্কলন করে থাকে বিবিএস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বিবিএসও উৎপাদন পদ্ধতিতে ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রাক্কলন করে থাকে।


জিডিপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

একীভূতকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বাইরে আপাতত অন্য কোনো ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে না বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, যেসব ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো সমাধান করতে হবে। আপাতত অন্যকোনো ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে না। পরবর্তীতে চিন্তা করা হবে, আর কোনো ব্যাংক একীভূতকরণ করা যায় কিনা।

উল্লেখ্য, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণার পর তালিকায় এসেছে সরকারি-বেসরকারি আরও ডজনখানেকের নাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করেই সুশাসন ফেরানো যাবে না এই খাতে। ব্যবস্থা নিতে হবে দায়ী পরিচালকদের বিরুদ্ধেও।

দীর্ঘ আলোচনা-সমালোচনার পর একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দুই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। তবে এই তালিকায় নাম ছিলো দেশি-বিদেশি আরও ডজনখানেক। যার মধ্যে বেসরকারি ন্যাশনাল, এবি, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক উল্লেখযোগ্য। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানার মধ্যে নাম ছিলো বেসিক, বিডিবিএল ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।

একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনো এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে অস্পষ্ট রয়েছে বহু বিষয়। এমন অবস্থায় গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে দ্রুত উদ্যোগের দাবি সাবেক ব্যাংকারদের।

একীভূতকরণ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রেমিট্যান্সে শীর্ষে ঢাকা, পাঁচ নম্বরে নোয়াখালী

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আনার ক্ষেত্রে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। আবার সব বিভাগের মধ্যেও ঢাকা আছে শীর্ষে। প্রতিবছর দেশে আসা মোট রেমিট্যান্সের বড় অংশই আসে ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলোতে। রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। এরপরই রয়েছে সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয়ের আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে প্রবাসীরা দেশে ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আর গত ডিসেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, যা নভেম্বরে ছিল ১৯৩ কোটি ডলার।

তথ্যমতে, আট মাসে ঢাকা জেলায় ৫২৩ কোটি ডলার ও চট্টগ্রাম জেলায় ১৪২ কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসে। এই সময়ে সিলেট জেলায় ৮৭ কোটি, কুমিল্লায় ৮১ কোটি ও নোয়াখালীতে ৪৬ কোটি ডলার এসেছে। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ও নরসিংদীতে ২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

২০২৩ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে যা ছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ে প্রায় ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

রেমিট্যান্স   ঢাকা বিভাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

প্রবাসী আয়ে শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় স্থানে চট্রগ্রাম

প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে, প্রবাসীরা প্রতি মাসে যে পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান তার বড় অংশই আসে ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলোতে। দেশে প্রবাসী আয় আসার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। এরপরই রয়েছে সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালী।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে প্রবাসীরা দেশে ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তারা পাঠান ২১৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। এর আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা জেলায় ৫২৩ কোটি ডলার ও চট্টগ্রাম জেলায় ১৪২ কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসে। এই সময়ে সিলেট জেলায় ৮৭ কোটি, কুমিল্লায় ৮১ কোটি ও নোয়াখালীতে ৪৬ কোটি ডলার এসেছে। এ ছাড়া আলোচ্য সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ও নরসিংদীতে আসে ২৫ কোটি ডলার।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে যা ছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ে প্রায় ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।


প্রবাসী   বাংলাদেশ ব্যাংক   ডলার   রেমিটেন্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ঈদে রিজার্ভ বাড়ল

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়েছে। বেড়েছে রপ্তানি আয়ও। ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের উপরে উঠেছে। গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৩  বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসের শেষ দিকে (২৭ মার্চ) রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৮১ কোটি ডলারে আর বিপিএম-৬ ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার (১৯ দশমকি ৯৬  বিলিয়ন)। চলতি মাসের ৮ এপ্রিল গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৩৮ কোটি ডলারে আর বিপিএম-৬  হয়েছে ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমকি ১০  বিলিয়ন)।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমকি ৭৩  বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমকি ৩৭ বিলিয়ন ডলার। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

ঈদ   রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন