ইনসাইড ইকোনমি

সৌদি আরবে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনে ফলপ্রসূ আলোচনা

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ০১ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail সৌদি আরবে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনে ফলপ্রসূ আলোচনা।

সৌদি আরব সফররত প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান  মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি বাণিজ্য ও মিডিয়া বিষয়ক মন্ত্রী জনাব মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি-এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। 

অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আগামী ১১-১৩ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সৌদি বাণিজ্য মন্ত্রী সরকারি-বেসরকারি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি বড় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিবেন। ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার এন্ড কমার্স এবং এফবিসিসিআই এর মধ্যে অক্টোবর ২০২২ সময়ে সাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় প্রথম ‘যৌথ বিজনেস কাউন্সিল’-এর সভা বাংলাদেশ বিজনেস সামিট চলাকালীন সময়ে অনুষ্ঠানের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়।

মঙ্গলবারে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ইতোপূর্বে দুই দেশের মধ্যকার সাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকসমূহের কার্যকর বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় বাংলাদেশ হতে ২১৩টি পণ্যের সৌদি আরবে শুল্কমুক্ত প্রবেশে সৌদি বাণিজ্য মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করা হলে তিনি এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।  

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সৌদি বাণিজ্য মন্ত্রীর কাছে যৌথ মালিকানায় সৌদি আরবে প্রস্তাবিত ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। সৌদি বাণিজ্য মন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের উল্লেখ করে এ কারখানা স্থাপনের বিষয়ে সম্ভাব্য সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

বিকেলে উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান Saudi Basic Industries Corporation (SABIC)- এর সিইও আব্দুল রহমান আল-ফাগী এর সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রস্তাবিত ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপন সংক্রান্ত একটি ‘কনসেপ্ট নোট’ উপস্থাপন করা হয়। SABIC সিইও এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে সম্মতি দেন। উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান কটন-বেজড তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের সক্ষমতা উল্লেখ করে আর্টিফিশিয়াল ফেব্রিক তৈরিতে SABIC এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্ভাব্য কৌশলগত ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি উপস্থাপন করলে SABIC সিইও সে ব্যাপারেও একমত পোষণ করেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের SABIC এর সাথে আলোচনার জন্য স্বাগত জানান। 

উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জনাব আব্দুলরহমান আল-ফাগীকে তাঁর সুবিধামত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। দুদেশের মধ্যে চলমান চমৎকার সম্পর্ককে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কার্যকর সম্প্রসারণের পারস্পারিক আশ্বাসের মধ্য দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি হয়। 

এ সকল বৈঠকে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার) সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। 


সৌদি আরব   ইউরিয়া   সার কারখানা   স্থাপন   ফলপ্রসূ   আলোচনা   সালমান এফ রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একদিনের ব্যবধানে আবার কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৮:৩৫ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও কিছুটা কমানো হয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা।

বুধবার (২২ মার্চ) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে সোনার এ নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাজুস।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভালো মানের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ১৬৬ টাকা ক‌মি‌য়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হ‌য় ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা। এ‌তদিন যা ছিল ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা।

বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

টাকা ধার করে চলছে কয়েকটি ব্যাংক!

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সাম্প্রতিক সময়ে শুধু ডলার কিনতে ব্যাংক থেকে এক লাখ কোটি টাকা বেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর আরেফিন।

আমাদের দেশেও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সঙ্কট নেই এটা বলা যাবে না। কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্কটে আছে। তারা আন্তঃব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে চলছে। একটা সময় আমাদের এখান থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। এতে সাময়িক সমস্যা দেখা দেয়। তারা টাকা তুলে আরেক ব্যাংকে রেখেছে। তবে, এতে তারল্য কমেনি বরং বেড়েছে।

বুধবার (২২ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল২৪ আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেছেন, আমাদের তারুল্য সংকট নেই। গ্রাহক এক ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন এটা সত্য, কিন্তু তারা আবার অন্য ব্যাংকে রেখেছেন। এতে বলা যায় তারল্য সংকট নেই বরং তারল্য বেড়েছে। যেখানে ১০০ টাকায় ১৭ টাকা তরল হিসাবে রাখতে হয়, সেখানে আমাদের ব্যাংকখাতে এখন তরল আছে ২৫ দশমিক ৫ টাকা।

মাসরুর আরেফিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বড় বড় ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পেছনে পলিটিকাল গাইডলাইন্সের বিষয় ছিল না। মানুষ আস্থা হারিয়ে টাকা তুলেছিল, এরপরই ব্যাংক তারুল্য সংকটে পড়ে এবং পরে দেউলিয়া হয়ে যায়। যাদের সংকট আছে তাদের সার্বিক ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। এটা অভ্যন্তরীণভাবেই ঠিক করা প্রয়োজন।

এক সময় আমাদের দেশেও ভুল তথ্য এভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে, সংকট নেই এটা বলবো না, কয়েকটি ব্যাংকের সংকট আছে। তারা আন্তঃব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে চলছে। একটা সময় আমাদের এখান থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। এতে সাময়িক সমস্যা দেখা দেয়। তারা টাকা তুলে এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে রেখেছে এতে তারল্য আমাদের কমেনি বরং বেড়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তিনদিনের মাথায় দাম কমলো সোনার

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২১ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

‌তিনদিন আগেই দেশের বাজারে সোনার দা‌ম রেকর্ড প‌রিমাণ বেড়েছিল। তিন‌দিন না যেতেই এবার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ভালো মানের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা। এ‌তদিন ছিল ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা। 

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

বুধবার (২২ মার্চ) থেকে সোনার এ নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাজুস।

গত শনিবার (১৮ মার্চ) ভরি প্রতি সোনার দাম ৭ হাজার ৬৯৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস।

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি ভরি সোনার (২২ ক্যারেট) দাম ছিল ৮৭ হাজার ২৪৭ টাকা। ওই দিন ১ হাজার ১৬৬ টাকা বেড়ে হয় ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা। এরপর ৭ জানুয়ারি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বেড়ে হয় ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা এবং ১৪ জানুয়ারি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা বেড়ে হয় রেকর্ড ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। মাঝে ৪ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম কিছুটা কমলেও সেটি ৯০ হাজারের ঘরে থেকে যায়।

সোনা   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংকিং খাতে তারল্য কমেছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২১ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে বিশেষায়িত ব্যাংক ছাড়া দেশের ব্যাংক খাতে তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে তারল্যের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। হিসাব অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে তারল্য কমেছে ৫৪ হাজার ৭০১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

খাত বিশ্লেষকরা বলছেন, রেপো মার্কেটে অনেক তারল্য দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার নতুন রি-ফাইন্যান্সিং স্কিম চালু হচ্ছে, এতে তারল্য যোগ হচ্ছে। তবে ব্যাংকগুলোয় তারল্য কমার সবচেয়ে বড় কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা, বিশেষ করে ডলার কেনা।

ব্যাংক খাতে তারল্য নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর অর্থনীতি শক্তিশালী করতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। আবার দ্রব্যমূল্য বাড়ায় আমদানিতে খরচ বেশি হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কিনছে। এসব কারণে ব্যাংক ব্যবস্থায় তারল্য বা নগদ টাকার পরিমাণ কমে এসেছে।

সবশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে, এক বছরে তারল্য কমেছে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি (৫৪ হাজার ৭০১ কোটি) টাকা।

এর আগের প্রান্তিক অর্থাৎ সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের তারল্যের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে তারল্য কমেছে ২১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা।

এদিকে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সুদের হারে এক অঙ্কের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ সীমা তুলে নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এর পরিবর্তে বাজারে সুদের চাহিদা অনুযায়ী বেঞ্চমার্ক ভিত্তি বা রেফারেন্স রেট বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সুদের হার হতে পারে ১৩ শতাংশ। বর্তমানে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা রয়েছে ৯ শতাংশ।

আগামী অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে উল্লেখ করা হবে সুদহারের বিষয়টি। রোববার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ইডিএফ ঋণ পরিশোধে বিলম্ব হলে গুনতে হবে অতিরিক্ত সুদ

প্রকাশ: ১২:৩২ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে নেওয়া ঋণ সময়মতো পরিশোধ না করলে দণ্ড হিসেবে অতিরিক্ত সুদ গুনতে হবে। এ ক্ষেত্রে দিতে হবে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ সুদ। আর ইসলামী শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিহ্নিত হবে।

রোববার (১৯ মার্চ) এ সংক্রান্ত সার্কুলার দেশের সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, ইডিএফ থেকে নেওয়া ঋণ সময়মতো পরিশোধ করতে বিলম্ব হলে, মেয়াদোত্তীর্ণ অংশের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ ‘দণ্ড সুদ’ দিতে হবে রপ্তানিকারকদের। আর ইসলামী শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর অথোরাইজড শাখা ঋণের অর্থসহ সুদ ও ‘দণ্ড সুদ’ বাংলাদেশ ব্যাংককে দেবে।

এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণের সুদহার নিয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তিন শতাংশ সুদহারে অর্থ দেবে। আর সাড়ে চার শতাংশ সুদহারে ঋণ নিতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে।

এতদিন ইডিএফ থেকে ব্যাংকগুলো আড়াই শতাংশ সুদহারে ঋণ নিয়ে রপ্তানিকারকদের কাছে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করতো।

২০২০ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ইডিএফ ঋণের সুদের হার ২ শতাংশে নামিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত করোনায় দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ সুদহার নামিয়ে আনা হয়েছিল। এর আগে সুদহার ছয় মাসের লন্ডন ইন্টার-ব্যাংক অফারড রেটের (লাইবর) সঙ্গে দেড় শতাংশ যুক্ত করে নির্ধারণ করা হতো। সে ক্ষেত্রে লাইবর রেট প্রতিদিনই ওঠানামা করায় সুদহার তিন থেকে চার শতাংশে পড়ে যেত রপ্তানিকারকদের জন্য।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন