মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ দুই ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) ও সিগনেচার ব্যাংকের পতনের পর সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংক নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে ক্রেডিট সুইস ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, ক্রেডিট সুইস ব্যাংক তারল্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করেছে। এর অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের একটি চুুক্তিতে পৌঁছেছে ব্যাংকটি। বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাতে সংকটের আশঙ্কা তীব্র হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে ক্রেডিট সুইস।
বুধবার মধ্যরাতে ঋণের ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ক্রেডিট সুইসের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার সকালের দিকে প্রথম দফায় ব্যাংকটির শেয়ারের ২৫ শতাংশ পতন ঘটে। তবে ঋণ চুক্তির পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্রেডিট সুইসের শেয়ার।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সোমবার সিগনেচার ব্যাংকের পতন বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাতে সংকটের আশঙ্কা তৈরি করেছে। মার্কিন বৃহৎ এই দুই প্রতিষ্ঠানের পতনের পর অন্যান্য ব্যাংক নিয়েও গ্রাহকদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের বৃহত্তম অংশীদার সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক সুইজারল্যান্ডের এই ব্যাংকের শেয়ার আর কিনবে না বলে ঘোষণা দেওয়ার পর গ্রাহকদের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। এই আতঙ্ক অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে বৈশ্বিক ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় এশিয়া ও ইউরোপের শেয়ারবাজারে মন্দা দেখা দিয়েছে।
২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর বিশ্বের প্রথম কোনও বৃহৎ ব্যাংক হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে জরুরি ঋণ নিলো ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। ক্রেডিস সুইস ব্যাংক সংকটের মুখোমুখি হওয়ায় অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের আক্রমণাত্মক সুদের হার বৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হবে কিনা তা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
তবে নীতিনির্ধারকরা জোর দিয়ে বলেছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এক দশকেরও বেশি সময় আগের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের চেয়ে আলাদা। কারণ ব্যাংকগুলোর এখন ভালো পুঁজি ও তারল্য রয়েছে। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দার সময় ব্যাংকগুলোর পুঁজি রাতারাতি তলানিতে নেমে যায়।
সুইজারল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেডিট সুইস ব্যাংক বলেছে, সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ৫০ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক (৫৪ বিলিয়ন ডলার) পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার একটি বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত জামানতের বিপরীতে ক্রেডিট সুইসকে তারল্য সরবরাহের নিশ্চয়তাও দিয়েছে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক।
১৮৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। গত কয়েক বছরে নানা ধরনের কেলেঙ্কারির মুখোমুখি হয়েছে এই ব্যাংকটি। অর্থপাচার, গুপ্তচরবৃত্তি এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ব্যাংক থেকে চলে যাওয়ার মতো ঘটনা ব্যাংকটিকে সংকটের মুখে ফেলেছে।
এর মধ্যে ব্যাংকটির ইউএস অ্যাসেট ম্যানেজার আর্চেগোসের আর্থিক কেলেঙ্কারি ও যুক্তরাজ্যের গ্রিনসিল ফার্মের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলেছে ক্রেডিট সুইস ব্যাংককে। এর আগে, ২০২১ সালের মার্চে গ্রিনসিল দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর ক্রেডিট সুইসের বাজারমূল্য প্রায় ৮০ শতাংশ ধসে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকটি আগামী বছরের আগে মুনাফা করতে পারবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে ক্রেডিট সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ফ্রন্টলাইন অ্যানালিস্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ক্রেডিট সুইসের সাবেক ব্যাংক বিশ্লেষক ড্যানিয়েল ডেভিস বিবিসিকে বলেছেন, ব্যাংকের ‘মিলিয়নেয়ার এবং বিলিয়নেয়ার গ্রাহকরা তাদের সহনশীলতার শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছেন বলে মনে হচ্ছে। যে কারণে তারা গত ছয় মাস ধরে ব্যাংকটি থেকে অর্থ তুলে নিচ্ছেন। ব্যাংকটি থেকে অর্থ তুলে নেওয়ার ঘটনা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।
ব্যাংক বন্ধ আতঙ্ক ঋণ গ্রহণ ঘোষণা সুইজ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন অথচ করযোগ্য আয় নেই- এমন ব্যক্তিদের ওপরও ন্যূনতম কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেছেন। এর আগে দুপুর ৩ টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
এই প্রস্তাব পাস হলে করমুক্ত আয়সীমার নিচে আয় থাকলেও নির্ধারিত সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর) ধারীদের রিটার্ন দাখিলে ন্যূনতম ২ হাজার কর দিতে হবে।
এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২ তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
রিটার্ন দাখিল আয়কর অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব
মন্তব্য করুন
বিদেশ থেকে ফেরার সময় বাংলাদেশিদের আনেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে স্বর্ণালংকার ও সোনার বার নিয়ে আসেন। তবে এখন থেকে সোনা আনলে আগের চেয়ে দ্বিগুণ কর পরিশোধ করতে হবে। আগে যেখানে এক ভরি স্বর্ণের জন্য ২ হাজার টাকা কর দিতে হতো, সেখানে এখন তা বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা দিতে হবে। স্বর্ণের পরিমাণও কমানো হয়েছে। এতো দিন সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম বা ২০ দশমিক শূন্য ৬ ভরি পর্যন্ত সোনা আনা যেত, যা কমিয়ে ১১৭ গ্রাম বা ১০ দশমিক শূন্য ৩ ভরি করা হচ্ছে।
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কর বৃদ্ধির এই প্রস্তাবগুলো দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ জাতীয় সংসদে এই বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬–এর বিধি ৩–এর উপ-বিধি (১০) মোতাবেক একজন যাত্রী বিদেশ হতে আসার সময় ২৩৪ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড সকল প্রকার শুল্ক–কর পরিশোধ সাপেক্ষে আমদানি করতে পারেন। দেশে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি করার জন্য উক্ত স্বর্ণের পরিমাণ ২৩৪ গ্রামের পরিবর্তে ১১৭ গ্রাম করার প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে এর বেশি অতিরিক্ত স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড বহন করলে শাস্তির বিধান সুস্পষ্ট না থাকায় তা বাজেয়াপ্তকরণের লক্ষ্যে বিদ্যমান ব্যাগেজ বিধিমালা সংশোধন করার প্রস্তাব করছি।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় একজন যাত্রী বিদেশ থেকে আসার সময় স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড আনার ক্ষেত্রে প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম (এক ভরি) স্বর্ণের জন্য সর্বমোট ২ হাজার টাকা শুল্ক–কর পরিশোধ করে থাকেন। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণের জন্য ৪ হাজার টাকা শুল্ক-কর পরিশোধের বিধান করার প্রস্তাব করছি।’
বিদেশফেরত যাত্রীদের মধ্যে সোনা নিয়ে আসার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এভাবে ২০২২ সালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রায় ৫৪ টন সোনা এসেছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর পরিমাণের দিক দিয়ে তা এর আগের ২০২১ সালের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি। যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ বিধিমালার আওতায় বিমানযাত্রীরা বৈধ পথেই এসব সোনা এনেছেন। তবে সোনা আনা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আসার ওপর প্রভাব পড়ছে। সে জন্যই সোনা আনার ওপর কর বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
মন্তব্য করুন
সিগারেটের সব কটির মূল্যস্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে আজ উত্থাপিত ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। পাশাপাশি একটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। অবশ্য বিড়ির দাম না-ও বাড়তে পারে। কারণ, বিড়িতে নতুন করে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সিগারেটে কর বাড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বাড়তি ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টা থেকে জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি। নিম্ন স্তরে মূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা, মধ্যম স্তরে ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭, উচ্চ স্তরে ১১১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৩ এবং অতি উচ্চ স্তরে ১৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক ১ শতাংশ বাড়বে শুধু নিম্ন স্তরে। এতে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বেশি বাড়তে পারে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ২০২০–২১ অর্থবছরে বিড়ির দাম ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। তাই এবারের বাজেটে না বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়াও তামাকজাতীয় পণ্য যেমন তরল নিকোটিন, ট্রান্সডার্মাল ইউজ নিকোটিন ইত্যাদি পণ্যের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সমজাতীয় ইলেকট্রিক ভ্যাপোরাইজার ডিভাইসের দাম বাড়তে পারে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এসব পণ্য এবং এর খুচরা যন্ত্রাংশের শুল্কহার সমান নয়। যন্ত্রাংশের শুল্কহার বাড়িয়ে মূল পণ্যের সমান, ২১২ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ভ্যাপোরাইজার ডিভাইস সাধারণভাবে ভ্যাপ নামে পরিচিত। এই পণ্য অনেকে ব্যবহার করেন। তবে এটি ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে বিদায়ী অর্থবছরের (২০২২–২৩) বাজেটে এতে অতিরিক্ত করারোপ করা হয়। প্রতিবছরই বাজেটে তামাকের ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়ে থাকে। আর এ জন্য করারোপও আগের বছরের চেয়ে বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে তামাক থেকে সরকারের রাজস্ব আয়।
২০১০-১১ অর্থবছরে তামাক ও তামাকজাত পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ছিল ৭ হাজার ৬৯১ কোটি টাকার বেশি। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে এ আয় বেড়ে হয় ২৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকার বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ আয় ৩০ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা ছাড়ায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে দেখা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে প্রিমিয়াম, উচ্চ, মাঝারি ও নিম্ন স্তরের ৭ হাজার ১৫৯ কোটির বেশি সিগারেট শলাকা বিক্রি হয়েছে। পরের বছর তা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৫৬৪ কোটির বেশি।
২০২২-২৩ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৫ হাজার ১৯৫ কোটি সিগারেট শলাকা বিক্রি হয়েছে। যদি মাসভিত্তিক হিসাব বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাতে দেখা যায়, এ বছরও সিগারেটের বিক্রি আগের বছরকে ছাড়িয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দক্ষতার ঘাটতির কারণে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যানুপাতে রেমিট্যান্স আহরণের গতি ততটা সন্তোষজনক নয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কর্মীদের প্রাক বহির্গমন অবহিতকরণসহ বিভিন্ন কারিগরি কোর্সে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ( ১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জাানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এমনকি কোভিডকালেও দেশে উল্লেখযোগ্য রেমিট্যান্স এসেছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ১ কোটি ৪৯ লাখের বেশি কর্মী কর্মরত আছেন। আমাদের সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর গত এক যুগে মোট ৮১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪২ জন কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। গত এক যুগে প্রায় ১০ লাখ নারী বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন নতুন শ্রমবাজারের সন্ধান করছি। প্রধান গন্তব্যের বাইরে পোল্যান্ড, সেশেলস, আলবেনিয়া, রোমানিয়া, স্লোভেনিয়া, উজবেকিস্তান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কম্বোডিয়া ইত্যাদি দেশেও কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রেমিটেন্স
মন্তব্য করুন
আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন অথচ করযোগ্য আয় নেই- এমন ব্যক্তিদের ওপরও ন্যূনতম কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেছেন। এর আগে দুপুর ৩ টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
বিদেশ থেকে ফেরার সময় বাংলাদেশিদের আনেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে স্বর্ণালংকার ও সোনার বার নিয়ে আসেন। তবে এখন থেকে সোনা আনলে আগের চেয়ে দ্বিগুণ কর পরিশোধ করতে হবে। আগে যেখানে এক ভরি স্বর্ণের জন্য ২ হাজার টাকা কর দিতে হতো, সেখানে এখন তা বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা দিতে হবে। স্বর্ণের পরিমাণও কমানো হয়েছে। এতো দিন সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম বা ২০ দশমিক শূন্য ৬ ভরি পর্যন্ত সোনা আনা যেত, যা কমিয়ে ১১৭ গ্রাম বা ১০ দশমিক শূন্য ৩ ভরি করা হচ্ছে।
সিগারেটের সব কটির মূল্যস্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে আজ উত্থাপিত ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। পাশাপাশি একটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। অবশ্য বিড়ির দাম না-ও বাড়তে পারে। কারণ, বিড়িতে নতুন করে কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সিগারেটে কর বাড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বাড়তি ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দক্ষতার ঘাটতির কারণে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যানুপাতে রেমিট্যান্স আহরণের গতি ততটা সন্তোষজনক নয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কর্মীদের প্রাক বহির্গমন অবহিতকরণসহ বিভিন্ন কারিগরি কোর্সে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ( ১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জাানান।