ইনসাইড ইকোনমি

জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় বাজুস

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। একই সঙ্গে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরের বাজেটে জুয়েলারি পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ, অপরিশোধিত আকরিক সোনায় আরোপিত সিডি ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১ শতাংশ ও আংশিক পরিশোধিত সোনার সিডি ১০ শতাংশের পরিবর্তে আইআরসি ধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের শুল্কহার ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাজুস।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে বাজুস কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরের বাজেট উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। আরও উপস্থিত আছেন বাজুসের সহ-সভাপতি ও স্ট্যাডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বাজুসের সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান, বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহ-সম্পাদক ও স্ট্যাডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সমিত ঘোষ অপু, স্ট্যাডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য সচিব পবন কুমার আগরওয়াল। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের মহান স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাজুসের বর্তমান নেতৃত্ব বদ্ধপরিকর। বাজুস মনে করছে- আগামী দিনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জাগরণ তুলবে জুয়েলারি শিল্প। বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ্যভাবে জুয়েলারি শিল্পে আনুমানিক ৪৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। আগামীতে এই শিল্পে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জুয়েলারি শিল্পে ভ্যালু এডিশন করে সোনার অলঙ্কার রপ্তানি সম্ভব। দুবাই যেমন সোনার ব্যবসার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশেও এই সম্ভাবনা রয়েছে। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ছিল জাতির পিতার। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে জুয়েলারি শিল্পে করমুক্ত সুবিধা চাই। সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ গড়তে জুয়েলারি শিল্পে সকল সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।  

দেশের প্রাচীন শিল্পের মধ্যে অন্যতম জুয়েলারি খাত। বর্তমানে চরম সঙ্কটে দিশেহারা এই জুয়েলারি শিল্পের জন্য প্রয়োজন সরকারের নীতি সহায়তা। অপার সম্ভাবনা থাকার পরও, সুষ্ঠু রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও নীতি সহায়তার অভাবে জুয়েলারি শিল্প এখন হুমকির মুখে পড়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ২০২২ সালের প্রতিবেদন মোতাবেক বিশ্ব বাজারে সোনার চাহিদা ছিল ৪ হাজার ৭৪০ টন। এরমধ্যে সোনার অলংকারের চাহিদা ২ হাজার ১৮৯ দশমিক ৮ টন।  

বাংলাদেশে সোনার বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৪০ টন। তবে প্রকৃত চাহিদা নিরূপণে সরকারের সমীক্ষা প্রয়োজন। বৈধভাবে সোনার চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে বড় বাঁধা কাঁচামালের উচ্চমূল্য, অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয়, শিল্প সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির উচ্চ আমদানি শুল্ক। বর্তমানে জুয়েলারি শিল্পের প্রায় সকল ধরণের পণ্য ও যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। যা স্থানীয় অন্যান্য শিল্পে আরোপিত শুল্কের চেয়ে অনেক বেশি। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে উচ্চ ভ্যাট হার ও অতিরিক্ত উৎপাদন খরচের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দামের পার্থক্য হচ্ছে। এতে ক্রেতা হারাচ্ছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ছোট ছোট জুয়েলারী ব্যবসায়ী।   

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এমন সঙ্কটেও আমরা সম্ভাবনার খবর হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে এই প্রথম সোনা পরিশোধনাগার স্থাপন হয়েছে। বিশ্ব বাজারে আর কিছু দিন পর রপ্তানি হবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা সোনার বার ও অলংকার। কিন্তু এই পরিশোধনাগার স্থাপনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে প্রাথমিক পর্যায়েই উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। এই নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নীতি নির্ধারকদের উপর অনেকখানি দায় বর্তায়। অবাস্তব নীতি প্রণয়ন, শুল্ক নির্ধারণে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের গোঁড়ামি, ভ্যাট ও আয়কর কর্মকর্তাদের কর্তৃক ব্যবসায়িদের হয়রানি এবং আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস সদস্যদের ক্ষমতার অপব্যবহার এই শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি ও আতঙ্কের প্রধান কারণ। এতে সরকার প্রত্যাশিত রাজস্ব আয় থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। 

বাজুস মনে করে- বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করতে জুয়েলারি খাতে আরোপিত শুল্ককর ও ভ্যাট হার কমানো এবং আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করতে হবে। এতে যেমন সরকারের বৈদেশিক আয় আসবে। তেমনি বাড়বে রাজস্ব আয়। বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের আরেকটি খাত তৈরি হবে। 

এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরের জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ১২টি প্রস্তাব উপস্থাপন করছে বাজুস। 

বর্তমানে জুয়েলারী ব্যবসার ক্ষেত্রে সোনা, সোনার অলংকার, রূপা বা রূপার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা। সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে  ইএফডি বসানো হলে, বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আয় সম্ভব হবে। ব্যবসার ক্ষেত্রেও সমতা আসবে। এক্ষেত্রে বাজুসের স্পষ্ট বক্তব্য হলো- ইএফডি মেশিন সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে না বসিয়ে কাউকে হয়রানি করা যাবে না।

বর্তমানে অপরিশোধিত আকরিক সোনার ক্ষেত্রে আরোপিত সিডি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আমদানি শুল্ক শর্তসাপেক্ষে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছে বাজুস। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করার উদ্দেশ্যে আইআরসি ধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের ক্ষেত্রে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে জুয়েলারি শিল্পে শৃঙ্খলা আসবে। এটি একটি আমদানি বিকল্প শিল্প হিসেবে পরিণত হবে। সোনা চোরাচালান বন্ধ হবে।  

দেশের জুয়েলারি শিল্পের চাহিদা পূরণ করার স্বার্থে গোল্ড রিফাইনারী শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছে। এটি একটি ভ্যাট নিবন্ধনকারী শিল্প এবং একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল শিল্প। দেশের চাহিদা শুধু নয় বিদেশে রপ্তানি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য অপরিশোধিত আকরিক সোনা আমদানির ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে শুল্ক অব্যাহতি দেয়া হলে, স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ হবে। সরকার অধিক রাজস্ব আহরণ করতে পারবে।

আংশিক পরিশোধিত সোনার ক্ষেত্রে সিডি ১০ শতাংশ এর পরিবর্তে আইআরসি ধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের জন্য শুল্ক হার ৫ শতাংশ করা হোক।

বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্প পুরোটাই দাঁড়িয়ে আছে তৈরি পোশাক শিল্পের উপর। কিন্তু একটি শিল্প নির্ভর রপ্তানি খাত কতোটুকু ভয়াবহ, তা ভেনিজুয়েলার আর্থিক ধসের দিকে তাকালেই অনুমান করা যাচ্ছে। 

অন্যদিকে, এসডিজি অর্জনে আমাদের রপ্তানি শিল্পকে বহুমুখী করার উদ্দেশ্যে জুয়েলারী শিল্পের প্রধান কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক সহায়তা প্রদান জরুরি প্রয়োজন। যা আগামী ১০ বছরে রপ্তানি নির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি খাতে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করছি। 

হীরা কাটিং এবং প্রক্রিয়াজাত করণের উদ্দেশ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান দ্বারা আমদানিকৃত রাফ ডায়মন্ডে সিডি ১০%, এসডি ১০% প্রস্তাবিত শুল্ক হার নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছে বাজুস। বৈধ পথে মসৃণ হীরা আমদানিতে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান দ্বারা আমদানিকৃত মসৃণ হীরা ৪০ শতাংশ ভ্যালু অ্যাডিসন করার শর্তে এসডি ২০% করার প্রস্তাব করছি।

আয়কর আইনে ৪৬-(বিবি) (২) ধারার অধীনে গোল্ড রিফাইনারি বা সোনা পরিশোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ বা ট্যাক্স হলিডে প্রদানের করা হোক। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সর্ব প্রথম সোনা পরিশোধনাগার স্থাপন করতে যাচ্ছে। বিশ্ব বাজারে আর কিছু দিন পর রপ্তানি হবে “মেইড ইন বাংলাদেশ” সম্বলিত সোনার বার। যা আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে বড় ভূমিকা পালন করবে সোনা শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে। কিন্তু এই পরিশোধনাগার এর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির শুল্ক কর ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এ কারণে প্রাথমিক উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি। কিন্তু আমরা যদি বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বিশেষ করে চীন, জাপান, সুইজারল্যান্ড, ভারত, ব্রাজিল, তুরস্ক ও কাতারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো দেখি, তাদের গোল্ড রিজার্ভ বাড়াচ্ছে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার এই বাজারে। 

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার চাহিদা ছিল ৪৫০ দশমিক ১ টন। যা ২০২২ সালে ১৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৫ দশমিক ৭ টন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে এ সকল দেশগুলোর বুলিয়ন মার্কেটে বড় ক্রেতাই হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। যা সে সকল দেশগুলোর অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। বাংলাদেশেও সোনা পরিশোধনাগার স্থাপনের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। এই পরিশোধনাগারকে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে কর অবকাশ বড় ভূমিকা পালন করবে।

সোনার অলংকার প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত কাঁচামাল ও মেশিনারিজের ক্ষেত্রে সকল প্রকার শুল্ক কর অব্যাহতি প্রদান সহ ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ বা ট্যাক্স হলিডে প্রদানের প্রস্তাব করেছে বাজুস। 

বাংলাদেশের স্থানীয় স্বর্ণ বাজারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের স্বর্ণ মূল্য সব সময় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের উৎপাদনের প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে প্রত্যেক ধাপে ধাপে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। এর অন্যতম কারণ কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আমদানিতে অসহনীয় শুল্ক-কর হার। ভোক্তা সুবিধা প্রদান ও মূল্য সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এই প্রস্তাবনা জুয়েলারি শিল্পকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিবে।  

বৈধভাবে সোনার বার, সোনার অলংকার, সোনার কয়েন রপ্তানি উৎসাহিত করতে কমপক্ষে ২০ শতাংশ ভ্যালু অ্যাডিসন করা রশর্তে, রপ্তানিকারকদের মোট ভ্যালু অ্যাডিসনের ৫০ শতাংশ হারে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করছি।

বিশ্বে অন্যান্য পণ্যের মতো স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে তৈরি অলংকারের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। কিন্তু নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে জুয়েলারি শিল্প রপ্তানি খাত হিসেবে যতটুকু অবদান রাখতে পারতো, তার সিকি ভাগও হয়নি। ২০২৬ সালের মধ্যে সরকার যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি টার্গেট নিয়েছে, সে লক্ষ্য পূরণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে জুয়েলারী শিল্প। দেশের রপ্তানি খাতে জুয়েলারি শিল্পের অবদান বাড়াতে এই আর্থিক প্রণোদনা বড় ভূমিকা পালন করবে। এইচএস ভিত্তিক অস্বাভাবিক শুল্ক হার সমূহ হ্রাস করে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সঙ্গে শুল্ক হার সমন্বয়সহ এসআরও সুবিধা প্রদান করার প্রস্তাব করছি।

চোরাচালান প্রতিরোধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষসহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহের উদ্ধারকৃত সোনার মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশ সংস্থা সমূহের সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে প্রদানের প্রস্তাব করছি। ব্যাগেজ রুলের আওতায় সোনার বার ও অলংকার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সংকট, চোরাচালান ও মানি লন্ডারিং-এ কী প্রভাব পড়ছে, তা নিরূপনে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা করার প্রস্তাব করছি। 

বাজুসের প্রাথমিক ধারণা- প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা ৩৬৫ দিন বা এক বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। দেশে চলমান ডলার সঙ্কটে এই ৭৩ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে সোনার বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়েছে চোরাকারবারিদের দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেট। 

কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে প্রতিনিয়ত স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হচ্ছে। পোদ্দারদের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সোনার পাইকারি বাজার। পোদ্দারদের সঙ্গে চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেটের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যার কারণে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারেও সোনার দাম বাড়ানো হচ্ছে। এই সঙ্কট উত্তোরণে ব্যাগেজ রুলের আওতায় সোনার বার আনার ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক-করের হার বাড়াতে হবে।

জুয়েলারি শিল্প   প্রধানমন্ত্রী   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

৬ দিনে রিজার্ভ কমলো আরও ৩০ কোটি ডলার

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও ৩০ কোটি ডলার কমেছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২০ দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৬২ কোটি মার্কিন ডলার কমেছিল। তারপরের সাত দিনে রিজার্ভ কমছে আরও ৩০ কোটি ডলার। তাতে রিজার্ভ কমে এখন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রিজার্ভ কমে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার হয়। গত ৩১ আগস্ট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় দুই উৎসের একটি প্রবাসী আয়। ব্যাংকের মাধ্যমে বর্তমানে প্রবাসী আয় আসা কমেছে। গত দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দেশে প্রবাসী আয় কমেছে সাড়ে ১৩ শতাংশ। এ ছাড়া চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট সময়ের আমদানির দায় বাবদ ১৩১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। অন্যদিকে রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার বিক্রি করাও হচ্ছে। এ কারণেই মূলত রিজার্ভ কমেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দুই দিনের ব্যবধানে ডলার বুকিংয়ে সংশোধন আনল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ: ১০:৪২ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

নানা সমালোচনার মুখে দুই দিনের ব্যবধানে ডলার অগ্রিম বুকিংয়ের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে অগ্রিম ডলার বুকিং দিতে পারবে শুধুমাত্র আমদানিকারকরা।

বুকিংয়ের সর্বোচ্চ সময় হবে তিন মাস। প্রথম ঘোষণায় এ সময় ছিল সর্বোচ্চ এক বছর।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ সংশোধিত সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ। এর আগে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডলারের অগ্রিম বুকিং সম্পর্কিত সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়, আগাম ডলার নেওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী এক বছরের জন্য সর্বোচ্চ দাম কি হবে তা বেঁধে দেওয়া হয়। নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে ডলারের দাম ‘এসএমএআরটি; বা স্মার্ট হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বেশি নিতে পারবে ব্যাংক। নতুন নিয়মে রেট ঠিক রাখা হলেও সময় কমিয়ে তিন মাস নির্ধারণ করে দেওয়া হয় এবং ডলার বুকিং শুধুমাত্র আমদানিকারকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়।

আগাম ডলার বুকিংয়ের নির্দেশনায় জনমনে শঙ্কা সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ডলার ব্যবহারকারীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা হয়। তারা বলছেন, আগামীতে ডলার সংকট আরও বাড়বে। এজন্য আগে থেকে ডলার বুকিং দিতে বলা হচ্ছে। অনেকে দাবি করছেন, এক বছর পর ডলারের রেট ১২৩ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।


ডলার বুকিং   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

গভর্নরদের সূচকে 'ডি' গ্রেডে আব্দুর রউফ তালুকদার

প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গভর্নর হিসেবে একটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ‘ডি গ্রেড’ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন ১০১টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের সবশেষ এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সবক’টি সূচকে সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে প্রতিবেশী ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ পেয়েছেন A+ (এ প্লাস) গ্রেড। A- (এ মাইনাস) গ্রেড পেয়েছেন শ্রীলংকাকে দেউলিয়াত্ব ও ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে।

গভর্নর হিসেবে এ প্লাস পেয়েছেন মাত্র তিনজন গভর্নর। বাকি দুজন হচ্ছেন— সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর টমাস জর্ডান ও ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নগুয়েন থি হোং।

১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গভর্নরদের মূল্যায়ন করে আসছে গ্লোবাল ফিন্যান্স ম্যাগাজিন। সাময়িকীটির বার্ষিক প্রকাশনা হিসেবে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’। ১০১টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের সবশেষ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত দুর্বলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছে গ্লোবাল ফিন্যান্স ম্যাগাজিন। বহিস্থ খাতের অনিশ্চয়তা ও চাপের মুখে অর্থনীতি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। ২০২২ সালের বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির বহিস্থ খাতে যে নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেটা উল্লেখ করে দেশের অর্থনীতির অনিশ্চয়তার চিত্র তুলে ধরেছে তারা।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কোভিড-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে টাকার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়। দেশের বাজারে ডলার–সংকটে হিমশিম খান আমদানিকারকেরা। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যমূল্য অনেকটা বেড়ে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ।


গভর্নর   আব্দুর রউফ তালুকদার   বাংলাদেশ ব্যাংক   গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রেমিট্যান্স বাড়াতে কাঠামোগত সংস্কারের পথ খুঁজছে সরকার: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে সরকার কাঠামোগত সংস্কারের পথ খুঁজছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসলে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের অনেকটা সমাধান হতো।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পাবলিক ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্টবিষয়ক সামিটে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী আয় বৈধ পথে দেশে আনতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। তারপরও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেমিট্যান্স আসছে না। এ ক্ষেত্রে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে প্রবাসী আয়ের বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, প্রবাসী আয় বাড়াতে কাঠামোগত সংস্কারের পথ খুঁজছে সরকার। অন্য অনেক দেশের তুলনায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভালো। করোনার আগে মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ, রেমিট্যান্স এবং মাথাপিছু আয় অনেক ভালো ছিল।

আলোচনায় বলা হয়, সরকারি তহবিল ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে। অনলাইনে সরকারি অনেক সেবা ভোগ করছে সাধারণ মানুষ। আরও বিস্তৃত করতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারের আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনার উন্নতিকরণে আরও অনেকটা পথ হাঁটতে হবে সরকারকে। কেননা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর দক্ষ জনশক্তি আর সাইবার ঝুঁকির মতো বিষয়গুলো আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ।

এ সময় বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের প্রধান আবদৌলায়ে সেক জানান, সামষ্টিক অর্থনীতির টেকসই নিশ্চিতে বাংলাদেশকে আয়-ব্যয় ব্যবস্থাপনায় ৬ খাতে সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে।

রেমিট্যান্স   সরকার   অর্থমন্ত্রী   আ হ ম মুস্তফা কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ভবিষ্যতের জন্য ডলার বুকিং, দাম ১২৩ টাকা

প্রকাশ: ০১:৩৬ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ভবিষ্যতের জন্য ডলার বুকিং দেওয়ার নতুন নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলারের ফরওয়ার্ড রেট (ভবিষ্যৎ দাম) সর্বোচ্চ কত হবে তাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়মে এক বছর পর ডলারের দাম বর্তমানের চেয়ে ‘এসএমএআরটি’ বা স্মার্ট হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি নিতে পারবে ব্যাংক।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারির মাধ্যমে নতুন নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী এক বছরের জন্য ডলার বুকিং দিয়ে রাখা যাবে। এজন্য গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। এটা নির্ধারণ হবে এখন যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হয়, তার মাধ্যমে। যেটা স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত, সংক্ষেপে যার নাম ‘এসএমএআরটি’।

প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। জুলাইয়ে স্মার্ট রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। আগস্টে তা বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা চলতি সেপ্টেম্বরেও অপরিবর্তিত রয়েছে।

কেউ এখন ভবিষ্যতের জন্য ডলারের বুকিং দিয়ে রাখলে তাঁকে এক বছর পর প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে। আর মাসভিত্তিক দাম হলে তা মাস হিসাবেই কমে আসবে। বর্তমানে আমদানিতে ডলারের দাম ১১০ টাকা। কেউ যদি ভবিষ্যতের জন্য ডলারের বুকিং দিতে চান তাহলে তাকে এক বছর পর প্রতি ডলারে ১২৩ টাকার মতো পরিশোধ করতে হবে। আর মাসভিত্তিক দাম হলে তা মাস হিসাবেই কমে আসবে।

রেমিট্যান্স ও রপ্তা‌নি আয়ে ডলারের মূল্য এখন থেকে এক রেটে ধরা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন। আগে যা ছিল ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আ‌য়ে ডলারের মূল্য ৫০ পয়সা বা‌ড়ি‌য়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হ‌য়ে‌ছে। এছাড়া আমদানিতে ডলারের দর হবে ১১০ টাকা। আগে যা ছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃব্যাংক ব্যবস্থায় ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১০ টাকায়।

তবে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহক‌দের গুনতে হচ্ছে ১১৭ টাকা থেকে ১১৮ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা পর্যন্ত।

আমদানিকারকদের কাছে বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল নতুন নিয়মটি চালু করেছে। অথচ এসব ব্যাংকের কয়েকটি ভবিষ্যৎ দাম আদায় করতে গিয়ে আমদানিকারকদেরর কাছ থেকে বেশি দাম রেখেছিল বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ১০ ব্যাংক হলো মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক। আরও কিছু ব্যাংককে শাস্তির আওতায় আনা হতে পারে বলে সূত্রগুলো জানায়।


ডলার বুকিং   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন