ইনসাইড ইকোনমি

দীঘিপাড়া খনিতে আড়াই লাখ কোটি টাকার কয়লা

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৩


Thumbnail দীঘিপাড়া খনিতে আড়াই লাখ কোটি টাকার কয়লা।

দিনাজপুরের দীঘিপাড়া কয়লা খনিতে বিভিন্ন স্তরে যে পরিমাণ কয়লা মজুত আছে তা থেকে ৩০ বছরে ৯ কোটি মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে। যার বর্তমান বাজার মূল্য আড়াই লাখ কোটি টাকা। সম্প্রতি শেষ হয়েছে এর চূড়ান্ত সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ। এখন কেবল প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির অপেক্ষা। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেলেই শুরু হবে এ কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ।  

২০১৬ সালে দেশের অভ্যন্তরে ৫টি কয়লা খনির মধ্যে মজুতের হিসাবে দ্বিতীয় বৃহত্তম দিনাজপুর দীঘিপাড়ার খনি থেকে কয়লা তোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দেশের কয়লা উত্তোলন সক্ষমতা ৪০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করার লক্ষ্যে ২০১৭ সালেই শুরু হয় এর সম্ভাব্যতা যাচাই। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানিকে (বিসিএমসিএল)। পরে শেষ হয় এর চূড়ান্ত সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ। 

সম্ভাব্যতা যাচাই তথ্য অনুযায়ী, এই কয়লা ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে যে পরিমাণ কয়লা মজুত আছে তা থেকে ৩০ বছরে ৯ কোটি মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে। যার বর্তমান বাজার মূল্য আড়াই লাখ কোটি টাকা। এখানে সর্বোচ্চ ৪৩৪.৪৯ মিটার ও সর্বনিম্ন ৩২৩ মিটার গভীরে ৭২.৩৬ মিটার পুরুত্বের কয়লা আছে। এছাড়াও খনিতে রয়েছে সাদা মাটি, বালু মিশ্রিত সিলিকা যা গ্লাস ফ্যাক্টরিতে এবং সিরামিক কাজে ব্যবহার করা যাবে। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি পেলেই এখানে কয়লা উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

জানা গেছে, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর উপজেলার দীঘিপাড়ায় এই কয়লা খনিটি ১৯৯৫ সালে আবিষ্কার করে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। এর উন্নয়নে ২০০৫ সালে সংশ্লিষ্ট বিভাগ পেট্রোবাংলাকে লাইসেন্স প্রদান করে। পরে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের প্রতিষ্ঠান ফুগরো, জার্মানির প্রতিষ্ঠান মিবরাগ কনসালটিং ইন্টারন্যাশনাল ও অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রাঞ্জ পিনকক মিনারকো এই তিন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে কনসোর্টিয়াম গঠনের পর তাদের সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের চুক্তি হয়।

চুক্তিতে জরিপ সম্পাদন কাজে মোট ব্যয় ধরা হয় ১৬৭ কোটি টাকা। চুক্তির মেয়াদ ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় তারা সকল তথ্য সংগ্রহ করে তৃতীয় মাত্রার ভূ-কম্পন (থ্রি-ডি সিসমিক), অধিকতর জরিপ, টপোগ্রাফিক সমীক্ষা, অনুসন্ধান কূপ খনন, খনির নক্সা এবং প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করে। যা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, আমদানিনির্ভরতা কমাতে আমরা শুরু থেকেই দেশীয় কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যে কাজ করছিলাম। আর এ জন্যই দীঘিপাড়া কয়লা খনি বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর সব ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শেষ। বড়পুকুরিয়ার মতোই দীঘিপাড়া কয়লা খনিতে ভূ-গর্ভের সুড়ঙ্গ ব্যবস্থার মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন করা হবে। কারণ উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করলে অনেক বড় এলাকা অধিগ্রহণ করতে হবে। যা আপাতত সম্ভব নয়। তাই সুড়ঙ্গ পদ্ধতিতেই এখানে কয়লা উত্তোলন করা হবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতির ওপর। দেশের ইতিহাসে এমন একটি বড় কাজের অনুমতি নিশ্চয়ই তিনি দেবেন। এর পরই আমরা কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। 

দীঘিপাড়া কয়লা খনি বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়ে অপেক্ষা করছি। খনি বাস্তবায়ন এখন নির্ভর করছে সরকারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের ওপর। সরকার চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেই পেট্রোবাংলার মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ, আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করে খনি উন্নয়ন ও কয়লা উৎপাদনের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। 

দেশে বর্তমানে পাঁচ খনিতে ৭ হাজার ৮০৩ মিলিয়ন টন কয়লার মজুত রয়েছে বলে তথ্য জ্বালানি বিভাগের। যে ক’টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে বা নির্মাণাধীন রয়েছে সেগুলোর দীর্ঘ সময়ের জ্বালানি হিসেবে এই মজুত কয়লা ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু বিশাল মজুত সত্ত্বেও এ পর্যন্ত দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া ছাড়া অন্য কোনো খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করেনি সরকার। এ খনিটি ১৯৮৫ সালে আবিষ্কার হয়। এখানে প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুত রয়েছে। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। খনির পাশেই স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা পূরণ করছে এ কয়লা।

দীঘিপাড়ায় প্রাথমিক জরিপে ভূগর্ভের ৩২০-৫০৬ মিটার গভীরতায় উন্নত মানের বিটুমিনাস কয়লার সন্ধান পাওয়া যায়। এই কোল বেসিনে ১১.০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মোট ৭০৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লার মজুত রয়েছে। মোট ১১টি কোল সিম, তার মধ্যে ৩টি সিম উল্লেখযোগ্য পুরুত্বের (সিম সি, বিস্তৃতি ১০.৫০ বর্গকিলোমিটার, পুরুত্ব ৩১.৬৯ মিটার, ভূতাত্ত্বিক মজুত ৪২৮ মিলি. মেট্রিক টন, সিম সি, বিস্তৃতি ১১.০০ বর্গকিলোমিটার, পুরুত্ব ৯.৯৫ মিটার, ভূ-তাত্ত্বিক মজুত ১৩৯ মিলি, মেট্রিক টন)।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মাল্টিস্লাইস লংওয়াল টপ কোল কেভিং মেথড পদ্ধতিতে মাইনিং করার সুপারিশ করেছে। মাল্টিস্লাইস এলটিসিসি পদ্ধতিতে মাইনিংয়ের জন্য ৬টি স্লাইস  নির্মাণ করা হয়েছে। যার প্রতিটি গড় পুরুত্ব ৭.২০। খনির নির্মাণ কাল ১২ বছর তবে নির্মাণ শুরুর ৮ বছর পর হতে আংশিক উৎপাদন শুরু হবে। খনি নির্মাণকালের ৪ বছর আংশিক উৎপাদনকালসহ মোট উৎপাদনকাল ৩৫ বছর। খনির পূর্র্ণাঙ্গ নির্মাণ শেষে  পরবর্তী ৩১ বছর বার্ষিক ২.৮ মিলিয়ন মে. টন (সর্বনিম্ন ১.৭০ মিলিয়ন, মে. টন থেকে সর্বোচ্চ ৩.৪৯ মি. মে. টন গড় উৎপাদন সম্ভব বলে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মত প্রকাশ করেছে।

আর্থিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী খনি নির্মাণে ১,৬৪৪.০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূলধনী (ক্যাপিটাল) ব্যয় নির্বাহের প্রয়োজন হবে। কয়লার টনপ্রতি বিক্রয় মূল্য ১৭৬ মার্কিন ডলার, রেট অব রিটার্ন ৯.৭% এবং ডিসকাউন্ট রেট ৮% ধরে এনপিভি ১৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে দেশে নির্মিত ও নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি বছর ২১-২২ মিলিয়ন টন কয়লার প্রয়োজন। দীঘিপাড়া কয়লাক্ষেত্র থেকে প্রতি বছর তিন মিলিয়ন টন কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব হবে।     

দীঘিপাড়া খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হলে পাশাপাশি দুটি জেলার শিল্প-কারখানাগুলোও চালু রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


দীঘিপাড়া   কয়লা খনি   আড়াই লাখ   কোটি   টাকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সিটির সঙ্গে একীভূত হতে চায় না বেসিক ব্যাংক

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।

এর আগে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বলেছিলেন, তাঁরা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তাঁরা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’।

বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাঁদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে।

বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকটি থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে। আমানত তুলে নিতে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়েছে। এতে তীব্র তারল্যসংকটে পড়েছে ব্যাংকটি। এর ফলে বেসিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামতো নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) রাখতে পারছে না।

বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা কমে এখন ১২ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ছিল ১২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বা ৬৪ শতাংশ।

বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এ এম মোফাজ্জেল বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে সোনালী, জনতার মতো আমরাও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আমাদের ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছে। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে তারা টাকা তুলে নিতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, এ জন্যই সরকারি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য সরকারের কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ।


সিটি ব্যাংক   বেসিক ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার কোটি ডলারের ওপরে। ঈদের ছুটিসহ এক সপ্তাহে বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে ২১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। ফলে রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক হাজার ৯৮৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)। এক সপ্তাহ আগে এ রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম-৬)।

বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৫৩০ কোটি ৩  লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহ আগে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৩৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমল ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে।

গত ২০ মার্চ বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার। গত ৬ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দুই সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী, কমে ১.১৬ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

স্বর্ণের দাম আবারও বাড়লো

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০  হাজার ১৯০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৮০  হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।


স্বর্ণ   দাম   বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক আলফালাহ কিনে নিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার পাকিস্তানভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ কিনে নিচ্ছে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ ও দেশটির একাধিক গণমাধ্যমের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশে পাকিস্তানি ব্যাংকটির কার্যক্রম, সম্পদ ও দায় ব্যাংক এশিয়া কর্তৃক অধিগ্রহণের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে ব্যাংক আলফালাহর পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে ব্যাংকটি এ বিষয়ে ব্যাংক আলফালাহর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল।

জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম অধিগ্রহণের বিষয়টি সব ধরনের প্রযোজ্য আইন ও বিধি মেনে করবে। অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে এখন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের অনুমোদন চাইবে ব্যাংক আলফালাহ।

বাংলাদেশে ব্যাংক আলফালাহর মোট সম্পদের স্থিতি ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ঢাকায় পাঁচটি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে একটি করে তাদের মোট ৭টি শাখা আছে। 

পাকিস্তানের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক হলো ব্যাংক আলাফালাহ। দেশটির ২০০টির বেশি শহর ও মফস্বলে তাদের ১ হাজার ২৪টির বেশি শাখা রয়েছে। এর বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থিতি আছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে ব্যাংক এশিয়া। প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কোনো বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশে থাকা কার্যক্রম ক্রয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাংক এশিয়া। এর আগে কানাডাভিত্তিক নোভা স্কোটিয়া ও পাকিস্তানের আরেক ব্যাংক মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ করেছিল ব্যাংক এশিয়া।

ব্যাংক আলফালাহ   ব্যাংক এশিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

শেয়ারবাজার: প্রথম দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ২০০ কোটি টাকা

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল, ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।

এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।

এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।


শেয়ারবাজার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন