ইনসাইড ইকোনমি

রিটার্ন দাখিলে দিতেই হবে ২ হাজার টাকা: অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব

প্রকাশ: ০৬:৩৬ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন অথচ করযোগ্য আয় নেই- এমন ব্যক্তিদের ওপরও ন্যূনতম কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেছেন। এর আগে দুপুর ৩ টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

এই প্রস্তাব পাস হলে করমুক্ত আয়সীমার নিচে আয় থাকলেও নির্ধারিত সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর) ধারীদের রিটার্ন দাখিলে ন্যূনতম ২ হাজার কর দিতে হবে। 

এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২ তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।


রিটার্ন দাখিল   আয়কর   অর্থমন্ত্রী   প্রস্তাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ভিসানীতির খবরে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়েছে। দিনের প্রথম দেড় ঘণ্টা সূচক ওঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন হলেও বাকি তিন ঘণ্টা লেনদেন হয়েছে শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্য দিয়ে। বিমা, বস্ত্র এবং প্রকৌশল খাতসহ সব কয়টি খাতের শেয়ারের দাম আজ পতনে ছিল।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার খবরে শেয়ারবাজারে এমন বড় পতন হয়েছে। যে কারণে আজ শেয়ার ক্রয়ের চেয়ে বিক্রি করতেই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। এতে করে বাড়তি চাপ তৈরি হয় শেয়ারবাজারে। যার ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। 

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে এই চাপ সাময়িক। দুই-এক দিনের মধ্যে তা ঠিক হয়ে যাবে।

এদিন বাজারের সব সূচক কমেছে। কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও। আর যে পরিমাণ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে তার চেয়ে ১২ গুণের বেশি দর কমেছে।

আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৮.৮১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮০.৯৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯.২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে একহাজার ৩৫৮.৬৭ পয়েন্টে এবং দুইহাজার ১৩৬.৮৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে ৩১০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২টির বা ৩.৮৭ শতাংশের দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ১৪৮টির বা ৪৭.৭৪ শতাংশের এবং ১৫০টির বা ৪৮.৩৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইতে আজ ৫০০ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৩৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৭৩৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আজ ৬৮.৭০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৫.৪৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৪১.৫০ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৮.৩৩ পয়েন্ট, সিএসই-৫০ সূচক ২.৬৪ পয়েন্ট এবং সিএসআই ২.৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ১১৭.০৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৬০.২৪ পয়েন্টে, একহাজার ৩০৫.৫৯ পয়েন্টে এবং একহাজার ১৬৮.৭৪ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে ১৪৩টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ৮০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের। এদিন সিএসইতে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

ভিসানীতি   শেয়ারবাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

অর্থনৈতিক সংকট: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রকাশ: ১০:৫১ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং মূল্যস্ফীতিতে নাকাল দেশবাসী। এ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে। বিশ্বের প্রায় সব দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া পদক্ষেপ দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার কার্যকর হাতিয়ার খুঁজে বের করতে দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও সাংবাদিকদের সঙ্গে পরামর্শের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বৈঠকে নতুনভাবে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠক শেষে মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। তাই আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেসব পরামর্শ আসবে সে অনুযায়ী আগামী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও অন্যান্য দেশের তুলনায় মূল্যস্ফীতি আমরা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। আমরা যে এখনও সংকটের মধ্যে আছি তা সত্য। তবে সেই সংকট নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেমন, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি বাড়ানো ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশও তার মাশুল গুনছে।

গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নতুন করে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন মুখপাত্র।

ভবিষ্যতে আরও অর্থনীতিবিদ, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, চেম্বার অব কমার্স এবং অর্থনৈতিক খাতের বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৈশ্বিক এ সংকটের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) ঝুঁকি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির প্রধান পাঁচটি ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে তারা। বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেশের অর্থনীতির প্রধান ঝুঁকি।

ঝুঁকির পাঁচটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে ডব্লিউইএফ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে আরও যে চারটি ঝুঁকির খাত তারা চিহ্নিত করেছে, সেগুলো হলো ঋণ সংকট, উচ্চ পণ্য মূল্যের ধাক্কা, মানবসৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি ও সম্পদের জন্য ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা।

গত জুন ও জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্ট মাসে তা আবার বেড়েছে। গত মাসে (আগস্ট) মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। এই সময় দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হঠাৎ অনেকটা বেড়ে গেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার উঠেছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে।

সরকারের প্রত্যাশা ছিল, আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমবে। ২৯ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার (একনেক) পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মূল্যস্ফীতি জোর করে কমানো যায় না। কার্যকর নীতি নিতে হবে। আমি ঝুঁকি নিয়ে বলতে পারি, চলতি আগস্টে মূল্যস্ফীতি ২ থেকে ৪ পয়েন্ট কমবে।’ কিন্তু গত মাসে তা উল্টো বেড়েছে।

এদিকে গত মঙ্গলবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, মূল্যস্ফীতির হার আগের পর্যায়ে নামতে এক বছর সময় লাগবে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক ওয়ার্কিং পেপার বা কার্যপত্রে বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হলে ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি প্রণয়নের পাশাপাশি দেশীয় মুদ্রার দরপতনের হার কমাতে হবে।

আইএমএফের কার্যপত্রে বাংলাদেশ সম্পর্কে অবশ্য সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা নেই। তবু এটা পরিষ্কার যে বাংলাদেশ উল্লিখিত দুটি ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। বাস্তবতা হলো, ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা, যা এখন ১১০ টাকা; অর্থাৎ এই সময়ে স্থানীয় টাকার দরপতন হয়েছে ২৮ দশমিক ২১ শতাংশ। এর মধ্যে নীতি সুদ হার বাড়ানো হলেও ব্যাংক ঋণের সুদহার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৯ শতাংশেই রয়ে গেছে। ফলে নীতি সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব তেমন একটা অনুভূত হয়নি, অন্তত এখন পর্যন্ত।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে মুদ্রার বিনিময় হার কৃত্রিমভাবে ধরে রেখেছিল। যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যখন ডলারের বিনিময় হার অনেকটা বৃদ্ধি পায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। এটি মূল্যস্ফীতির অন্যতম কারণ।

যদিও এখন বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি কেবল বৈশ্বিক কারণে হচ্ছে না, নিজস্ব বাজার ব্যবস্থাপনাও এর জন্য দায়ী।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত জ্বালানি তেল, এলএনজি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির দায় মেটানোর জন্য ডলার বিক্রি করছে। পাশাপাশি সরকারের বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্যও ডলার বিক্রি করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে রেকর্ড সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখনো বিক্রি করে চলেছে, যা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক বছরে কোটিপতি বেড়েছে ৫ হাজার

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্য, ডলার সংকট এবং রিজার্ভ পতনের পরেও দেশে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত এক বছরে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব পাঁচ হাজার বেড়েছে। আর তিন মাসে বেড়েছে ৩ হাজারের বেশি কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২৩ সালের জুনভিত্তিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৯২ টি। যেখানে জমা ছিল ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে— এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি। এসব ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৭ লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। যা মোট আমানতের ৪৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এর আগে, চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৬টি। যেখানে জমা ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে— এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ১৯২টি। সেই হিসেবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি।

অন্যদিকে এক বছর আগে ২০২২ সালের জুনে কোটি টাকার হিসাব ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৪৫৭টি। যা জুন প্রান্তিকে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টিতে দাঁড়িয়েছে। ফলে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭টি।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তি নয়। কারণ, ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে একজনের একাধিক কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব রয়েছে। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থারও কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব রয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ৫ জন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। এরপর ১৯৮০ সালে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৮টি। এভাবে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে বাড়তে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ভারত থেকে ডিম আসতে লাগবে এক সপ্তাহ, দাম কত পড়বে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, চারটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যে চারটি কোম্পানিকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তারা হলো মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। আমদানির অনুমতির পাশাপাশি খুচরা দোকানে একটি ডিমের সর্বোচ্চ দর ১২ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, দেশের বাজারে প্রতিটি ডিম তারা ১০ টাকার কমে বিক্রি করতে পারবে। আর ভারত থেকে ডিম আসতে সময় লাগতে পারে এক সপ্তাহের মতো।

ডিম আমদানির অনুমতি পাওয়া টাইগার ট্রেডিংয়ের মালিক সাইফুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে ডিম আমদানি করাকে তারা লাভজনক মনে করছেন না।

ভারত থেকে আমদানি করে দেশে বিক্রি করতে ডিমের দাম কত পড়তে পারে জানতে চাইলে টাইগার ট্রেডিংয়ের মালিক সাইফুর রহমান জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, হায়দরাবাদে ও অন্ধ্রপ্রদেশে ডিমের হালিপ্রতি দর ১৮ রুপি থেকে ২২ রুপি (২৪ থেকে ২৯ টাকা)। এর সঙ্গে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি ৩৬ থেকে ৪০ টাকা হালির মধ্যে ক্রেতাদের হাতে ডিম তুলে দিতে পারব।’

সাইফুর রহমান আরও বলেন, ঋণপত্র খোলা দ্রুত সম্ভব হলে এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করা গেলে এক সপ্তাহে ভারত থেকে ডিম আমদানি সম্ভব।


ডিম আমদানি   বাণিজ্য মন্ত্রণালয়   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৭৪ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৯:৪৭ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১০২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। গড়ে প্রতিদিন এই ১৫ দিনে এসেছে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয়।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ ডলার বা প্রায় ১৯ শতাংশ কম রেমিট্যান্স এসেছে। জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগস্টে আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে সরকারি মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৫ কোটি ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৯ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।

এর আগে জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (১.৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় (এক ডলার সমান ১০৮.৫০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ২১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার বেশি। এটি আগের মাস জুনের তুলনায় প্রবাসী আয়ের পরিমাণ কমেছে ২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আগের মাস জুনে রেমিট্যান্সে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


রেমিট্যান্স   ডলার   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন