ইনসাইড ইকোনমি

বকেয়া ও বৈদেশিক ঋণ শোধ : বড় ধরনের চাপে রিজার্ভ

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail বকেয়া ও বৈদেশিক ঋণ শোধ : বড় ধরনের চাপে রিজার্ভ।

দেশের বকেয়া ও মেয়াদ বাড়ানো বৈদেশিক ঋণ এবং আমদানির দায় পরিশোধের চাপে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এসব দায় মেটাতে প্রায় প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অব্যাহত গতিতে কমে যাচ্ছে। যা দেশের রিজার্ভের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করেছে।

এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, চাল, গমসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এতে আমদানি ব্যয় আবারও বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ, বিদেশে চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতেও ডলারের চাহিদা বেড়েছে। রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অনুদানও নিম্নমুখী। এসব কারণে রিজার্ভের ওপর আগামীতে চাপ আরও বেশি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ঋণের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অনুপাত কমে আসছে। ঋণ বাড়া ও রিজার্ভ কমার কারণেই এমনটি হচ্ছে। এতে ঝুঁকিও বাড়ছে। যদিও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) মনে করে, বৈদেশিক ঋণের দিক থেকে বাংলাদেশের ঝুঁকি নিম্নমানের। তবে রিজার্ভ অব্যাহতি গতিতে কমে যাওয়া উদ্বেগের মনে করে।

মোট ঋণের মধ্যে রিজার্ভ ২০১৭ সালে ৬৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২০২৮ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৫৬ দশমিক ১০ শতাংশে। ২০১৯ সালে তা আরও কমে ৫১ দশমিক ৯০ শতাংশ হয়। ২০২০ সালে রিজার্ভ বাড়ায় অনুপাত বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯ দশমিক ২০ শতাংশে। ২০২১ সালে করোনার কারণে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বেড়ে যায়। তখন রিজার্ভের অনুপাত কমে দাঁড়ায় ৫০ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২০২২ সালে তা আরও কমে ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে। গত মে পর্যন্ত তা আরও কমে ৩০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে।

এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমলে ও বৈদেশিক ঋণ বাড়লে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি বাড়বে। বিদেশিদের মনে আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তখন দেশে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। মুদ্রার বিনিময় হারে অস্থিরতা দেখা দেবে। বর্তমানে ডলার বাজারে অস্থিরতার একটি কারণ বৈদেশিক ঋণ। বিদেশি ঋণ উৎপাদনমুখী কাজে লাগালে এত চাপ পড়ত না। কিন্তু তা করা হয়নি। এখন বৈদেশিক ঋণের ব্যবহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর হওয়া উচিত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত মার্চে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স থেকে পাওয়া ডলার দিয়ে আমদানি ব্যয় মিটিয়ে সমান সমান থাকত। ওই মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৬৪ কোটি ডলার ও রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ডলার। দুই খাতে আয় হয়েছে ৬৪২ কোটি ডলার। ওই মাসে আমদানি ব্যয় হয়েছে ৬২৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ উদ্বৃত্ত ছিল ১৬ কোটি ডলার। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে এ খাতে ঘাটতি হতো। বর্তমানে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স থেকে পাওয়া ডলার দিয়ে আমদানি ব্যয় মিটিয়ে কিছু ডলার উদ্বৃত্ত থাকছে। গত জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ডলার ও রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৫৯ কোটি ডলার। দুই খাত মিলে মোট আয় হয়েছে ৬৫৬ কোটি ডলার। এর বিপরীতে ওই মাসে আমদানি ব্যয় হয়েছে ৪৮৭ কোটি ডলার। উদ্বৃত্ত থাকছে ১৬৯ কোটি ডলার।

মার্চের তুলনায় জুলাইয়ে উদ্বৃত্ত ১৫৩ কোটি ডলার বাড়লেও সংকট মিটছে না। বরং আরও প্রকট হচ্ছে। কারণ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। উদ্বৃত্ত এসব ডলারের একটি বড় অংশই খরচ হয়েছে বিদেশ ভ্রমণ, চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতে। কিছু অংশ গেছে আগের এলসির দায় পরিশোধে। বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ২০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ শোধ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে রিজার্ভ থেকে প্রতি মাসে গড়ে ১০০ কোটি ডলারের বেশি জোগান দিতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। গত অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ১১৩ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বিক্রি করেছে ১৮০ কোটি ডলার।

এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ৯০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। এ কারণে রিজার্ভ থেকে ডলার বের হচ্ছে। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয় কম হওয়ায় রিজার্ভে ডলার যোগ হচ্ছে কম। যে কারণে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। ২০২১ সালের আগস্টে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে সর্বোচ্চ চার হাজার ৮০৬ কোটি ডলারে উঠেছিল। এখন তা কমে নিট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩০৭ কোটি ডলার। গত দুই বছরে রিজার্ভ কমেছে দুই হাজার ৪৯৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ রিজার্ভ কমেছে ৫২ শতাংশ। বৈশ্বিক ও দেশীয় সংকটের কারণে গত দুই বছর ধরেই রিজার্ভ নিম্নমুখী।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত ডিসেম্বরে দেশের মোট বৈদেশিক ঋণ ৯ হাজার ৬২৫ কোটি ডলার। গত মে মাসে তা কমে এসেছে ৯ হাজার ৪৭১ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে ঋণ কমেছে ১৫৪ কোটি ডলার। নতুন ঋণ কম নেওয়া ও আগের ঋণ শোধ করার কারণে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি কমেছে। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ঋণ বেড়েছিল ৫৪৫ কোটি ডলার। বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ।

বর্তমান ঋণের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সাত হাজার ৭৭২ কোটি ডলার। যা মোট ঋণের ৮০ দশমিক ৭০ শতাংশ। স্বল্পমেয়াদি ঋণ এক হাজার ৮৫৩ কোটি ডলার। যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। সরকারি খাতের ঋণ সাত হাজার ১৯৪ কোটি ডলার। যা মোট ঋণের ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। বেসরকারি খাতে দুই হাজার ৪৩১ কোটি ডলার। বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বেশি, সরকারি খাতে কম। বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ হচ্ছে এক হাজার ৬৫২ কোটি ডলার। স্বল্পমেয়াদি ঋণই এখন রিজার্ভের ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে।

দীর্ঘমেয়াদি ঋণ লম্বা সময় ধরে পরিশোধের সুযোগ থাকে। যে কারণে এ ঋণে রিজার্ভের ওপর চাপ কম পড়ে। কিন্তু স্বল্পমেয়াদি ঋণ তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। এ ঋণের পরিশোধে ব্যর্থ হলে মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকে। তখন এর বিপরীতে চড়া সুদ ও দণ্ড সুদ দিতে হয়। যে কারণে খরচ বাড়ে। এতে রিজার্ভে চাপও বাড়ে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ১৬২ কোটি ডলারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ শোধ করতে হবে। এর মধ্যে সুদ ৩৬ কোটি ডলার। আগামী বছর শোধ করতে হবে ১৭৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ ৩২ কোটি ডলার। ২০২৫ সালে শোধ করতে হবে ১০৮ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ ২৮ কোটি ডলার। এরপর থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ শোধ বছরে ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে আসবে। তবে নতুন ঋণ যোগ করলে তা বেড়ে যাবে।

স্বল্পমেয়াদি ঋণের প্রায় পুরোটাই আমদানির বিপরীতে নেওয়া। এর মধ্যে চলতি বছরেই শোধ করার কথা এক হাজার ২০০ কোটি ডলার। কিন্তু ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে শোধ করতে হবে প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের মতো। বাকি ঋণের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ডলার সংকট অব্যাহত থাকলে এসব ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে।


বকেয়া   বৈদেশিক ঋণ   রিজার্ভ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, গত বুধবারের হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ কমে ১ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার বা ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়নে নেমে এসেছে। 

আগের সপ্তাহের বুধবার যা ছিল ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। তবে দায়হীন বা প্রকৃত রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে রিজার্ভ কমার তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গত বুধবার মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০২ কোটি ডলার। তবে রিজার্ভ থেকে গঠন করা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ), লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ), বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ এবং পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচির রিজার্ভ বাদ দিলে, অর্থাৎ আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হচ্ছে ১ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার। তবে এর পুরোটাই দায়হীন নয়। এর মধ্যে সাড়ে ৩ বিলিয়ন মানে ৩৫০ কোটি ডলারের ওপর দায় রয়েছে। যার মধ্যে আইএমএফের সদস্যদেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেওয়া ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি ঋণ রয়েছে। আবার ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক দায় পরিশোধের জন্য ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটির কিছু বেশি ডলার আছে। পাশাপাশি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের জন্য প্রায় ৫০ কোটি ডলার রয়েছে রিজার্ভে। ফলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ আছে ১৬ বিলিয়ন, অর্থাৎ ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কম।

এদিকে রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য ডলার-সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে বেশি দামে কেনা ডলার কম দামে কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকটের মধ্যে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম কমাতে বাধ্য করেছে ব্যাংকগুলোকে। ফলে চলতি মাসে ৭৫ পয়সা কমানো হয়েছে ডলারের ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য। যদিও এই দামে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে কমই।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ডলারের দাম আরও কমলো

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চলমান সংকটের মধ্যেই ডলারের দাম আরও ২৫ পয়সা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে প্রতি ডলার কেনার দর ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রির দর ১১০ টাকা ২৫ পয়সা ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা। 

গত ২২ নভেম্বর প্রতি ডলার আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও প্রবাসীদের ধরে রাখা ডলার বাজারে আনতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

ডলারের দর কমানোর ঘোষণার পরও এখনও ১২০-১২২ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে ব্যাংকগুলো। এ ছাড়া খোলাবাজারে ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ধারাবাহিকভাবে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বাড়ানোর ফলে আরও বাড়বে এমন আশায় অনেকেই ডলার ধরে রেখেছে। এমন বাতস্তবতায় প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের ডলার দেশে আনতে এমন কৌশল নেয়া হয়েছে। 

ডলার   কেন্দ্রীয় ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা

প্রকাশ: ০৭:৫২ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশের বাজারে আবার সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনা দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার এত দাম হয়নি।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ায় পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানায় বাজুস। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সে কারণে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৯ হাজার ৯২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৪ হাজার ৯৪১ টাকা করা হয়েছে।

তবে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি এক হাজার ৭১৫ টাকা।

২১ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি এক হাজার ৬৩৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি এক হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার দাম এক হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

 


সোনা   দাম   বাড়ালো   ভালো   মান   ভরি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রিটার্ন জমার সময় বাড়লো দুই মাস

প্রকাশ: ০৫:৪৪ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন জমার সময় দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে দেড় মাস বাড়ানো হয়েছে কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন জমার সময়। 

বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। 

এনবিআরের আদেশে ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে করদিবস ৩০ নভেম্বরের পরিবর্তে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং কোম্পানি করদাতাদের করদিবস ১৫ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। 

মূলত চলমান নতুন আয়কর আইন প্রণয়ন, দেরিতে কর পরিপত্র প্রকাশ, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে করদাতাদের সুবিধার্থে সময় বাড়ানো হয়েছে। 
  
নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, করদাতাদের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। করদাতারা চাইলে এ সময়ের পরও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। তবে ৩০ নভেম্বরের পর রিটার্ন জমা দিলে বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত পাবেন না করদাতারা এবং বিলম্ব সুদ ও জরিমানা দিতে হবে। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করদাতাদের সুবিধার্থে এনবিআর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমার সুযোগ দিতে যাচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে করদাতারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। 

এর আগে রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন। এফবিসিসিআই থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নতুন আয়কর আইন প্রতিপালন ও পরিপত্র বিলম্বে প্রকাশের কারণে করদাতারা প্রস্তুতি নিতে তেমন সময় পাননি। অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে অনেক করদাতার পক্ষেই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দেওয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে রিটার্ন জমার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে চিঠিতে।

আর ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন দুই মাস সময় বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে এনবিআরে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চলমান হরতাল-অবরোধ, আয়কর আইন-২০২৩ সম্পর্কে করদাতা ও আইনজীবীদের পরিপূর্ণ জ্ঞানের অভাব, ২০২৩-২৪ করবর্ষের পরিপত্র বিলম্বে প্রাপ্তি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে সব পেশার করদাতার পক্ষে রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে না। 

এছাড়া বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালা অনুসরণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও সর্বোপরি করদাতাদের সুবিধার্থে জরিমানা ব্যতীত ২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় ব্যক্তি শ্রেণির করদাতা ও ফার্মগুলোর ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের পর আরও দুই মাস বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

 


করদাতা   রিটার্ন   জমা   সময়   বাড়ালো   কোম্পানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

প্রবাসীরা ২৪ দিনে ১৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪৯ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দৈনিক এসেছে গড়ে ৬ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার করে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ২৪ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩৪ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

অক্টোবর মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পরের মাস আগস্টে রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।

২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।


নভেম্বর   প্রবাসী   বাংলাদেশি   ব্যাংকিং   মার্কিন ডলার   রেমিট্যান্স  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন