ইনসাইড ইকোনমি

আকুর বিল পরিশোধ, রিজার্ভ ২১ বিলিয়নে নামলো

প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail আকুর বিল পরিশোধ, রিজার্ভ ২১ বিলিয়নে নামলো।

ডলার সংকটের সঙ্গে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম থাকায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। এর মধ্যে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই ও আগস্ট মাসের আমদানি বিল বাবদ ১৩১ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ কমে ২১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে প্রকৃত রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার রাখার কথা।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আকুর বিল ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন (১৩১ কোটি) ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। তবে প্রকৃত রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে।

আকু কী?

আকু হলো- একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। তবে এখন আকুর সদস্য পদ নেই শ্রীলঙ্কার। অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমদানি ব্যয় পরিশোধের বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির আকু সদস্য পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য আকুর সদস্য পদ উন্মুক্ত। 

প্রকৃত রিজার্ভ ২১.৫০ বিলিয়ন ডলার

দেশের রিজার্ভ আছে ২ হাজার ৭৬১ কোটি ডলার (২৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন) ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দেশে প্রকৃত রিজার্ভে ৬১০ ডলার বাদ দিতে হয়। সেই হিসাবে প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে ৩ মাসের মতো আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

সারা বিশ্বে প্রচলিত ও বহুলব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুদ্রা বিনিময়, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত নয়। এসব খাতে বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ৬১০ কোটি ডলার দেওয়া আছে, যা বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেশকিছু বিষয়ে নির্দিষ্ট শর্ত দিয়ে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে। এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পায় বাংলাদেশ। এই শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল জুনে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে তা ২ হাজার ৫৩০ ডলার এবং ডিসেম্বরে ২ হাজার ৬৮০ ডলারে রাখতে হবে। কিন্তু এখন রিজার্ভ আছে মাত্র ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।  

এর আগে গত (মে ও জুন সময়ের বিল) জুলাই মাসে আমদানি দায় বাবদ ১০৯ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল। ওই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। একই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নিয়মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাংক। দেশে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৩৫৬ কোটি (২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন) ডলারে নেমে যায়।

আমদানি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি থাকায় আমদানি ব্যয় কমেনি। এছাড়া করোনার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য আগের অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে; যা এখনো অব্যাহত আছে। এ সংকট দিন দিন বাড়ছে। বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ সূচকটির ধারাবাহিকতা কমছে। তবে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রিজার্ভ যেভাবে তৈরি হয়

রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ধারাবাহিকভাবে যা বাড়ছিল। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। ওই বছরের ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর তা বেড়ে ক‌রোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট। ওইদিন রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলারে উঠে। এরপর ডলার সংকটে গত বছর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ তে ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সব শেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন ডলার।

রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি

বাজারে ডলার সংকট কাটাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিক ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। আর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) ডলার বিক্রি করেছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। এভাবে ধারাবাহিক ডলার বিক্রির ফলে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সঞ্চয় করা রিজার্ভ এখন ২১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।


আকু   বিল পরিশোধ   রিজার্ভ   বিলিয়ন   ডলার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, গত বুধবারের হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ কমে ১ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার বা ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়নে নেমে এসেছে। 

আগের সপ্তাহের বুধবার যা ছিল ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। তবে দায়হীন বা প্রকৃত রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে রিজার্ভ কমার তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গত বুধবার মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০২ কোটি ডলার। তবে রিজার্ভ থেকে গঠন করা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ), লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ), বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ এবং পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচির রিজার্ভ বাদ দিলে, অর্থাৎ আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হচ্ছে ১ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার। তবে এর পুরোটাই দায়হীন নয়। এর মধ্যে সাড়ে ৩ বিলিয়ন মানে ৩৫০ কোটি ডলারের ওপর দায় রয়েছে। যার মধ্যে আইএমএফের সদস্যদেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেওয়া ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি ঋণ রয়েছে। আবার ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক দায় পরিশোধের জন্য ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটির কিছু বেশি ডলার আছে। পাশাপাশি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের জন্য প্রায় ৫০ কোটি ডলার রয়েছে রিজার্ভে। ফলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ আছে ১৬ বিলিয়ন, অর্থাৎ ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কম।

এদিকে রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য ডলার-সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে বেশি দামে কেনা ডলার কম দামে কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকটের মধ্যে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম কমাতে বাধ্য করেছে ব্যাংকগুলোকে। ফলে চলতি মাসে ৭৫ পয়সা কমানো হয়েছে ডলারের ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য। যদিও এই দামে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে কমই।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ডলারের দাম আরও কমলো

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চলমান সংকটের মধ্যেই ডলারের দাম আরও ২৫ পয়সা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে প্রতি ডলার কেনার দর ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রির দর ১১০ টাকা ২৫ পয়সা ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা। 

গত ২২ নভেম্বর প্রতি ডলার আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও প্রবাসীদের ধরে রাখা ডলার বাজারে আনতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

ডলারের দর কমানোর ঘোষণার পরও এখনও ১২০-১২২ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে ব্যাংকগুলো। এ ছাড়া খোলাবাজারে ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ধারাবাহিকভাবে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বাড়ানোর ফলে আরও বাড়বে এমন আশায় অনেকেই ডলার ধরে রেখেছে। এমন বাতস্তবতায় প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের ডলার দেশে আনতে এমন কৌশল নেয়া হয়েছে। 

ডলার   কেন্দ্রীয় ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা

প্রকাশ: ০৭:৫২ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশের বাজারে আবার সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনা দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার এত দাম হয়নি।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ায় পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানায় বাজুস। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সে কারণে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৯ হাজার ৯২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৪ হাজার ৯৪১ টাকা করা হয়েছে।

তবে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি এক হাজার ৭১৫ টাকা।

২১ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি এক হাজার ৬৩৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি এক হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার দাম এক হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

 


সোনা   দাম   বাড়ালো   ভালো   মান   ভরি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রিটার্ন জমার সময় বাড়লো দুই মাস

প্রকাশ: ০৫:৪৪ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন জমার সময় দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে দেড় মাস বাড়ানো হয়েছে কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন জমার সময়। 

বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। 

এনবিআরের আদেশে ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে করদিবস ৩০ নভেম্বরের পরিবর্তে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং কোম্পানি করদাতাদের করদিবস ১৫ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। 

মূলত চলমান নতুন আয়কর আইন প্রণয়ন, দেরিতে কর পরিপত্র প্রকাশ, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে করদাতাদের সুবিধার্থে সময় বাড়ানো হয়েছে। 
  
নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, করদাতাদের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। করদাতারা চাইলে এ সময়ের পরও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। তবে ৩০ নভেম্বরের পর রিটার্ন জমা দিলে বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত পাবেন না করদাতারা এবং বিলম্ব সুদ ও জরিমানা দিতে হবে। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করদাতাদের সুবিধার্থে এনবিআর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমার সুযোগ দিতে যাচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে করদাতারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। 

এর আগে রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন। এফবিসিসিআই থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নতুন আয়কর আইন প্রতিপালন ও পরিপত্র বিলম্বে প্রকাশের কারণে করদাতারা প্রস্তুতি নিতে তেমন সময় পাননি। অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে অনেক করদাতার পক্ষেই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দেওয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে রিটার্ন জমার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে চিঠিতে।

আর ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন দুই মাস সময় বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে এনবিআরে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চলমান হরতাল-অবরোধ, আয়কর আইন-২০২৩ সম্পর্কে করদাতা ও আইনজীবীদের পরিপূর্ণ জ্ঞানের অভাব, ২০২৩-২৪ করবর্ষের পরিপত্র বিলম্বে প্রাপ্তি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে সব পেশার করদাতার পক্ষে রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে না। 

এছাড়া বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালা অনুসরণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও সর্বোপরি করদাতাদের সুবিধার্থে জরিমানা ব্যতীত ২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় ব্যক্তি শ্রেণির করদাতা ও ফার্মগুলোর ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের পর আরও দুই মাস বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

 


করদাতা   রিটার্ন   জমা   সময়   বাড়ালো   কোম্পানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

প্রবাসীরা ২৪ দিনে ১৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪৯ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দৈনিক এসেছে গড়ে ৬ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার করে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ২৪ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩৪ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

অক্টোবর মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পরের মাস আগস্টে রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।

২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।


নভেম্বর   প্রবাসী   বাংলাদেশি   ব্যাংকিং   মার্কিন ডলার   রেমিট্যান্স  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন