ইনসাইড ইকোনমি

শেষ একনেক সভা কাল , ৮২টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হতে পারে

প্রকাশ: ০৭:২৭ পিএম, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি চলছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অথবা প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। কমিশন আইন অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর আর কোনো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা করার নিয়ম নেই। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবারই (৩১ অক্টোবর) হতে যাচ্ছে বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ একনেক সভা। এমনটিই জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। আর এজন্য শেষ সময়ে বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনের হিড়িক পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শেষ সভায় অন্তত ৮২টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হতে পারে।

মঙ্গলবারের (৩১ অক্টোবর) একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা এই ৮২ প্রকল্পের মধ্যে ৪৪টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প। এছাড়া ছয়টি মেয়াদ বাড়ানোর এবং বাকি ৩২টি পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদিত প্রকল্প। যেগুলো একসঙ্গে একনেকে উপস্থাপন করা হবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের ওই মেয়াদের শেষ একনেক সভায় সর্বোচ্চ ৩৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

একনেকের কার্যতালিকা তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার যেসব প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতির প্রকল্প। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ৪ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা-ধোনাগোদা নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতুর নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে নিচ্ছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন অনুমোদন করিয়ে নিচ্ছেন আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মীরগঞ্জ সেতু। রাষ্ট্রপতির এলাকায় বহুল আলোচিত পাবনা জেলার ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্প অনুমোদন করে নেওয়া হচ্ছে। ভারতের লাভের বহুল আলোচিত যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনার নামে দুটি প্রকল্প অনুমোদন পাচ্ছে। অত্যধিক ব্যয়ের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পও অনুমোদন পাচ্ছে।

এছাড়া আগামী একনেকে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ছয়টি প্রকল্প তোলা হচ্ছে। যেগুলোর এরই মধ্যে তিনবার সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া ৩২টি প্রকল্প সভায় অবহিত করার জন্য তোলা হচ্ছে। যেগুলো এরই মধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান অনুমোদন দিয়েছেন।

রেকর্ড সংখ্যক প্রকল্প একনেক সভায় উপস্থাপন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গত প্রায় এক মাস একনেক সভা হয়নি। যে কারণে এবারের সভায় অনুমোদনের জন্য অনেক প্রকল্প পেন্ডিং আছে। আমরা কোন দিকে যাবো, প্রকল্প কম হলেও বলা হয় সরকারের মনে হয় টাকা নেই, আবার বেশি হলেও সমস্যা। একনেক সভা বেশিদিন হয়নি বলেই একসঙ্গে অনেক প্রকল্প সভায় উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া অন্য কিছু না। এর আগেও তো আমরা প্রতিটা একনেক সভায় ২০ থেকে ২৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। এক মাসে চারটি একনেক সভা হয়। সেই হিসেবে প্রকল্পের সংখ্যাও ঠিক আছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এক হাজার ৩০৯টি চলমান প্রকল্প রয়েছে। ৮২৫টি প্রকল্প বরাদ্দহীন নতুন প্রকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। সে তালিকা থেকেই এখন প্রকল্প পাস করা হচ্ছে।

একনেকে যেসব নতুন বড় প্রকল্প অনুমোদন পেতে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, নওগাঁ, মাগুরা ও জয়পুরহাট জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে তিন প্রকল্প, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, লার্নিং অ্যাডুকেশন ইন সেকেন্ডারি অ্যাডুকেশন প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অফসাইড পানি সরবরাহের সুবিধাদি স্থাপন প্রকল্প, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ, যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্প, ১০ জেলায় বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি প্রকল্প।

এছাড়া আগামীকালের একনেক সভায় ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। ভৌত অবকাঠামোর বড় প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ভাঙ্গা যশোর বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর, রিজিলিয়ান্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, ঢাকার ইনার সার্কুলার রিং রোডের বেড়িবাঁধ রায়েরবাজার থেকে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম দোহাজারী মিটারগেজ রেলপথকে ডুয়েল গেজ রেলপথে রূপান্তর প্রকল্প এবং যমুনা রিভার সাসপেনেবল ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প ইত্যাদি।

 


একনেক   সভা   প্রকল্প   উপস্থাপন   আসন্ন   নির্বাচন   সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সেরা করদাতা তালিকায় সাকিব-তামিম

প্রকাশ: ০৯:৪৪ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

২০২২-২০২৩ করবর্ষে মোট ১৪১ ব্যক্তি, কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতা হিসেবে ‘ট্যাক্স কার্ড’ দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তালিকায় খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে রয়েছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল খান ও মোহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সেরা করদাতাদের তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসুর সই করা প্রজ্ঞাপনে মোট ৭৬ জন ব্যক্তি, ৫৪ কোম্পানি ও অন্যান্য ক্যাটাগরির ১১টিসহ মোট ১৪১ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, খাজা তাজমহল, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, ফজলুর রহমান ও আব্দুল মুক্তাদির।

গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীল মুক্তিযোদ্ধা- এ মতিন চৌধুরী, মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, ডা. মো. আমজাদ হোসেন, মো. জয়নাল আবেদীন ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু সালেহ মো. নাসিম (অব.)।

প্রতিবন্ধী- আকরাম মাহমুদ, ডা. মো. মামুনুর রশিদ ও মো. শাহজামাল।

মহিলা- আনোয়ারা হোসেন, শাহনাজ রহমান, নিলুফার ফেরদৌস, মিতুলী মাহবুব ও ডা. শায়লা আফ্রিন খন্দকার।

তরুণ (৪০ বছর বয়সের নিচে)- আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, মো. শাহেদ শাহরিয়ার, সারদিন আহমেদ অন্তু, নাসিরুদ্দিন আকতার রশীদ ও রাকেশ কুমার।

ব্যবসায়ী- মো. কাউস মিয়া, গাজী গোলাম মূর্তজা, ওয়ালটন গ্রুপের এস এম আশরাফুল আলম, এস এম শামছুল আলম ও এসএম মাহবুবুল আলম।

বেতনভোগী- মোহাম্মদ ইউসুফ, রুবাইয়াৎ ফারজানা হোসেন, হোসনে আরা হোসেন, লায়লা হোসেন ও এম এ হায়দার হোসেন।

ডাক্তার- ডা. জাহাঙ্গীর কবির, অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক, অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ডা. এন এ এম মোমেনুজ্জামান ও ডা. লুৎফুল লতিফ চৌধুরী।

সাংবাদিক- ফরিদুর রেজা, মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমান, শাইখ সিরাজ ও মোহাম্মদ আবদুল মালেক।

আইনজীবী- ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, আহসানুল করিম, তৌফিকা আফতাব, ব্যারিস্টার নিহাদ কবির ও কাজী মোহাম্মদ তানজীবুল আলম।

প্রকৌশলী- প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও এ এইচ এম জহিরুল হক

স্থপতি- মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, মো. রফিক আজম, খান মোহাম্মদ মুস্তাফা খলীদ

অ্যাকাউন্ট্যান্ট- মো. ফারুক এফসিএ,  মাশুক আহমদ এফসিএ ও স্নেহাশীষ বড়ুয়া।

নতুন করদাতা- রায়ান মাইকেল ওট, মো. আলী নুর, মো. রফিকুল ইসলাম, জারা জেরিন জামান, আনতারা জাইমা ও মোহাম্মদ আমিনুল হক।

খেলোয়াড়- সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ ও তামিম ইকবাল খান।

অভিনেতা-অভিনেত্রী- মাহফুজ আহমেদ, ফরিদা আকতার ববিতা, মো. সিয়াম আহমেদ।

শিল্পী (গায়ক-গায়িকা)- তাহসান রহমান খান, এস ডি রুবেল, মমতাজ বেগম

অন্যান্য- এস এ কে একরামুজ্জামান, মো. মনির হোসেন ও নাফিস সিকদার।

কোম্পানি পর্যায়ে

ব্যাংকিং ক্যাটাগরি- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক- বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ও ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি।

অ-ব্যাংকিং আর্থিক- ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি ও বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ও ফান্ড লিমিটেড।

টেলিকমিউনিকেশন- গ্রামীণফোন লিমিটেড

প্রকৌশল- বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ স্টিল বোলিং মিলস ও বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক- নেসলে বাংলাদেশে পিএলসি, প্রাণ ডেইরি লিমিটেড ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

জ্বালানি- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, শেভরন বাংলাদেশ ব্লক থার্টিন অ্যান্ড ফার্টিন লিমিটেড ও পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড।

পাট শিল্পে- আকিজ জুট মিলস, আইয়ান জুট মিলস লিমিটেড ও পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেড।

স্পিনিং ও টেক্সটাইল- স্কয়ার টেক্সটাইলস পিএলসি, কোটস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাদশা টেক্সটাইলস লিমিটেড, এন. জেড. টেক্সটাইল লিমিটেড, কামাল ইয়ার্ন লিমিটেড, এ সি এস টেক্সটাইল লি. ও ফখরুদ্দীন টেক্সটাইল মিলস লি.।

ওষুধ ও রসায়ন- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড।

প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া- মিডিয়া স্টার লিমিটেড, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড, সময় মিডিয়া লিমিটেড ও টাইমস মিডিয়া লিমিটেড।

রিয়েল এস্টেট- স্বদেশ প্রপার্টিজ, শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড ও এডব্লিউআর ডেভেলপমেন্টস বিডি (লি.)।

তৈরি পোশাক- ইউনিভার্সাল জিন্স লিমিটেড, রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড, ইয়াংওয়ান হাইটেক স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, স্কয়ার ফ্যাশনস, নাইস ডেনিম মিলস লিমিটেড, ফকির ডেনিম মিলস লিমিটেড ও তিতাস স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

চামড়া শিল্প- বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, অ্যালায়েন্স লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ও এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড।

অন্যান্য- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, সাধারণ বীমা করপোরেশন, আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড।

অন্যান্য করদাতা পর্যায়ে ট্যাক্স কার্ড পাচ্ছেন যারা

ফার্ম- মেসার্স এস. এন করপোরেশন, মেসার্স মো. জামিল ইকবাল, ওয়ালটন প্লাজা ও মেসার্স ছালেহ আহাম্মদ।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ- বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

ব্যক্তি সংঘ- সেনা কল্যাণ সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী সমবায় ঋণদান সমিতি লি. ঢাকা।

অন্যান্য- আশা, ব্যুরো বাংলাদেশ, ব্র্যাক ও সামওয়ান-মীর আক্তার জয়েন্ট ভেঞ্চার।

সাকিব আল হাসান   তামিম ইকবাল খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

নভেম্বরে কমেছে মূল্যস্ফীতি

প্রকাশ: ০৯:১২ এএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। তার আগে কিছুটা কমেছে মূল্যস্ফীতির উত্তাপ। এক মাসের ব্যবধানে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে ঠেকেছে। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এছাড়া অক্টোবর মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি যেখানে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল, নভেম্বরে সেটি নেমে এসেছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির এ চিত্র উঠে এসেছে।

বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগের মাসে যা ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশে ঠেকেছে।

চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য এতদিন মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এখন সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদের হার বাড়লে মানুষ সাধারণত ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হন।

গত তিন মাস ধরেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে ছিল। তবে নভেম্বরে তা কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিবিএসের হিসাবে, গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল।

বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, দেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমলেও শহরের তুলনায় গ্রামের মূল্যস্ফীতি এখনো বেশি। নভেম্বরে গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশে, যা আগের মাস অক্টোবরেও ছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। নভেম্বরে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে রয়েছে।

শহর এলাকায় গ্রামের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কম। নভেম্বরে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশে, অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

চলতি বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে। যা ছিল এক যুগ বা ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেপ্টেম্বরে অবশ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিম্নমুখী হয়। সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি নামে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশে।

এরপর অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে প্রায় ১০ শতাংশে (৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ) উঠে যায়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতি বেশ দ্রুতগতিতে কমলেও বাংলাদেশে তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি কমে ১ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে।

 


বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো   মূল্যস্ফীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংকে ডলার রাখলেই ৭ শতাংশ সুদ

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশে চলমান ডলার সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আওতায় রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিটের (আরএফসিডি) ওপর ব্যাংকগুলো ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া এ ধরনের অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের বাইরে টাকা পাঠানো, একাধিক কার্ড ইস্যু করাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, কেউ আরএফসিডি হিসেবে ১০ হাজার ডলার জমা রাখতে পারেন। এখন থেকে ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক হারের সঙ্গে এই আমানতের উপর কমপক্ষে দেড় (১ দশমিক ৫) শতাংশ সুদ দেবে। এই হিসেবে, আমানতের বিপরীতে দুটি সম্পূরক কার্ড ইস্যু করা যেতে পারে। শিশু বা ভাইবোনসহ নির্ভরশীলরা কার্ডটি ব্যবহার করতে পারেন।

এই অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশে শিক্ষার খরচ পাঠানো যাবে। আবার স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান, ভাইবোন এবং নির্ভরশীল বাবা-মায়ের চিকিৎসার খরচও এখান থেকে বহন করা যায়।


কেন্দ্রীয় ব্যাংক   ডলার   সুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, গত বুধবারের হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ কমে ১ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার বা ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়নে নেমে এসেছে। 

আগের সপ্তাহের বুধবার যা ছিল ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। তবে দায়হীন বা প্রকৃত রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে রিজার্ভ কমার তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গত বুধবার মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০২ কোটি ডলার। তবে রিজার্ভ থেকে গঠন করা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ), লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ), বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ এবং পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচির রিজার্ভ বাদ দিলে, অর্থাৎ আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হচ্ছে ১ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার। তবে এর পুরোটাই দায়হীন নয়। এর মধ্যে সাড়ে ৩ বিলিয়ন মানে ৩৫০ কোটি ডলারের ওপর দায় রয়েছে। যার মধ্যে আইএমএফের সদস্যদেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেওয়া ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি ঋণ রয়েছে। আবার ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক দায় পরিশোধের জন্য ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটির কিছু বেশি ডলার আছে। পাশাপাশি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের জন্য প্রায় ৫০ কোটি ডলার রয়েছে রিজার্ভে। ফলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ আছে ১৬ বিলিয়ন, অর্থাৎ ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কম।

এদিকে রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য ডলার-সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে বেশি দামে কেনা ডলার কম দামে কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকটের মধ্যে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম কমাতে বাধ্য করেছে ব্যাংকগুলোকে। ফলে চলতি মাসে ৭৫ পয়সা কমানো হয়েছে ডলারের ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য। যদিও এই দামে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে কমই।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ডলারের দাম আরও কমলো

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চলমান সংকটের মধ্যেই ডলারের দাম আরও ২৫ পয়সা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে প্রতি ডলার কেনার দর ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রির দর ১১০ টাকা ২৫ পয়সা ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা। 

গত ২২ নভেম্বর প্রতি ডলার আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও প্রবাসীদের ধরে রাখা ডলার বাজারে আনতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

ডলারের দর কমানোর ঘোষণার পরও এখনও ১২০-১২২ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে ব্যাংকগুলো। এ ছাড়া খোলাবাজারে ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ধারাবাহিকভাবে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বাড়ানোর ফলে আরও বাড়বে এমন আশায় অনেকেই ডলার ধরে রেখেছে। এমন বাতস্তবতায় প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের ডলার দেশে আনতে এমন কৌশল নেয়া হয়েছে। 

ডলার   কেন্দ্রীয় ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন