আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি চলছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অথবা প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। কমিশন আইন অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর আর কোনো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা করার নিয়ম নেই। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবারই (৩১ অক্টোবর) হতে যাচ্ছে বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ একনেক সভা। এমনটিই জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। আর এজন্য শেষ সময়ে বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনের হিড়িক পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শেষ সভায় অন্তত ৮২টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হতে পারে।
মঙ্গলবারের (৩১ অক্টোবর) একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা এই ৮২ প্রকল্পের মধ্যে ৪৪টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প। এছাড়া ছয়টি মেয়াদ বাড়ানোর এবং বাকি ৩২টি পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদিত প্রকল্প। যেগুলো একসঙ্গে একনেকে উপস্থাপন করা হবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের ওই মেয়াদের শেষ একনেক সভায় সর্বোচ্চ ৩৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
একনেকের কার্যতালিকা তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার যেসব প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতির প্রকল্প। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ৪ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা-ধোনাগোদা নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতুর নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে নিচ্ছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন অনুমোদন করিয়ে নিচ্ছেন আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মীরগঞ্জ সেতু। রাষ্ট্রপতির এলাকায় বহুল আলোচিত পাবনা জেলার ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্প অনুমোদন করে নেওয়া হচ্ছে। ভারতের লাভের বহুল আলোচিত যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনার নামে দুটি প্রকল্প অনুমোদন পাচ্ছে। অত্যধিক ব্যয়ের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পও অনুমোদন পাচ্ছে।
এছাড়া আগামী একনেকে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ছয়টি প্রকল্প তোলা হচ্ছে। যেগুলোর এরই মধ্যে তিনবার সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া ৩২টি প্রকল্প সভায় অবহিত করার জন্য তোলা হচ্ছে। যেগুলো এরই মধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান অনুমোদন দিয়েছেন।
রেকর্ড সংখ্যক প্রকল্প একনেক সভায় উপস্থাপন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গত প্রায় এক মাস একনেক সভা হয়নি। যে কারণে এবারের সভায় অনুমোদনের জন্য অনেক প্রকল্প পেন্ডিং আছে। আমরা কোন দিকে যাবো, প্রকল্প কম হলেও বলা হয় সরকারের মনে হয় টাকা নেই, আবার বেশি হলেও সমস্যা। একনেক সভা বেশিদিন হয়নি বলেই একসঙ্গে অনেক প্রকল্প সভায় উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া অন্য কিছু না। এর আগেও তো আমরা প্রতিটা একনেক সভায় ২০ থেকে ২৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। এক মাসে চারটি একনেক সভা হয়। সেই হিসেবে প্রকল্পের সংখ্যাও ঠিক আছে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এক হাজার ৩০৯টি চলমান প্রকল্প রয়েছে। ৮২৫টি প্রকল্প বরাদ্দহীন নতুন প্রকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। সে তালিকা থেকেই এখন প্রকল্প পাস করা হচ্ছে।
একনেকে যেসব নতুন বড় প্রকল্প অনুমোদন পেতে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, নওগাঁ, মাগুরা ও জয়পুরহাট জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে তিন প্রকল্প, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, লার্নিং অ্যাডুকেশন ইন সেকেন্ডারি অ্যাডুকেশন প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অফসাইড পানি সরবরাহের সুবিধাদি স্থাপন প্রকল্প, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ, যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্প, ১০ জেলায় বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি প্রকল্প।
এছাড়া আগামীকালের একনেক সভায় ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। ভৌত অবকাঠামোর বড় প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ভাঙ্গা যশোর বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর, রিজিলিয়ান্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, ঢাকার ইনার সার্কুলার রিং রোডের বেড়িবাঁধ রায়েরবাজার থেকে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম দোহাজারী মিটারগেজ রেলপথকে ডুয়েল গেজ রেলপথে রূপান্তর প্রকল্প এবং যমুনা রিভার সাসপেনেবল ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প ইত্যাদি।
একনেক সভা প্রকল্প উপস্থাপন আসন্ন নির্বাচন সংসদ
মন্তব্য করুন
সাকিব আল হাসান তামিম ইকবাল খান
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। তার আগে কিছুটা কমেছে মূল্যস্ফীতির উত্তাপ।
এক মাসের ব্যবধানে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি
কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে ঠেকেছে। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এছাড়া অক্টোবর মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি যেখানে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল, নভেম্বরে সেটি
নেমে এসেছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান
ব্যুরোর (বিবিএস) মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির এ চিত্র উঠে এসেছে।
বিবিএসের হিসাবে
দেখা যায়, দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগের
মাসে যা ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে
৮ দশমিক ১৬ শতাংশে ঠেকেছে।
চলতি অর্থবছর
গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। কিন্তু ডলার সংকটের
কারণে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয়
ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য এতদিন মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে
দায়ী করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন সুদের হার
বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদের হার বাড়লে মানুষ সাধারণত
ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হন।
গত তিন মাস
ধরেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে ছিল। তবে নভেম্বরে তা কিছুটা কমে ১০ দশমিক
৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বিবিএসের হিসাবে,
গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে
সর্বোচ্চ। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল।
বিবিএসের হিসাবে
দেখা যায়, দেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমলেও শহরের তুলনায় গ্রামের মূল্যস্ফীতি এখনো বেশি।
নভেম্বরে গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশে, যা আগের মাস অক্টোবরেও
ছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। নভেম্বরে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০
দশমিক ৮৬ শতাংশে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে রয়েছে।
শহর এলাকায়
গ্রামের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কম। নভেম্বরে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে
৯ দশমিক ১৬ শতাংশে, অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক
৫৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।
চলতি বছরের
আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উঠেছিল
১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে। যা ছিল এক যুগ বা ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেপ্টেম্বরে অবশ্য
মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিম্নমুখী হয়। সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে।
আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি নামে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশে।
এরপর অক্টোবরে
সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে প্রায় ১০ শতাংশে (৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ) উঠে যায়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি
বেড়ে হয় ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি
হয়েছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্য-বহির্ভূত
মূল্যস্ফীতি হয় ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বিভিন্ন দেশে
মূল্যস্ফীতি বেশ দ্রুতগতিতে কমলেও বাংলাদেশে তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অর্থনৈতিক
সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি কমে ১ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মূল্যস্ফীতি
মন্তব্য করুন
দেশে চলমান ডলার সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আওতায় রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিটের (আরএফসিডি) ওপর ব্যাংকগুলো ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া এ ধরনের অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের বাইরে টাকা পাঠানো, একাধিক কার্ড ইস্যু করাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ
ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, কেউ আরএফসিডি হিসেবে ১০ হাজার ডলার জমা রাখতে পারেন। এখন থেকে ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক হারের সঙ্গে এই আমানতের উপর কমপক্ষে দেড় (১ দশমিক ৫) শতাংশ সুদ দেবে। এই হিসেবে, আমানতের বিপরীতে দুটি সম্পূরক কার্ড ইস্যু করা যেতে পারে। শিশু বা ভাইবোনসহ নির্ভরশীলরা কার্ডটি ব্যবহার করতে পারেন।
এই অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশে শিক্ষার
খরচ পাঠানো যাবে। আবার স্বামী বা
স্ত্রী, সন্তান, ভাইবোন এবং নির্ভরশীল বাবা-মায়ের চিকিৎসার খরচও এখান থেকে
বহন করা যায়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। তার আগে কিছুটা কমেছে মূল্যস্ফীতির উত্তাপ। এক মাসের ব্যবধানে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে ঠেকেছে। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এছাড়া অক্টোবর মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি যেখানে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল, নভেম্বরে সেটি নেমে এসেছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে।
দেশে চলমান ডলার সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আওতায় রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিটের (আরএফসিডি) ওপর ব্যাংকগুলো ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া এ ধরনের অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের বাইরে টাকা পাঠানো, একাধিক কার্ড ইস্যু করাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলমান সংকটের মধ্যেই ডলারের দাম আরও ২৫ পয়সা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে প্রতি ডলার কেনার দর ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রির দর ১১০ টাকা ২৫ পয়সা ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা।