ইনসাইড ইকোনমি

পেঁয়াজ ১৫০ আলু ৭০ টাকায় উঠেছে

প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ০১ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

পাগলা ঘোড়ার মতো লাগামহীন গতিতে ছুটছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহ না যেতেই কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ভালোমানের দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকায় উঠেছে। আমদানির খবরেও কমেনি আলুর দাম। আগের বাড়তি দামে মানভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

বুধবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল, মুগদা, রামপুরা, মিরপুরের বিভিন্ন এলাকার বাজার ও মুদি দোকান ঘুরে দামের এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এলাকাগুলোর বিভিন্ন সবজি দোকান, মুদি দোকান ও রাস্তায় ভ্যানে পেঁয়াজ-আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে। দেখা যায়, আকার ও প্রকারভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা দামের পার্থক্যে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও আলু। মুগদায় পেঁয়াজ বিক্রেতা কালাম মিয়া জানান, ছোট আকারের দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, আর আকারে বড় চকচকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। দুইদিন আগে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আর এক সপ্তাহে আগে বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। তার হিসাবে গত ৫ দিনে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। আলুর দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এখন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। 

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি।

পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে দাবি করলেন মুদি ব্যবসায়ী আল আমিন। তিনি জানান, আজকে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ১৪০ টাকা। আলু আগের কেনা একটু কাটা বেশি তাই ৬০ টাকা। তবে বাজারে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করছে। ডিমের দাম জানতে চাইলে বলেন, গত কয়েকদিন ডিমের দাম বাড়েনি আগের তুলনায় ডজনে ৫ থেকে ৬ টাকা কমেছে। আজকে ডিমের ডজন ১৫৫ টাকা বিক্রি করছি।    

মুগদা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নাসরিন বেগম জানান, সবসময় পাঁচ কেজি করে পেঁয়াজ কিনি এক মাস চলে যায়। আজকে কিনলাম দুই কেজি। গত মাসে পাঁচ কেজি যে টাকায় কিনেছিলাম আজকে দুই কেজি ওই টাকায় কিনলাম, ৩০০ টাকা নিল। গত সপ্তাহের ৫০ টাকার আলু আজকে ৭০ টাকা। কি কিনবো। আলু পেঁয়াজ তো প্রতিদিনই লাগে। সরকার এতো কিছু করে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে পারে না? পেটে ভাত না থাকলে সুন্দর রাস্তাঘাট দিয়ে কি সংসার চলবে। এখন হরতাল-অবরোধ চলছে এ কারণে পণ্যের দাম আরো বাড়বে-সমস্যায় পড়বো আমরা সাধারণ মানুষ, ক্ষোভ প্রকাশ করেন গৃহিণী নাসরিন।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, সবশেষ ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। তাদের তথ্য বলছে এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১০০ টাকা, আর আমদানি পেঁয়াজ ছিল ৮০ টাকা। আলু মঙ্গলবার বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, যা এক সপ্তাহে আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।

এর আগে ভারতের সরকার পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম ঠিক রাখতে রপ্তানির ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। যা ২৯ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হয়েছে। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় গত শনিবার জানায়, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি টন পেঁয়াজের দাম ৮০০ ডলার হলে কেজিপ্রতি এর রপ্তানি মূল্য পড়বে ৬৭ রুপি। ফলে দেশের ভেতরে কোনো কোনো বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০ রুপি পর্যন্ত উঠে গেছে। এ অবস্থায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে গেলে বাড়তি দামে কিনতে হবে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন।

এদিকে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিন্ডিকেট ও দাম নিয়ন্ত্রণে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৮টি আবেদনের বিপরীতে ১৯ হাজার ৪০০ টন আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সোমবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, একটি বিষয় খুবই স্পষ্ট যে, কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না। ৬০ টাকা, ৭০ টাকা ও ৮০ টাকা আলুর কেজি হবে কেন? মন্ত্রী বলেন, এক কেজি আলুতে যদি একজন ২০ থেকে ২৫ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেন, কেন সে এটা করবেন? মানুষের ক্রয় ক্ষমতার চিন্তা করে আমরা আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি। আমার মনে হয়, এটা তাদের জন্য সহায়ক হবে।

পেঁয়াজ   আলু   দাম   আমদানি   দোকানদার   ডিম   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ডলারের দাম আরও কমলো

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চলমান সংকটের মধ্যেই ডলারের দাম আরও ২৫ পয়সা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে প্রতি ডলার কেনার দর ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রির দর ১১০ টাকা ২৫ পয়সা ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা। 

গত ২২ নভেম্বর প্রতি ডলার আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও প্রবাসীদের ধরে রাখা ডলার বাজারে আনতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

ডলারের দর কমানোর ঘোষণার পরও এখনও ১২০-১২২ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে ব্যাংকগুলো। এ ছাড়া খোলাবাজারে ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ধারাবাহিকভাবে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বাড়ানোর ফলে আরও বাড়বে এমন আশায় অনেকেই ডলার ধরে রেখেছে। এমন বাতস্তবতায় প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের ডলার দেশে আনতে এমন কৌশল নেয়া হয়েছে। 

ডলার   কেন্দ্রীয় ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা

প্রকাশ: ০৭:৫২ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশের বাজারে আবার সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনা দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার এত দাম হয়নি।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ায় পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানায় বাজুস। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সে কারণে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৯ হাজার ৯২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৪ হাজার ৯৪১ টাকা করা হয়েছে।

তবে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি এক হাজার ৭১৫ টাকা।

২১ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি এক হাজার ৬৩৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি এক হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার দাম এক হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

 


সোনা   দাম   বাড়ালো   ভালো   মান   ভরি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রিটার্ন জমার সময় বাড়লো দুই মাস

প্রকাশ: ০৫:৪৪ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন জমার সময় দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে দেড় মাস বাড়ানো হয়েছে কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন জমার সময়। 

বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। 

এনবিআরের আদেশে ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে করদিবস ৩০ নভেম্বরের পরিবর্তে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং কোম্পানি করদাতাদের করদিবস ১৫ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। 

মূলত চলমান নতুন আয়কর আইন প্রণয়ন, দেরিতে কর পরিপত্র প্রকাশ, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে করদাতাদের সুবিধার্থে সময় বাড়ানো হয়েছে। 
  
নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, করদাতাদের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। করদাতারা চাইলে এ সময়ের পরও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। তবে ৩০ নভেম্বরের পর রিটার্ন জমা দিলে বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত পাবেন না করদাতারা এবং বিলম্ব সুদ ও জরিমানা দিতে হবে। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করদাতাদের সুবিধার্থে এনবিআর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমার সুযোগ দিতে যাচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে করদাতারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। 

এর আগে রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন। এফবিসিসিআই থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নতুন আয়কর আইন প্রতিপালন ও পরিপত্র বিলম্বে প্রকাশের কারণে করদাতারা প্রস্তুতি নিতে তেমন সময় পাননি। অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে অনেক করদাতার পক্ষেই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দেওয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে রিটার্ন জমার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে চিঠিতে।

আর ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন দুই মাস সময় বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে এনবিআরে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চলমান হরতাল-অবরোধ, আয়কর আইন-২০২৩ সম্পর্কে করদাতা ও আইনজীবীদের পরিপূর্ণ জ্ঞানের অভাব, ২০২৩-২৪ করবর্ষের পরিপত্র বিলম্বে প্রাপ্তি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে সব পেশার করদাতার পক্ষে রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে না। 

এছাড়া বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালা অনুসরণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও সর্বোপরি করদাতাদের সুবিধার্থে জরিমানা ব্যতীত ২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় ব্যক্তি শ্রেণির করদাতা ও ফার্মগুলোর ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের পর আরও দুই মাস বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

 


করদাতা   রিটার্ন   জমা   সময়   বাড়ালো   কোম্পানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

প্রবাসীরা ২৪ দিনে ১৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪৯ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দৈনিক এসেছে গড়ে ৬ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার করে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ২৪ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩৪ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

অক্টোবর মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পরের মাস আগস্টে রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।

২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।


নভেম্বর   প্রবাসী   বাংলাদেশি   ব্যাংকিং   মার্কিন ডলার   রেমিট্যান্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ডলারের দাম কমলো ৫০ পয়সা!

প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিগত এক বছরে প্রথমবারের মতো ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। আজ বৃহস্পতিবার থেকে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনার ক্ষেত্রে ডলারের দাম কমবে ৫০ পয়সা। পাশাপাশি আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রিতেও দাম কমবে ৫০ পয়সা। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ সভার স্থায়ীত্বকাল ছিল মাত্র ৫ মিনিট।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনতে ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা, আগে যা ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, আগে যা ছিল ১১১ টাকা।

তবে প্রবাসী আয়ে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারবে। ফলে প্রবাসী আয় পাঠালে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন উপকারভোগীরা।

এদিকে ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে সময়ে সময়ে এই সংগঠন দুটি ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে। এ দুটি সংগঠন মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে তারা সময়ে সময়ে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এ দুই সংগঠন ডলারের দর নির্ধারণের দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন এই মুদ্রার দাম আগের তুলনায় কখনো কমানো হয়নি।

সভায় বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম এবং এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন জানিয়েছেন, আমদানি কমেছে এবং রপ্তানি বাড়ছে। এ ছাড়া চলতি হিসাবে এখন ঘাটতি নেই। এ জন্য ডলারের দাম ৫০ পয়সা করে কমানো হবে।

এই সভায় প্রায় ৪০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও অন্য ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


ডলার   দাম কমলো   ৫০ পয়সা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন