ইনসাইড এডুকেশন

ভিসি নিয়ে যত বিতর্ক!

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২২ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ভিসি নিয়ে যত বিতর্ক!

ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিভাবক। সর্বোচ্চ এই কর্তা যদি দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হয়ে আহমদ ছফা রচিত গাভী বিত্তান্তের ‘মিয়া মুহাম্মদ আবু জুনায়েদ’ হয়ে পড়েন, তখন স্বাভাবিক নিয়মে চলে না ওই বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তখন আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরদের নিয়ে চলেছে বিতর্ক। ভাইস-চ্যান্সেলরদের এইসব বিতর্কের ফলে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পিতৃতুল্য। বর্তমানে ভিসি অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি)। উল্লেখযোগ্য বিতর্কিত কয়েকজন ভিসিকে নিয়েই আমাদের এই প্রতিবেদন।

১. বশেমুরবিপ্রবির সাবেক ভিসি খন্দকার নাসিরউদ্দিন: বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক এক শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়াসহ আরও কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও নিয়োগে দুর্নীতি, ভর্তি দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন তিনি।

২. বেরোবির সাবেক ভিসি কলিমুল্লাহ: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ নিয়মিত ক্যাম্পাসে যেতেন না, অফিস করতে ঢাকা থেকে। তার বিরুদ্ধে নিজের লোকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগও আছে। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরাও। ওই সময় উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে ৪০টিরও বেশি অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় ইউজিসি অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্তে নেমে সত্যতা পায় এবং ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ তখন সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। এছাড়াও রাত ৩টায় শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। 

৩. রাবির সাবেক ভিসি ড. এম আব্দুস সোবহান: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানকে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির নানা অভিযোগে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার পরিবর্তন করে নিজ মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ, রাষ্ট্রপতিকে অসত্য তথ্য দিয়ে অবসরগ্রহণ, বিভিন্ন নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিসহ বিস্তর অভিযোগ মাথায় নিয়েই বিদায় নেন তিনি। মেয়াদের শেষ সময়ে এসেও বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটিতে অনিয়মের চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপাচার্যের বাসভবন, প্রশাসনিক ভবন ও সিনেট ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

৪. জাবির ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম: উন্নয়ন প্রকল্পে ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছিল উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ একপেশে ছিল এবং বিষয়টিকে প্রমাণ করা যায়নি। ফলে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করবেন না জানিয়ে উপাচার্য বলেছিলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্দেশ দিলে দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন তিনি। সেই বিতর্ক কাটিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে বর্তমানে স্বপদে বহাল আছেন অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
 
৫. ঢাবির ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নামেও আছে বিস্তর অভিযোগ। বিশেষ করে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই তার কাছ থেকে ‘চিরকুটের মাধ্যমে’ ঢাবিতে ভর্তি হয়ে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেন ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতা, এরকম একটি অভিযোগ ওঠেছিল। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্যানেল নির্বাচনেও উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। নীল দলের অভ্যন্তরে হওয়া ভোটের ফলাফল অনুযায়ী ভিসি প্যানেলে তিনজনের ক্রম ঠিক হওয়ার কথা থাকলেও তা মানেননি বর্তমান ভিসি। তিনি নিজের নাম সর্ব প্রথম দিয়েছেন। যদিও সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মু. সামাদ সবার ওপরে থাকার কথা ছিল। এ নিয়ে নীল দলের শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল সেসময়। 

৬. চবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক ভিসি ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে তার অনুসারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজনের পাশাপাশি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত ছাত্র এবং মামলার আসামিকেও নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি নিয়োগ বাণিজ্য, ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যার আসামিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং বঙ্গবন্ধু চেয়ার দখলসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
 
৭. ববি ভিসি অধ্যাপক ড. এসএম ইমামুল হক: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম ইমামুল হক নিয়োগে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত। এরপর ছাত্রদের কটূক্তি করে আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

৮. নোবিপ্রবি সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য এম অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়োগে বড় ধরনের অনিয়ম করার অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ স্থগিত রাখতে বললেও তা অমান্য করেই তার সময়ে বেশ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে, ২০১৬ সালে ইউজিসির একটি তদন্ত দল তদন্তে গেলে উপাচার্যপন্থী বলে পরিচিত কর্মকর্তা ও বহিরাগত যুবকদের মহড়ায় ভীত হয়ে তদন্ত দল ঢাকায় ফিরে আসতে হয়। যদিও এম. অহিদুজ্জামান আগে থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

৯. জবির সাবেক ভিসি মীজানুর রহমান: শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়ার সংকট নিরসন প্রশ্নে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান। এছাড়াও যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেও বিতর্কিত হয়েছিলেন তিনি। যদিও তিনি দুই মেয়াদে সফলতার সাথেই দায়িত্ব পালন করেছেন বলে মনে করেন অনেকেই।

১০. শাবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: উপাচার্যদের বিতর্কের মিছিলে সর্বশেষ সংযোজন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনার সূত্র ধরে তার পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। অবশ্য শুধু হামলাই নয়, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের বলে জানা যায়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এখন একটাই দাবি, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি, ক্যাম্পাসে কোনো অনুষ্ঠান করতে বাধা প্রদান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কুমিল্লার লোকদের নিয়োগে প্রাধান্য, উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

ভিসি   বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণের কার্যক্রম আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে পর্যন্ত ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি পরিশোধ করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ০৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে এর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।


এইচএসসি পরীক্ষা   ফরম পূরণ   সোনালী সেবা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে ক্লাস বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।

মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।


তীব্র তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা। তিন ইউনিটে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার 'সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার আসন রয়েছে। এই আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এবার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বুয়েট-ঢাবি

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

বুধবার (১০ এপ্রিল) ওয়েবসাইটে এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়-এমন ৫৫টি বিষয়কে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ২০২৪ সালের এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত র‌্যাংঙ্কিং অনুযায়ী- এ বছর বিশ্বের ৯৫টি দেশের এক হাজার ৫৫৯টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার ৪০০টিরও বেশি একাডেমিক প্রোগ্রামের মর‌্যাংদা ও গবেষণাকে বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‌্যাংঙ্কিংয়ে স্থান দেওয়া হয়েছে।

এবারের র‌্যাংঙ্কিংয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে বুয়েট ৬৪ দশমিক পাঁচ স্কোর নিয়ে ৩০৫তম স্থানে আছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে।

সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে। আর আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে।

অন্যান্য ক্যাটাগরিগুলো হলো-লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন, ন্যাচারাল সায়েন্স। এই দুই ক্যাটাগরিতে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি।

এর আগে ২০২৩ সালে প্রকাশিত কিউএস বিষয়ভিত্তিক র‌্যাংঙ্কিংয়েও দেশের শুধু বুয়েট ও ঢাবির স্থান হয়েছিল। সেবার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছিল।

বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়   বুয়েট   ঢাবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে যা জানালো বোর্ড

প্রকাশ: ০১:০০ এএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল মে মাসের শুরুর দিকে প্রকাশ করা হতে পারে। বুধবার (৩ এপ্রিল) আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।  

তিনি জানান, সাধারণত লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। এবারও সময়সীমার মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।

গত ১২ মার্চ এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সে হিসাবে ১২ মে-র মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশ করা হতে পারে। এরই মধ্যে পরীক্ষকরা খাতা মূল্যায়ন শুরু করেছেন। মূল্যায়ন শেষে তা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠানো হবে। এরপর ফল প্রকাশের প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড।

জানা যায়, প্রাথমিকভাবে ৯, ১০ বা ১১ মে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। তবে তৈরি হয়ে গেলে এর আগেও ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

উল্লেখ, ২০২৪ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।

এসএসসি   ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন