এমবিবিএস (মেডিকেল) ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার। এবার
মেডিকেলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন এক লাখ ৩৯
হাজার ২১৭ জন। প্রতিটি আসনের বিপরীতে ১২ জন পরীক্ষার্থী
লড়বেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত ভর্তি নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী- আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন অনলাইনে টেলিটকের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ বছর মোট আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৮টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ১১ হাজার ১২২টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ১২ জন পরীক্ষার্থী।
ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করার জন্য দেশের খ্যাতিমান শিক্ষক ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি, সাংবাদিক ও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ওভারসাইট কমিটি এবং অভিজ্ঞ মেডিকেল শিক্ষকদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নম্বর সমতাকরণের জন্য আলাদাভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
দেশে মোট সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৭টি। সরকারি মেডিকেলে এমবিবিএসে চার হাজার ৩৫০টি আসন রয়েছে। মেধা কোটায় তিন হাজার ৩৮৪ জন, জেলা কোটায় ৮৪৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮৭ জন ও উপজাতি কোটায় ৩৩ জন ভর্তি হতে পারবেন।
এছাড়া ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছয় হাজার ৭৭২টি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ৩৩ হাজার ৮৬০ জন শিক্ষার্থী মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে বলে জানান জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার জন্য মোট কেন্দ্র ১৮টি। মোট আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রী এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে ছেলে ৬৪ হাজার ২৬৪ (৪৬ দশমিক ১৬ শতাংশ) ও মেয়ে ৭৪ হাজার ৯৫৩ জন (৫৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ)। মোট ভেন্যুর সংখ্যা ৫৭টি, মোট কক্ষ সংখ্যা এক হাজার ৯৭৭টি, ঢাকায় মোট আবেদনকারী ৫৭ হাজার ৪৩৬ জন, ঢাকায় ভেন্যুর সংখ্যা ১৮টি।
সরকারি মেডিকেল কলেজে একটি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২ জন। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি আসনের জন্য ১২ দশমিক পাঁচজন পরীক্ষার্থী বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা ঘোষণা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে
ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল
পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড থেকে ফরম পূরণ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ ফরম
পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।
ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার
পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ
করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় বলা হয়,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ মার্চের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো আর কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।
যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাক্রম
মন্তব্য করুন
আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শীঘ্রই রুটিনসংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার (২০ মার্চ) এসব তথ্য জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সাধারণত করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে যায় পরীক্ষার সূচি।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা হলেও এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়। সে সিলেবাস কিছুটা বাড়িয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ওই বছর পরীক্ষার সময় কিছুটা কম ছিল।
আর ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তবে এসএসসির আইসিটি ছাড়া এ দুই পাবলিক পরীক্ষা অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন