ইনসাইড এডুকেশন

মেডিকেলে ভর্তি শুরু ২৭ মার্চ

প্রকাশ: ০৩:৩৬ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথমবর্ষে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি আগামী ২৭ মার্চ শুরু হবে। ভর্তি কার্যক্রম ৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিতবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানোহয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার শর্তানুযায়ী লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৪৩৫০ জন পরীক্ষার্থীকে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হলো।’

‘আগামী ২৭ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অফিস চলাকালীন সময়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক গঠিত স্থানীয় ভর্তি কমিটি নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত সব মূল সনদপত্রগুলো যাচাই করবেন এবং মেডিকেল বোর্ড ভর্তির পূর্বে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন যার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের সাময়িকভাবে ভর্তি করা হবে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা পরবর্তীতে জানানো হবে।’

ভর্তির সময় যেসব কাগজপত্র লাগবে  

১. ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র।
২. এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট।
৩. এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের মূল সনদপত্র/ প্রশংসাপত্র।
৪. চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি।
৫. জেলা কোটার দাবির ক্ষেত্রে  স্থানীয় সিটি করপোরেশনের মেয়র/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত মূল নাগরিক সনদপত্র।
৬. পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ এবং জেলা প্রশাসকের সনদ ও অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ বা জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র। অন্যান্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গোত্র প্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র। 
৭. মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্বপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীদের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ৪৮.00.0000.00৩.25.0১৯.২0.৮৭৫ তারিখ ১৮/১০/২০২০ খ্রি. মূলে প্রকাশিত পরিপত্র এবং সরকার কর্তৃক জারিকৃত বিধি বিধান অনুযায়ী প্রমানক।
৮. প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক যাচিত অন্যান্য প্রমাণক। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনলাইন আবেদনপত্রে উল্লেখিত তথ্যাদির স্বপক্ষে পরিক্ষার্থী কর্তৃক প্রমাণক প্রদানে ব্যর্থ হলে বা প্রদানকৃত তথ্য অসত্য বলে প্রতীয়মান হলে যেকোনো সময় তার ভর্তি বাতিলপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা সক্রান্ত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dgme.gov.bd ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dghs.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ থেকে জানা যাবে।

ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণ

আগামী ১৪/০৩/২০২৩ খ্রি. হতে 22/03/20২৩ খ্রি. তারিখের মধ্যে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা (অফেরতযোগ্য) টেলিটক SMS এর মাধ্যমে জমা দিয়ে পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন (Submit) করা যাবে। পুনঃনিরীক্ষার ফল আবেদনকারীকে যথাসময়ে জানানো হবে। 

ফল পুনঃনিরীক্ষণ পদ্ধতি: টেলিটকের যে কোন প্রিপেইড মোবাইল থেকে SMS করতে হবে। ১ম SMS: GME <Space> RSC<Space> Roll No লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে। (যেমন DGME <Space> RSC< Space > 1116000 ) ফিরতি Message এ একটি PIN নম্বর আসবে। ২য় SMS ফি প্রদানের জন্য প্রাপ্ত PIN নম্বর দিয়ে SMS করতে হবে DGME< Space > RSC< Space >YES<Space>PIN এবং পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে (যেমন: DGME< Space > RSC< Space >YES< Space > 3699) ফিরতি SMS-এ ফি জমা বাবদ একটি প্রাপ্তি স্বীকার SMS পাওয়া যাবে। ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা। তিন ইউনিটে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ মে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার 'সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার আসন রয়েছে। এই আসনের বিপরীতে এবার আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এবার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বুয়েট-ঢাবি

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

বুধবার (১০ এপ্রিল) ওয়েবসাইটে এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়-এমন ৫৫টি বিষয়কে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ২০২৪ সালের এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত র‌্যাংঙ্কিং অনুযায়ী- এ বছর বিশ্বের ৯৫টি দেশের এক হাজার ৫৫৯টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার ৪০০টিরও বেশি একাডেমিক প্রোগ্রামের মর‌্যাংদা ও গবেষণাকে বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‌্যাংঙ্কিংয়ে স্থান দেওয়া হয়েছে।

এবারের র‌্যাংঙ্কিংয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে বুয়েট ৬৪ দশমিক পাঁচ স্কোর নিয়ে ৩০৫তম স্থানে আছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে।

সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে। আর আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে।

অন্যান্য ক্যাটাগরিগুলো হলো-লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন, ন্যাচারাল সায়েন্স। এই দুই ক্যাটাগরিতে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি।

এর আগে ২০২৩ সালে প্রকাশিত কিউএস বিষয়ভিত্তিক র‌্যাংঙ্কিংয়েও দেশের শুধু বুয়েট ও ঢাবির স্থান হয়েছিল। সেবার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছিল।

বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়   বুয়েট   ঢাবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে যা জানালো বোর্ড

প্রকাশ: ০১:০০ এএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল মে মাসের শুরুর দিকে প্রকাশ করা হতে পারে। বুধবার (৩ এপ্রিল) আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।  

তিনি জানান, সাধারণত লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। এবারও সময়সীমার মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।

গত ১২ মার্চ এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সে হিসাবে ১২ মে-র মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশ করা হতে পারে। এরই মধ্যে পরীক্ষকরা খাতা মূল্যায়ন শুরু করেছেন। মূল্যায়ন শেষে তা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠানো হবে। এরপর ফল প্রকাশের প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড।

জানা যায়, প্রাথমিকভাবে ৯, ১০ বা ১১ মে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। তবে তৈরি হয়ে গেলে এর আগেও ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

উল্লেখ, ২০২৪ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।

এসএসসি   ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

৩০ জুন থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা, সূচি প্রকাশ

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ০২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে। মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।‌

রুটিন অনুযায়ী, ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

এর আগে চলতি বছর ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুন মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু করার প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আজ ৩০ জুন পরীক্ষার তারিখ ঠিক করে রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।


এইচএসসি   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে শিবির ও হিযবুত তাহরীর

প্রকাশ: ১০:৪৩ পিএম, ৩০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে গত বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় চলমান আন্দোলনে একটি ‘অন্ধকার সংগঠনের’ ইন্ধন দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ ছাত্র। এই ছাত্ররা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে একটি অন্ধকার সংগঠনের ইন্ধনে বুয়েটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাঁকেই ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷

শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা তিনটার পর বুয়েট শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলা হয়। এতে অংশ নেওয়া পাঁচ বুয়েট ছাত্র নিজেদের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছেলে’ হিসেবে দাবি করেছেন।

মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন কয়েক শ শিক্ষার্থী৷

এমন প্রেক্ষাপটে বেলা তিনটার পর ওই পাঁচ ছাত্র বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তানভীর মাহমুদ। তিনি দাবি করেন, তারা পাঁচজন কোনো ছাত্রসংগঠনের পদধারী নন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০২৩ সালের জুলাইয়ে সুনামগঞ্জের হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার অভিযোগে বুয়েটের প্রাক্তন এবং বর্তমান ৩৪ জন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন। তাদের নামে এখনো আদালতে মামলা চলমান এবং সবাই জামিনে আছেন৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী মৌলবাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করি৷ এই মানববন্ধন করার পর আমাদের চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং জবাবদিহি চাওয়া হয়। বিভিন্ন হলের কক্ষে কক্ষে রাত ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ডেকে জবাবদিহি চাওয়া হয়। এমনকি মানববন্ধনকে একটি অপরাধের সঙ্গে তুলনা করে আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।’

তানভীর মাহমুদ বলেন, ‘বুয়েটের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আমাদের পক্ষে কেউ নিজের কোনো মতামত রাখতে গেলে তাঁকে বুলিং এবং নানা ধরনের হুমকির শিকার হতে হয়৷ আমাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক কিংবা পরিচয় থাকায় অনেককেই কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়৷ যে কারোরই পারিবারিকভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেই বা পরিচয় থাকলে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়; পরিবার নিয়েও অশালীন মন্তব্য করা হয় অনলাইন ও অফলাইনে।’  তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আমাদের মতো গুটিকয়েক ছেলের বিরুদ্ধে কারা এবং কাদের ইন্ধনে এসব হচ্ছে, তা একটু ভেবে দেখার সময় হয়েছে৷ মিথ্যাচার করে আমাদের দোষী করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী।’

সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের বিষয়ে কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরেন আরেক বুয়েট ছাত্র আশিক আলম৷ তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের কিছু ঘটনা এবং আমাদের ওপর একের পর এক আক্রমণ প্রমাণ করে দেয় যে ছাত্ররাজনীতিবিহীন বুয়েট ক্যাম্পাসে এখন প্রকাশ্যেই হিযবুত তাহরীর তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে৷ এই নিষিদ্ধ সংগঠন তাদের স্বার্থ হাসিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি আবেগ নিয়ে৷ বুয়েটে আবরার ফাহাদ ভাইয়ের সঙ্গে খুব খারাপ একটি ঘটনা ঘটেছে৷ আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই৷ কিন্তু হিযবুত তাহরীর ও শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আবেগকে পুঁজি করে প্রকাশ্যেই নিজেদের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলবেন, তাঁকেই ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷ আমাদের সঙ্গে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনেক শিক্ষার্থী থাকলেও ভয়ে ও হুমকিতে আসতে পারছেন না৷ আরও ২০-২৫ জন এখানে আসতে চাইলেও তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷’

ছাত্ররাজনীতিমুক্ত বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসীদের দমিয়ে রেখে অন্ধকার রাজনীতি শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আশিক৷ তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠুভাবে ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে চাই, পরীক্ষা দিতে চাই৷ সবাই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মতাদর্শে বিশ্বাস করুক। তবে স্বাধীনতাবিরোধী কোনো চেতনাকে আমরা কখনোই বুয়েটে ঠাঁই পেতে দেব না।’

বুধবার মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের বিষয়ে আশিক আলমের ভাষ্য, ‘আমরা শুনেছি, সেখানে একটি ছাত্রসংগঠনের সভাপতি এসেছিলেন। তিনি আসতেই পারেন। তিনি তো কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাননি৷’


বুয়েট   শিবির   হিযবুত তাহরীর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন