দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে
এক ভর্তি পরীক্ষা নিতে ন্যাশনাল টেস্টিং অর্থরিটি (এনটিএ) গঠন করা হচ্ছে। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বুয়েট ও বাংলাদেশ কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়কে এ ভর্তি প্রক্রিয়ায়
নিয়ে আসার লক্ষ্যে সোমবার (৩ এপ্রিল) শিক্ষামন্ত্রীর
সভাপতিত্বে একটি কোর কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এই কমিটিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাড়াও উপাচার্যদের সংগঠন উপাচার্য পরিষদের সভাপতিকে ডাকা হয়েছে।
সূত্র জানায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো এবং আর্থিক সাশ্রয় কমাতে তিনটি গুচ্ছে বর্তমানে ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটের মতো বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি। অন্যদিকে গুচ্ছ ভর্তিতে নানা জটিলতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এতে গুচ্ছের আসল উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। এই অবস্থায় সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এক ছাতার নিচে এনে একটি কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেজন্য গঠন করা হবে ন্যাশনাল টেস্টিং অর্থরিটি (এনটিএ)।
এনটিএ কার্যপরিধি, কোন পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে, কারা এর নেতৃত্বে দেবে তার কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে সোমবার (৩ এপ্রিল) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ে কোর কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসেছেন। বড় পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে এক ছাতার নিচে আসে এই বৈঠকে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতিকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই বৈঠকটি হবে। বৈঠক থেকে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে। সোমবারের বৈঠকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রাজশাহী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে কীভাবে এনটিএ-তে আনা যায় তা হবে মুখ্য আলোচনা। যেহেতু এই বড় পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসেনি তাই তাদের এনটিএ-তে আনার বিষয়ে বেশি আলোচনা হবে বলেও জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় একক আওতাভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতি-নির্ধারণী সভা বিষয়ে এক চিঠিতে এই তথ্য জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ইউজিসির সচিবৎ ড. ফেরদৌস জামানের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে গত ২৭ মার্চ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালন নীতি ও শিক্ষার মানোন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে একক আওতাভুক্ত করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বলা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে এনটিএ (ন্যাশনাল টেস্টিং অথোরিটি) গঠন করতে হবে। ইউজিসিকে এই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উপস্থিতিতে নীতি-নির্ধারণী সভা আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব উপস্থিত থাকবেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ঢাবি
মন্তব্য করুন
এসএসসি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
মন্তব্য করুন
আগামী ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে। মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
রুটিন অনুযায়ী, ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এর আগে চলতি বছর ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুন মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু করার প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আজ ৩০ জুন পরীক্ষার তারিখ ঠিক করে রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
ক্যাম্পাসে গত বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় চলমান
আন্দোলনে একটি ‘অন্ধকার সংগঠনের’ ইন্ধন দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ ছাত্র। এই ছাত্ররা
বলছেন, শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে একটি অন্ধকার সংগঠনের ইন্ধনে বুয়েটে বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ
সংগঠন হিযবুত তাহরীর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাঁকেই ‘ছাত্রলীগ’
ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷
শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা তিনটার পর বুয়েট শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন
করে এসব কথা বলা হয়। এতে অংশ নেওয়া পাঁচ বুয়েট ছাত্র নিজেদের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
বিশ্বাসী ছেলে’ হিসেবে দাবি করেছেন।
মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ
হোসেন বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ)
পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে
সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন কয়েক শ শিক্ষার্থী৷
এমন প্রেক্ষাপটে বেলা তিনটার পর ওই পাঁচ ছাত্র বুয়েট শহীদ মিনারের
সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তানভীর মাহমুদ। তিনি দাবি
করেন, তারা পাঁচজন কোনো ছাত্রসংগঠনের পদধারী নন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০২৩ সালের
জুলাইয়ে সুনামগঞ্জের হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার অভিযোগে বুয়েটের প্রাক্তন
এবং বর্তমান ৩৪ জন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন। তাদের নামে এখনো আদালতে মামলা চলমান এবং
সবাই জামিনে আছেন৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী মৌলবাদের বিরুদ্ধে
মানববন্ধন করি৷ এই মানববন্ধন করার পর আমাদের চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং জবাবদিহি
চাওয়া হয়। বিভিন্ন হলের কক্ষে কক্ষে রাত ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ডেকে জবাবদিহি চাওয়া
হয়। এমনকি মানববন্ধনকে একটি অপরাধের সঙ্গে তুলনা করে আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়ারও
হুমকি দেওয়া হয়।’
তানভীর মাহমুদ বলেন, ‘বুয়েটের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আমাদের
পক্ষে কেউ নিজের কোনো মতামত রাখতে গেলে তাঁকে বুলিং এবং নানা ধরনের হুমকির শিকার হতে
হয়৷ আমাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক কিংবা পরিচয় থাকায় অনেককেই কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়৷
যে কারোরই পারিবারিকভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে, বিশেষ করে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেই বা পরিচয় থাকলে
তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়; পরিবার নিয়েও অশালীন মন্তব্য করা হয় অনলাইন ও অফলাইনে।’ তিনি
আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আমাদের মতো গুটিকয়েক ছেলের বিরুদ্ধে কারা
এবং কাদের ইন্ধনে এসব হচ্ছে, তা একটু ভেবে দেখার সময় হয়েছে৷ মিথ্যাচার করে আমাদের দোষী
করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী।’
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের বিষয়ে কয়েকটি
ঘটনা তুলে ধরেন আরেক বুয়েট ছাত্র আশিক আলম৷ তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের কিছু ঘটনা এবং
আমাদের ওপর একের পর এক আক্রমণ প্রমাণ করে দেয় যে ছাত্ররাজনীতিবিহীন বুয়েট ক্যাম্পাসে
এখন প্রকাশ্যেই হিযবুত তাহরীর তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে৷ এই নিষিদ্ধ সংগঠন তাদের স্বার্থ
হাসিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি আবেগ নিয়ে৷ বুয়েটে আবরার ফাহাদ ভাইয়ের সঙ্গে খুব
খারাপ একটি ঘটনা ঘটেছে৷ আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই৷ কিন্তু হিযবুত তাহরীর ও
শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আবেগকে পুঁজি করে প্রকাশ্যেই নিজেদের প্রচার-প্রচারণা
চালাচ্ছে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলবেন, তাঁকেই
ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷ আমাদের সঙ্গে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনেক
শিক্ষার্থী থাকলেও ভয়ে ও হুমকিতে আসতে পারছেন না৷ আরও ২০-২৫ জন এখানে আসতে চাইলেও তাঁদের
ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷’
ছাত্ররাজনীতিমুক্ত বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসীদের
দমিয়ে রেখে অন্ধকার রাজনীতি শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন
আশিক৷ তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠুভাবে ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে চাই, পরীক্ষা দিতে চাই৷
সবাই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মতাদর্শে বিশ্বাস করুক। তবে স্বাধীনতাবিরোধী কোনো চেতনাকে
আমরা কখনোই বুয়েটে ঠাঁই পেতে দেব না।’
বুধবার মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের বিষয়ে আশিক আলমের ভাষ্য, ‘আমরা শুনেছি, সেখানে একটি ছাত্রসংগঠনের সভাপতি এসেছিলেন। তিনি আসতেই পারেন। তিনি তো কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাননি৷’
মন্তব্য করুন
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে গত বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় চলমান আন্দোলনে একটি ‘অন্ধকার সংগঠনের’ ইন্ধন দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ ছাত্র। এই ছাত্ররা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে একটি অন্ধকার সংগঠনের ইন্ধনে বুয়েটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাঁকেই ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷