ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ইউজিসির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ৪র্থ ত্রৈমাসিক কর্ম-পরিকল্পনা (এপ্রিল-জুন ২৩)-এর অংশ হিসেবে শনিবার (১৩ মে) সকাল ১০ টায় প্রশাসন ভবনের ৩য় তলার সভাকক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার
উদ্বোধনী পর্বে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর
ড. শেখ আবদুস সালাম
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, তথ্য অধিকার আইন,
২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে নাগরিকদের
এমপাওয়ারড্ করার জন্য। যার
তথ্য দেয়ার কথা সে যদি
তা না দেয় তাহলে
এই আইনটা তাকে বিপদগ্রন্থ করার
সুযোগ করে দিয়েছে তথ্যসেবা
গ্রহণকারীর জন্য। তার মানে সেবা
গ্রহণকারীর ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি
বলেন, কর্মকর্তাগণ অফিসসময়ে চেয়ারে না থাকলে সেবা
গ্রহীতাদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার
বাঁধাগ্রস্ত হয়। এজন্য ক্লায়েন্টদের
তথ্য অধিকারকে সংরক্ষণ করার জন্য অফিস
ডিসপ্লিন মেনে বিবেক থেকে
গোছালোভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা
আমাদের কর্তব্য সততার সাথে প্রতিপালন করবো,
তাহলে আমিও সমৃদ্ধ হবো,
পরিশুদ্ধ হবো। আমার পরবর্তী
প্রজন্ম আমাকে দেখে শিখবে। প্রতিষ্ঠান
এবং দেশ উপকৃত হবে।
বিশেষ
অতিথি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর
প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর
রহমান বলেন, আমরা যদি আমাদের
কাজ সম্পর্কে, কীভাবে সেবা প্রদান করতে
হবে সে-সম্পর্কে যথাযথভাবে
অবগত ও সচেতন থাকি
এবং আন্তরিক হই তাহলে সেবা
গ্রহীতাগণ যথাযথ সেবা পাবেন।
অপর
বিশেষ অতিথি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর
হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তথ্য অধিকার আইন,
২০০৯ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে, এটা আমার
প্রত্যাশা।
তথ্য
অধিকার আইন বাস্তবায়ন কমিটির
আহ্বায়ক, প্রক্টর ও ইংরেজি বিভাগের
প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন
আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান
করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী
হাসান। রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা তথ্য অফিসের
সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোঃ
আমিনুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রকাশনা ও
জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ইন-চার্জ) ও
তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন কমিটির
সদস্য ড. আমানুর রহমান।
তথ্য প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের
উপ-পরিচালক মোঃ রাজিবুল ইসলামের
সঞ্চালনায় কর্মশালায় তথ্য অধিকার বিষয়ক
ফোকাল পয়েন্ট ও তথ্য কর্মকর্তা
উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ সাহেদ হাসানসহ
বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধ থাকবে।
এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে আগামীকাল তা খোলার কথা ছিল। তার আগে আজ শনিবার দুই মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরগুলোর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।
এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে কার্যত এই ছুটি হবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৮ এপ্রিল খুলবে।
মাউশির মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি বা উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ পরিবর্তিত হতে পারে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলো মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপপরিচালক জানান, মাউশির অধীন স্কুল ও কলেজগুলোর মতো তাদের অধীন মাদ্রাসাগুলোও ছুটি থাকবে। অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোও খুলবে ২৮ এপ্রিল।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, তারাও মাউশির অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
তীব্র তাপদাহ গরম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ঢাবি
মন্তব্য করুন
এসএসসি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
মন্তব্য করুন
আগামী ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে। মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
রুটিন অনুযায়ী, ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এর আগে চলতি বছর ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুন মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু করার প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আজ ৩০ জুন পরীক্ষার তারিখ ঠিক করে রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। যার জন্য ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্ট। এমন পরিস্থিতিতে আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তীব্র তাপদাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।