ইএমকে
সেন্টারের অর্থায়নে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘University Students
Attitude On Whistleblowing: Awareness, Progress And Challenges Of
Implementation At Public Sector In Bangladesh’ শীর্ষক
দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার
(২১ মে) সকাল সাড়ে
৯টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ১৩৪ নম্বর কক্ষে
দিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধন
করেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির
আহমেদ।
হুইসেলব্লোয়িং
সম্পর্কিত এ কর্মশালার
উদ্বোধনী সেশনে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের
সাবেক অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার
হোসাইন বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান বা
কর্মপ্রক্রিয়ার ভেতরে থেকে কোনো কর্মী
যখন প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থের ওপরে জনস্বার্থকে স্থান
দিয়ে ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি,
অপকর্ম, অন্যায়, প্রতারণামূলক বা অবৈধ কার্যক্রমের
গোপন তথ্য ফাঁস করে
দেন সেটাই মূলত হুইসেলব্লোয়িং। আর
হুইসেলব্লোয়ার তারাই, যারা প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি
বা অনিয়মের খবর ফাঁস করে
দেন। সাংবাদিকদের জন্য তারা তথ্যের
খুব গুরুত্বপূর্ণ উৎস। সরকার, বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের ভেতরে
থেকে মারাত্মক সব তথ্য তারা
জানিয়ে দেন। ফলে প্রতারণা
ও অপচয় থেকে শুরু
করে অপরাধের চক্রান্ত এবং যুদ্ধাপরাধের মত
খবরও প্রকাশ হয়ে যায়।'
তিনি
আরো বলেন, 'তরুণরা হলো সমাজের প্রাণশক্তি।
তারা যদি যেকোন পরিস্থিতিতে
অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে এবং সে
আওয়াজ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়
তবে শত বাধা সত্বেও
তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। এ ধরনের হুইসেলব্লোয়িং
প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয় যা কাঙ্ক্ষিত
লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।’
কর্মশালায়
বিভিন্ন সেশনে হুইসেল ব্লোয়িংয়ের উপায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুইসেল ব্লোয়িং এবং হুইসেল ব্লোয়িংয়ের
গুরুত্ব বিষয়ে আলোকপাত করেন সরকার ও
রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নুরুল হুদা
সাকিব, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের
সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান এবং সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া
সরকারি কলেজের প্রভাষক ফয়সাল জামান শিশির।
এছাড়া
কর্মশালায় বক্তারা আরো যেসব বিষয়ে
আলোকপাত করে কথা বলেন-সামাজিক অন্যায় ও অবিচারের
বিরুদ্ধে কাউকে না কাউকে রুখে
দাঁড়াতেই হয়। স্বাভাবিক স্রোতের
বিপরীতে দাঁড়িয়ে পরিবর্তনের জন্য কথা বলাই
হুইসেলব্লোয়িং। বর্তমানে, ডিজিটাল হুইসেলব্লোয়িংয়ের জগতে অনেক বৈচিত্র্য
এসেছে। ইন্টারনেট দুনিয়ায় বা সোশ্যাল মিডিয়ায়
ঘটে যাওয়া কোনো অপ্রীতিকর, অন্যায়
বা খারাপ কর্ম ডিজিটাল
মিডিয়ার মাধ্যমে যেমন তুলে আনা
যায় তেমনি বাস্তব দুনিয়ায় ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের
অন্যায়, অপকর্ম ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়ায়
হুইসেলব্লোয়িং এর মাধ্যমে সকলের
সামনে তুলে আনা যায়।
হুইসেলব্লোয়িং
সম্পর্কিত কর্মশালার কো-অর্ডিনেটর ড.
নুরুল হুদা সাকিব বলেন,
"তরুণরা দেশের ভবিষ্যৎ। হুইসেলব্লোয়িং প্রোগ্রাম সম্পর্কে খুব কম তরুণই
জানে। আমাদের এই কর্মশালার
মাধ্যমে তরুণদেরকে এ সম্পর্কে জানাতে
চাই এবং সুসংহত সমাজ
প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই
ওয়ার্কশপের মাধ্যমে প্রতিবাদের প্রকৃত পদ্ধতি এবং তাদের সুরক্ষার
জন্য যে আইন রয়েছে
তা জানানোর মধ্য দিয়ে তরুণদের
মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত হবে। এতে সমাজে
বিদ্যমান অনিয়ম ও দুর্নীতির চর্চা
কিছুটা হলেও দূরীভূত হবে
বলে আশা রাখ।"
কর্মশালায়
অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন
আইন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয়
সভাপতি তাপস কুমার দাস,
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের
অধ্যাপক ড. মো. শামছুল
আলম, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল
ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মো. ইখতিয়ার উদ্দিন
ভূঁইয়া, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের
সভাপতি অধ্যাপক ড.মো. শাহেদুর
রশিদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের
অধ্যাপক উবাইদুর রহমান সিদ্দিকী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের
অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ, লোক-প্রশাসন বিভাগের
সভাপতি অধ্যাপক মো. নুরুল আমিন,
লোক-প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জেব-উন-নেছা,
অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মো. আশরাফুল মুনিম,
অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ইসতিয়াক রায়হান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত,
সহযোগী অধ্যাপক নুরুল হুদা সাকিব ইএমকে
সেন্টারের অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ওয়ার্কশপটির আয়োজন
করেছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস মোট
১২টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে
এ সম্পর্কিত ১২ টি ওয়ার্কশপ
পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ঢাবি
মন্তব্য করুন
এসএসসি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
মন্তব্য করুন
আগামী ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে। মঙ্গলবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
রুটিন অনুযায়ী, ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এর আগে চলতি বছর ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুন মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু করার প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আজ ৩০ জুন পরীক্ষার তারিখ ঠিক করে রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
ক্যাম্পাসে গত বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় চলমান
আন্দোলনে একটি ‘অন্ধকার সংগঠনের’ ইন্ধন দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ ছাত্র। এই ছাত্ররা
বলছেন, শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে একটি অন্ধকার সংগঠনের ইন্ধনে বুয়েটে বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ
সংগঠন হিযবুত তাহরীর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাঁকেই ‘ছাত্রলীগ’
ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷
শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা তিনটার পর বুয়েট শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন
করে এসব কথা বলা হয়। এতে অংশ নেওয়া পাঁচ বুয়েট ছাত্র নিজেদের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
বিশ্বাসী ছেলে’ হিসেবে দাবি করেছেন।
মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ
হোসেন বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ)
পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে
সকাল ৭টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন কয়েক শ শিক্ষার্থী৷
এমন প্রেক্ষাপটে বেলা তিনটার পর ওই পাঁচ ছাত্র বুয়েট শহীদ মিনারের
সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তানভীর মাহমুদ। তিনি দাবি
করেন, তারা পাঁচজন কোনো ছাত্রসংগঠনের পদধারী নন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০২৩ সালের
জুলাইয়ে সুনামগঞ্জের হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার অভিযোগে বুয়েটের প্রাক্তন
এবং বর্তমান ৩৪ জন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন। তাদের নামে এখনো আদালতে মামলা চলমান এবং
সবাই জামিনে আছেন৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী মৌলবাদের বিরুদ্ধে
মানববন্ধন করি৷ এই মানববন্ধন করার পর আমাদের চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং জবাবদিহি
চাওয়া হয়। বিভিন্ন হলের কক্ষে কক্ষে রাত ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ডেকে জবাবদিহি চাওয়া
হয়। এমনকি মানববন্ধনকে একটি অপরাধের সঙ্গে তুলনা করে আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়ারও
হুমকি দেওয়া হয়।’
তানভীর মাহমুদ বলেন, ‘বুয়েটের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আমাদের
পক্ষে কেউ নিজের কোনো মতামত রাখতে গেলে তাঁকে বুলিং এবং নানা ধরনের হুমকির শিকার হতে
হয়৷ আমাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক কিংবা পরিচয় থাকায় অনেককেই কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়৷
যে কারোরই পারিবারিকভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে, বিশেষ করে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তি বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেই বা পরিচয় থাকলে
তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়; পরিবার নিয়েও অশালীন মন্তব্য করা হয় অনলাইন ও অফলাইনে।’ তিনি
আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আমাদের মতো গুটিকয়েক ছেলের বিরুদ্ধে কারা
এবং কাদের ইন্ধনে এসব হচ্ছে, তা একটু ভেবে দেখার সময় হয়েছে৷ মিথ্যাচার করে আমাদের দোষী
করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী।’
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের বিষয়ে কয়েকটি
ঘটনা তুলে ধরেন আরেক বুয়েট ছাত্র আশিক আলম৷ তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের কিছু ঘটনা এবং
আমাদের ওপর একের পর এক আক্রমণ প্রমাণ করে দেয় যে ছাত্ররাজনীতিবিহীন বুয়েট ক্যাম্পাসে
এখন প্রকাশ্যেই হিযবুত তাহরীর তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে৷ এই নিষিদ্ধ সংগঠন তাদের স্বার্থ
হাসিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি আবেগ নিয়ে৷ বুয়েটে আবরার ফাহাদ ভাইয়ের সঙ্গে খুব
খারাপ একটি ঘটনা ঘটেছে৷ আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই৷ কিন্তু হিযবুত তাহরীর ও
শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আবেগকে পুঁজি করে প্রকাশ্যেই নিজেদের প্রচার-প্রচারণা
চালাচ্ছে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলবেন, তাঁকেই
ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷ আমাদের সঙ্গে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনেক
শিক্ষার্থী থাকলেও ভয়ে ও হুমকিতে আসতে পারছেন না৷ আরও ২০-২৫ জন এখানে আসতে চাইলেও তাঁদের
ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷’
ছাত্ররাজনীতিমুক্ত বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসীদের
দমিয়ে রেখে অন্ধকার রাজনীতি শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন
আশিক৷ তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠুভাবে ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে চাই, পরীক্ষা দিতে চাই৷
সবাই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মতাদর্শে বিশ্বাস করুক। তবে স্বাধীনতাবিরোধী কোনো চেতনাকে
আমরা কখনোই বুয়েটে ঠাঁই পেতে দেব না।’
বুধবার মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের বিষয়ে আশিক আলমের ভাষ্য, ‘আমরা শুনেছি, সেখানে একটি ছাত্রসংগঠনের সভাপতি এসেছিলেন। তিনি আসতেই পারেন। তিনি তো কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাননি৷’
মন্তব্য করুন
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে গত বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিক্রিয়ায় চলমান আন্দোলনে একটি ‘অন্ধকার সংগঠনের’ ইন্ধন দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ ছাত্র। এই ছাত্ররা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে একটি অন্ধকার সংগঠনের ইন্ধনে বুয়েটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বুয়েটে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হয়ে যিনিই কথা বলছেন, তাঁকেই ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে বারবার অত্যাচার করা হচ্ছে৷