৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের চূড়ান্ত তারিখ জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা হল, আসন ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাসমূহ যথাসময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে এবং টেলিটকের বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
এর আগে, চলতি বছরের ১৯ মে অনুষ্ঠিত হয় ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এতে ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। পরে চলতি বছরের ৬ জুন ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয় ১২ হাজার ৭৮৯ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর সবচেয়ে কম সময়ে এ ফল প্রকাশ করে পিএসসি।
৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর
মন্তব্য করুন
আগামী বছরের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে প্রথম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে ডিজিটাল অনলাইন লটারির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় লটারির উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে র্যান্ডম পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়। মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উক্ত ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন করা হয়।
আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৬৫৮টি সরকারি এবং ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হয় গত ২৪ অক্টোবর। যা চলে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
সব মিলিয়ে দেশব্যাপী ৩৮৪৬টি বিদ্যালয়ে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৯টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি আবেদন গৃহীত হয়। গৃহীত আবেদনসমূহ হতে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২১ সাল থেকে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা, পোষ্য কোটা, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সকল কোটা বিবেচনা করা হয়েছে। শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
এইচএসসি
ও সমমানের ২০২৩ সালের ফল
ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ
বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড়
পাসের হার ৭৮ দশমিক
৬৪ শতাংশ। সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে
পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন
১০ লাখ ৬৭ হাজার
৮৫২ জন । চলতি
বছরে পাস করা শিক্ষার্থীদের
মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী
কর্মজীবনে প্রবেশ করবে বা ভর্তি
হবে না। সে হিসেবে
পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে
৩ লাখ ২০ হাজার
৩৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি
হওয়ার সম্ভাবনা কম। বর্তমানে উচ্চশিক্ষায়
আসন আছে প্রায় ১৩
লাখ ২৬ হাজার। চলতি
বছরে সাড়ে ৭ লাখ
শিক্ষার্থী ভর্তি হলে খালি থাকবে
প্রায় ৫ লাখ সিট।
পরিসংখ্যানে
দেখা যায়- ২০১৯ সালে
এইচএসসি পরীক্ষায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়
পাস করেছিল ৯ লাখ ৮৮
হাজার ১৭২ শিক্ষার্থী। ওই
বছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও স্নাতক কলেজসহ
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিল ৭ লাখ ৮২
হাজার ৬১৬ জন। এদের
মধ্যে অন্তত ১ লাখ শিক্ষার্থী
আগের বছর এইচএসসি পাস
করা। অন্যদিকে ২০১৯ সালে বিভিন্ন
ধরনের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন ছিল ৯
লাখ ২৬ হাজার ৬১টি।
কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যার চেয়েও
১ হাজার ৪১৩ জন বেশি
ভর্তি করা হয়েছিল। এরপরও
২ লাখ ২৬ হাজার
৫৫৪টি আসন খালি ছিল।
জানা
যায়, বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার, বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩
হাজার ৬৭৫, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে
৮ লাখ ৭২ হাজার
৮১৫, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০
হাজার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৭ হাজার ৭৫৬,
দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪০, মেডিকেল ও
ডেন্টাল কলেজে ১০ হাজার ৫০০,
ঢাবি সাত কলেজে ২৩
হাজার ৩৩০, ৪ ইঞ্জিনিয়ারিং
কলেজে ৭ হাজার ২০৬টি,
টেক্সটাইল কলেজে ৭২০, সরকারি ও
বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ৫
হাজার ৬০০, ১৪টি মেরিন
অ্যান্ড অ্যারোনটিক্যাল কলেজে ৬৫৪, ঢাবি ও
রাবির অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৫০০
এবং চবি অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে
২৯০টি আসন। মোট খালি
আছে ১৩ লাখ ২৬
হাজার৪৮৬ টি।
এদিকে সকাল ১১টায় শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী- ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, মযমনসিংহে ৬৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ, যশোর ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ পাস করেছে
মন্তব্য করুন
চলতি
বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার
ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে
১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে
জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২
হাজার ৩৬৫ জন।
গত
বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর
সংখ্যা ছিল ১ লাখ
৭৬ হাজার ২৮২ জন। সেই
হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর
সংখ্যা কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭
জন।
রোববার
(২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট
ও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
ফল প্রকাশ করা হয়। এবার
পাসের হারও কিছুটা কমেছে।
গতবার পাসের হার ছিলো ৮৫
দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার
এইচএসসি ও সমমানে সব
বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক
৬৪ শতাংশ। গতবার এসএসসি ও সমমানে মোট
পাসের হার ছিল ৮৫
দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এর
আগে সকাল ১০টায় গণভবনে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে
ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি, শিক্ষা
উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা।
এদিকে,
বেলা ২টার দিকে রাজধানীর
সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে
ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি।
গত
১৭ আগস্ট দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা
বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাকৃতিক
দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও বাংলাদেশ কারিগরি
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭
আগস্ট।
এ
বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা
ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ১১টি বোর্ডের অধীনে
পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম
পূরণ করেছিলেন ১৩ লাখ ৫৯
হাজার ৩৪২ পরীক্ষার্থী। তাদের
মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮
হাজার ৮৮৭ জন এবং
ছাত্রী ৬ লাখ ৭০
হাজার ৪৫৫ জন।
জিপিএ-৫ অর্ধেক এইচএসসি পরীক্ষা
মন্তব্য করুন
২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
বেলা ১১টা থেকে শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে এবং এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও ফল জানা যাবে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) ঢুকে পরীক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করতে হবে। এরপর পরীক্ষার্থীর ফল পাওয়া যাবে।
শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে। তা করতে চাইলে সমন্বিত ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে থেকে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
এসএমএস-এর মাধ্যমে যেভাবে জানা যাবে :
মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আসবে ফল।
একইভাবে আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
আর কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানানো হবে।
চলতি বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট, শেষ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ১০দিন পিছিয়ে ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়।
সবগুলো বোর্ডে একই দিনে পরীক্ষা শুরু না হলেও ১১টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে।
এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
এইচ এস সি ফল প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
এইচএসসি
ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে
১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর অপেক্ষার
পালা শেষ হচ্ছে।
আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরীক্ষার ফলাফল
প্রকাশ করা হবে।
রোববার
(২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবনে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে
ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন শিক্ষা
বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। পরে বেলা ১১টার
দিকে শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা
হবে। একই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো
ফলাফলের পূর্ণাঙ্গ শিট পাবে।সংবাদ সম্মেলনের
মাধ্যমে প্রত্যেক বছর ফল প্রকাশের
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে থাকেন শিক্ষামন্ত্রী।
তবে এবার
আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশের তিন
ঘণ্টা পর সংবাদ সম্মেলন
করে ফলাফলের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা
বলবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সূত্র জানায়, রোববার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বৈঠকের জন্য ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী
ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা। দলের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ও একজন মনোনয়নপ্রত্যাশী
হিসেবে ডা. দীপু মনি
সেখানে অংশ নেবেন। ফলে
সংবাদ সম্মেলনের সময় পেছানো হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা
বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা
বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার
গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফল প্রকাশের সব
প্রস্তুতি সম্পন্ন। রোববার আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফল প্রকাশ
করা হবে।’
গত ১৭ আগস্ট দেশের
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাকৃতিক
দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও বাংলাদেশ কারিগরি
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ২৭
আগস্ট। এবছর ১১টি শিক্ষা
বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩
লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২
পরীক্ষার্থী।
এবার
পূর্ণ নম্বরের প্রশ্নপত্র ও পূর্ণ সময়ে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা
অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির
মুখে আইসিটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে
৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
ফল জানা যাবে যেভাবে
গত কয়েক বছরের মতো
এবারও ফলপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই নির্ধারিত
ওয়েবসাইটে ও এসএমএসের মাধ্যমে
খুব সহজেই ফল জানতে পারবেন।
শিক্ষা
বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসএমএসের
মাধ্যমে ফল পেতে মোবাইল
ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে প্রথমে ইংরেজি
অক্ষরে এইচএসসি লিখতে হবে। এরপর স্পেস
দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে
স্পেস, এরপর রোল নম্বর
লিখে আবার স্পেস দিয়ে
পাসের বছর লিখতে হবে।
এরপর ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
উদাহরণ
HSC DHA 123456 2023 লিখে
পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
সঙ্গে সঙ্গেই ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া
হবে।
অন্যদিকে
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল জানতে শিক্ষার্থীকে প্রথমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে
থাকা ফলাফল অপশনে ক্লিক করে রোল ও
রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সাবমিট করলেই
শিক্ষার্থীরা তার রেজাল্ট শিট
দেখতে পাবেন।
কলেজগুলো ফলাফল শিট পাবে যেভাবে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো
কীভাবে প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীর ফলাফলের
শিট পাবে, সেটাও জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা
হয়, স্ব স্ব শিক্ষা
বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে ইংরেজি অক্ষরে
লেখা রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করতে হবে। সেখানে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর এন্টি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল শিট
ডাউনলোড করা যাবে।
এইচএসসি ফলাফল পরীক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মন্তব্য করুন
আগামী বছরের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে প্রথম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে ডিজিটাল অনলাইন লটারির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় লটারির উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে র্যান্ডম পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়। মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উক্ত ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন করা হয়।
এইচএসসি ও সমমানের ২০২৩ সালের ফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন । চলতি বছরে পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী কর্মজীবনে প্রবেশ করবে বা ভর্তি হবে না
২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। বেলা ১১টা থেকে শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে এবং এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও ফল জানা যাবে।