ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিপিএল: জাতীয় দলে ফেরার মঞ্চ হতে পারে যাদের জন্য

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail বিপিএল: জাতীয় দলে ফেরার মঞ্চ হতে পারে যাদের জন্য

দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএল চলছে। ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬টি ম্যাচ। এই বছর রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর তাই এবারের বিপিএল অনেক ক্রিকেটারের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যারা টি-টোয়েন্টির জন্য জনপ্রিয় এবং যারা জাতীয় দলে পূর্বে খেলেছে তাদের জন্য জাতীয় দলে পুনরায় ফেরার মঞ্চ হতে পারে এই বিপিএল। এবারের বিপিএলে অনেকের উপরই বিশেষ নজর থাকছে ক্রিকেট প্রেমীদের। তবে চার ক্রিকেটারের উপর হয়তো আলাদা করেই নজর থাকবে সকলের। কারণ, এই চার ক্রিকেটারের জন্য জাতীয় দলের দরজা হয়তো আবার খুলে যেতে পারে বিপিএলে ধারাবাহিক পারফর্ম করতে পারলে। সেই চার ক্রিকেটার হলেন:

১। সাব্বির রহমান: বাংলার ক্রিকেটে ঝড়ে পড়া তারাদের একজন হলেন সাব্বির রহমান। এক সময় জাতীয় দলে নিয়মিত মুখ ছিলেন সাব্বির। অপার সম্ভাবনা নিয়ে দলে এসেছিলেন। এক সময়ের সম্ভাবনা জাগানো এই ক্রিকেটার এখন যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। জাতীয় দল তো দূর, ঘরোয়াতেও হয়ে পড়েন অনিয়মিত। এমনকি পেটের দায়ে 'খ্যাপ' পর্যন্ত খেলেছেন পাড়ার ক্রিকেটে। মাঠে দর্শককে পেটাতে যাওয়া, সতীর্থের গায়ে হাত তোলা, নারী কেলেংকারী ইত্যাদি নানা কারণে হয়েছেন বিতর্কিত। অথচ বিপিএলে তিনি পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সব বিতর্ককে ঝেড়ে ফেলতে চান 'ব্যাড বয়' তকমা পাওয়া এই ক্রিকেটার। বিতর্ককে পিছনে ফেলে তিনি নতুন করে শুরু করতে বদ্ধপরিকর। তাই এবারের বিপিএল হতে পারে তার জন্য ফিরে আসার বড় সুযোগ। ইতিমধ্যেই শেষ দুই ম্যাচে রানের দেখা পেয়ে নিজেকে ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত যেনো দিয়েছেন তিনি। আগামী ম্যাচ গুলোতে বড় ইনিংস খেলে সব সম্ভাবনাকে শংকায় পরিণত করা সাব্বির কি পারবেন আবার ঘুরে দাঁড়াতে? 

২। এনামুল হক বিজয়: দেশের ক্রিকেটে আরেক আফসোসের নাম এনামুল হক বিজয়। বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছেন তিনি। একসময় তাকে ভাবা হতো মুশফিকের বিকল্প। অথচ তিনিও খেই হারিয়ে ফেলেছেন। দায়টা বেশিভাগ তার নিজেরই। আশার বেলুন যে নিজেই ফুটো করে দিয়েছেন। অল্প বয়সে পেয়ে যাওয়া তারকাখ্যাতি সামলাতে পারেন নি। দলে জায়গা ধরে রাখতে পারেন নি। তাকে নিয়ে আফসোসটা আরো বাড়ে কারণ ২০১২ সালের যুব বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অথচ সেই আসরেরই বাবর আজম এখন দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন ক্রিকেটবিশ্বে। আর বিজয় যেন হারিয়ে গেলেন অতলে! নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আরেকটু সাবধানে পা ফেললে হয়তো এখনো জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ থাকতেন এই উইকেট-কীপার ব্যাটার। এবারের বিপিএলে বিজয় খেলছেন সিলেট সানরাইজার্সের হয়ে। নিজের নামের প্রতি এখনও সুবিচার করতে পারেননি তিনি। বাকি ম্যাচগুলোতে পারফর্ম করে আবারও জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে তার সামনেও। 

৩। রুবেল হোসেন: অনেক দিন ধরেই ফর্ম ও ইনজুরির কারণে জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারছেন না তারকা পেসার রুবেল হোসেন। এবারের বিপিএল হয়তো ৩১ বছর বয়সী এই পেসারকে আবারো জাতীয় দলে ফিরতে সাহায্য করতে পারে। সুযোগটা রুবেলের জন্যও দারুণ চ্যালেঞ্জের। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল দেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের এ সফল পেসারকে। কিন্তু একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ হয়নি তার। এ বছরই আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসছে। রুবেল চাইবেন এবার মূল একাদশে জায়গা করে নিতে। তাই রুবেল নিজেও জানেন নির্বাচকদের নজরে আসতে এবারের বিপিএলে পারফর্ম করাটা তার জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।

৪। ইমরুল কায়েস: জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ২০১৯ সালে খেলেছেন ইমরুল কায়েস। জাতীয় দলে কখনোই নিয়মিত না হওয়া ক্রিকেটার ইমরুল কায়েসকে ফেরার লড়াই করতে হয়েছে ক্যারিয়ারজুড়ে। নিজেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘দুর্ভাগা’ ক্রিকেটার হিসেবেও দাবি করেন। প্রতিবার জেদ করেই ফিরে এসেছেন। সদ্য শেষ হওয়া স্বাধীনতা কাপে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের হয়ে ব্যাট হাতে ছিলেন দারুণ ছন্দে। বিপিএলে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক হিসেবে খেলছেন। বিপিএলকে নিজের জন্য একটা প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে নিয়েছেন এবার। নির্বাচকদের মন জয় করতে পারবেন কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।

সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি এই ক্রিকেটারদের। এখনো রয়েছে জ্বলে উঠার এবং পারফরম্যান্স করে আবার দলে ফেরার সুযোগ। আশার আলো এখনো নিভে যায়নি।  নিজেদেরকে চেনাতে তারা কতোটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিপিএল   সাব্বির রহমান   বিজয়   রুবেল   ইমরুল কায়েস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাকিস্তানে নয়, বরং চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই চায় ভারত

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী বছর পাকিস্তানে বসতে চলেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। তবে সেই আসরে ভারত অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। ভারতের একগুয়েমিতে গত এশিয়া কাপে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তান ভেবেছিল ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে গেলে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলবে রোহতিরা।

তবে ভারতীয় দলকে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলাতে পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) উদ্যোগ নিলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। কারণ, পাকিস্তানে নয়, বরং হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চায় ভারত।

সবশেষ রোহিত-কোহলিরা যাতে পাকিস্তানে  স্বাভাবিকভাবে খেলতে পারে সেজন্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কথাও বলেছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। কিন্তু সেখানেও সায় দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তো নয়ই, বরং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতেও পাকিস্তান যেতে নারাজ ভারতীয়রা।

এমনকি আইসিসির এই বড় আসরে ভেন্যু পরিবর্তন করে ভারতের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে অন্য কোনো দেশে আয়োজনের দাবি করছে বিসিসিআই। পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে খেলতে চায় না ভারত।অর্থাৎ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর হাইব্রিড মডেলে চায় ভারত।

এদিকে বিসিসিআই সূত্রের বরাত দিয়ে আইএএনএস বলছে, ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য পাকিস্তানে না-ও যেতে পারে। ভেন্যু পরিবর্তন হতে পারে। হাইব্রিড মডেলেও করার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে বিসিসিআই জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আইসিসির আয়োজন হওয়া সত্ত্বেও ভারতের অংশগ্রহণ সরকারি নির্দেশের ওপর নির্ভর করে।

বিসিসিআই আরও জানায়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি একটি আইসিসি ইভেন্ট। তাই এটি ভারতের জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু সরকারের নির্দেশ-সবুজসংকেত ছাড়া কিছুই করার নেই।

সবশেষ ২০১২-১৩ ভারতের বিপক্ষে  সিরিজ খেলতে যায় পাকিস্তান। এরপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজিত হয়নি। এছাড়াও গত বছর পাকিস্তানের আয়োজনে এশিয়া  খেলতে যায়নি ভারত। কারণ সেবার রোহিতদের ম্যাচগুলো হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে।

তবে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান দল  ঠিকই খেলতে আসে ভারতের মাটিতে। যদিও ভারতীয় দল মোটেও যায়নি পাকিস্তানে।


পাকিস্তান   চ্যাম্পিয়নস ট্রফি   ভারত   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসি থেকে সুসংবাদ পেলেন শাহীন, বাবরের দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম ও শাহীন আফ্রিদি। গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই আলোচনায় রয়েছেন তারা। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বারবার সমালোচিত হয়েছেন এই দুই তারকা। তবে এবার এই দুইজনের একজন আইসিসি থেকে পেয়েছেন সুসংবাদ এবং অন্যজন পেয়েছেন দুঃসংবাদ।

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান এই সিরিজে নেই হারিস রউফ। এখন পর্যন্ত সিরিজের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি।

আর এতেই রেটিং পয়েন্টের যোগ বিয়োগের খেলায় রউফকে টপকে আইসিসির টি-২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে আবারও পাকিস্তানের শীর্ষ বোলার হয়েছেন আফ্রিদি। অবশ্য রউফকে টপকে গেলেও র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১৫-তেও নেই পাকিস্তানের সদ্য সাবেক অধিনায়ক। দুই ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে উঠেছেন ২৪ বছর বয়সী এই পেসার।

এদিকে চার ধাপ পিছিয়ে ২২ নম্বরে নেমে গেছেন রউফ। বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে আফ্রিদির ঠিক পরেই ১৮ নম্বরে আছেন নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেয়া সোধি পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন।

কিউইদের সেরা বোলার মিচেল স্যান্টনার। সিরিজের নিউজিল্যান্ড দলে না থাকা স্যান্টনার অবশ্য পয়েন্ট হারিয়ে পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছেন। টি-২০ বোলারদের এক নম্বর জায়গাটা ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।

এদিকে ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের টিম সাইফার্ট তিন ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৪ নম্বরে। তার সতীর্থ মার্ক চ্যাপম্যান লম্বা লাফই দিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৪২ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে জেতানো ব্যাটসম্যান ১২ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৩৩ নম্বরে।

পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম এক ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন পাঁচে। মোহাম্মদ রিজওয়ান আছেন আগের মতোই তিনে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রকাশিত সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে উঠেছেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরী।

যুবরাজ সিং ও কাইরন পোলার্ডের পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারা ব্যাটসম্যান ১০ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫০ নম্বরে। পরশ খাড়কা, কৌশল ভুরতেল ও রোহিত পৌডেলের পর চতুর্থ নেপালি হিসেবে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৫০-এ উঠলেন ঐরী।

ব্যাটিংয়ে ভারতের সূর্যকুমার যাদব ও অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরতি লেগে হেরেও ফাইনাল নিশ্চিত জুভেন্টাসের

প্রকাশ: ০৬:৪৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে ইতোমধ্যেই এগিয়ে ছিল তারা। যার জন্য ফিরতি লেগে ড্র করলে অথবা এক গোলে হারলেও ফাইনাল নিশ্চিত ছিল। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার ল্যাজিওর মুখোমুখি হয়েছিল জুভেন্টাস। ম্যাচটিতে  ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে তারা। কিন্তু তারপরেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তুরিনের জায়ান্টরা।

এদিন ল্যাজিওর মাঠে ৪৮ মিনিটেই ২-০ গেলে পিছিয়ে পড়ে অস্বস্তিতে পড়ে তুরিনের জায়ান্টরা। ল্যাজিওর হয়ে দুটি গোলই করেছেন ভ্যালেন্টিন ক্যাস্তেলানোস। ৮৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় মিলিকের প্রথম সুযোগের গোলে জুভেন্টাস দুই লেগ মিলিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।

ম্যাচ শেষে পোলিশ স্ট্রাইকার মিলিক বলেছেন, ‘আমরা একটি ভাল দলের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারায় আমরা দারুণ খুশি। ফাইনালে আমাদের ভাল খেলতে হবে। সেটা করার ব্যপারে আমরা মুখিয়ে আছি।’

নিয়মিত গোলরক্ষক ওজিচে সিজনি বদলি বেঞ্চে থাকায় মাত্তিয়া পেরিনের উপর জুভেন্টাসের গোলবার সামলানোর দায়িত্ব ছিল। ১২ মিনিটে কর্নার থেকে কাস্তেলানোসের হেডে ল্যাজিও এগিয়ে যায়।

বিরতির পরপরই লো শটে এই আর্জেন্টাইন কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি ম্যাচে ফিরে আসার লক্ষ্যে টিমোথি উইয়াহ ও মিলিককে মাঠে নামান। জুভেন্টাসের ভাগ্য নির্ধারণী গোলে এই দুজনেরই অবদান ছিল।

এর মাধ্যমে ১৫ বারের মত কোপা ইতালিয়ার শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে থাকলো জুভেন্টাস। অন্যদিকে সিরি আয় শেষ ১২ ম্যাচে মাত্র দুই জয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা জুভেন্টাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পজিশনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।


জুভেন্টাস   ল্যাজিও   ইতালিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে কাতারে লেবাননের মুখোমুখি বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০২৬ বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে লেবাননের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগামী ১১ জুন নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে কাতারের দোহায় আল সাদ স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় এ ম্যাচের আয়োজন করছে লেবানন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভেন্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

এবারের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন। লেবানন ও ফিলিস্তিন দুই দেশই অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য হোম ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে হয়। বাংলাদেশ মার্চ উইন্ডোতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলেছে কুয়েতে।

এখন জুন উইন্ডোতে লেবাননের ম্যাচ খেলবে কাতারে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে বাংলাদেশের একাধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মার্চ উইন্ডোতে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বাংলাদেশ দলকে সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের বেশি অনুশীলন করিয়েছিলেন। জুন উইন্ডোর আগে বড় সময় অনুশীলন করানোর সুযোগ পাবেন না। কারণ প্রিমিয়ার লিগ চলবে ২৯ মে পর্যন্ত। এর পরই মূলত জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু করতে পারবেন কোচ।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চার ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে কেবল হোম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়েছে। বাকি দুই ম্যাচের একটি হোমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, আরেকটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে লেবাননের বিপক্ষে।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই যাত্রা শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ ৬ জুন কিংস অ্যারেনায় অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে আসবে। অস্ট্রেলিয়া ২০১৫ সালে বাংলাদেশে আরেকবার এসেছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে।


বাংলাদেশ   লেবানন   ফুটবল   বিশ্বকাপ ২০২৬   এশিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আর্জেন্টিনার কার্লোস তেভেজ

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টিনার সাবেক তারকা ফুটবলার কার্লোস তেভেজ। একসময় দারুণ ফুটবল খেলে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন তিনি। এল অ্যাপাচি ডাকনাম পাওয়া এই ফুটবলার ফুটবল খেলা ছাড়লেও ফুটবলকে ছাড়তে পারেননি।

বর্তমানে আর্জেন্টিনায় কোচিং করানো সাবেক এই ফুটবলার দীর্ঘদিন পর এসেছেন আলোচনায়। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তেভেজ। দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, বুয়েন্স আইরেসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে।

২০২২ সালে সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া তেভেজ বর্তমানে আর্জেন্টিনার ক্লাব ইন্ডিপেনডিয়েন্তের হেড কোচের দায়িত্বে আছেন। ক্লাবটির বরাতে জানা গেছে, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।

সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে এক বার্তায় ইন্ডিপেনডিয়েন্তে জানিয়েছে, আমাদের কোচ কার্লোস তেভেজ বুকে ব্যথা নিয়ে সান ইসিড্রোর লা ত্রিনিদাদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তার পরীক্ষার রিপোর্ট সন্তোষজনক এসেছে বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও সতর্কতা হিসেবে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। সে পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকবেন তিনি।

এর আগে গত বছর একটি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তেভেজ। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ৭৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৩টি। ২০০৬ আর ২০১০ বিশ্বকাপে খেলেছেন। কোপা আমেরিকাতেও তিনটি ফাইনালে হেরেছেন তিনি, ফিরে এসেছেন শিরোপাজয়ের হাতছোঁয়া দূরত্ব থেকে।

২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ক্লাব পর্যায়ে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা তেভেজ ২০০৩ সালে জিতেছেন কোপা লিবারেটেডর্স। ইংল্যান্ড ও ইতালির ক্লাব ক্যারিয়ারে দারুণ সফল এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে কখনো কোনো ধরনের সমালোচনা শোনা যায়নি।

কার্লোস তেভেজকেও ফুটবল দুনিয়া মনে রাখবে তার আগ্রাসী খেলার জন্য। বর্তমানে কোচিং পেশায় আসা এই স্ট্রাইকার নিজের সময়ে ছিলেন অন্যতম সেরা। ওয়েইন রুনি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদের সঙ্গে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দারুণ সময় পার করেছেন এই আর্জেন্টাইন। ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। খেলেছেন ম্যানসিটির জার্সিতেও। সিটির বড় ক্লাব হয়ে ওঠার চেষ্টায় তিনি ছিলেন প্রথম দিকের সাইনিং।


এল অ্যাপাচি   কার্লোস তেভেজ   আর্জেন্টিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন