ইনসাইড গ্রাউন্ড

জয়ে প্রিমিয়ার লীগের শিরোপার লড়াই জমিয়ে রাখলো লিভারপুল

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ১১ মে, ২০২২


Thumbnail জয়ে প্রিমিয়ার লীগের শিরোপার লড়াই জমিয়ে রাখলো লিভারপুল

এখানে বড় দল-ছোট দলের কোন বিবেধ নেই, নেই আমির কিংবা ফকির দল বলেও কটাক্ষ। এখানে যে খেলতে পারে সেই রাজা। আর শক্তিশালী দলকেও ভয়ে থাকতে হয় যেকোনো সময় পুচকে দলগুলো তাদের গায়ে কামড় বসিয়ে দিতে পারে। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে যদি লীগের সবচেয়ে সেরা দুই দলের মাঝেই শিরোপা নিয়ে মারামারি শুরু হয়, তাও এক পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়া আর এক পয়েন্টে পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে তবে তো কোন কথাই নেই। আর এর জন্যই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিযোগিতা পূর্ণ এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় লীগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এবারের সেই আসরকে আবারো জমিয়ে রাখলো লিভারপুল তাদের নিজের ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে।  

ভয়টা লিভারপুলের সমর্থকদের মাঝে শুরুতে ঢুকিয়ে দেয় অ্যাস্টন ভিলা। খেলা শুরুর মাত্র তিন মিনিটেই গোল হজম করে বসে লিভারপুল। তবে মজার ব্যাপার হলো সমতায় ফিরতেও সময় নিল তিন মিনিট। এগিয়ে যাওয়া গোলের দেখা তারা পেল ঘণ্টাখানেক পর। বাকিটা সময় নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়ে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তাতে ম্যানচেস্টার সিটিকে চাপে রাখার পাশাপাশি শিরোপার লড়াই জমিয়েও রাখল তারা। অ্যাস্টন ভিলার মাঠ থেকে মঙ্গলবার (১০ মে) রাতে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে লিভারপুল। শীর্ষে থাকা সিটির সমান ৮৬ পয়েন্ট তাদের। তবে ক্লপের দল এক ম্যাচ বেশি খেলছে।

আগের ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে লিগ শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। অ্যাস্টন ভিলার ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়ায় শঙ্কার মেঘ উঁকি দিয়েছিল। জোয়েল মাতিপ ও সাদিও মানের গোলে সে মেঘ উড়িয়ে দিয়েছে তারা।

তারকা ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহকে বেঞ্চে রেখে শুরুর একাদশ সাজান লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। আক্রমণের দায়িত্ব পড়ে মানে, দিয়েগো জটা ও লুইস দিয়াসের কাঁধে। কিন্তু তারা নিজেদের মেলে ধরার আগেই লিভারপুলের রক্ষণে চাপ দিয়ে গোল আদায় করে নেয় অ্যাস্টন ভিলা।

তৃতীয় মিনিটে ওলি ওয়াটকিন্সের শট আলিসন ফেরানোর পরের আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় স্টিভেন জেরার্ডের দল। লুকাস দিনিয়ের ক্রসে লুইসের হেড ফেরালেও গ্লাভসে জমাতে পারেননি আলিসন। আলগা বল ফিরতি শটে জালে উড়িয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুইস।

পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা অবশ্য দ্রুতই সামলে নেয় লিভারপুল। তিন মিনিট পর ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের ক্রস ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি অ্যাস্টন ভিলার টাইরন মিঙ্গস এবং এরপর বল চলে যায় ভার্জিল ফন ডাইকের পায়ে। ডাচ এই ডিফেন্ডার নিচু ক্রস বাড়ান ছোট ডি-বক্সে। নিখুঁত টোকায় সুযোগ কাজে লাগান মাতিপ।

আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের এই উত্তাপ অবশ্য টিকেনি বেশিক্ষণ। সমতায় ফেরার পর থেকে একটু একটু করে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে আধিপত্য করতে থাকে লিভারপুল। ১৯তম মিনিটে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি থেকে সাদিও মানের হেড পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৩২তম মিনিটে দিয়াসের পাসে মানে বল জাল জড়ালেও গোল হয়নি। সতীর্থকে পাস দেওয়ার সময়ই অফসাইডে ছিলেন দিয়াস।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের ফ্রি কিক পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৬৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের লং পাস ধরে বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান দিয়াস, ফ্লিক হেডে জাল খুঁজে নেন মানে। গত ফেব্রুয়ারির পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সেনেগালের এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ১২টি।

৭২তম মিনিটে দিয়াসকে তুলে সালাহকে নামান ক্লপ। লিভারপুলের আক্রমণের গতি বাড়ে। কিন্তু মাতিপের হেড, নাবি কেইতার শট পারেনি ব্যবধান বাড়াতে। শেষ দিকে ড্যানি ইঙ্গস জোরালো কোনাকুনি শটে লিভারপুলের জালে বল জড়িয়েছিলেন। কিন্তু এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড আগে থেকেই অফসাইডে থাকায় হয়নি গোল। তাতে শুরুর চমককে শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা দিতে পারেনি অ্যাস্টন ভিলা। ৩৫ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে একাদশ স্থান আছে অ্যাস্টন ভিলা।

লিভারপুল   চ্যাম্পিয়ন লীগ   অ্যাস্টন ভিলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ এবার যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের দায়িত্বে

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কদিন আগেও বাংলাদেশ দলকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন। ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে সেবার শিরোপা ঘরে তুলেছিল টাইগাররা। যা আইসিসি কোনো আসরে প্রথম অর্জন টাইগারদের। এই সাফল্যের পেছনের অন্যতম নায়ক ছিলেন হেড কোচ স্টুয়ার্ট ল। এবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এই অজি কিংবদন্তী।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোচ হিসেবে ল-এর নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশের এই সাবেক কোচের প্রথম প্রতিপক্ষও টাইগাররাই। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। সেটিই যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হিসেবে স্টুয়ার্ট ল-এর প্রথম সিরিজ।

এর আগে ২০১১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ল। ছিলেন ২০১২ পর্যন্ত, তার অধীনে প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ।

এ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এর বাইরে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের কোচ হিসেবেও অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করেছেন।

ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সঙ্গেও। এ ছাড়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার অধীনেই এসেছিল যুব এশিয়া কাপের শিরোপা।

সবশেষ কাজ করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ হিসেবে। কিন্তু যুব বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তার সঙ্গে আর চুক্তি বৃদ্ধি করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে ৫৫ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে যোগ দিতে পারা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম শক্তিশালী সহযোগী দেশ।

‘আমি বিশ্বাস করি, সামনে আমরা একটা ভয়ংকর দল গঠন করতে পারব। বাংলাদেশ সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াই হবে প্রথম কাজ, এরপর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে, যেটা অনেক বড় বিষয়।’ আগামী ২১ মে শুরু হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের দুটি ম্যাচ হবে ২৩ ও ২৫ মে। সিরিজের সব কটি ম্যাচই হবে টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে।


স্টুয়ার্ট ল   ক্রিকেট   বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক হারে আর্সেনালের জন্য জোড়া দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম লেগে ২-২ তে ড্র করায় ফিরতি লেগ ছিল একমাত্র ভরসা। যেখানে শুরু থেকে আর্সেনাল ও বায়ার্নের লড়াইটাও জমেছিল বেশ। তবে বিরতির পর যেন বায়ার্নের সামনে দাঁড়াতে পারেনি গানাররা। যার ফলে মিকেল আর্তেতার দলকে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হারায় টমাস টুখেলের দল। আর এতে করেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় আর্সেনালকে।

আর এবার এই এক হারে জোড়া দুঃসংবাদ হজম করতে হলো গানারদের। তাদের এই হারে কপাল খুলেছে অস্ট্রিয়ার ক্লাব সালজবার্গের। প্রথমবারের মতো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের জায়গা করে নিচ্ছে তারা।

গতকাল বার্সেলোনার বিদায়ে নিশ্চিত হয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ জায়গা করে নিচ্ছে ৩২ দলের নতুন ধরণের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে। বাকি দল হিসেবে জায়গা করে নিতে পারত আর্সেনাল কিংবা সালজবার্গ। তবে বায়ার্নের বিপক্ষে আর্সেনালের পরাজয় কপাল খুলে দিয়েছে সালজবার্গের।

আগামী বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবে ৩২ দলের এই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। ইউরোপের জন্য বরাদ্দ আছে ১২ ক্লাব। যার মধ্যে ১১টিই নিশ্চিত ছিল। গতকাল ১২তম দল হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করেছে সালজবার্গ।

গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নিজ নিজ ম্যাচে হেরে যায় আর্সেনাল এবং ম্যানচেস্টার। আর্সেনাল হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলের ব্যবধানে। অ্যাগ্রিগেটে যা হয়েছে ৩-২। আর রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৪-৩ ব্যবধানে টাইব্রেকে ম্যাচ হেরেছে ম্যানসিটি। চার দলের মাঝে কেবল আর্সেনালই বাদ পড়ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে।

১২ দলের বাছাইয়ে চার আসরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী দলের সঙ্গে এই সময়ে তুলনামূলক ওপরের দিকে থাকা দলকে বেছে নিচ্ছে ফিফা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোটায় জায়গা নিশ্চিত করেছে চেলসি, রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যানচেস্টার সিটি। চলতি বছরের চার সেমিফাইনালিস্ট এরইমাঝে আছে তালিকায়। যার কারণে চলতি বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ীর স্লট বিবেচনায় আসছে না।

আর উচ্চ র‍্যাঙ্ক বিবেচনায় জায়গা পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসজি, ইন্টার মিলান, পোর্তো, বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড, বেনফিকা, জুভেন্টাস, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এবং সালজবার্গ। আর্সেনালকে জায়গা পেতে হলে অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিততে হতো। কারণ ফিফার নির্ধারিত স্লট অনুযায়ী, এরইমাখে ইংল্যান্ড থেকে চেলসি এবং ম্যানচেস্টার সিটি জায়গা নিশ্চিত করেছে।

৩২ দলের এই আসরে সালজবার্গ ২৩তম দল হিসেবে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। আগামীবছর জুনের ১৫ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে হবে ক্লাব বিশ্বকাপের আসর। ফিফা আশা করছে অন্তত দশ মিলিয়ন ডলারের প্রাইজমানি থাকবে অংশগ্রহণকারী সব ক্লাবের জন্য।

এরইমাঝে আসরের সব ফরম্যাট চূড়ান্ত করেছে ফিফা। যার কারণে বিপুল আর্থিক পুরস্কারের এই আসরে থাকছে না বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, এসি মিলানের মতো বড় সব ক্লাব। এমনকি সৌদি লিগ থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল-নাসর এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেসির ইন্টার মায়ামিও বাদ পড়ছে এই আসর থেকে।


আর্সেনাল   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   ক্লাব ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিশ্চিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চার, কে কার মুখোমুখি?

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সময় যত গড়াচ্ছে, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরের পর্দা নামার দিনক্ষণও ঘনিয়ে আসছে। কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই শেষে এবার সেমিফাইনালের অপেক্ষায় ফুটবলের এই মহা আসরটি।

ইতোমধ্যেই দীর্ঘ নাটকীয়তার পর, শেষ চারে কোন কোন দল জায়গা করে নিয়েছে তা নিশ্চিত হয়েছে। যেখানে রয়েছে তিন দেশের চার দল। এবারের ইউসিএলের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের দুইটি দল থাকলেও, একটি দলও সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেনি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) আর্সেনালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ। আর অন্য ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিতে পা দেয় রিয়াল মাদ্রিদ।

তার আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বার্সেলোনাকে বিদায় করে দেয় পিএসজি। আর অ্যাতলেটিকোকে হারিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ড্রয়ের সময়ই জানা গিয়েছিল, সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি হবে। এক সেমিফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে পিএসজি।

অপর সেমিতে লড়বে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। বায়ার্নের মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হবে। অপর সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে যাবে পিএসজি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের লড়াই শুরু হবে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে ৭ মে।


চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   বায়ার্ন   আর্সেনাল   ম্যানসিটি   রিয়াল মাদ্রিদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আর্সেনালকে বিদায় জানিয়ে সেমিতে বায়ার্ন

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম লেগে ২-২ তে ড্র করায় ফিরতি লেগে ছিল একমাত্র ভরসা। যেখানে শুরু থেকে আর্সেনাল ও বায়ার্নের লড়াইটাও জমেছিল বেশ। তবে বিরতির পর যেন বায়ার্নের খেলার ধরণ বদলায়, বাড়ে গতি। আর সেই ধারাবাহিকতায় মিকেল আর্তেতার দলকে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হারায় টমাস টুখেলের দল। আর এতে করেই গানারদের বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বায়ার্ন।

আগের লেগে আর্সেনালের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে বুধবার (১৭ এপ্রিল) আলিয়াঞ্জ এরিনায় মুখোমুখি হয় দুদল। প্রথম লেগে সার্জ নাব্রি ও হ্যারি কেনের গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন। আর্সেনালের হয়ে গোল দুটি করেছিলেন বুকায়ো সাকা ও লেয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড।

এদিন শুরু থেকে উভয় পক্ষ আক্রমণাত্মক খেলতে থাকলেও প্রথমার্ধে কোনো গোল না হওয়ায় গোলশূন্য রেখেই বিরতিতে যায় দুদল। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে গোল করে বায়ার্নকে লিড এনে দেয় জশুয়া কিমিখ। তার একমাত্র গোলেই শেষ চারের টিকিট পায় বাভারিয়ানরা। আর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয়শূন্য থাকল আর্সেনাল।

বায়ার্নের বিপক্ষে ড্রয়ের পর গত রোববার ঘরের মাঠে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে হারে তারা।

একটু ধীমেতালে শুরু হওয়া ম্যাচে দুই দলই ছিল সাবধানী। আগে রক্ষণ সামালানো পরে গোলের চেষ্টা- নিয়েছিল এই কৌশল। কোনো দলই ছিল না খুব একটা গতিময়।

উল্লেখ্য, অপর ম্যাচে ম্যানসিটিকে হারিয়ে সেমিতে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন ও রিয়াল।


চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   বায়ার্ন   আর্সেনাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ রিয়াল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় ম্যানসিটির

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইতিহাদে টানা দেড় বছর হারেনি পেপ গার্দিওলার দল। যার জন্য রিয়াল মাদ্রিদের জয় এক প্রকার অগ্নিপরীক্ষাই ছিল গতকাল রাতের ম্যাচ। যেখানে নির্ধারিত ও এক্সট্রা সময়েও ফলাফল নিজেদের দখলে নিতে পারেনি রিয়াল। তবে শেষমেষ খেলা ট্রাইব্রেকারে গড়ালে অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় বেলিংহামরা।

বুধবার রাতে ইতিহাদে নির্ধারিত সময়ের ১-১ স্কোরলাইন অতিরিক্ত সময়েও ধরে রেখে ভাগ্য পরীক্ষায় যায় দুই দল। সেখানে ৪-৩ গোলে সিটিকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় দলটি। এ নিয়ে আগের বারের চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করলো রিয়াল মাদ্রিদ।

এদিন ম্যাচে ১২ মিনিটেই রড্রিগোর গোল এগিয়ে দেয় রিয়াল মাদ্রিদকে। এরপর ম্যানসিটি শুধু আক্রমণ করে গেছে, আর অ্যান্টোনিও রুডিগারের নেতৃত্বে রিয়ালের রক্ষণভাগ তা সাফল্যের সঙ্গে সামাল দিয়েছে।

৭২ মিনিটে গ্রিলিশকে পাল্টে পেপ গার্দিওলা জেরেমি ডকুকে নামালে সমতাসূচক গোল করার সুযোগ পায় সিটি। চার মিনিট পর ডকুর বাড়ানো বল নিয়ে ৬ গজের মধ্য থেকে গতির শটে রিয়াল গোলরক্ষক লুনিনকে পরাস্ত করে সিটিকে খাদের কিনারা থেকে বাচান কেভিন ডি ব্রুইন। কিন্তু এই ব্রুইনই এরপর দুবার গোল করার মতো অবস্থায় থেকেও লক্ষ্য মিস করেন।

ডকুর অ্যাসিসেন্ট গোল করে ৭৬ মিনিটে গোল করে ১-১ সমতা ফিরিয়ে ছিলেন ড্র ব্রুইন। এর খেসারত শেষপর্যন্ত দিতে হয়েছে ম্যানসিটিতে। সিটির ১৮১টি আক্রমণ সামাল দিয়ে ম্যাচকে টাইব্রেকারে নিয়ে যান আনচেলত্তির শিষ্যরা।

সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। অন্য সেমিফাইনালটি হবে পিএসজি ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মধ্যে।


রিয়াল মাদ্রিদ   ম্যানসিটি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন