ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুশফিককে কি রিভার্স সুইপ খেলতেই হবে?


Thumbnail মুশফিককে কি রিভার্স সুইপ খেলতেই হবে?

মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ দলের একজন নির্ভরযোগ্য ব্যাটার এবং উইকেট কিপার। তাকে মিস্টার ডিপেন্ডেবলও বলা হয়ে থাকে। তার ব্যাট থেকে যে কতোবার বাংলাদেশ দল ভালো করেছে তা হয়তো হিসেব করা যাবে না। তাই তাকে এই উপাধি দেওয়া। কিন্তু এই উপাধির সঙ্গে নিজেকে যেনো ইদানিং খাপ খাওয়াতে পারছেন না 'মিস্টার ডিপেন্ডেবল'। গত অনেকগুলো ম্যাচে তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন একটি শট খেলতে গিয়ে। আর সেটি হলো রিভার্স সুইপ। রিভার্স সুইপ মূলত মুশফিকের পছন্দের শট। কিন্তু এই শটটিই এখন তার ক্যারিয়ারের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই এক রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে কতবার যে আত্মাহুতি দিয়ে এসেছেন! কতবার যে অপ্রয়োজনীয় উইকেট দিয়ে এসেছেন তার কোনো ইয়ত্তা নেই। তবুও মুশফিক রিভার্সসুইপ খেলবেনই। যত আলোচনা-সমালোচনাই হোক না কেন। এখানে কেনো যানি মনে হয়, মুশফিক এই খেলোয়াড় জীবনের অনেকটা শেষ মূহুর্তে এসে দলের কথা চিন্তা না করে নিজের কথাই বেশি চিন্তা করছেন। আর এ কারণেই অনেকের মনে প্রশ্ন আসছে, যে শট খেলতে গিয়ে বার বার তাকে আউট হতে হচ্ছে সেই শট তাকে কেনো খেলতে হবে?

মুশফিকুর রহিম দলের ভরসার নাম। সেই ভরসার এই ধরসের কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের জন্য এখন মাঝে মধ্যে তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার কথাও কান পাতলে শোনা যাচ্ছে। দলের সংকটের মুহূর্তে যখন খুব প্রয়োজন মুশফিক দলের হাল ধরবেন, হয়তো উইকেটে সেট হচ্ছিলেন, হয়তো অনেকগুলো উইকেট পড়ে গেছে, মুশফিকের হাল ধরা উচিৎ- ওই সময়ই খেলে বসেন দায়িত্বজ্ঞানহীন শটটা। দলকে আরও বিপদের মুখে ফেলে রেখে ফিরে আসেন সাজঘরে। বিশেষ করে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে তিনি সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হচ্ছেন তার 'রিভার্স সুইপ' শট নিয়ে। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের তৃতীয় দিনে লাঞ্চ বিরতির ৪ মিনিট আগে তিনি রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হন।

এই রিভার্স সুইপ নিয়ে একের পর এক সমালাচনার শিকার হলেও, মুশফিক যেন কোনো কিছুই কানে তোলেন না। কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করেন না। এবার শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেও মুশফিকের সেই কাণ্ডজ্ঞানহীন রিভার্স সুইপ নিয়ে আলোচনা উঠে গেছে। এবারও কী এ ধরনের শট খেলতে উদ্যোগি হবেন মুশফিক? যদিও মুশফিকের এই রিভার্স সুইপ শট খেলা নিয়ে তাকে কী বার্তা দিয়েছেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। শুক্রবার চট্টগ্রামে মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে মুশফিকের রিভার্স সুইপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রিভার্স সুইপে মুশফিক দুর্দান্ত, অতীতে এই শটে অনেক রানও করেছে। এই শট নিয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসীও সে। স্রেফ সময়টা গুরুত্বপূর্ণ, কখন এই শট খেলবে। কাভার ড্রাইভও যেমন, খুব সুন্দর শট। কিন্তু বাঁ-হাতি ব্যাটার হলে প্রথম ২০-৩০ বলের মধ্যে কাভার ড্রাইভ খেলতে গেলে ঝুঁকি থাকবে। ৫০-৬০ বল খেলার পর কাভার ড্রাইভে সমস্যা নেই। ব্যাপারটি তাই হলো, কখন শটটি খেলছে (সেটা গুরুত্বপূর্ণ)।'

উদাহরণ দিয়ে বাংলাদেশ দলের কোচ বলেন, ‘ধরুন, ওপেনিং ব্যাটার কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হলো বা মিড উইকেটের দিকে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হলো, এটা খেলা বন্ধ করতে বলবেন? কোনো শট নিয়ে যদি কারও আত্মবিশ্বাস থাকে, আস্থা থাকে এবং যদি সে মনে করে এটা ভালো বিকল্প, সেই শট খেলায় সমস্যা থাকতে পারে না। আমার মতে, শট খেলার সময়টা গুরুত্বপূর্ণ, কখন শটটি খেলা উচিত এবং কেন ওই শট খেলা প্রয়োজন।' অর্থাৎ এতে মনে হচ্ছে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মুশফিককে রিভার্স সুইপ খেলার পরামর্শ দিয়েছেন এবং টাইমিংটাকে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছে। এখন দেখার মুশফিক কি করেন।

ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, মুশফিক বাংলাদেশ দলের মিস্টার ডিপেন্ডেবল এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বাংলাদেশ দলের একজন নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। তবে সব সময় একজন ব্যাটারের ভালো যায় না। মুশফিকের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ডমিঙ্গো মুশফিককে রিভার্স সুইপ খেলার বিষয়ে যে পরামর্শ দিয়েছেন আশা করছি সেটা কাজে দিবে এবং মুশফিক তার সমহিমায় ফিরে আসবেন।

মুশফিক   রিভার্স সুইপ   মুশফিকুর রহিম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক দলে সাকিব নেই কেন?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর কয়েকদিন পরেই টাইগারদের ঘরের মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে বনাম বাংলাদেশ সিরিজ। যার জন্য ইতোমধ্যেই ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। যেখানে দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। 

তবে আসন্ন এই সিরিজকে সামনে রেখে যেই দল ঘোষণা করেছে বিসিবি সেখানে নেই দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম। বিশ্বকাপের পূর্বে বিসিবির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে দল ঘোষণার পর পরই ক্রিকেটাঙ্গনে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সাকিব সিরিজের চূড়ান্ত দলে থাকবেন কি না সেটি এখনও নিশ্চিতভাবে বলা মুশকিল।

তবে তারপরেও ক্রিকেটাঙ্গনে বিসিবির এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে উঠে এসেছে নানা প্রশ্ন। এমন পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তিনি জানান, জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথমদিকে সাকিব শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে খেলবেন ডিপিএল। পরবর্তীতে জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষদিকে সাকিব খেলবেন বলে নিশ্চিত করেছেন লিপু।

প্রধান এই নির্বাচক বলেন, ‘(সাকিব) বাংলাদেশে আসলে সম্ভাবনা আছে ডিপিএলে একটা-দুইটা ম্যাচ খেলার। তারপর আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ঢুকে যাবেন তিনি। সেখানে ক্রিকেটীয় স্কিল অনুশীলনের সুযোগ আছে। টিম ম্যানেজমেন্ট ও তিনি যেভাবে চান, তারপর অবশ্যই চাইব যে টি-টোয়েন্টি সিরিজে যেহেতু পাঁচটা ম্যাচ আছে, শেষদিকে তিনি যেন খেলার সুযোগ পান।’

বিশ্বকাপের আগে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি সামনে রেখে কদিন আগেই ফিটনেস ট্রেনিং সেরেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। এবার প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য ১৭ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রাথমিক এই দলে ডাক পেয়েছেন সর্বশেষ বিপিএলে দারুণ পারফর্ম করা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এ ছাড়া তালিকায় নাম আছে পারভেজ হোসেন ইমন, আফিফ হোসেন, তানভীর ইসলামদেরও। আইপিএলে খেলা থাকায় প্রস্তুতি ক্যাম্পে নেই মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া ক্যাম্পে থাকছেন না সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও।

আসন্ন পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ ওভারে চেন্নাইকে ডোবালেন মুস্তাফিজ

প্রকাশ: ০২:০৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেষ ৬ বলে ১৭ রানের টার্গেট। উইকেটে তখন স্টয়নিসের মতো বিধ্বংসী ব্যাটার। অন্যদিকে, ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম চেন্নাই চেন্নাই স্লোগানে প্রকম্পিত। দলকে জিতিয়ে নায়ক হওয়ার দারুণ সুযোগ মুস্তাফিজের সামনে। টাইগার এই পেসারের প্রথম বল গ্যালারিতে আছড়ে ফেলে এক লহমায় সমর্থকদের চুপ করিয়ে দিলেন স্টয়নিস। পরের দুই বলে দুটি চারে ম্যাচ তখন কেবল আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা। তিন নম্বর ডেলিভারিটিতে আবার হলো নো বল। ফ্রি হিটে ফের ৪ মেরে লখনৌকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন স্টয়নিস। 

দিন তিনেক আগে নিজেদের মাটিতে প্রথম দেখায় চেন্নাইকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল লখনৌ। এবার চিপকে প্রতিশোধের ম্যাচে অধিয়াক রুতুরাজ গায়কোয়াড় আর শিবাম দুবের ব্যাটে হাতে শুরুটা দারুণ করে চেন্নাই। শেষ পর্যন্ত গায়কোয়াড় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং দুবে করেছেন ৬৬ রান।

ঘরের মাঠে চেন্নাই বরাবরই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে আসছে। আজকের আগে তাদের চার জয়ের তিনটিই এসেছে চিপকের এই ভেন্যুতে। তবে ওপেনিংয়ে তারা সেভাবে সুবিধা করতে পারছিল না। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি আজও। প্রথম ওভারেই ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হয়ে যান রাহানে। যদিও সেই ধাক্কা ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গী বানিয়ে সামলাতে থাকেন গায়কোয়াড়। তবে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি, বিদায়ের আগে মাত্র ১১ রান (১০ বল) করেন।

মিচেল-গায়কোয়াড় এবং এরপর নামা রবীন্দ্র জাদেজা-গায়কোয়াড়ের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি হলেও, সেখানে বড় অবদান ছিল চেন্নাই অধিনায়কের। জাদেজাও ফেরেন মাত্র ১৬ রানে (১৯ বল)। গায়কোয়াড় রান এবং একপ্রান্ত আগলে রাখায় অগ্রণী ভূমিকা রাখায় উইকেট পতনে সেভাবে সমস্যা হচ্ছিল না। এরপর শিবাম দুবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। গায়কোয়াড়ের চেয়েও এই তরুণ ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ব্যাট করেছেন ২৪৪–এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। অর্ধশতক করেছেন মাত্র ২২ বলে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে দুবে ২৭ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৬৬ রান করেন।

অন্যদিকে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। তিনি ব্যক্তিগত শতক তুলে নেন ৫৬ বলে। একইসঙ্গে আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বয়সী অধিনায়ক হিসেবেও সেঞ্চুরির নজির গড়েন গায়কোয়াড়। এদিন রুতুরাজ গায়কোয়াড় শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিজে এসে পেয়েছেন কেবল ১ বল, ইনিংসের চূড়ান্ত বলটিকে তিনি পরিণত করেন চারের বাউন্ডারিতে। লখনৌর হয়ে ম্যাচে একটি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি, মহসিন খান ও যশ ঠাকুর।

চেন্নাইয়র ঘরের মাঠে ২১১ রানের টার্গেট তাড়া করা, তার ওপর চিপকের মাটিতে বেশ সফল স্বাগতিক দলের দুই পেসার পাথিরানা ও মুস্তাফিজ। জয়টা বেশ কঠিনই ছিল লখনৌয়ের জন্য। এমন সমীকরণে লখনৌয়ের শুরুটা ছিল হতাশার। 

কুইন্টন ডি'কক ফিরে যান কোনও রান না করেই। অধিনায়ক কেএল রাহুলকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দিলেন না মুস্তাফিজ। ১৪ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এর পরই ইনিংসের হাল ধরেন স্টয়নিস। লখনউয়ের ডুবন্ত নৌকা কার্যত একার হাতে তীর পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। অনবদ্য সেঞ্চুরিও হাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান এবং দীপক হুডা। পুরান মাত্র ১৫ বলে ৩৪ রান করেন। আর হুডা ১৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।

কিন্তু কোনও লড়াই-ই কাজে আসত না যদি না শেষ ওভারে স্নায়ুর চাপ সামলে চেন্নাইয়ের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে আনতেন স্টয়নিস। শেষ ওভারে ১৭ রানের টার্গেটে মুস্তাফিজের ৩ বলেই চেন্নাইয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এই অস্ট্রেলিয়ান। ৩.৩ ওভারে ৫১ রান খরচায় এক উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো মুস্তাফিজকে। ফিজের মতো শুরুটা ভালো হলেও ইনিংসের ১৯তম ওভারে তিন চার হজম করেছেন মাথিশা পাথিরানাও। ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন তিনি।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজের চেন্নাই

প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। আর এবারের আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে চারটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

তবে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে চেন্নাই। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে লখনৌর বিপক্ষে ফিরতি লেগে মাঠে নামছে মোস্তাফিজের দল। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) টস জিতে চেন্নাইকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লখনৌর অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

প্রতিশোধের এই ম্যাচে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে চেন্নাই। রাচিন রবীন্দ্রর জায়গায় একাদশে ফিরেছেন ড্যারিল মিচেল। অন্যদিকে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই নামছে লখনৌ।

চেন্নাই একাদশ : ড্যারিল মিচেল, রুতুরাজ গায়কোয়াড় (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, শিবাম দুবে, মঈন আলি, রবীন্দ্র জাদেজা, এমএস ধোনি (উইকেটরক্ষক), দীপক চাহার, তুষার দেশপান্ডে, মোস্তাফিজুর রহমান ও মাথিশা পাথিরানা।

লখনৌ একাদশ : কুইন্টন ডি কক, লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), মার্কাস স্টয়নিস, দীপক হুদা, নিকোলাস পুরান, আয়ুশ বাদোনি, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ম্যাট হেনরি, রবি বিষ্ণুই, মহসিন খান, যশ ঠাকুর।


আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   লখনৌ সুপার জায়ান্টস   ঋতুরাজ   লোকেশ রাহুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কী কারণে বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে নেই সাকিব-মুস্তাফিজ?

প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এ প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঘোষিত প্রাথমিক দলে রাখা হয়নি সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে।

আগামী ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে এই ক্যাম্প। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা মুস্তাফিজকে আগামী ১ মে পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে বিসিবি। আইপিএলে থাকায় বাঁহাতি এই পেসারকে প্রাথমিক দলে রাখেনি দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।  আর সাকিব শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পর ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। চলতি মাসের শেষের দিকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক দল
নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান, পারভেজ হোসেন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার।


সাকিব আল হাসান   ‍মুস্তাফিজুর রহমান   জিম্বাবুয়ে   বাংলাদেশ   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অসদাচরণের অভিযোগে এবার শাস্তির মুখে কোহলি

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে আইপিএলের ১৭তম আসর। যেখানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাচ্ছেন রানের দেখা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে।

রোববার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। যেখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে মাঠেই কোহলি প্রতিক্রিয়া দেখান। অসদাচরণের অভিযোগে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। আইপিএলের কোড অব কন্টাক্ট ভঙ্গ করায় কোহলিকে তার ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।

ব্যাঙ্গালুরুর সামনে লক্ষ্য ছিল ২২৩ রানের। সেই লক্ষ্যে ভালো একটা শুরুর দরকার ছিল। বিরাট কোহলি ঠিক সেই চেষ্টাই করেছিলেন। স্টার্কের প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেছিলেন। নিজের প্রথম ৬ বল থেকে তুলে নেন ১৮ রান। এরপরেই অবশ্য ভারতীয় এই ব্যাটার আউট হয়েছেন বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে।

হারশিত রানার বলটা ছিল কোমরের কাছাকাছি। ফুল টস বলে কোহলি কেবল ব্যাটে-বলে করেছেন। ফিরতি ক্যাচ লুফেছেন বোলার নিজেই। আউটের সিদ্ধান্তের জন্য দ্বারস্থ হতে হয়েছিল আম্পায়ারের। যেখানে প্রযুক্তির সাহায্যে থার্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ আউটের সিদ্ধান্ত জানান।

কোহলি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। মাঠেই মেজাজ হারিয়ে তর্ক করেছেন আম্পায়ারের সঙ্গে। যুক্ত ছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও। তবে গফ নিজেই ম্যাচ চলাকালে জানান, বিতর্ক উসকে দেয়া এমন সিদ্ধান্তের কারণ।

হারশিত রানার ওই ডেলিভারি পুরোপুরি বৈধ ছিল। ব্যাটার ক্রিজে থাকলে বলের উচ্চতা হতো ০.৯২ মিটার। বিরাট কোহলির কোমরের উচ্চতা ১.০৪ মিটার। যার অর্থ, বিরাট ক্রিজে থাকলে বল তার কোমরের নিচ দিয়েই যেত, যা আইসিসির নীতি অনুযায়ী বৈধ বল হিসেবেই গণ্য হবে। স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই তাই আউটের সিদ্ধান্ত দেন মাইকেল গফ।


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন