ইনসাইড গ্রাউন্ড

বেঁচে রইল লিভারপুলের চার শিরোপার স্বপ্ন

প্রকাশ: ০৯:০৫ এএম, ১৮ মে, ২০২২


Thumbnail বেঁচে রইল লিভারপুলের চার শিরোপার স্বপ্ন

এক মৌসুমে চারটি শিরোপা! এই অধরা স্বপ্ন আজো পূরণ করতে পারেনি কোন ইংলিশ ক্লাব। তবে এবার সেই স্বপ্ন পূরণ বেশ আঁটসাঁট বেধেই নেমেছে লিভারপুল। আর সেই স্বপ্ন পূরণে গতকালে ম্যাচটি ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হিসেবটাও ছিলো সহজ- সাউদাম্পটনের বিপক্ষে জিততে হবে। আর তাতেই বেঁচে থাকবে লিভারপুলের প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে এক মৌসুমে চারটি শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। খেলার ভিতর যাই ঘটুক না কেনো ম্যাচটা কিন্তু শেষ মেশ ২-১ গোলে জিতে নেয় লিভারপুল শিবির। 

পয়েন্ট টেবিলের ১৫তম দল হলেও বেশ ভালো রকমের ভুগিয়েছে সাউদাম্পটন। ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের জন্য হিসেবটা সহজ হলেও কাজটা ছিল বেশ কঠিন। আর খেলার মাঠেও লিভারপুলের বেশ ভালো পরীক্ষাও নিয়েছে পুচকে সাউদাম্পটন। তবে শেষ পর্যন্ত হাসিটা মলিন হয়নি ইয়ুর্গেন ক্লপের। 

অনেক দিন ধরেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে গায়ে গা ঘেঁষে এগোচ্ছে লিভারপুল। সিটি তাদের সর্বশেষ ম্যাচে ওয়েস্ট হামের মাঠ থেকে ড্র করে ফেরায় আজ সাউদাম্পটনের বিপক্ষে লড়াইটি লিভারপুলের জন্য হয়ে যায় অঘোষিত সেমিফাইনাল। জিতলে শিরোপা চতুষ্টয়ের স্বপ্ন বেঁচে থাকবে, হারলে নয়।

কাজটা যে সহজ নয় তা ম্যাচের ১২ মিনিটেই টের পায় লিভারপুল। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের দুর্দান্ত এক পাস থেকে বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে যান সাউদাম্পটনের নাথান রেডমন্ড। লিভারপুলের চার-পাঁচজন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বাঁকানো এক শট নেন তিনি। দূরের পোস্ট দিয়ে সেই শট আলিসনকে ফাঁকি দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে। এগিয়ে যায় সাউদাম্পটন।

লিভারপুলের কোচ ক্লপ অবশ্য গোল নিয়ে ডাগআউটে আপত্তি করেছিলেন। তাঁর দাবি গোলটির বিল্ড আপে ফাউল করেছিলেন এক সাউদাম্পটন খেলোয়াড়। রেফারি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সাহায্য নিয়েছিলেন, কিন্তু ক্লপের আবেদন ধোপে টেকেনি।

৭ মিনিট পরই সাউদাম্পটনের জালে বল পাঠান ফিরমিনো। কিন্তু ফ্রি-কিক থেকে তাঁর নেওয়া হেড জালে জড়ালেও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।

তবে গোল শোধের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি লিভারপুলকে। ২৭ মিনিটে দিয়োগা জোতার পাস ধরে ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে যান তাকুমি মিনামিনো। জাপনি খেলোয়াড় অসাধারণ এক শটে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান। গোলের পর অবশ্য উদ্্যাপন করেননি তিনি। কারণ কিছুদিন আগেও যে সাউদাম্পটনে ধারে খেলে এসেছেন মিনামিনো। 

প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার আরও সুযোগ পায় লিভারপুল। কিন্তু কখনো রবার্তো ফিরমিনো, কখনো আবার জোতার ভুলের কারণে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি তাদের। সুযোগ পেয়েছিল সাউদাম্পটনও। তবে লিভারপুলের রক্ষণ আর গোল পোস্টের নিচে আলিসনের দৃঢ়তার কারণে এগিয়ে যেতে পারেনি তারা। 

অবশেষে ৬৭ মিনিটে লিভারপুলের সমর্থকদের আনন্দে ভাসার উপলক্ষ এনে দেন জােয়েল মাতিপ। ম্যাচে লিভারপুলের পাওয়া অষ্টম কর্নার কিকটি নেন কনস্টানটিনোস সিমিকাস। সেই কর্নার থেকে হেডে লিভারপুলের জয়সূচক গোলটি করেন মাতিপ। 

এই জয়ের পর ৩৭ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৮৯। সমান ম্যাচে শীর্ষে থাকা ম্যান সিটির পয়েন্ট ৯০। লিগের শেষ ম্যাচটি তাই দুই দলের জন্যই 'ফাইনাল'। সিটি আগামী রোববার মুখোমুখি হবে লিভারপুলের সাবেক মিডফিল্ডার স্টিভেন জেরার্ডের দল অ্যাস্টন ভিলার। এই ম্যাচে সিটি যদি পয়েন্ট হারায় আর লিভারপুল নিজেদের মাঠে উলভসকে হারাতে পারে তাহলেই শিরোপা জিতবে ক্লপের দল। লিগ কাপ, এফএ কাপ, লিগ-চার শিরোপার তিনটি জেতা হয়ে যাবে লিভারপুলের। শিরোপা চতুষ্টয় জিততে এরপর শুধু বাকি থাকবে চ্যাম্পিয়নস লিগ। আগামী ২৮ মে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে তারা।

লিভারপুল   ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পেলে-ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে সেরা লিওনেল মেসি, রোনালদো কোথায়?

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ক্রীড়াঙ্গনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফুটবল। আর সেই ফুটবলের দ্বৈরথের শীর্ষে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। মাঠের খেলায় দুই দল খেললেও তাদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনাটা একটু বেশি থাকে। সেই সাথে সেরাদের তালিকা নিয়েও চলে যুদ্ধ। নানা তর্কযুদ্ধের মধ্যে সেরার তালিকায় বরাবরই নিজেদের পছন্দের তারকাদের এগিয়ে রাখেন ফুটবলের একনিষ্ঠ ভক্তরা।

গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে সত্তর দশক পর্যন্ত ফুটবলের মাঠ দখলে রেখেছিলেন ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে। এর পরবর্তী সময়ে নিজ দক্ষতায় সমর্থকদের বুঁদ করে রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। এভাবে তালিকা করলে রোনালদো নাজারিও, জিনেদিন জিদান, গারিঞ্চা কিংবা জিকোদের নাম আসবে।

সম্প্রতি ফুটবলের মাঠে সর্বকালের সেরা ৫০ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল। যেখানে শীর্ষ দশে জায়গা পেয়েছেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই তালিকার কোথাও জায়গা হয়নি ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়রের। তবে সবাইকে টপকে এ তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি।

বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। জাতীয় দলের জার্সিতে বিশ্ব জয়ের স্বাদ না পেলেও ক্লাবের হয়ে জিতেছেন সবকিছুই। ক্যারিয়ারে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন এই পর্তুগিজ তারকা।

ডেইলি মেইলের সর্বকালের সেরার তালিকায় আশ্চর্যজনকভাবে ১০ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। দেশের জার্সিতে ১২৮ গোল করে সর্বকালের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ড গড়েছেন ৩৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

সর্বকালের সেরাদের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জিকো। ক্যারিয়ারে কখনো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ না পেলেও ব্রাজিলের অনেক খেলোয়াড়ের চেয়ে বড় নায়ক হিসেবে বিবেচিত হন তিনি। ডেড-বল দক্ষতার জন্য পরিচিত ছিলেন এবং ১৯৮২ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ স্কোয়াডের তারকা ফুটবলার ছিলেন।

সেরাদের মধ্যে অষ্টম স্থান দখলে রেখেছেন আরেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি গারিঞ্চা। ব্রাজিলের ১৯৫৮ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক হিসাবে ধরা হয় তাকে। পরের আসরেই অর্থাৎ ১৯৬২ সালে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের মুকুট অর্জন করেছিলেন এই তারকা।

পর্তুগিজ তারকার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাপিয়ে বিতর্কিতভাবে এগিয়ে আছেন সপ্তম স্থানে থাকা ব্রাজিলের রোনালদো নাজারিও। তাকে অনেকে আসল রোনালদো বলেও ডাকেন। ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি দুটি ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন এই সেলেসাও তারকা।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর রিয়াল মাদ্রিদের সর্বকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ডি স্টেফানো এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি গ্যালাকটিকো হওয়ার অর্থ কী তা সংজ্ঞায়িত করেছিলেন। ডি স্টেফানো পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিলেন এবং ১৯৬০ সালের ফাইনালে একটি উত্তেজনাপূর্ণ হ্যাটট্রিক করে স্কোরবোর্ডে নাম তুলেছিলেন।

ফ্রান্সের কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান। জাতীয় দল তো বটেই, ক্লাব ক্যারিয়ারেও সফল ছিলেন তিনি। বড়সড় শরীর হওয়া সত্ত্বেও বল নিয়ে সারা মাঠ চষে বেড়াতেন তিনি। মূলত, ফুটবল নৈপুণ্যের কারণেই সর্বকালের সেরাদের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন এই ফরাসি তারকা।

‘টোটাল ফুটবল’ ধারণার জনক বলা হয় ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ। তার ফুটবল কারিকুরি পেপ গার্দিওলা এবং মিকেল আর্তেতার মতো কোচদের মাধ্যমে আজকের খেলায় এখনো দৃশ্যমান। আয়াক্সের হয়ে টানা তিনটি ইউরোপীয় কাপ জেতেন তিনি। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে ফুটবলের অন্যতম আইকনিক দক্ষতার প্রদর্শন করেছিলেন।

বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকাদের একজন ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। আলবিসেলেস্তে ফুটবলকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছানোর পেছনে তার অবদান অসামান্য। ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। সেই আসরে অনবদ্য ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে নাপোলির হয়েও অসংখ্য স্মৃতির জন্ম দিয়েছিলেন এই মহাতারকা।

বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা হিসেবে বিবেচিত হন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে। ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ তিনবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। ১৯৫৮ সালে কিশোর বয়সে তিনি প্রথম বিশ্ব আসরের শিরোপা জিতেন। এরপর ১৯৬২ এবং পরবর্তীতে ১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলের আইকনিক নেতা হয়ে ওঠেন এই ‘কালো মানিক’।

ডেইলি মেইলের সর্বকালের সেরা ৫০ ফুটবলারের তালিকায় সবার উপরে লিওনেল মেসি। জাতীয় দল থেকে ক্লাব ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সবধরনের পুরস্কারেই উঁচিয়ে ধরেছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, অলিম্পিকে স্বর্ণপদক এবং রেকর্ড ৮বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন এই আলবিসেলেস্তে নায়ক।

এছাড়াও বার্সেলোনার হয়ে অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন মেসি। সবমিলিয়ে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় শীর্ষস্থানে জায়গা পেয়েছেন তিনি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবারও পাকিস্তানের নেতৃত্বে বাবর!

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ব্যর্থতার দায় নিয়ে নেতৃত্ব ছাড়তে হয়েছিল বাবরকে আজম। আর টেস্ট থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সে শূন্যতা পূরণে টেস্টে শান মাসুদ ও টি-টোয়েন্টিতে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

তবে নতুন খবর হলো এক সিরিজ শেষেই অধিনায়কত্বের অধ্যায় আপাতত শেষ হচ্ছে শাহিন শাহ আফ্রিদির। পুনরায় অধিনায়কত্ব ফিরে পাচ্ছেন বাবর।

জানা গেছে, নতুন নির্বাচক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই বাবর আজমকে পুনরায় অধিনায়কত্বের গুরু দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বোর্ডের সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি জিও নিউজের। আসন্ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই নেতৃত্বে ফিরবেন বাবর।

বিশ্ব ক্রিকেটে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ হিসেবে পরিচিতি আছে পাকিস্তানের। কখনো জেতা ম্যাচ যেমন হেরে বসে থাকে, আবার নিশ্চিত হারের ম্যাচেও অবিশ্বাস্যভাবে জিতে যায় কখনো কখনো। ক্রিকেটারদের মতো দেশটির ক্রিকেট বোর্ডেও কখন কী হয় কেউ জানে না। পিসিবির খোদ চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে নির্বাচক কিংবা কোচ কারও পদই টেকসই বলা যায় না। গেল কয়েক মাসের কথাই ধরা যাক, বারবার রদবদল এসেছে পিসিবির বিভিন্ন পদে।

গত বছর ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপে বাবরের নেতৃত্বেই খেলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে গ্রুপপর্ব থেকেই ছিটকে যায় ম্যান ইন গ্রিনরা। সমর্থক তথা বোর্ডের তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় তাকে। এরপরই সব ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বাবর। ফলে নতুন অধিনায়কের খোঁজ শুরু করে পিসিবি। ঠিক হয়, ওয়ানডে ও টেস্টে শান মাসুদ এবং টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেবেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

দেশটির গণমাধ্যমের খবর, কয়েক মাসেই নাকি নতুন অধিনায়কদের নিয়ে পিসিবির মোহভঙ্গ হয়েছে! আবারও নাকি বাবরেই ভরসা রাখতে চাইছে পিসিবি। এবার সেটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলল মহসিন নকভীর নেতৃত্বাধীন বোর্ড। কিউই সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে কাকুলে ট্রেনিং করছে ক্রিকেটাররা। সেখানেই অধিনায়ক হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বাবরের।


পাকিস্তান   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শারীরিকভাবে অসুস্থ পরাগ ‘ব্যথা’ দিলেন দিল্লিকে

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেটকে ভালোবাসেনা এমন ভারতীয় ভক্ত-সমর্থক খুঁজে পাওয়া বিরল। তবে শুধু সমর্থক বা ভক্তই নয়, ক্রিকেটের জন্য নিজের জীবন বাজী রাখতে পারেন ভারতে এমন ক্রিকেটারও অনেক রয়েছে। তেমনই একজন রিয়ান পরাগ।

২০২৩ আইপিএলে ৭ ইনিংসে ৭৮ রান। ১৩ ব্যাটিং গড়ে স্ট্রাইকরেট ১১৮.১৮। আগের বছর নিলামে ৩ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে কেনার পর রিয়ান পরাগের কাছে মোটেও এমন পারফরম্যান্স আশা করেনি রাজস্থান রয়্যালস। এবার আইপিএলে দুই ইনিংসে পরাগের রান ১২৭। স্ট্রাইকরেট ১৭১.৬২। এর মধ্যে গতকাল জয়পুরে কঠিন উইকেটে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ৪৫ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসও আছে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই পরাগের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

২২ বছর বয়সী পরাগ নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করেই এবার আইপিএলে ভালো শুরু পেয়েছেন। এ মৌসুমে ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে সর্বোচ্চ ৫১০ রান (১০ ইনিংস) এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ৮৫ ব্যাটিং গড়ে স্ট্রাইকরেট ১৮৩ এর কাছাকাছি। আর এই পথে টানা সাতটি ফিফটি তুলে নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে গড়েছেন টানা সর্বোচ্চ ইনিংসে ফিফটির রেকর্ডও।

গতকাল ম্যাচ শেষে পরাগ জানিয়েছেন, তার এই পাল্টে যাওয়ার পেছনে রয়েছে প্রচুর অনুশীলন। তিনি বলেন ‘কে বল করছে সেটা নয়, কী বল করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ, আর সেগুলোই বেশি বেশি অনুশীলন করেছি। আজ (গতকাল) তার কিছু কাজে লাগাতে পেরেছি।’

পরাগ কেমন কাজে লাগিয়েছেন, তার একটা ছোট্ট উদাহরণ হচ্ছে রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংসে শেষ ওভারটা। বোলিংয়ে ছিলেন দিল্লির পেসার আনরিখ নর্কিয়া। বিশ্বের অন্যতম গতিময় এই পেসারের কাছ থেকে পরাগ একাই তুলেছেন ২৫ রান। অথচ শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থও ছিলেন না। আগের তিন দিন বিছানায় পড়েছিলেন। ম্যাচের দিন সকালে ব্যথানাশক ওষুধ (পেইন কিলার) খেয়ে ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলেন।

কিন্তু মাঠে দেখা গেল পরাগের উইলো-বাজিতে হারের ব্যথাটা দিল্লিই পেল। ম্যাচ-পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পরাগ বলেছেন, ‘গত তিন দিন অনেক ধকল গেছে। বিছানায় পড়ে ছিলাম। অসুস্থ ছিলাম। ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে আজ (গতকাল) উঠে দাঁড়িয়েছি। এরপর ঠিকঠাকমতো সব করতে পেরেছি। তাই নিজের জন্য ভালো লাগছে।’

নর্কিয়ার বাউন্সার এবং ইয়র্কার পাত্তাই দেননি পরাগ। হাত খুলে মেরেছেন। ম্যাচসেরা পরাগ এই দক্ষতা নিয়ে বলেছেন, ‘উইকেটের দুই প্রান্তেই রান করা নিয়ে শেষ দিকে কাজ করেছি। আমি জানি শর্ট বলে ছক্কা কিংবা ইয়র্কারও মেরে দেওয়ার মতো শক্তি ও ক্ষমতা আমার আছে। তাই সুযোগ পেলেই এটা করি। কখনো বাউন্ডারি মারতে পারি, কখনো আবার পারি না।’

ষষ্ঠ ওভারে রাজস্থানের স্কোর ২ উইকেটে ৩০ থাকতে চারে ব্যাটিংয়ে নামেন পরাগ। একপর্যায়ে তাঁর রান ছিল ২৬ বলে ২৬। কিন্তু নিজের খেলা শেষ ১৯ বল থেকে তুলেছেন ৫৮ রান। পরাগ জানিয়েছেন, রাজস্থান রয়্যালস কোচ কুমার সাঙ্গাকারা এবং সঞ্জু স্যামসন তাঁকে ‘ইনিংসটা লম্বা করতে’ বলেছিলেন। পরাগের ভাষায়, ‘আমি জানতাম, ইনিংসটা লম্বা করতে পারলে অনেক রান পাব।’

রান পাওয়ার এই ম্যাচে একটি রেকর্ডও গড়েছেন পরাগ। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক ছুঁয়েছেন গতকাল রাতের ম্যাচে। ২২ বছর ১৩৯ দিন বয়সে পরাগ রেকর্ডটি গড়ার পথে পেছনে ফেলেছেন তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি দলেরই অধিনায়ক স্যামসনের রেকর্ড। ২২ বছর ১৫৭ দিন বয়সে রেকর্ডটি গড়েছিলেন স্যামসন।


রিয়ান পরাগ   আইপিএল   দিল্লী ক্যাপিটালস   রাজস্থান রয়্যালস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বার্সায় জাভির উত্তরসূরি হবেন কে?

প্রকাশ: ১১:১৫ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুম শেষেই স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাভি হার্নান্দেজ। গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এমনটা জানান তিনি। তার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণার পর দুইমাস পেরিয়ে গেলেও তার উত্তরসূরি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এখনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বার্সেলোনায়।

অনেকের ধারণা, জাভিকে আরও এক বছর থেকে যেতে বলবে বার্সেলোনার পরিচালনা পর্ষদ। বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেনও। কিন্তু প্রস্তাব দেওয়া বা জাভির দিক থেকে পরের মৌসুমেও দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক আভাস পাওয়া যায়নি। বার্সেলোনার সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তাই নতুন কোচ খোঁজার কাজটি চালিয়ে যেতে হচ্ছেই।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, বার্সেলোনার সম্ভাব্য কোচের তালিকা এখন ছোট হয়ে এসেছে। এর মধ্যে শীর্ষ নাম লুইস এনরিকে। বার্সেলোনার সাবেক এই কোচ এখন পিএসজির দায়িত্বে। আগামী ১৬ এপ্রিল চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ খেলতে দল নিয়ে বার্সার মাঠে আসবেন তিনি।

৫৩ বছর বয়সী এনরিকের সঙ্গে পিএসজির চুক্তির মেয়াদও এক বছর বাকি। তবু জাভির অবর্তমানে বার্সেলোনা যদি কাউকে নিশ্চিন্তে দায়িত্ব দিতে চায়, সেটি এনরিকেই। সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে এই ক্লাবকে তিনি বেশ ভালো করে চেনেন। বার্সেলোনার সংস্কৃতি, তরুণ ফুটবলার ও খেলার ধরন—কোনো কিছুই এনরিকের জন্য নতুন হবে না।

তবে অনেক সময়ই ঘুরে দাঁড়াতে নতুন পরিকল্পনা, নতুন মুখের দরকার হয়। এদিকে বাড়তি গুরুত্ব দিলে বার্সেলোনা কোচ করতে পারে হান্সি ফ্লিককে। বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মানির সাবেক এই কোচ এখন বেকার। বার্সেলোনার কোচ হতে তাঁর আগ্রহও আছে। ফ্লিকের যিনি এজেন্ট, সেই পিনি জাহাভি আবার বার্সেলোনার সভাপতি লাপোর্তার ভালো বন্ধু। সবচেয়ে বড় কথা বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ফ্লিকের সাফল্য (২ মৌসুমে ৭ ট্রফি) বার্সেলোনা পর্ষদকে ফ্লিকের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলেছে।

শেষ পর্যন্ত ফ্লিক বা এনরিকের কেউ কোচ না হলে চমক হতে পারেন রাফায়েল মার্কেজ। বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এখন বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। পেপ গার্দিওলা যেমন বার্সেলোনা মূল দল দিয়ে প্রথম সিনিয়র কোনো দলের কোচিং শুরু করেন, মার্কেজও হতে পারেন তেমন কেউ। তবে এই নাম তিনটির কোনোটিকেই হয়তো বার্সেলোনার ডাগআউটে দেখা যাবে না, যদি জাভি কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হন।

জাভি ও লাপোর্তা দুজনই বিশ্বাস করেন, চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার এখনো কিছু একটা অর্জনের সুযোগ আছে। অন্তত শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকার সামর্থ্যও আছে দলটির। যদিও লা লিগায় বার্সা এখন শীর্ষে থাকা রিয়ালের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে। আর চ্যাম্পিয়নস লিগেও ফাইনালের দৌড়ে বার্সেলোনা ফেবারিট নয়। তবে জাভির বিদায় ঘোষণার পর দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সামনে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়েও দেওয়া যায় না।


বার্সালোনা   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   কোয়ার্টার ফাইনাল   জাভি হার্নান্দেজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নারী ফুটবলারকে চুমুকাণ্ডে বড় শাস্তি পাচ্ছেন রুবিয়ালেস

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে পুরো গ্যালারিভর্তি দর্শক এবং টিভি ক্যামেরার সামনে নারী ফুটবলারকে চুমু দেন স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এই ঘটনার জেরে চাকরি হারানোর পর এবার বড় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন সাবেক এই ফুটবল সংগঠক।

ফিফা নারী ফুটবল বিশ্বকাপের সবশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। গত বছরের ২২ আগস্ট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের স্বাদ পায় স্প্যানিশ মেয়েরা। তবে শিরোপার মঞ্চে বিপত্তি ঘটান স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস।

হারমোসোকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু দিয়েই মূলত বিপাকে পড়েছেন রুবিয়ালেস। ঘটনার জেরে প্রথমে চাকরি হারান তিনি। বিষয়টি তদন্তের পর এবার বিচারের জন্য তোলা হয়েছে আদালতে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাগারে যেতে হতে পারে তাকে।

রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের জন্য ১ বছর এবং জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ১৮ মাস বা দেড় বছর সাজা চেয়েছেন হারমোসোর আইনজীবী দুরান্তেজ। তিনি আরো দাবি করেছেন, হারমোসোকে ৫০ হাজার ইউরো (৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা) ক্ষতিপূরণও দিতে হবে রুবিয়ালেসকে।


রুবিয়ালেস   নারী ফুটবলার   স্পেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন