ইনসাইড গ্রাউন্ড

আগামী বছরের ফাইনালের জন্য হোটেল বুক করে রাখুন: ক্লপ

প্রকাশ: ১১:৪৪ এএম, ২৯ মে, ২০২২


Thumbnail আগামী বছরের ফাইনালের জন্য হোটেল বুক করে রাখুন: ক্লপ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাটা একটুর জন্য ধরা দেয়নি। লিভারপুল সুযোগ সৃষ্টি করছিল বটে, কিন্তু সামনে যেন দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন থিবো কোর্তোয়া। তাই শিরোপা থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে থামতে হয়েছে মোহামেদ সালাহদের। তবে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ অঙ্গীকারই করলেন, পরের বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে আবারও খেলবে তার দল। এজন্য ভক্তদের আগামী বছরের ফাইনালের ভেন্যু ইস্তানবুলের  টিকিট কেটে রাখতেও বলে দিলেন তিনি।    

প্যারিসে বেশ ঝক্কি সামলেই খেলা দেখতে এসেছেন লিভারপুল ভক্তরা। এসে পড়েছেন নতুন ঝামেলার মুখে। সব ঝামেলা শেষে খেলাটা যখন হলো, তাতে আর তাদের হাসিমুখটা থাকল না। রিয়াল জিতল ১-০ গোলে। আর তাতেই এক সপ্তাহ আগে কোয়াড্রুপল জেতার দৌড়ে থাকা লিভারপুল মৌসুম শেষ করল বড় দুই শিরোপা ছাড়া।

তবে ক্লপ আশা ছাড়ছেন না। জানালেন, আগামী মৌসুমেই আবার ফাইনাল খেলবে তার দল। এর আগে ২০১৮ সালে ফাইনালে এই রিয়ালের কাছেই হারে লিভারপুল, তবে পরের বছরই জেতে শিরোপা। আগামী বছরও তেমন কিছুই করে দেখানোর ইচ্ছা ক্লপের। বললেন, ‘আগামী বছরের ফাইনালটা কোথায়? ইস্তানবুল?’ ইতিবাচক উত্তর পাওয়ার পরই ক্লপ ভক্তদের বললেন, ‘হোটেল বুক করে রাখুন।’

মুহুর্মুহু সুযোগ সৃষ্টি করেও হার, তার ড্রেসিং রুমের হতাশার মাত্রাটা কেমন তা জানতে চাওয়া হয়েছিল লিভারপুল কোচের উত্তর ছিল, ‘হ্যাঁ হতাশ তো বটেই, ড্রেসিং রুমের কারোই এখন মনে হচ্ছে না, দারুণ একটা মৌসুমে কেটেছে আমাদের।’

অথচ এক সপ্তাহ আগেও কোচ ক্লপ জানিয়েছিলেন, লিগ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ না জিতলেও তার দলের মৌসুমটাকে অসাধারণ হিসেবেই দেখবেন তিনি। সে প্রসঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘ইতিবাচক হওয়াটা কঠিন নয়, আমার আগেই সেটা মনে হয়েছে। এটা ভিন্ন একটা অনুভূতি, সেভিয়ার কাছে ইউরোপার ফাইনালে হারের পরও বলেছি, কিয়েভের পরও বলেছি, ফাইনালে আসাটা খারাপ নয়।’

কোচ ক্লপ অবশ্য একে দেখছেন সাফল্য হিসেবেই। বললেন, ‘এটা ইতোমধ্যেই একটা সাফল্য, এমন সাফল্য অবশ্য আপনি চাইবেন না, তবে আমার খুব মনে হচ্ছে যে আমরা আবার আসব। আমার ছেলেরা বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, পরের মৌসুমেও আমাদের দলটা দারুণ থাকবে। আমরা আবার শিরোপার জন্য লড়ব।’

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   ইয়ুর্গেন ক্লপ   লিভারপুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিশ্চিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চার, কে কার মুখোমুখি?

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সময় যত গড়াচ্ছে, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরের পর্দা নামার দিনক্ষণও ঘনিয়ে আসছে। কোয়ার্টার কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই শেষে এবার সেমিফাইনালের অপেক্ষায় ফুটবলের এই মহা আসরটি।

ইতোমধ্যেই দীর্ঘ নাটকীয়তার পর, শেষ চারে কোন কোন দল জায়গা করে নিয়েছে তা নিশ্চিত হয়েছে। যেখানে রয়েছে তিন দেশের চার দল। এবারের ইউসিএলের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের দুইটি দল থাকলেও, একটি দলও সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেনি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) আর্সেনালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ। আর অন্য ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিতে পা দেয় রিয়াল মাদ্রিদ।

তার আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বার্সেলোনাকে বিদায় করে দেয় পিএসজি। আর অ্যাতলেটিকোকে হারিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ড্রয়ের সময়ই জানা গিয়েছিল, সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি হবে। এক সেমিফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে পিএসজি।

অপর সেমিতে লড়বে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। বায়ার্নের মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হবে। অপর সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে যাবে পিএসজি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের লড়াই শুরু হবে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে ৭ মে।


চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   বায়ার্ন   আর্সেনাল   ম্যানসিটি   রিয়াল মাদ্রিদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আর্সেনালকে বিদায় জানিয়ে সেমিতে বায়ার্ন

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম লেগে ২-২ তে ড্র করায় ফিরতি লেগে ছিল একমাত্র ভরসা। যেখানে শুরু থেকে আর্সেনাল ও বায়ার্নের লড়াইটাও জমেছিল বেশ। তবে বিরতির পর যেন বায়ার্নের খেলার ধরণ বদলায়, বাড়ে গতি। আর সেই ধারাবাহিকতায় মিকেল আর্তেতার দলকে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হারায় টমাস টুখেলের দল। আর এতে করেই গানারদের বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বায়ার্ন।

আগের লেগে আর্সেনালের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে বুধবার (১৭ এপ্রিল) আলিয়াঞ্জ এরিনায় মুখোমুখি হয় দুদল। প্রথম লেগে সার্জ নাব্রি ও হ্যারি কেনের গোলে ড্র করেছিল বায়ার্ন। আর্সেনালের হয়ে গোল দুটি করেছিলেন বুকায়ো সাকা ও লেয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড।

এদিন শুরু থেকে উভয় পক্ষ আক্রমণাত্মক খেলতে থাকলেও প্রথমার্ধে কোনো গোল না হওয়ায় গোলশূন্য রেখেই বিরতিতে যায় দুদল। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে গোল করে বায়ার্নকে লিড এনে দেয় জশুয়া কিমিখ। তার একমাত্র গোলেই শেষ চারের টিকিট পায় বাভারিয়ানরা। আর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয়শূন্য থাকল আর্সেনাল।

বায়ার্নের বিপক্ষে ড্রয়ের পর গত রোববার ঘরের মাঠে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে হারে তারা।

একটু ধীমেতালে শুরু হওয়া ম্যাচে দুই দলই ছিল সাবধানী। আগে রক্ষণ সামালানো পরে গোলের চেষ্টা- নিয়েছিল এই কৌশল। কোনো দলই ছিল না খুব একটা গতিময়।

উল্লেখ্য, অপর ম্যাচে ম্যানসিটিকে হারিয়ে সেমিতে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন ও রিয়াল।


চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   বায়ার্ন   আর্সেনাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ রিয়াল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় ম্যানসিটির

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইতিহাদে টানা দেড় বছর হারেনি পেপ গার্দিওলার দল। যার জন্য রিয়াল মাদ্রিদের জয় এক প্রকার অগ্নিপরীক্ষাই ছিল গতকাল রাতের ম্যাচ। যেখানে নির্ধারিত ও এক্সট্রা সময়েও ফলাফল নিজেদের দখলে নিতে পারেনি রিয়াল। তবে শেষমেষ খেলা ট্রাইব্রেকারে গড়ালে অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় বেলিংহামরা।

বুধবার রাতে ইতিহাদে নির্ধারিত সময়ের ১-১ স্কোরলাইন অতিরিক্ত সময়েও ধরে রেখে ভাগ্য পরীক্ষায় যায় দুই দল। সেখানে ৪-৩ গোলে সিটিকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় দলটি। এ নিয়ে আগের বারের চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করলো রিয়াল মাদ্রিদ।

এদিন ম্যাচে ১২ মিনিটেই রড্রিগোর গোল এগিয়ে দেয় রিয়াল মাদ্রিদকে। এরপর ম্যানসিটি শুধু আক্রমণ করে গেছে, আর অ্যান্টোনিও রুডিগারের নেতৃত্বে রিয়ালের রক্ষণভাগ তা সাফল্যের সঙ্গে সামাল দিয়েছে।

৭২ মিনিটে গ্রিলিশকে পাল্টে পেপ গার্দিওলা জেরেমি ডকুকে নামালে সমতাসূচক গোল করার সুযোগ পায় সিটি। চার মিনিট পর ডকুর বাড়ানো বল নিয়ে ৬ গজের মধ্য থেকে গতির শটে রিয়াল গোলরক্ষক লুনিনকে পরাস্ত করে সিটিকে খাদের কিনারা থেকে বাচান কেভিন ডি ব্রুইন। কিন্তু এই ব্রুইনই এরপর দুবার গোল করার মতো অবস্থায় থেকেও লক্ষ্য মিস করেন।

ডকুর অ্যাসিসেন্ট গোল করে ৭৬ মিনিটে গোল করে ১-১ সমতা ফিরিয়ে ছিলেন ড্র ব্রুইন। এর খেসারত শেষপর্যন্ত দিতে হয়েছে ম্যানসিটিতে। সিটির ১৮১টি আক্রমণ সামাল দিয়ে ম্যাচকে টাইব্রেকারে নিয়ে যান আনচেলত্তির শিষ্যরা।

সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। অন্য সেমিফাইনালটি হবে পিএসজি ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মধ্যে।


রিয়াল মাদ্রিদ   ম্যানসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গুজরাটের লজ্জার রেকর্ড, দিল্লির সহজ জয়

প্রকাশ: ১২:৪৬ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৫তম আসরে অভিষেক হয়েছিল গুজরাট টাইটান্সের। যেবার সব চড়াই উৎরাই পেরিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারাই। এরপর ১৬তম আসরেও বেশ শক্ত পোক্তভাবেই লড়াই করে ফাইনালে উঠেছিল তারা। তবে শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেনি সেবার। 

তবে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তার করা দলটি এবার শুবমান গিলের অধীনে সুবিধা করতে পারছে না। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তৃতীয়বার অলআউট হলো গুজরাট, তাও আবার লজ্জার রেকর্ড গড়লো সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়ে।

প্রথমবার একশর নিচেই ১০ ব্যাটারের সবাই আউট হয়ে গেছে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ৮৯ রানে তাদের থামিয়ে ৬ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই আসরে প্রথমবার টানা দ্বিতীয় জয় পেলো তারা।

এর আগে গুজরাটের সর্বনিম্ন ইনিংস ছিল গত বছর এই দিল্লির কাছেই। ১২৫ রান করেছিল তারা ৬ উইকেট হারিয়ে। এবার তিন অঙ্কের ঘরেও যেতে পারলো না একুশের চ্যাম্পিয়নরা।

রশিদ খান শেষ দিকে ২৪ বলে সর্বোচ্চ ৩১ রান না করলে আরও বড় লজ্জা পেতো গুজরাট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান করেন সাই সুদর্শন। ১০ রান আসে রাহুল তেওয়াতিয়ার ব্যাটে। ইনিংসের ১৫ বল বাকি থাকতে অলআউট তারা।

মুকেশ কুমার ২.৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট দখল করেন ইশান্ত শর্মা ও ট্রিস্টান স্টাবস।

লক্ষ্যে নেমে ২ ওভারে ২৫ রান তুলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। জেক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক ১০ বলে ২০ রানে থামেন। অল্প স্কোরে জয়ের পথে এটাই ছিল ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস। 

শাই হোপ ১০ বলে করেন ১৯ রান। অভিষেক পোরেলের ব্যাটে আসে ১৫ রান। শেষ দিকে রিশাভ পান্ত ও সুমিত কুমার ২৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নবম ওভারেই ম্যাচ জেতে দিল্লি। 

৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৯২ রান করে তারা। ১৬ রানে পান্ত ও ৯ রানে সুমিত খেলছিলেন।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক ম্যাচে ৩১ গোল হজম, অনুভূতিতে যা জানালেন সেই গোলকিপার

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সালটা ২০০১। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওশেনিয়া অঞ্চলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান সামোয়া। কফস হারবারে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে ঘটেছিল ফুটবল বিশ্বের অনন্য এক ইতিহাস। কারণ সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়া হেরেছিল ৩১-০ গোলে। যা আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।

ইতিহাসের সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়ার গোলকিপার ছিলেন নিকি সালাপু। লোকে এখনো নাকি তাকে ম্যাচটি নিয়ে জিজ্ঞেস করে। বিবিসির ‘স্পোর্টিং উইটনেস’ পডকাস্টে সেই ম্যাচ নিয়েই কথা বলেছেন সালাপু।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির জন্য খুব দ্রুত দল গড়তে হয়েছিল আমেরিকান সামোয়াকে। বেশিরভাগই ছিলেন কিশোর বয়সি। আমেরিকান সামোয়ার ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএএস) ফিফায় অন্তর্ভুক্তি পেয়েছিল ম্যাচটি খেলার মাত্র তিন বছর আগে। সেই সময় ১ কোটি ৯০ লাখ অধিবাসীর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৫৮ হাজার জনসংখ্যার আমেরিকান সামোয়া এমনিতেই পুঁচকে ছিল।

আর ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে ফিফা জানিয়ে দেয়, শুধু আমেরিকান পাসপোর্টধারীরাই প্রশান্ত মহাসাগরের দেশটির জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ২০ জনের স্কোয়াডে যোগ্য খেলোয়াড় বাছতে দল উজাড়, টিকেছিলেন শুধু সালাপু। তিনি বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে যে কাউকে খুঁজে বের করতে হতো। আমরা হাইস্কুলের ছেলেদের বাছাই করেছিলাম।

সালাপুর এ কথার ব্যাখ্যা দেবে পরিসংখ্যান। আমেরিকান সামোয়ার দলে ১৫ বছর বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন তিনজন। দলের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ১৮ বছর। সালাপু সেই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ; তার বয়সই ছিল মাত্র ২০ বছর।

ফলে এই দল নিয়ে প্রথম রাউন্ডে ফিজির কাছে ১৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। পরের ম্যাচে সামোয়ার কাছে হার ৮-০ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান তো ছাড়িয়ে গেল সবকিছুকে ৩১-০! ওই ৩ ম্যাচে ৫২ গোল খাওয়ার পর টোঙ্গার কাছে ৫-০ গোলের হার আমেরিকান সামোয়ার কাছে জয়ের সমান হওয়ার কথা!

খুব কাছে গিয়েও ১৯৯৮ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হওয়া অস্ট্রেলিয়া ২০০২ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে মুখিয়ে ছিল। নিজেদের প্রমাণে জিদ কাজ করছিল অস্ট্রেলীয়দের মনে। আমেরিকান সামোয়ার আগে অস্ট্রেলীয়দের সেই জিদের অনলে পুড়েছিল টোঙ্গাও। পলিনেশিয়ান দেশটিকে ২২-০ গোলে গুঁড়িয়ে আমেরিকান সামোয়ার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সালাপু জানিয়েছেন, তার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোনোভাবেই ২২-০ ব্যবধানের হার অতিক্রম করা যাবে না।

গোল বন্যার ‘ফটক’ খুলেছিল ম্যাচের ৮ মিনিটে। অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আর্চি থম্পসন একাই করেছিলেন ১৩ গোল। ৮ গোল করেন ডেভিড জিদ্রিলিক। সালাপু জানিয়েছেন, পুরো ম্যাচে তিনি সতীর্থদের ‘সামনে এগোতে’ বলেছেন। কারণ তার সতীর্থরা বেশিরভাগ সময়েই রক্ষণভাগে জড়সড় হয়েছিলেন। এ কারণে বল দেখতে খুব সমস্যা হচ্ছিল সালাপুর।

৮৬ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার পোস্টে একবারই আক্রমণ করতে পেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপার মাইকেল পেটকোভিচের ম্যাচে সেটাই একমাত্র সেভ। সালাপু মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া যেভাবে খেলেছে, সেটি অখেলোয়াড় সুলভ।

সালাপু জানিয়েছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার কোচ হলে দল ২০ গোল করার পর খেলোয়াড়দের ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত বলের দখল ধরে রেখে খেলতে’ বলতেন। হারের সেই স্মৃতি মনে সইয়ে নিতে সালাপুর প্রায় ১০ বছর লেগেছে। এ সময়ের ব্যবধানে আমেরিকান সামোয়া টানা ৩৮ ম্যাচ হেরেছে ২১৭ গোল ব্যবধানে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে নেমেছে ২০৪তম স্থানেও (বর্তমানে ১৮৯)।

২০১০ সালে ডাচ বংশোদ্ভূত কোচ টমাস রনজেনকে কোচ করে আনে আমেরিকান সামোয়া। পরিস্থিতি এর পর ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর টোঙ্গার মুখোমুখি হয় আমেরিকান সামোয়া।

সালাপু জানিয়েছেন, সে ম্যাচে ‘আমাদের পুরো দল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল’। শেষ বাঁশি বাজার পর পূরণ হলো সেই প্রত্যাশাও। টোঙ্গাকে ২-১ গোলে হারায় আমেরিকান সামোয়া—ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে সেটাই প্রথম জয় দলটির। সালাপুকে সেদিনও আবেগ সংবরণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছিল। বারবার মনকে প্রবোধ দিয়েছি, ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে আবেগ সামলে রাখতে হবে।’


ফুটবল   বিশ্বকাপ   আমেরিকান সামোয়া   অস্ট্রেলিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন