ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১২ বছর পর লঙ্কানদের সিরিজ জয়

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২২ জুন, ২০২২


Thumbnail অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১২ বছর পর লঙ্কানদের সিরিজ জয়

স্পিন সহায়ক উইকেটে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া লঙ্কানদের জয়ের নায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। পাঁচে নেমে তিনি খেলেন ১১০ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। আর এতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক যুগের এক কষ্টের অবসান হলো লঙ্কান ক্রিকেটে। ক্রিকেটের এলিটদের বিপক্ষে যে এক যুগ পর সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো লঙ্কানবাহিনী।

এদিন, প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একদম ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। ১০ ওভারের মধ্যে ৩৪ রানেই টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে তারা। তবে সেখান থেকে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে অজিদের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে ৪ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। 

কলম্বোয় মঙ্গলবার (২১ জুন) শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জয় তুলে নিয়ে লঙ্কানরা পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে গেলো ৩-১ ব্যবধানে। একই সঙ্গে ২০১০ সালের পর এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সংস্করণে সিরিজ জিতল তারা।

শ্রীলঙ্কাকে প্রথমেই ধাক্কা দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দ্বিতীয় ওভারেই। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে স্টাম্পড হয়ে যান নিরোশান ডিকভেলা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পাথুম নিসানকাকে (১৩) বড় ইনিংস খেলতে দেননি মিচেল মার্শ। কামিন্সের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে এনে ফেরেন চোট শঙ্কা কাটিয়ে খেলা কুসল মেন্ডিস (১৪)। বিপদে পড়া দলের হাল ধরেন ধনাঞ্জয়া ও আসালাঙ্কা। দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রায় বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান বাড়াতে থাকেন দুইজন। তাদের জুটির রান পঞ্চাশ স্পর্শ করে ৫৬ বলে। 

আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়ানো ধনাঞ্জয়া ফিফটি স্পর্শ করেন ৫২ বলে। মার্শের বলে মিডউইকেটে ম্যাক্সওয়েলের দারুণ ক্যাচে বিদায় নেন তিনি ৭ চারে ৬০ রান করে। ভাঙে ১০১ রানের জুটি। দুনিথা ওয়াল্লালাগে ও ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে দলকে টানেন ৬০ বলে ফিফটি করা আসালাঙ্কা। এগিয়ে যান সেঞ্চুরির দিকে দেখেশুনে খেলে। কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে পা রাখেন তিনি ৯৯ বলে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে বিদায় নেন ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়ে। শেষ হয় তার এক ছক্কা ও ১০ চারে ১০৬ বলে ১১০ রানের ইনিংস। পরে আর বেশিদূর যেতে পারেনি লঙ্কানরা। এক ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় তারা। ৩ চারে ২১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন হাসারাঙ্গা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি করে শিকার ধরেন বাঁহাতি স্পিনার কুনেমান, কামিন্স ও মার্শ।

জবাব দিতে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ওয়ার্নার ও মার্শ মিলে সামাল দেন শুরুর ধাক্কা। ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে ২৬ রানে ভাঙতে বসা জুটি শেষ পর্যন্ত পেরিয়ে যায় পঞ্চাশ। জমে যাওয়া এই জুটি ভাঙে মার্শের বিদায়ে।

ওয়ার্নার এক প্রান্তে খেলে যান নিজের মতো করে। ৪৯ বলে ফিফটিতে পা রেখে এগিয়ে যান আরও সামনে। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মার্নাস লাবুশেন। রিভিউ নষ্ট করে ফেরেন তিনি এলবিডব্লিউ হয়ে। অ্যালেক্স কেয়ারির পর ট্রাভিস হেডকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ওয়ার্নার। 

কিন্তু পরপর তিন ওভারে হেড, ম্যাক্সওয়েল ও ওয়ার্নারের বিদায়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়। ধনাঞ্জয়ার অফ স্পিন হেডের ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে ছোবল দেয় স্টাম্পে। রিভিউ নিয়ে ম্যাক্সওয়েলকে ফেরায় লঙ্কানরা। পথের কাঁটা হয়ে থাকা ওয়ার্নারকে বিদায় করেন ধনাঞ্জয়া। পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে গিয়ে হন স্টাম্পড। ওয়ানডেতে আড়াই বছর পর সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ফেরেন এক রানের আক্ষেপ নিয়ে। ওয়ার্নার যখন ফেরেন তখন অস্ট্রেলিয়া চাই ৭৭ বলে ৬৭ রান। ধীরে ধীরে ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন কামিন্স। শেষের আগের ওভারে তিনিই বিদায় নেন। এরপর শেষ ওভারে কুনামানের ওই লড়াই। তবুও পেরে ওঠেনি সফরকারীরা। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ আগামী শুক্রবার, এই মাঠেই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ৪৯ ওভারে ২৫৮ (ডিকভেলা ১, নিসানকা ১৩, মেন্ডিস ১৪, ধনাঞ্জয়া ৬০, আসালাঙ্কা ১১০, শানাকা ৪, ওয়াল্লালাগে ১৯, করুনারত্নে ৭, হাসারাঙ্গা ২১*, ভ্যান্ডারসে ০, থিকশানা ০; হেইজেলউড ১০-০-৪৫-০, ম্যাক্সওয়েল ৮-০-৪৯-১, কুনেমান ৮-০-৫৬-২, কামিন্স ৯-১-৩৭-২, মার্শ ৭-১-২৯-২, গ্রিন ৫-০-২৭-০, লাবুশেন ২-০-১৩-০)

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৫৪ (ওয়ার্নার ৯৯, ফিঞ্চ ০, মার্শ ২৬, লাবুশেন ১৪, কেয়ারি ১৯, হেড ২৭, ম্যাক্সওয়েল ১, গ্রিন ১৩, কামিন্স ৩৫, কুনেমান ১৫, হেইজেলউড ০*; করুনারত্নে ৫-১-১৯-২, থিকশানা ১০-১-৪০-১, হাসারাঙ্গা ১০-০-৫২-১, ওয়াল্লালাগে ৫-০-২৯-১, ধনাঞ্জয়া ১০-০-৩৯-২, ভ্যান্ডারসে ৭-০-৪০-২, আসালাঙ্কা ১-০-৭-০, শানাকা ২-০-২৭-১)

ফল: শ্রীলঙ্কা ৪ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: চারিথ আসালাঙ্কা

সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কা   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াল থেকে ক্যাসেমিরোর বিদায়ে কেঁদেছিলেন আনচেলত্তি

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ক্যাসেমিরো। জাতীয় দলসহ ক্লাবের খেলায় যে দলেই খেলেছেন ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডে সে দলেরই ভরসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তবে ক্যাসেমিরোর ক্যারিয়ারে সেরা সময় কেটেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে রুখে দিয়ে দলের আক্রমণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

ক্যাসেমিরো তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ৯ বছরের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন রিয়ালে। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি রিয়াল থেকে নিজের বিদায়ের মুহূর্তের কথা স্মরণ করে ক্যাসেমিরো জানিয়েছেন, তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে কেঁদেছিলেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

ক্যাসেমিরো বলেন, আমি এটি আগে কাউকে বলিনি। আমি শুধুমাত্র একবার ম্যানচেস্টারে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছিলাম। আমার মনে আছে, এটা ছিল শুক্রবারের বিকেল এবং এটা (ইউনাইটেড ট্রান্সফার) আমার স্বাক্ষর ছাড়াই করা হয়েছিল। মানুষ জানতো যে, এটা (চুক্তি) সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তার অফিসে গিয়েছিলাম এবং সে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতো। আমি দরজা খুললাম এবং যখন তার দিকে ঘুরে তাকালাম, দেখলাম আনচেলত্তি কাঁদছিলেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি কাঁদতে পারেন না। অন্য কেউ কাঁদতে পারে কিন্তু আপনি কাঁদতে পারেন না।

সে সময় রিয়াল বস আনচেলত্তি ক্যাসেমিরোকে বলেছিলেন, আমি কেন কাঁদছি জানি না। তবে আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি এবং আমি চাই না তুমি চলে যাও।

ক্যাসেমিরো আরও বলেন, সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পেরেছি, এখানে কত মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি আগেই আমার কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। আমার কথা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


ক্যাসেমিরো   ফুটবল   ব্রাজিল   রিয়াল মাদ্রিদ   কার্লো আনচেলত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। ‘অনুপযুক্ত আচরণের’ কারণে গুসমানকে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত রোববার মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল এবং মন্টেরি মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে টাইগ্রেস ক্লাবের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গুসমান চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তবে ড্রেসিংরুম থেকে তিনি মাঠে লেজার লাইট মারার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বড় শাস্তি ঘোষণা করেছে এফএমএফ।

শেষ পর্যন্ত সেদিন দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আলোচনা শুরু হয় গুসমানে লেজার ব্যবহার করা নিয়ে। তিনি মন্টেরি গোলরক্ষক এসটেবান আন্দ্রাদার দিকে লেজারের আলো ফেলেছিলেন এবং পরে সেটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ক্ষমাও চান এই টাইগ্রেস গোলরক্ষক।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে এফএমএফ জানায়, ম্যাচ চলাকালে অনুপযুক্ত আচরণের জন্য টাইগ্রেস ক্লাবের নাহুয়েল ইগনাসিও গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তার আচরণ ফেডারেশনের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। পরবর্তীতে টাইগ্রেস ক্লাবও নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুসারে গুসমানকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, শাস্তি পেয়েছেন মন্টেরির ফুটবলার আন্দ্রাদাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুসমানকে সমকামী বলে মন্তব্য করায় তাকে জরিমানা করেছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন।

উল্লেখ্য, এখনও হাঁটুর ইনজুরির পুনর্বাসনে আছেন নিষিদ্ধ হওয়া গুসমান, যে কারণে ৯ মার্চের পর তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। চলমান নিয়মিত মৌসুমে তার দলের আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি, তবে ২০২৪ সালের পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলোতে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে। এর আগেও পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে বিভ্রান্ত করার জন্য মুখ থেকে হঠাৎ ফিতা বের করেছিলেন গুসমান। গত আগস্টে লিগস কাপের ওই ঘটনার পর প্রথম তিনি আলোচনায় আসেন।


আর্জেন্টাইন   গোলরক্ষক   নাহুয়েল গুসমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জার্সির রঙ বদলিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায় ব্যাঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। প্রতিবারের মতোই বেশ জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল এবারের খেলা। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।

আইপিএল শুরু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো আসর খেললেও এখন পর্যন্ত একবারও ট্রফি জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আসরেও সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরেছে দলটি।

বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েও আগের ১৬টি আসরের মতো এবারেও টেবিলের তলানিতে রয়েছে কোহিল-সিরাজরা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী (রোববার) হাইভোল্টেজ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কোহলিরা। ভাগ্য বদলাতে এই ম্যাচে জার্সি বদলে খেলবেন কোহলি-ফাফরা।

২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর আইপিএলে একটি ম্যাচ সবুজ জার্সি পরে খেলে বেঙ্গালুরু। প্রকৃতির প্রতি যত্ন এবং আরও বেশি গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়ার জন্যই সবুজ জার্সি পরে নামেন কোহলিরা। সাধারণত, ঘরের মাঠে এই জার্সি পরে নামে বেঙ্গালুরু। কিন্তু এবার অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

নিজেদের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি দিয়েছে নতুন জার্সি পরে নামার কথা নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু। সেখানে নতুন জার্সিতে দেখা যাচ্ছে কোহলি, ডু প্লেসি এবং দিনেশ কার্তিককে।

পোস্টে বেঙ্গালুরু লিখেছেন, আশা করছি জার্সির রঙে বদল করায় ভাগ্যও বদলাবে। ২১ তারিখ দেখা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে আরও ৩টি ম্যাচ খেলা বাকি রয়েছে। অন্যদিকে এই মৌসুমে কলকাতা বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে। ৬ ম্যাচ খেলে তারা ইতিমধ্যেই ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ঘরের মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে কলকাতা। শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেঙ্গালুরুর ভাগ্যবদল বেশ কঠিনই হবে!


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রাউন্ড রবিন লিগ শেষে নিশ্চিত ডিপিএল সুপার ৬

প্রকাশ: ০৫:০৭ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাউন্ড রবিন লিগ শেষে এবার নিশ্চিত হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) চলতি আসরের সুপার লিগ পর্বের ছয় দল। যার মধ্যে রয়েছে- আবাহনী লিমিটেড, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছিল সুপার লিগের প্রথম পাঁচটি দল। বাকি ছিল একটি। আর সেই ষষ্ঠ দল হিসেবে লড়াইটা ছিল মূলত মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও গাজী গ্রুপের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার ‍(১৮ এপ্রিল) শেষ রাউন্ডে রূপগঞ্জ শাইনপুকুরের কাছে হেরে যাওয়ায় রান রেটেও পিছিয়ে পড়ে। তাতে গাজীর সুপার লিগ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ রাউন্ডে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সিটি ক্লাবকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

আবাহনী একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে লিগ পর্ব শেষ করেছে। ১১ ম্যাচের সব কটিই জিতেছে তারা। আরেকটি শিরোপা থেকে খুব বেশি দূরে নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।


ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জয়ের পরও বড় অঙ্কের জরিমানা গুনলেন মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক

প্রকাশ: ০৪:৪৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের ১৭তম আসরে শুরু থেকে খুব একটা ছন্দে ছিল না টুর্নামেন্টটির সফলতম দলের একটি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে টেবিলের তলানি থেকে উপরের দিকে উঠতে চাইছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। আর সেই ধারাবাহিকতায বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মহারাজা যাদাবিন্দ্র সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়েছে মুম্বাই।

এদিন পাঞ্জাবের আশুতোষ ও শশাঙ্কের শেষের ঝড়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল পাঞ্জাব। যার জন্য হিসেব-নিকেষ করেই বোলিং করতে হয়েছে মুম্বাইকে, তাতে নির্ধারিত সময়ে ওভার শেষ করতে পারেনি হার্দিক পান্ডিয়ার দল।

মুম্বাইয়ের জয়ের দিনে স্লো ওভার রেটের কারণে শাস্তি পেয়েছেন হার্দিক। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। স্লো ওভার রেটের কারণে মোট ১২ লাখ রুপি জরিমানা গুনছেন হার্দিক।

বিবৃতিতে আইপিএল কতৃপক্ষ বলেছে, ‌‘মুল্লানপুরে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের স্লো ওভারে রেটের কারণে মুম্বাইয়ের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে জরিমানা করা হয়েছে। হার্দিকের দল প্রথমবার এই ভুল করেছে। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী মন্থর বোলিং করলে জরিমানা করা হয়। সেই নিয়মে মুম্বাইয়ের অধিনায়ককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে।’


হার্ডিক পান্ডিয়া   মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন