ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে অলআউট করে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং তাণ্ডব

প্রকাশ: ০৮:৫৩ এএম, ২৫ জুন, ২০২২


Thumbnail বাংলাদেশকে অলআউট করে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং তাণ্ডব

সেন্ট লুসিয়া টেস্টে যে উইকেটে বাংলাদেশি ব্যাটারদের দেখা গেছে খারাপ খেলতে, সেই একই উইকেটে ভয়ডরহীন ব্যাটিং করছেন ক্যারিবীয় দুই ওপেনার। আগের টেস্টে ধীরগতিতে ইনিংস সাজানোর চেষ্টা ছিল স্বাগতিকদের। তবে এবার বাংলাদেশকে ২৩৪ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর মারকুটে চেহারায় হাজির হন তারা। প্রথম দিন শেষে ১৬ ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে ফেলেছে বিনা উইকেটে ৬৭ রান। 

বাংলাদেশের পাঁচ বোলার বল করেও একটি উইকেটের পতন ঘটাতে পারেননি। ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ৫৫ বলে ৩৩ আর জন ক্যাম্পবেল ৪১ রানে অপরাজিত আছেন ৩২ রানে।

এর আগে লিটন দাসের হাফসেঞ্চুরি আর টেল এন্ডারদের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে পৌঁছাতে পেরেছে ২৩৪ রান পর্যন্ত। ৬৪.২ ওভার খেলে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা।

অ্যান্টিগা টেস্টের সঙ্গে সেন্ট লুসিয়ায় কিছুটা পার্থক্য অন্তত তৈরি করতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে সেটা সন্তোষজনক নয়। কোনো ম্যাচে দ্রুত একটা-দুটা উইকেট পড়তেই পারে। তবে, নিয়মিত বিরতিতে যখন উইকেট পড়তে শুরু করে তখনই বিপদ।

সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম সেশনে ২টি এবং দ্বিতীয় সেশনে পড়লো ৪টি উইকেট। এরপর শেষ সেশনের শুরুতে পড়লো বাকি ৪ উইকেটও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ার কারণে অলআউট হতে হলো ২৩৪ রানে।

লিটন দাস সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেছেন। ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন তামিম ইকবাল, ২৬ রান করেছেন শরিফুল ইসলাম এবং এবাদত হোসেন করেন ২১ রান।

৭ বছরেরও বেশি সময় পর দলে ফিরে এসে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না এনামুল হক বিজয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচের পর ম্যাচ যেভাবে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন, সেন্ট লুসিয়ায় তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না। বরং, দলকে হতাশা উপহার দিয়ে ফিরে গেলেন মাত্র ২৩ রান করে।

ক্যারিবিয়ান অভিষিক পেসার অ্যান্ডারসন ফিলিপের বলে উইকেট হারিয়েছিলেন টপ অর্ডারের ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ও। ৬৮ রানে দুই উইকেট পড়ার পর এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে জুটি গড়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত; কিন্তু দলকে ১০৫ রানে বসিয়ে রেখে পরপর আউট হয়ে গেলেন বিজয় এবং শান্ত। বিজয় আউট হয়েছেন কাইল মায়ার্সের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।

এনামুল হক বিজয় আর নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিতে মনে করা হচ্ছিল, বাংলাদেশ বুঝি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। হয়তো উইকেটে জমিয়ে বসে যাচ্ছেন এই দুই ব্যাটার। কিন্তু অ্যান্ডারসন ফিলিপের বলে প্রথমে বিজয় হলেন এলবিডব্লিউর শিকার। পরের ওভারে কাইল মায়ার্সের বলে হলেন এলবিডব্লিউ। বিজয় ৩৩ বল খেলে করেছেন ২৩ রান এবং শান্ত খেলেছেন ৭৩ বল। করেছেন ২৬ রান।

শান্ত বিজয়ের পর জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাস। কিন্তু এই জুটিও বেশিদুর এগুতে পারেননি। মাত্র ২০ রানের জুটি গড়ার পর তাদের বিচ্ছিন্ন করে দেন জাইডেন সিলস। মাত্র ৮ রান করে সিলসের বলে বোল্ড হয়ে যান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

৬ নম্বর ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। অ্যালজারি জোসেফের লেগ স্ট্যাম্পের ওপর উঠে আসা একটি বাউন্সারকে ঠিকমত সামলাতে পারেননি। ঘাড়ের ওপর থাকা বলটাকে শেষ মুহূর্তে গ্লাভসে লাগিয়ে জমা দিলেন উইকেটের পেছনে জসুয়া ডা সিলভার হাতে। ৭ রান করে ফিরে যান সোহান।

মেহেদী হাসান মিরাজ স্বচ্ছন্দেই খেলছিলেন লিটনের সঙ্গে। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য। দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হলেন। কাইল মায়ার্সের বলে বদলি ফিল্ডার থমাসের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন তিনি। পয়েন্ট দাঁড়িয়ে তিনি ঝাঁপ দেন লং থার্ডম্যানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটি ধরেন। মাত্র ৯ রান করে আউট হন মিরাজ।

শরিফুল ইসলাম আর খালেদ আহমেদ মিলে দারুণ জুটি গড়েন। মাত্র ১৭ বল খেলে ২৬ রান করে আউট হন শরিফুল। ২১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন এবাদত হোসেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারালেও হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু মাত্র ৪ রানের জন্য ক্যারিয়ারে ৩২তম ফিফটিটি মিস করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

ইনিংসের ২৩তম ওভারে আলজেরি জোসেফের বলে টাইমিং গড়বড় করে কভার পয়েন্টে ক্যাচ হয়েছেন তামিম। ৬৭ বলে গড়া তার ৪৬ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারির মার। ২৬ ওভারে ২ উইকেটে ৭৭ রান নিয়ে প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

গ্রস আইলেটের ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রেথওয়েট টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন।

প্রথম ওভারেই বিপদে পড়তে পারতো বাংলাদেশ। কেমার রোচের ওভারের পঞ্চম বলে জোরালো আবেদন হয়েছিল। তামিম ইকবালের প্যাডে বল লাগায় রিভিউও নিয়েছি ক্যারিবীয়রা। কিন্তু বল লেগ স্ট্যাম্প হালকা ছুঁয়ে গেলেও আউট পায়নি স্বাগতিকরা। বরং ওভারের শেষ বলটি ফ্লিক করে সীমানাছাড়া করেন তামিম।

রোচের পরের ওভারের প্রথম বলে আরেকটি বাউন্ডারি হাঁকান তামিম। এবার হাঁটু গেড়ে চমৎকার কভার ড্রাইভে। এমন শুরু করা তামিম এখন পর্যন্ত খেলছেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।

তবে প্রথম টেস্টের মতো বিপজ্জনক জায়গায় বল ফেলে ইনিংসের যাচ্ছেন কেমার রোচ। উইকেট পাওয়ার খুব কাছাকাছিই চলে এসেছিলেন ক্যারিবীয় পেসার। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি।

ইনিংসের সপ্তম ওভারের ঘটনা। ওভারের চতুর্থ বলটি মাহমুদুল হাসান জয়ের প্যাডে লাগলে আবেদন করেন রোচ। আউট দেন আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। দেখা যায়, বল জয়ের লেগ স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরে ছিলো।

পরের বলটি নিচু হয়ে লেগেছিল জয়ের প্যাডে। এবারও আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ নেয় রিভিউ। এবারও দেখা যায়, বল লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যেতো। সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় আম্পায়ারকে। টানা দুই বলে বেঁচে যান জয়।

তারপরও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি না ডানহাতি এই ওপেনার। এবার আর রিভিউ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। ব্যক্তিগত ১০ রানে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে সরাসরি বোল্ডই হয়েছেন অভিষিক্ত পেসার অ্যান্ডারসন ফিলিপের বলে। ১২.২ ওভারে জয়-তামিমের জুটিটি ছিল ৪১ রানের।

সেন্ট লুসিয়া টেস্ট   বাংলাদেশ   ক্যারিবীয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অসদাচরণের অভিযোগে এবার শাস্তির মুখে কোহলি

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে আইপিএলের ১৭তম আসর। যেখানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাচ্ছেন রানের দেখা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে।

রোববার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। যেখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে মাঠেই কোহলি প্রতিক্রিয়া দেখান। অসদাচরণের অভিযোগে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। আইপিএলের কোড অব কন্টাক্ট ভঙ্গ করায় কোহলিকে তার ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।

ব্যাঙ্গালুরুর সামনে লক্ষ্য ছিল ২২৩ রানের। সেই লক্ষ্যে ভালো একটা শুরুর দরকার ছিল। বিরাট কোহলি ঠিক সেই চেষ্টাই করেছিলেন। স্টার্কের প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেছিলেন। নিজের প্রথম ৬ বল থেকে তুলে নেন ১৮ রান। এরপরেই অবশ্য ভারতীয় এই ব্যাটার আউট হয়েছেন বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে।

হারশিত রানার বলটা ছিল কোমরের কাছাকাছি। ফুল টস বলে কোহলি কেবল ব্যাটে-বলে করেছেন। ফিরতি ক্যাচ লুফেছেন বোলার নিজেই। আউটের সিদ্ধান্তের জন্য দ্বারস্থ হতে হয়েছিল আম্পায়ারের। যেখানে প্রযুক্তির সাহায্যে থার্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ আউটের সিদ্ধান্ত জানান।

কোহলি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। মাঠেই মেজাজ হারিয়ে তর্ক করেছেন আম্পায়ারের সঙ্গে। যুক্ত ছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও। তবে গফ নিজেই ম্যাচ চলাকালে জানান, বিতর্ক উসকে দেয়া এমন সিদ্ধান্তের কারণ।

হারশিত রানার ওই ডেলিভারি পুরোপুরি বৈধ ছিল। ব্যাটার ক্রিজে থাকলে বলের উচ্চতা হতো ০.৯২ মিটার। বিরাট কোহলির কোমরের উচ্চতা ১.০৪ মিটার। যার অর্থ, বিরাট ক্রিজে থাকলে বল তার কোমরের নিচ দিয়েই যেত, যা আইসিসির নীতি অনুযায়ী বৈধ বল হিসেবেই গণ্য হবে। স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই তাই আউটের সিদ্ধান্ত দেন মাইকেল গফ।


আইপিএল   বিরাট কোহলি   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এ প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। এ দলে ডাক পেয়েছে চলমান ডিপিএলে দারুণ ছন্দে থাকা পারভেজ হোসেন ইমন, তানভির ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। 

চলমান ডিপিএলে ব্যাট হাতে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ১২ ম্যাচে ৫৮৫ রান করেছেন পারভেজ ইমন। আর ডিপিএলে ১১ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন তানভির ইসলাম। তাছাড়া সর্বশেষ বিপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে নির্বাচকদের সুনজরে আসেন সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্প:

নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান, পারভেজ হোসেন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার। 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ


বাংলাদেশ ক্রিকেট   বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে যা জানালেন সুনিল নারিন

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে আইপিএলের ১৭তম আসর। যেখানে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে শুরু থেকেই জ্বলে উঠেছেন ‍সুনিল নারিন। ব্যাট হাতে যেমন চালাচ্ছেন তাণ্ডব, তেমনি বল হাতে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের রীতিমতো ভড়কে দিচ্ছেন। তবে নারিনের এমন পারফরম্যান্সে অনেকের মনে তৈরি হয়েছে কৌতুহলী প্রশ্ন যে, নারিন কি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন?

ভক্তদের সেই কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিয়েছেন নারিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে তিনি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা, তা নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন।

তবে নারিনের উত্তর শুনে হয়তো অনেক ভক্তরই মন খারাপ হবে। কারণ, গত সপ্তাহে কলকাতার হয়ে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলবেন না। নারিন জানান, তার জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দরজা বন্ধ।

জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরা নিয়ে নারিন বলেন, ‘আমি সত্যিই খুশি যে সম্প্রতি আমার পারফরম্যান্স অনেককে প্রকাশ্যে তাদের অবসর ভেঙে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি সেই সিদ্ধান্ত (জাতীয় দলের হয়ে না ফেরা) নিয়ে সন্তুষ্ট। আমি কখনই হতাশ হতে চাই না। সেই দরজাটি এখন বন্ধ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জুনে যারা মাঠে নামবে আমি তাদের সমর্থন করবো।’-যোগ করেন নারিন।

তিনিও আর বলেন, ‘যে ছেলেরা গত কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং আমাদের দুর্দান্ত ভক্তদের দেখানোর যোগ্য যে তারা আরেকটি শিরোপা জিততে সক্ষম- আমি আপনাদের শুভ কামনা জানাই।’

গত সপ্তাহে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫৬ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন নারিন। তবে নারিনের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ম্লান করে পাল্টা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রাজস্থানকে জয় এনে দেন জস বাটলার।

আইপিএলের চলতি মৌসুমে কলকাতার হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি নারিন। ২২.১১ গড়ে বোলিং করে শিকার করেন ৯ উইকেট। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল।

২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন নারিন। তবে ২০১৯ সাল থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি খেলেননি তিনি। আর জাতীয় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছেও নেই নারিনের।


সুনিল নারিন   ওয়েস্ট ইন্ডিজ   কলকাতা নাইট রাইডার্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এল ক্লাসিকোর সেই ম্যাচ পুনরায় আয়োজনের দাবি বার্সাপ্রধানের

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এল ক্লাসিকো মানেই ফুটবল দুনিয়ার শীর্ষ এক লড়াই। যেখানে থাকে টান টান উত্তেজনা, থাকে বাড়তি উন্মাদনা। লা লিগার দুই ক্লাব বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার এই লড়াইয়ে হয়ে থাকে নানা ঘটনার ঘনঘটা।

গত রোববার রাতেও জমজমাট একটি এল ক্লাসিকো উপভোগ করেছে ফুটবল দুনিয়া। গোল, পাল্টা গোলের ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জুড বেলিংহামের গোলে ৩-২ ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে এই ম্যাচে আলোচনার শীর্ষে উঠেছে গোললাইন প্রযুক্তি।

বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ দাবি করেছে, খেলার মাঠে গোললাইন প্রযুক্তি না থাকার কারণে অবিচারের শিকার হয়েছেন তারা। না হয় খেলার ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো।

ঘটনাটি ম্যাচের ২৮ মিনিটের। তখন খেলা চলছে ১-১ সমতায়। এমন সময় বার্সা তারকা রাফিনহার কর্নার থেকে আসা বল রিয়ালের জাল লক্ষ্য করে শট নেন লামিন ইয়ামাল। সেই বল ফিরিয়ে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রেয়ে লুনিন।

বার্সার খেলোয়াড়রা দাবি করেন, বলটা গোললাইনের ভেতর থেকে নিয়ে এসেছেন লুুনিন। কিন্তু রেফারি গোল না দিয়ে বার্সার পক্ষে পুনরায় কর্নারের সিদ্ধান্ত দেন। রেফারির এই সিদ্ধান্তটিই মানতে পারছে না বার্সা।

বিতর্কিত এই ঘটনা নিয়ে বরাবরের মতোই আলোচনা-সমালোচনায় মেতে উঠেছেন দর্শকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত দেন তারা।

এদিকে রিয়ালের বিপক্ষে এই ম্যাচটি পুনরায় আয়োজনের কথা বলছেন বার্সাপ্রধান হুয়ান লাপোর্তা। তিনি বলেন, লামিনের গোল নিয়ে ভিএআর প্রযুক্তির ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে ম্যাচটি পুনরায় আয়োজন করা উচিত।

সোমবার এক বিবৃতিতে লাপোর্তা বলেন, ‘ম্যাচে বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে একটি ঘটনা ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং যা খেলার ফলাফল পরিবর্তন করে দিতে পারে।

‘আমি লামিন ইয়ামালের ‘‘ফ্যান্টম গোল’’- এর কথা বলছি। একটি ক্লাব হিসাবে আমরা নিশ্চিত হতে চাই সেখানে কী ঘটেছিল। এই কারণেই আমরা ঘটনার ফুটেজ এবং অডিও সংগ্রহের জন্য অবিলম্বে অনুরোধ করব।’-যোগ করেন লাপোর্তা।

লাপোর্তা আরও বলেন, ‘যদি একবার এসব প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে ক্লাব বুঝতে পারে যে ঘটনার পুনর্বিবেচনায় একটি ত্রুটি তৈরি করা হয়েছে। আমরা অবশ্যই কোনও প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ ছাড়াই পরিস্থিতিকে পরিবর্তন করার সব দরকারি ব্যবস্থা নেব।’

তিনি বলেন, ‘যদি এটি নিশ্চিত হয় যে, এটি সত্যিকার অর্থেই গোল ছিল তাহলে আমরা সামনে এগিয়ে যাব এবং ম্যাচটি পুনরায় আয়োজনের অনুরোধ করবো। যেমনটি ভিএআর ত্রুটির কারণে ইউরোপের অন্য একটি খেলায় ঘটেছে।’

জাভি ও বার্সার গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে লা লিগার খেলায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাকে বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেছেন। সূক্ষ্মভাবে খেলা পরিচালনার জন্য লা লিগা কর্তৃপক্ষকে গোললাইন প্রযুক্তি বসানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।


বার্সালোনা   রিয়াল মাদ্রিদ   লা লিগা   এল ক্লাসিকো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যে একাদশ নিয়ে লখনৌর বিপক্ষে মাঠে নামতে পারে চেন্নাই

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিকল্প হিসেবে দল পেলেও চলমান আইপিএলে মুস্তাফিজের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। প্রথম ম্যাচেই ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট শিকার বাঁহাতি এই পেসারের। এতে করে পার্পল ক্যাপের দৌড়ে শীর্ষের দিকেই রয়েছেন তিনি।

এমন পরিস্থিতিতে আজ দিনের একমাত্র ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টের মুখোমুখি হচ্ছে মুস্তাফিজের চেন্নাই সুপার কিংস। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

নিজেদের ঘরের মাঠে লখনৌর বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। এই ম্যাচেও মুস্তাফিজের একাদশে থাকার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। চিপকের এই মাঠে ৩ ম্যাচ খেলে ৮ উইকেট নিয়েছেন টাইগার পেসার। আজকেও তাই টাইগার পেসার থেকে দুর্দান্ত কিছুই প্রত্যাশা থাকবে চেন্নাইয়ের।

জাতীয় দলের দায়িত্ব থাকার কারণে এবারের আইপিএলের পুরো আসর খেলা হবে ফিজের। লখনৌর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মুস্তাফিজের আইপিএল ছাড়া নিয়ে মন্তব্য করেছেন মাইক হাসি। তার চলে যাওয়াকে দুঃখজনক হিসেবেও আখ্যায়িত করেন তিনি।

চেন্নাই কোচ বলেন, ‘মুস্তাফিজের স্লোয়ার বলটা অসাধারণ। এটা খেলা বেশ কঠিন, বিশেষ করে চেন্নাইয়ে। দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে যখন সে চলে যাবে আমরা দুঃখ পাব। মুস্তাফিজ যতদিন থাকতে পারবে ততদিন আমরা তাকে রাখতে চাই। আমরা তার পারফরম্যান্সে বেশ আনন্দিত।’

চেন্নাইয়ের সম্ভাব্য একাদশ:

রাচিন রবীন্দ্র, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, শিবাম দুবে (ইমপ্যাক্ট), মঈন আলি, রবীন্দ্র জাদেজা, সামির রিজভি, এমএস ধোনি (উইকেটরক্ষক), দীপক চাহার, তুষার দেশপাণ্ডে, মুস্তাফিজুর রহমান, মাথিশা পাথিরানা।


আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   লখনৌ সুপার জায়ান্টস   ঋতুরাজ   লোকেশ রাহুল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন