মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টির পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণি ম্যাচে ৫ উইকেট হাতে রেখেজয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। আজ শুকরবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশের দেয়া ২৯১ রানের টার্গেট তারা করতে নেমে ১৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় সিকান্দার রাজারা।
এক সিকান্দার রাজাই যেনো বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলেন। প্রথম ম্যাচে টাইগাররা হেরেছিল, দ্বিতীয় ম্যাচেও পরাজয়ের মুখে। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে পরাজয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন রাজা। খেলেছেন ১১৭ অপরাজিত এক ইনিংস। তার সঙ্গে সেঞ্চুরির করেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রেগিস চাকাভাও।
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা ফর্মে রয়েছেন সম্ভবত জিম্বাবুয়ে অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ১৩৫ রান করার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের বোলারদের সামনে মুর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দেন তিনি । ২৭ রানে ৩ উইকেট এবং ৪৯ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর রেগিস চাকাভাকে সঙ্গে নিয়ে স্বাগতিকদের জয়ের দিকে নিয়ে চলেন। গড়েছিলেন ২০১ রানের বিশাল জুটি। যা বাংলাদেশকে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে ঠেলে দেয়।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্ম্যাযাট করতে নেম আগের ম্যাচের চেয়ে চেয়ে ১৩ রান কম করেছে বাংলাদেশ। অথচ, প্রথম ম্যাচে ৩০৩ রান করেও জিততে পারেনি টাইগাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে করেছে ২৯০ রান করে জয়ের আশা তেমন রাখাটাও সম্ভব ছিলোনা।
তবে, ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ এবং স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
এই বোলারের তোপের মুখে ২৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে স্বাগতিকরা। হাসান মাহমুদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়া।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই টি কাইতানোকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন হাসান মাহমুদ। ১ রানে পড়ে এক উইকেট। দলীয় ১৩ রানেও একইভাবে ইনোসেন্ট কাইয়াকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন মুশফিক।
ওয়েসলি মাধভিরে উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি। ১৬ বল খেলেছেন। কিন্তু ২ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হলেন।
টানা তিন উইকেট পড়লেও অন্যপ্রান্তে অপর ওপেনার তাদিওয়ানাশে মুরুমানি উইকেট আগলে রেখেছিলেন। সিকান্দার রাজার সঙ্গে ২১ রানের উটি জুটিও গড়েন তিনি। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের বলে পরবির্তিত ফিল্ডার মোহাম্মদ নাইম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ৪২ বলে করেন ২৫ রান। চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে ৪৯ রানে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা যথেষ্ট হয়নি।
মন্তব্য করুন
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা ফর্মে রয়েছেন জিম্বাবুয়ে অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ১৩৫ রান করার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের বোলারদের সামনে মুর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছেন তিনি। ২৭ রানে ৩ উইকেট এবং ৪৯ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর রেগিস চাকাভাকে সঙ্গে নিয়ে স্বাগতিকদের দিকে নিয়ে চলছেন তিনি।
এরই মধ্যে সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেছেন সিকান্দার রাজা ও রেগিস চাকাভা। দুইজনে গড়ে তুলেছিলেন ২০১ রানের জুটি। যা ধীরে ধীরে টাইগারদের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে যাচ্ছে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় জিম্বাবুয়ের রান ৪৩ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০। ১১৭ বলে ১০৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন সিকান্দার রাজা। তার সঙ্গী রেগিস চাকাভা ফিরে গেছেন ১০২ রান করে। তবে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়েই মাঠ ছাড়লেন তিনি।
প্রথম ম্যাচের চেয়ে ১৩ রান কম করেছে বাংলাদেশ। অথচ, প্রথম ম্যাচে ৩০৩ রান করেও জিততে পারেনি টাইগাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে করেছে ২৯০ রান। আজ কী জিততে পারবে? প্রশ্নটা তোলা থাকলো বোলার আর ফিল্ডারদের কাছে।
মন্তব্য করুন
আগের ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়ে ফেরা সিকান্দার রাজা আবারও দাঁড়িয়ে গেছেন। মেহেদী হাসান মিরাজকে ছক্কায় ওড়িয়ে ৬৭ বলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ। এদিকে তার অপর প্রান্তে ব্যাট করা চাকাভাও ছুঁয়ে ফেললেন অর্ধশতকের মাইল ফলক।
রাজা ও রেজিস
চাকাভার জুটিতে দ্রুত বাড়ছে জিম্বাবুয়ের রান। পাল্টা আক্রমণ শুরুর পর তাদের ঠেকানোর
কোনো পথ যেন পাচ্ছেন না বাংলাদেশের বোলাররা।
৩০ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৪ উইকেটে ১৫৭। ৭৫ বলে ৫৮ রানে খেলছেন রাজা। ৩৮ বলে চাকাভার রান ৫৮।
প্রায় তিনশ
রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। পাওয়ার প্লেতে হারিয়েছিলো ৩ উইকেট।
এবার সেই চাপে আরেক দফা আঘাত হানেন তাইজুল। নিজের প্রথম ওভারে এসেই সাজঘরে ফেরান টাডিওনাশে
মারুমানিকে। ৪২ বলে ২৫ রান করে আউট হন তিনি
১৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের
রান ৪ উইকেটে ৫২। ২৬ বলে ১২ রানে খেলছেন রাজা। আর ৪ বলে ১ রানে আছেন চাকাভা।
এর আগে দুটি
উইকেট নিয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ, অন্যটি মেহেদী হাসান মিরাজ।
শুরুতেই ওপেনিং
জুটি ভাঙলেন হাসান। এক বছরেরও বেশি সময় পর ফিরলেন ওয়ানডেতে, তৃতীয় বলেই পেয়ে গেলেন
উইকেটের দেখা। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা বলটা লাইন ধরে রেখেছিল, তাতে ক্রিজে আটকে ছিলেন
তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো। আউটসাইড-এজড হয়েছেন তিনি, উইকেটের পেছনে ডানদিকে ঝুঁকে ক্যাচ
নিতে ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ১ রানেই।
ঠিক পরের বলেই
এলবিডব্লু হতে পারতেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়া। তবে আম্পায়ার সাড়া
দেননি সে আবেদনে, এ সিরিজে আবার নেই রিভিউ। প্রথম ওভারে দারুণ হুমকি তৈরি করেছেন হাসান।
ইনিংসের শুরুতে
সহজ রান দিচ্ছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম ১০ ওভারে বাউন্ডারি কেবল চারটি।
এর সিরিজ বাঁচিয়ে
রাখার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবালের ফিফটিতে ২৯১ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ।
ভালো শুরুর
পর দিক হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে করতে পেরেছে ২৯০ রান।
মন্তব্য করুন
হাসানের পর এইবার উইকেট পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফেরালনে মাধভেরেকে। নিজে যেভাবে আউট হয়েছিলেন সেভাবেই ফুললেংথের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে ফিrলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। মিরাজের বলে মেনে নিতে হলো একই পরিণতি।
ইনিংসে তৃতীয়বারের মতো জোরাল আবেদনে অবশেষে সফল বাংলাদেশ। ২৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে আরও একবার পিছিয়ে পড়ল জিম্বাবুয়ে।
এর আগে শুরুতেই
ওপেনিং জুটি ভাঙলেন হাসান। এক বছরেরও বেশি সময় পর ফিরলেন ওয়ানডেতে, তৃতীয় বলেই পেয়ে
গেলেন উইকেটের দেখা। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা বলটা লাইন ধরে রেখেছিল, তাতে ক্রিজে আটকে
ছিলেন তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো। আউটসাইড-এজড হয়েছেন তিনি, উইকেটের পেছনে ডানদিকে ঝুঁকে
ক্যাচ নিতে ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ১ রানেই।
ঠিক পরের বলেই
এলবিডব্লু হতে পারতেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়া। তবে আম্পায়ার সাড়া
দেননি সে আবেদনে, এ সিরিজে আবার নেই রিভিউ। প্রথম ওভারে দারুণ হুমকি তৈরি করেছেন হাসান।
এর সিরিজ বাঁচিয়ে
রাখার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবালের ফিফটিতে ২৯১ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ।
ভালো শুরুর
পর দিক হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে করতে পেরেছে ২৯০ রান।
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে শুরতেই জোড়া আঘাত হানেন হাসান। শুরুতেই ভাঙল জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি। প্রথম ওভারে কাইতানোকে আউট করার পর এবার এবার ইনোসেন্ট কাইয়াকে নিজের শিকার বানালেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের চমৎকার এক ডেলিভারিতে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ধরা পড়েন কাইয়া।
৪ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান।
এর আগে ব্যাটিং করতে এসে প্রথম ইনিংস মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবালের ফিফটিতে ২৯১ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ।
ভালো শুরুর
পর দিক হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে করতে পেরেছে ২৯০ রান।
তিনটি করে ছক্কা
ও চারে ৮৪ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ৫০ বলে তার রান ছিল ২৭। এরপর
রানের গতি বাড়িয়ে দলকে নিয়ে যান তিনশ রানের কাছে।
এর আগে টস হেরে
প্রথমে ব্যাটীং করতে নেমে শুরটা বেশ ভালো করে পারেনি টাইগাররা। শুরুতেই পরপর দুই ওভারে
দুই ওপেনার তামিম-বিজয় আউট হন। তাদের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে
দারুণ নির্ভরতা দিচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
থিতু হয়ে যখন
বড় ইনিংসের সম্ভাবনা দেখাচ্ছিলেন তখনই ঘটলো ছন্দপতন। ওয়েসলি মাধেভেরেকে স্লগ সুইপ করতে
গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন তিনি।
তারপর আফিফ
ক্রিজে এসে হাল ধরলেন মাহমুদুল্লাহ্র সঙ্গে। গড়ে তোলেন ৮২ বলে ৮১ রানের জুটি। অফ স্পিনারের
বল রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন । ঠিক মতো খেলতে পারেননি তিনি, সহজ ক্যাচ যায় শর্ট
থার্ড ম্যানে। তার পরে নেমে মারকুটে ব্যাটিং শুরু করলেও অফ স্পিনার সিকান্দার রাজার
শিকার হন মিরাজ। সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
শেষ ওভারে দুটি
উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ভিক্টর নিয়াউচির প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়েন তাইজুল
ইসলাম। শেষ বলে রান আউট হয়ে যান শরিফুল ইসলাম। মাঝে একটি ছক্কা মারেন মাহমুদউল্লাহ,
আগের ওভারে লুক জঙ্গুয়েকেও মেরেছিলেন একটি।
বাংলাদেশ একশ
রান ছুঁয়েছিল ১৮তম ওভারে, দ্বিতী দলীয় সেঞ্চুরি আসলো ৪০তম ওভারে। পাওয়ার প্লে শেষে
যেখানে বাংলাদেশের রান রেট ছিল ছয়ের উপরে, এক পর্যায়ে সেটা নেমে এসেছিল ৪.৭৫-এ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০
ওভারে ২৯০/৯ (তামিম ৫০, এনামুল ২০, শান্ত ৩৮, মুশফিক ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৮০*, আফিফ ৪১,
মিরাজ ১৫, তাসকিন ১, তাইজুল ৬, শরিফুল ১; ইভান্স ৭.৪-০-৬৪-০, নিয়াউচি ৮-০-৩৯-১, চিভাঙ্গা
৮.২-০-৪৯-১, রাজা ১০-০-৫৬-৩, মাধেভের ৯-০-৪০-২, জঙ্গুয়ে ৭-০-৪০-০)
মন্তব্য করুন
শুরুতেই ওপেনিং জুটি ভাঙলেন হাসান। এক বছরেরও বেশি সময় পর ফিরলেন ওয়ানডেতে, তৃতীয় বলেই পেয়ে গেলেন উইকেটের দেখা। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা বলটা লাইন ধরে রেখেছিল, তাতে ক্রিজে আটকে ছিলেন তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো। আউটসাইড-এজড হয়েছেন তিনি, উইকেটের পেছনে ডানদিকে ঝুঁকে ক্যাচ নিতে ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ১ রানেই।
এর আগে শুরুতেই ওএপ্নিং জুটী ভাঙলেন হাসান। এক বছরেরও বেশি সময় পর ফিরলেন ওয়ানডেতে, তৃতীয় বলেই পেয়ে গেলেন উইকেটের দেখা। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা বলটা লাইন ধরে রেখেছিল, তাতে ক্রিজে আটকে ছিলেন তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো। আউটসাইড-এজড হয়েছেন তিনি, উইকেটের পেছনে ডানদিকে ঝুঁকে ক্যাচ নিতে ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ১ রানেই।