ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের আশা জাগিয়েও পারল না আয়ারল্যান্ড

প্রকাশ: ০৯:২২ এএম, ২৯ জুন, ২০২২


Thumbnail ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের আশা জাগিয়েও পারল না আয়ারল্যান্ড

দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে এক অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেও জয়ের আশা জাগিয়ে জিততে পারলো না আয়ারল্যান্ড। হারলো মাত্র ৪ রানে। এর ফলে ভারত দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ জিতে নিলো ২-০ ব্যাবধানে।  

মঙ্গলবার (২৮ জুন) ম্যালাহাইডে দা ভিলেজে অবিশ্বাস্য এক জয়ের আশা জাগিয়েও ভারতের বিপক্ষে পারল না তারা।

শেষ ম্যাচের রঙ পাল্টেছে বার বার। শেষ ওভারের প্রথম ৩ বল থেকে এলো ৯ রান। শেষ ৩ বলে সমীকরণ দাঁড়াল ৮ রান। মহাগুরুত্বপূর্ণ সেই সময়ে দেখা গেল অন্য এক উমরান মালিককে। এতক্ষণ অকাতরে রান বিলানো গতিময় পেসার মাথা খাটিয়ে বোলিং করে দিলেন কেবল ৩ রান। নখকামড়ানো উত্তেজনার ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের জন্য শেষটা হলো হতাশার। 

দিপক হুডার প্রথম সেঞ্চুরি ও সাঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে তার বিশ্ব রেকর্ড গড়া জুটির সৌজন্যে ৭ উইকেটে ২২৫ রান করে ভারত। ব্যাটারদের মিলিত অবদানে ৫ উইকেটে ২২১ পর্যন্ত যায় আয়ারল্যান্ড।
 
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের প্রথম বলেই স্যামসনের বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করে ভারত। তৃতীয় ওভারে ইশান কিষান ফিরে গেলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। পঞ্চম ওভারে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন হুডা, সে সময় তার রান ছিল ১৪। এরপর বোলারদের উপর চড়াও হন তিনি। পিছিয়ে থাকেননি স্যামসনও। পাওয়ার প্লেতে ইশানের উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ৫৪ রান। এরপর কমতে বসে রানের গতি। ব্যাক্তিগত ৩৩ রানে পল স্টার্লিংয়ের হাতে জীবন পান হুডা। পরে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে দুই ছক্কায় উড়িয়ে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলেন তিনি, ২৭ বলে।

ক্যারিয়ারের প্রথম পঞ্চাশের পর বোলারদের উপর আরও চড়াও হন তিনি। সে সময় খুব একটা স্ট্রাইক-ই পাচ্ছিলেন না স্যামসন। শেষ পর্যন্ত ত্রয়োদশ ওভারে তিনিও পা রাখেন পঞ্চাশে, ৩১ বলে। ২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর দেশের হয়ে এটাই তার প্রথম পঞ্চাশ। ফিফটির পর ডেলানিকে টানা দুই ছক্কায় ওড়ান স্যামসন। পরে মার্ক অ্যাডায়ারকে ফ্লিক করে ওড়ান ছক্কায়। পরের বলেই বোল্ড হয়ে থামেন তিনি। ভাঙে ৮৭ বল স্থায়ী ১৭৬ রানের জুটি। ভারতের হয়ে যে কোনো উইকেটে এটি সর্বোচ্চ জুটি। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় উইকেটে এটি সেরা। ৪ ছক্কা ও ৯ চারে স্যামসন ৪২ বলে করেন ৭৭।


রেকর্ড জুটির পর নিয়মিত উইকেট হারায় ভারত। এর মধ্যে ৫৫ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান হুডা। এরপর আর এগোতে পারেননি বেশিদূর। ভারতের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করে থামেন ১০৪ রানে। তার ৫৭ বলের ইনিংস গড়া ৬ ছক্কা ও ৯ চারে। শেষ দিকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান দিনেশ কার্তিক, আকসার প্যাটেল ও হার্শাল প্যাটেল। ৯ বলে দুই চারে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।

পাহাড় ডিঙানোর চ্যালেঞ্জে ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম দুই বল ডট খেলার পর ছক্কা ও তিন চার হাঁকিয়ে ডানা মেলেন স্টার্লিং। ১৮ রানের ওভার দিয়ে শুরু হয় আয়ারল্যান্ডের রান তাড়ার অভিযান। অন্য প্রান্তে তাকে সঙ্গ দিয়ে যান এ্যান্ডি বালবার্নি। ৪ ওভারেই জুটি ও দলের রান ছুঁয়ে ফেলে পঞ্চাশ। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে ছক্কা হজম করেন রবি বিষ্ণইও। পরে তিনিই ভাঙেন আইরিশদের শুরুর জুটি। চমৎকার এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন স্টার্লিংকে। ১৯ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চরে ৪০ রান করেন বিস্ফোরক এই ওপেনার। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৫ বল স্থায়ী ৭২ রানের জুটি। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার সরাসরি থ্রোয়ে শূন্যতে ডেলানি রান আউট হয়ে ফেরেন। পরের বলেই উমরানকে ছক্কায় ওড়ান বালবার্নি। পরের ওভারে গতিময় পেসারকে ছক্কা মারার পর হাঁকান চার। ইনিংসে এটাই তার প্রথম চার, ততক্ষণে ছক্কা হয়ে গেছে ছয়টি।

৯ ওভারেই তিন অঙ্ক স্পর্শ করে আয়ারল্যান্ডের রান। মূলত বাউন্ডারিতে এগোনো বালবার্নি পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৩৪ বলে, সিঙ্গেল নিয়ে। পরের ওভারে হার্শালকে চারের পর মারেন ছক্কা। পরের বলেই অবশ্য ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক। ৩৭ বলে সাত ছক্কা ও তিন চারে তিনি করেন ৬০ রান। তখনও স্বাগতিকদের প্রয়োজন ৫৭ বলে ১০৯ রান। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা হ্যারি টেক্টর তখনও শান্ত। প্রথম ১০ বলে তিনি করেন ১০ রান। এরপর তিন বলের মধ্যে বিষ্ণইকে দুটি চার মেরে মনোযোগ দেন রানের গতি বাড়ানোয়। নিজের তৃতীয় ওভারে প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটের স্বাদ পান উমরান। গতিময় এই পেসার বিদায় করেন লর্কান টাকারকে।

ছক্কায় রানের খাতা খোলার পর তিন বলের মধ্যে বিষ্ণইকে দুই চার মেরে আয়ারল্যান্ডকে কক্ষপথে রাখেন জর্জ ডকরেল। পরে হার্শালকে দুটি ছক্কায় উড়িয়ে লক্ষ্যটা আরও কাছে নিয়ে আসেন তিনি। শেষ ৩ ওভারে আইরিশদের প্রয়োজন ছিল ৩৮ রান। ১৮তম ওভারে টেক্টরকে ফিরিয়ে ২১ বল স্থায়ী ৪৭ রানের জুটি ভাঙেন ভুবনেশ্বর। তাকে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন টেক্টর। পাঁচ চারে তিনি ২৮ বলে করেন ৩৯। সেই ওভারে শেষ বলে চার মেরে একটু হলেও আশা বাঁচিয়ে রাখেন ডকরেল। 

রান উৎসবের ম্যাচে শেষ ২ ওভারে ৩১ রান অসম্ভব কিছু তো নয়। ১৯তম ওভারে হার্শালকে চারের পর ছক্কায় ওড়ান অ্যাডায়ার। উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আয়ারল্যান্ডের আশা। ওভার থেকে আসে ১৪ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। উমরানের ‘নো’ বল আর অ্যাডায়ারের দুই বাউন্ডারির সুবাদে প্রথম ৩ বলে আসে ৯ রান। এরপরের কাজটা খুব অসম্ভব কিছু ছিল না। কিন্তু উমরানের মাথা খাটিয়ে বোলিংয়ে আর পেরে ওঠেনি আয়ারল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ২০ ওভারে ২২৫/৭ (স্যামসন ৭৭, ইশান ৩, দিপক ১০৪, সূর্যকুমার ১৫, পান্ডিয়া ১৩*, কার্তিক ০, আকসার ০, হার্শাল ০, ভুবনেশ্বর ১*; অ্যাডায়ার ৪-০-৪২-৩, লিটল ৪-০-৩৮-২, ইয়াং ৪-০-৩৫-২, ডেলানি ৪-০-৪৩-০, উলফার্ট ৩-০-৪৭-০, ম্যাকব্রাইন ১-০-১৬-০)

আয়ারল্যান্ড: ২০ ওভারে ২২১/৫ (স্টার্লিং ৪০, বালবার্নি ৬০, ডেলানি ০, টেক্টর ৩৯, টাকার ৫, ডকরেল ৩৪*, অ্যাডায়ার ২৩*; ভুবনেশ্বর ৪-০-৪৬-১, পান্ডিয়া ২-০-১৮-০, হার্শাল ৪-০-৫-১, বিষ্ণই ৪-০-৪১-১, উমরান ৪-০-৪২-১, আকসার ২-০-১২-০)

ফল: ভারত ৪ রানে জয়ী

সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-০তে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: দিপক হুডা

ম্যান অব দা সিরিজ: দিপক হুডা



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসির বাংলাদেশে আগমন নিয়ে যা বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক শিরোপাখরায় থাকা আর্জেন্টিনা দীর্ঘ সময় পর একসাথে জিতেছে তিনটি আন্তর্জাতিক শিরোপা। যার মধ্যে সর্বোচ্চ শিরোপা হচ্ছে বিশ্বকাপ। টানা ৩৬ বছর পর এ শিরোপা ছুঁয়ে দেখেছে আলবিসেলেস্তেরা।

তবে আর্জেন্টিনার এ সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল লিওনেল মেসির। এবার সেই ফুটবল জাদুকর লিও মেসির বাংলাদেশ সফর নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। গত বছরের ১২-২০ জুন ফিফা উইন্ডোতে লিওনেল মেসিদের বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে এই সময়ে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ঢাকায় আসা হয়নি।

এটাই প্রথম নয়, এর আগে-পরেও অনেকবার আকাশি-নীল শিবিরের ঢাকায় আসার গুঞ্জন উঠেছিল। তবে নানান কারণে বাস্তবে রূপ নেয়নি সেসব উদ্যোগ ও পরিকল্পনা। যদিও বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়কের বাংলাদেশে আগমনের সম্ভাবনা দেখছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।

আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে নিজ মন্ত্রণালয়ে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এ সময়ে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ভারতের ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তও ছিলেন। তিনি (শতদ্রু) মূলত মেসিকে ঢাকায় আনার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।

মেসি প্রসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রীর দাবি, ‘তারা বলেছে মেসিকেও আনতে পারে।’ পাপনের ভাষ্যমতে, ‘তারা বলেছে; যেহেতু অন্যরা আসছে, মেসিও আসতে পারে। তবে অনেক বিষয় থাকে এখানে।’

এদিকে ঢাকায় মার্টিনেজ-রোনালদিনহোর আগমনে অনেক বিচ্যুতি ছিল। তবে ডি মারিয়ার সফরে এমনটা হবে না বলে দাবি পাপনের।

মন্ত্রীর ভাষ্যমতে, ‘আগের বিষয় নিয়ে আর মন্তব্য নেই। তবে এখন যেহেতু তারা মন্ত্রণালয়ে এসেছে, তাই আমরা তাদের প্রস্তাবনা দিতে বলেছি। দেখি তারা কি দেয়; এরপর আমরাও কিছু কন্ডিশন দিতে পারি, যেহেতু আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে।’

পাপন বলেন, ‘এখানে বাণিজ্যের একটি বিষয় রয়েছে। আর্থিক বিষয় ছাড়া এ রকম সফর সম্ভব নয়। আগের দুইবার যে ভুল-ত্রুটি ছিল, এবার সেটা হবে না।’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মেসিসহ পুরো আর্জেন্টিনা দল বাংলাদেশে এসেছিল। সেবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল তারা।


নাজমুল হাসান পাপন   লিওনেল মেসি   শতদ্রু দত্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজের ‘বিকল্প’ হিসেবে যাকে নিলো চেন্নাই

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলে এবার বিকল্প হিসেবে দল পেলেও সুযোগ পেয়েই দারুণ ছন্দে আছেন বাংলাদেশি কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। চেন্নাইয়ের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি।

তবে আইপিএলের এবারের আসরের শেষ পর্যন্ত খেলা হবে না মুস্তাফিজের। আর মাত্র কয়েক দিন পরই জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেশে ফিরতে হবে দ্য ফিজকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই টাইগার এই পেসারের জায়গা কে পূরণ করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এবার সেই উত্তরই দিলো আইপিএলের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজিটি!

আইপিএলের বাকি অংশের জন্য চেন্নাইয়ে যোগ দিয়েছেন ইংলিশ পেসার রিচার্ড গ্লিসন। প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলবেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেভন কনওয়ের বদলি হিসেবে তাকে দলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে এম এস ধোনির দল।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই কিউই ওপেনারকে নিয়ে শঙ্কা ছিল। বাঁ-পায়ের চোটে এবার পুরো আসর থেকেই ছিটকে গেছেন কনওয়ে। গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে চোটে পড়েছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছিল, মে’র মাঝামাঝিতে ফিরতে পারেন কনওয়ে। তবে তা আর হচ্ছে না। আর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের লাইনআপ যথেষ্ট শক্তিশালী বিবেচনায় পেসার গ্লিসনকে দিয়ে স্লটটি পূরণ করেছে তারা।

এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য মে’র প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরবেন দ্য ফিজ। তাকে ১ মে পর্যন্ত এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দিয়েছিল বিসিবি। তাই নিশ্চিতভাবেই তাকে এবারের আইপিএলে আর পাচ্ছে না চেন্নাই। চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন ফিজ। এতে টুর্নামেন্টের সেরা উইকেট শিকারির তালিকাতেও আছেন তিনি।

কনওয়ের পরিবর্তে ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে গ্লিসনকে দলভুক্ত করেছে চেন্নাই। ইংলিশদের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেললেও এখনও এই পেসারের টেস্ট-ওয়ানডে খেলা হয়নি।

৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ দশমিক ৭৮ গড় ও ৮ দশমিক ৯ ইকোনমিতে ৯ উইকেট শিকার করেছেন ৩৬ বছর বয়সী পেসার। ভারতের বিপক্ষে নিজের অভিষেকে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও রিশাভ পান্তের উইকেট শিকার করেছিলেন গ্লিসন।

বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন ডানহাতি এই পেসার। টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেটসহ ১০০-এর বেশি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও দুর্দান্ত রেকর্ডের মালিক এই পেসার। ৩৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৪৩ উইকেট রয়েছে গ্লিসনের।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আসন্ন বিশ্বকাপে নতুন দায়িত্বে দেখা যাবে কোহলিকে!

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। যেখানে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে দল হারলেও ব্যাট হাতে চার-ছক্কার ঝড় তুলে যাচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক ভিরাট কোহলি।

কোহলি সচরাচর তিনে ব্যাট করতে নামলেও এবার অবশ্য নতুন পজিশনে দেখা গেছে তাকে। এবার দলের হয়ে ওপেনিং করছেন তিনি। যেখানে বেশ ভালোভাবেই নতুন দায়িত্বেও জ্বলে উঠেছেন কোহলি। আর তাই এবার টি-২০ বিশ্বকাপেও কোহলিকে দিয়ে ওপেন করানোর কথা ভাবছেন নির্বাচকরা।

এমন তথ্য জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম দৈনিক জাগরণ। তারা জানিয়েছে, রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে কোহলিকে চান ভারতের নির্বাচকরা।

চলতি আসরে ৭ ম্যাচ খেলে ১ সেঞ্চুরি ও ২ অর্ধশতকে ৭৯.৩৪ গড়ে ৩৬১ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেটও ১৪৭.৩৪। তারপরও ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে কোহলির জায়গা হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা কাটছে না।

আইপিএলে বিরাট কোহলি প্রায় প্রতি ম্যাচেই রান করলেও হেরেই চলেছে তার দল বেঙ্গালুরু। শতক হাঁকিয়েও স্ট্রাইক রেটের জন্য তিরস্কার শুনতে হয়েছে এই কিংবদন্তিকে। জুনে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলির জায়গাটা অনিশ্চিত হওয়ার পেছনে স্ট্রাইকরেটকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে জাগরণের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবে বিশ্বকাপে যেতে পারেন শুভমান গিল। এদিকে কোহলি ওপেনিং করলে তিনে দেখা যেতে পারে সূর্যকুমার যাদবকে।

‘মিডল অর্ডারে বিবেচনা করা হতে পারে রিঙ্কু সিং, রাইয়ান পরাগ কিংবা শিভাম দুবেদের। জায়গা নড়বড়ে হয়ে আছে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার। পুরো দমে বোলিং করতে পারলেই কেবল তাকে বিশ্বকাপে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচকরা।’

আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে নিয়মিতই ইনিংসের উদ্বোধন করেন কোহলি। তবে জাতীয় দলে তার পছন্দের জায়গা তিন বা চার নম্বরে। ২০০৮ সালে ওপেনার হিসেবেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় কোহলির।

এরপর সময়ের সঙ্গে নিজেকে তিন নম্বরে থিতু করেন বিরাট। অথচ ওপেনার হিসেবেও রেকর্ড দুর্দান্ত তার। ৯টি টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসেবে নেমে ৫৭ গড়ে ৪০০ রান করেছেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার গড়ের চেয়ে (৫১) বেশি। ওপেনার হিসেবে স্ট্রাইকরেট ১৬১, অথচ তিন নম্বরে তার স্ট্রাইকরেট মাত্র ১৩৮!

বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে একবারই ওপেনিং করেছিলেন কোহলি। সেই ম্যাচে কোহলির ৫২ বলে ৯৪ রানে ভর করে ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২২৪ রান তোলে। সেদিন ভারত প্রথম ৯ ওভারে তোলে ৯৪ রান।

তাই বিশ্বকাপের জন্য রোহিতের পার্টনার হিসেবে কোহলিকে বিচার করা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে গত সপ্তাহে মুম্বাইয়ে রোহিত, রাহুল দ্রাবিড় এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার বৈঠকও করেছেন। এমনটাই দাবি জাগরণের।

তবে এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি বলেছেন, আমি কারও সঙ্গে দেখা করিনি। অজিত আগরকার দুবাইয়ের কোথাও একটা গলফ খেলছে এবং রাহুল দ্রাবিড় বেঙ্গালুরুতে বসে তার বাচ্চাদের খেলা দেখছে। দ্রাবিড় মুম্বাইয়ে এসেছিল।

‘কারণ, সে তার ছেলেকে সিসিআই-এ লাল মাটির উইকেটে খেলতে নিয়ে এসেছিল। সত্যি বলতে, আমাদের দেখা হয়নি। আমরা কোনও বৈঠকও করিনি।’

তিনি আরও বলেন, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যতক্ষণ না আমি, রাহুল, অজিত বা বিসিসিআই-এর কেউ এসে ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলছে, তার আগে পর্যন্ত কোনও খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। সবটাই ভুয়ো।


ভিরাট কোহলি   টি-২০ বিশ্বকাপ   ব্যাঙ্গালুরু   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের নির্বাচনের জন্য পেছালো ডি মারিয়ার বাংলাদেশ সফর

প্রকাশ: ০৪:৩৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মে মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার আনহেল ডি মারিয়ার। তবে ভারতের নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই সফর। নতুন করে মাস দুয়েক পর আগামী জুলাইয়ের শেষ অথবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাতের পর ভারতীয় ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত এমন তথ্য জানান।

ডি মারিয়ার সফর পেছানোর কারণ নিয়ে শতদ্রু বলেন, ‘বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও আসার কথা ছিল। ভারতে ওই সময় নির্বাচন, তাই বাংলাদেশের সফরটিও পিছিয়েছে।’ নতুন সময় জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে প্যারিস অলিম্পিক শুরু হবে। তবে সেই সময় সফর আদৌ সম্ভব কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওই সময়টি তিনিই দিয়েছেন। আমি যতটুকু জানি সে কোপা খেলবে, এরপর অবসর নেওয়ার কথা।’

আগস্ট মাস বাংলাদেশের শোকের। তাই যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আনার অনুরোধ করেছেন। শতদ্রু সেই চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন, ‘আগস্ট বাংলাদেশের শোকের মাস। মন্ত্রী বিষয়টি জানিয়েছেন। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আনতে সমস্যা হবে না মনে করি।’

ভারতীয় এই ক্রীড়া উদ্যোক্তা গত বছর আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও ব্রাজিল কিংবদন্তি রোনালদিনহোকে এনেছিলেন। দুটি সফরই ছিল অব্যবস্থাপনায় ভরপুর ও নানা প্রশ্নবিদ্ধ। এবার সেই রকম না হওয়ার অঙ্গীকারও শোনা গেল শতদ্রু দত্তের কণ্ঠে, ‘এবার ফুটবলার ও মিডিয়া সবার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। অনুষ্ঠান থাকবে দর্শকদের জন্যও।’


ডি মারিয়া   আর্জেন্টিনা   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতোমধ্যেই শুরু অলিম্পিকের ক্ষণগণনা, সাজছে ঐতিহ্যের শহর

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র কিছুদিন পরেই স্বপ্নের শহর প্যারিসে বসতে যাচ্ছে ২০২৪ বিশ্ব অলিম্পিকের আসর। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ১০০ দিনের ‘ক্ষণগণনা’। আর এবার অলিম্পিকের জন্য নতুন রূপে সাজতে শুরু করেছে সাহিত্য, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের শহর প্যারিস। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে ঐতিহাসিক আইফেল টাওয়ার। শুধু তাই নয়, মেগা এই ইভেন্টকে সামনে রেখে সংস্কার চলছে নটরডেম ক্যাথেড্রালের।

অলিম্পিককে সামনে রেখে এরই মধ্যে নতুন রূপে সাজতে শুরু করেছে পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই শহর। মেগা ইভেন্টের আয়োজন থাকছে স্মৃতিস্তম্ভগুলোতে। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে ঐতিহাসিক আইফেল টাওয়ারও। সাইক্লিং, অ্যাথলেটিক্স ও তীরন্দাজের মতো আয়োজন থাকছে হোটেল ডেস ইনভালাইডসে।

১৬৮৭ সালে নির্মিত এই হোটেলটি একসময় ব্যবহৃত হতো সামরিক হাসপাতাল ও যুদ্ধের প্রবীণ সৈনিকদের অবসর কাটানোর জন্য। ফরাসী বিপ্লবের নায়ক সম্রাট নেপোলিয়ন বেনাপোর্টের সমাধিও রয়েছে এই স্থানটিতে। সেইন নদীর অপর প্রান্তে, উনিশ শতকে নির্মিত গ্র্যান্ড প্যালেসে উপভোগ করা যাবে তায়কোয়ান্দো ইভেন্ট। অলিম্পিককে সামনে রেখে সংস্কার চলছে ২০১৯ সালে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত নটরডেম ক্যাথেড্রালের। কিছুদিনের মধ্যেই এর দরজা আবারো খুলে যাবে পর্যটকদের জন্য।

দ্যা গ্রেটেস্ট ক্রীড়া ইভেন্ট অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক মিলিয়ে ৫টি মহাদেশের প্রায় ১৫ হাজার ক্রীড়াবিদ একত্রিত হবেন প্যারিসে। শহরটিতে বসবাস রয়েছে প্রায় ২১ লাখ মানুষের। সব মিলিয়ে পর্যটনসমাগমে ভরে উঠবে প্যারিস শহর এমনটিই আশা করা হচ্ছে।


প্যারিস   নটরডেম ক্যাথেড্রাল   অলিম্পিক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন